তবে কি এবার আমেরিকা ভারতকে চীনের বিরুদ্ধে দাড়ানোর জন্য শক্তিশালী করবে?-সোজাসাপ্টা

আমেরিকা ভারতকে চীনের সাথে প্রতিযোগিতা করার জন্য শক্তিশালী করবে – প্রেস পর্যালোচনা। ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমেরিকা ভারত, জাপান এবং অস্ট্রেলিয়াকে যুদ্ধবিমানের প্রশিক্ষণের জন্য প্রস্তাব করবে। এই প্রতিবেদন অনুসারে, আমেরিকা এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরে চীনের আগ্রাসন বন্ধে এমন অনেক পদক্ষেপ নিতে চলেছে।

 

এই সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমেরিকার দৃষ্টিতে ভারতের সীমান্তে চীনের আগ্রাসন সম্পর্কে রয়েছে। ১৫ ই জুন, এলএসি-তে চীনা সেনাদের সাথে সহিংস সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছিল।

আমেরিকা

এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “জাতীয় প্রতিরক্ষা কর্তৃপক্ষ আইনটি বৃহস্পতিবার মার্কিন সিনেটে আনা হয়েছে।” এতে ভারত, জাপান এবং অস্ট্রেলিয়াকে মার্কিন প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল গুয়ামে যুদ্ধবিমান প্রশিক্ষণের জন্য বলা হয়েছে। জাতীয় প্রতিরক্ষা কর্তৃপক্ষ আইনটি ২০২১ সালের আর্থিক বছরের জন্য, যা অক্টোবর মাস থেকে শুরু হয়।

 

বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পে আরও বলেছিলেন যে যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপ থেকে সেনা সংখ্যা কমিয়ে দিচ্ছে যাতে ভারত ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশ চীনের হুমকির হাত থেকে বাঁচতে পারে। ছয় মাস আগে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এস্পার এবং সিঙ্গাপুরের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এনজি এনগ হেইন সিঙ্গাপুরের জন্য গুয়ামে একটি ফাইটার জেট প্রশিক্ষণ ইউনিট তৈরির জন্য একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছিলেন। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে জাপান ভারতের কৌশলগত অংশীদার হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে।তিনি এও বলেছিলেন যে এশিয়ার মধ্যে চীনের সামরিক শক্তি এবং এর উদ্দেশ্য সম্পর্কে নজর রাখা দরকার।

 

 

জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী তারো কোনো টোকিওতে সাংবাদিকদের বলেছিলেন যে চীন ও উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে হুমকি কেবল মাটিতে নয় সাইবার স্পেসেও রয়েছে। জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বিদেশি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, “আমাদের চারপাশে যা কিছু ঘটছে সে সম্পর্কে সচেতন হওয়া দরকার।” চীন সম্প্রতি দক্ষিণ চীন সাগর, হংকং এবং ভারত নিয়ে কী করেছে তার দিকে নজর দিতে হবে।

লেখক-অভিরুপ বন্দ্যেপাধ্যয় ,ভূরাজনৈতিক বিশ্লেষক কলকাতা।

লেখক-কৃত্তিবাস ওঝা,ভূরাজনৈতিক বিশ্লেষক।