যে হিন্দু নামধারী নেতা যত বড় সেকুলার,সে তত বড় দালাল।-কৃত্তিবাস ওঝা

                                             লেখক-কৃত্তিবাস ওঝা,ভূরাজনৈতিক বিশ্লেষক।
মহম্মদ আলী জিন্নাহ বলেছিলেন,৭১২ খ্রিস্টাব্দে  ভারতভূমি আরব আক্রমনকারীদের পদানত হওয়ার পর, ভারতের প্রথম হিন্দুটি যেদিন ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিল-ঠিক সেইদিনই রোপিত হয়েছিল পাকিস্তানের বীজ। পাকিস্তান কেবল একটি রাষ্ট্র নয়, এটি একটি আদর্শ। আমার লক্ষ্য, পুরো ভারতকে পাকিস্তানে পরিণত করা। ভারতবর্ষের প্রথম সেক্যুলার ব‍্যক্তিটি সে – যে হিন্দুটি সর্বপ্রথম আরব দখলদারদের সহায়তা ও দালালি করেছিল। এই সেক‍্যুলাররা পরবর্তী সময়ে তুর্কি দখলদারদের দালালি করেছে, উজবেক দখলদারদের দালালি করেছে, ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদীদের দালালি করে আখের গুছিয়েছে, চীন-জাপান-রাশিয়ার দালালি করতে গিয়ে ধরা খেয়েছে।    

                                    

যে হিন্দু নামধারী নেতা যত বড় সেক‍্যুলার,সে ততবড় দালাল। হিন্দু জাতির দুর্ভাগ্য, তারা এই সেক্যুলার ভণ্ড নেতাদের খপ্পর থেকে আজও মুক্ত হতে পারেনি। যারা ‘লড়কে লেঙ্গে পাকিস্তান’ – বলে হিন্দুর মাথা কাটতো, পার্টিশনের পর তারা পাকিস্তানে চলে যেতে চেয়েছিল। জহরলাল নেহেরুর নেতৃত্বাধীন  কংগ্রেসের সেক‍্যুলার নেতারা, তাদের পাকিস্তানে চলে যেতে দেয়নি। নেহেরু বলেছিলেন, আপনারা যদি পাকিস্তানে চলে যান – তাহলে ভারতের মুসলমানরা সাহস হারিয়ে ফেলবে।

নেহেরু তখন আরও বলেছিলেন, হিন্দুদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে,মুসলমানদের উচিত পাকিস্তান ছেড়ে বেশি বেশি করে ভারতে চলে আসা। জিন্নার বাছাই করা অনেক সৈনিক তখন ধর্মনিরপেক্ষতার মুখোশ পরে ভারতে চলে এসেছিল। জিন্নার সৈনিকদের নিয়ে নেহেরু পরিবার যে ধর্মনিরপেক্ষ ভারত বিনির্মাণ করেছিল – সেই ধর্মনিরেপেক্ষতা ছিল মূলত হিন্দু জাতির পৃষ্ঠদেশে ছুরিকাঘাত। নেহেরু পরিবারের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ছিল, হিন্দু জাতিকে দীর্ঘস্থায়ীভাবে দরিদ্র,অশিক্ষিত ও ক্ষমতাহীন করে রেখে, তিলে তিলে নিশ্চিহ্ন করে ফেলা।

যেমন নেহেরু ভেটো পাওয়ার সহ রাষ্ট্রসঙ্ঘের স্থায়ী সদস্যপদ গ্রহণ করেননি। ভেটো পাওয়ার হাতে থাকলে, হিন্দু জাতি আজ বিশ্বে অনেক শক্তিশালী অবস্থানে থাকতো। নেহেরু পরিবার ভারতে বিদেশি পুঁজি ও প্রযুক্তি ঢুকতে দেয়নি। কারণ বিদেশি পুঁজি ও প্রযুক্তি ঢুকলে, ভারত এতদিনে জাপান বা দক্ষিণ কোরিয়ার মতো উন্নত-আধুনিক-সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্রে পরিণত হতো। নেহেরু পরিবার, জিন্নার সৈনিকদের সাথে নিয়ে প্রাণপন প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছে – যাতে হিন্দু জাতিকে দরিদ্র ও অশিক্ষিত বানিয়ে রাখা যায়।

