গণধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত রাহুল গান্ধী

গণধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত রাহুল গান্ধী, শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে চাইছেন – কৃত্তিবাস ওঝা

গণধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত রাহুল গান্ধী, শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে চাইছেন। কংগ্রেস নেতা বলরাম সিং-এর মেয়ে সুকন্যা দেবী অভিযোগ তুলেছিলেন, ২০০৬ সালের ৩ ডিসেম্বর রাহুল গান্ধী তাদের পারিবারিক সংসদীয় তালুক আমেথীতে বন্ধুদের সঙ্গে অবস্থানকালীন সময় তিনি তার সঙ্গে দেখা করতে গেলে- রাহুল গান্ধী ও তার পাঁচ বন্ধু কর্তৃক গণধর্ষিতা হন। 

রাহুল গান্ধীর সেই পাঁচ বন্ধুর মধ্যে চারজন ধর্ষক ছিল বিদেশি । রাহুল গান্ধীর সাথে বিদেশিদের দহরম-মহরম থাকাটাই স্বাভাবিক। কেননা, রাহুল গান্ধীর পিতামহ ইরানি বংশোদ্ভূত ফিরোজ জাহাঙ্গীর এবং রাহুল গান্ধীর মাতামহ স্টিফেন মাইনো ছিলেন ইতালীয় কুখ্যাত ফ্যাসিস্ট পার্টির গণধিকৃত ক্যাডার।

 

নিগৃহীতা সুকন্যা দেবী পরেরদিন রাহুল গান্ধী ও তার বন্ধুদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে,ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামলা গ্রহণ করতে অপারগতা প্রকাশ করে। তখন ভারতে গান্ধী-নেহেরু পরিবারের অঘোষিত রাজতান্ত্রিক অপশাসন বলবৎ এবং রাহুল গান্ধী তখন দোর্দণ্ডপ্রতাপ যুবরাজ। ইতালীয় ফ্যাসিস্ট পার্টি, খুন-ধর্ষণসহ মানবতাবিরোধী অসংখ্য অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত। হিংস্র হায়েনাতুল‍্য ফ্যাসিস্ট স্টিফেন মাইনোর সুযোগ্যা কন্যা এন্টোনিয়া মাইনো- যিনি ভারতে এসে সোনিয়া গান্ধী নাম ধারণ করেন। এই ফ্যাসিস্ট-দুহিতার ভারতে আগমনের মূল উদ্দেশ্য,পরিবারতান্ত্রিক শাসন ক্ষমতা কুক্ষিগত করা।

 

গৃহবধূর পরিচয়ে এন্তোনিয়া মাইনো গান্ধী-নেহেরু পরিবারের অন্দরমহলে প্রবেশ করে এমন কূটচাল চেলেছিলেন- যার প্রভাবে তার শাশুড়ি ইন্দিরা গান্ধী, তার কনিষ্ঠ পুত্রের বিধবা স্ত্রী- কিশোরী মেনেকা গান্ধীকে দুগ্ধপোষ্য শিশুপুত্র সহ বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিলেন। এহেন কুচক্রী সোনিয়া গান্ধী, ইন্দিরা কংগ্রেস-কে পরিণত করে ফেলেন নিজের ‘ভ্যানিটি ব্যাগ পার্টি’-তে। সেক‍্যুলার দোসরদের সহায়তায় ক্ষমতায় গিয়ে, সোনিয়া গান্ধী তার সংখ্যালঘু সাগরেদদের নিয়ে খামচে ধরে ছিলেন- হিন্দু জাতির কলিজা।

 

হিন্দু বিদ্বেষী সোনিয়া গান্ধীর ‘ভ্যানিটি ব্যাগ পার্টি’ যখন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত এবং সোনিয়া-পুত্র যুবরাজ রাহুল গান্ধী তার স্বজাতি আব্রাহামিক বন্ধুবান্ধব নিয়ে যদি কোন ভারতীয় হিন্দু নারীকে গণধর্ষণ করে, তাহলে তখন কার এমন হিম্মত ছিল- পরিবারতন্ত্রের লৌহ যবনিকা ছিন্ন করে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ করার। ইতালি থেকে আমদানিকৃত ফ্যাসিজম-এ বিশ্বাসী পরিবারতান্ত্রিক নরপিশাচেরা তাহলে মামলা গ্রহণকারীর চাকরি তো কেড়ে নিতোই; আরো যে কত হয়রানি করত- সে কথা বলাই বাহুল্য।



কংগ্রেসী পরিবারতন্ত্রের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ২০০৬ সালের ২৯ ডিসেম্বর সুকন্যা দেবী, সংবাদ সম্মেলন ডেকে রাহুল গান্ধী ও তার আব্রাহামিক বন্ধুদের গণধর্ষণের অপকীর্তি ফাঁস করে দেন। সুকন্যা দেবী ন‍্যায় বিচারের আশায় রাষ্ট্রপতি এবং সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করতে গেলে- দেখা করতে দেওয়া হয় নি,পরিবারতন্ত্রের অদৃশ্য অঙ্গুলিহেলনে।

এর কিছুদিন পর সুকন্যা দেবী এবং তার বাবা-মা গুম হয়ে যান। এই জুলুমের বিরুদ্ধে সমাজবাদী পার্টির প্রাক্তন বিধায়ক কিশোর সমরিত, ২০১০ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্ট-এর শরণাপন্ন হতে গিয়ে,উল্টো রাহুল গান্ধীর সম্মানহানির প্রচেষ্টার অভিযোগে- তার বিরুদ্ধে অর্থদণ্ড ঘোষিত হয়।

 

গণধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত রাহুল গান্ধী এখন, অন্যের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগ এনে, আন্দোলনের নামে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছেন।

লেখক-কৃত্তিবাস ওঝা,ভূরাজনৈতিক বিশ্লেষক।
লেখকের আরো লেখা……