একজন ইরানি বংশোদ্ভূত বিধর্মীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া নেহেরু কন‍্যা ইন্দিরা গান্ধী, ইমারজেন্সি দিয়ে সাংবিধানিকভাবে যে ধর্মনিরপেক্ষতা কায়েম করেছিলেন, তা প্রকৃতপক্ষে কোন ধর্মনিরপেক্ষতা ছিল না – তা ছিল হিন্দু জাতির সাথে চরমতম বৈষম্য ও প্রতারণা। গান্ধী-নেহেরু পরিবারের ধর্মনিরপেক্ষতা হচ্ছে, হিন্দুর কষ্টার্জিত ট‍্যাক্সের টাকা দিয়ে হিন্দু জাতির শত্রুদের পরিপুষ্ট করা। ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান হিন্দু শিক্ষার্থীদের ধর্ম শিক্ষার অধিকার কেড়ে নিয়েছে, পক্ষান্তরে সংখ্যালঘুদের ধর্মশিক্ষা প্রণোদনা দিয়েছে। কেবল তা-ই নয়, ভারতীয় শাসনতন্ত্রে সংখ্যালঘুদের জন্য এত বিশাল সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে, যাতে হিন্দুরা ধর্মান্তরিত হতে উৎসাহিত হয়। অথচ যেসব রাজ্যে হিন্দুরা সংখ্যালঘু, সেখানে সংখ্যালঘু-হিন্দুদের জন্য সামান্যতম সুযোগ-সুবিধা নেই। অর্থাৎ এরা গাছেরটাও খাবে, তলায়ও কুড়াবে।

গান্ধী-নেহেরু পরিবার ও জিন্নার সৈনিকদের মিলিত ষড়যন্ত্রে, ভারতে মেকি ধর্মনিরপেক্ষতার ধুম্রজাল সৃষ্টি করে হিন্দু জাতির উপর যে নির্মম শোষণ-নির্যাতন চলছে, এই ধারা যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে অচিরেই ভারতের হিন্দুরা সংখ্যালঘু হয়ে পড়বে। হিন্দু জনসংখ্যার হার যদি ৫০% – এর নিচে নেমে আসে, তাহলে আফগানিস্তান-পাকিস্তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে কাশ্মীরের মতো সমগ্র ভারত ভূমি অল্প কিছুদিনের মধ্যেই একেবারে হিন্দু-শূন্য করে ফেলা হবে।

সুতরাং হিন্দু জাতির যদি পৃথিবীতে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হয়, তাহলে ভারতের  শাসনতন্ত্র থেকে হিন্দু-বিরোধী সমস্ত কালাকানুন বিলোপ করতে হবে অবিলম্বে। সেক‍্যুলার কুচক্রীরা শৈশবকাল থেকে হিন্দুদের মগজে ঢুকিয়ে দিচ্ছে আলীগড় মাদ্রাসা প্রবর্তিত মিথ্যা ইতিহাস। যে ইতিহাসে হিন্দু মহানায়কদের হেয় প্রতিপন্ন করা হয় এবং দখলদার মরু-ডাকাতদের  গুণকীর্তন করা হয় ; যাতে কোমলমতি হিন্দু-শিশুদের মনে স্বজাতি বিদ্বেষ সৃষ্টি হয়। কী ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্র!

আমাদের পরবর্তী লেখা পেতে একটি লাইক দিয়ে রাখুন।-ধন্যবাদ

লেখক-কৃত্তিবাস ওঝা,ভূরাজনৈতিক বিশ্লেষক।
লেখকের অন্য আর লেখা।