সনাতন রীতি

অস্ট্রেলিয়া থেকে ভারতে এসে সনাতন রীতিতে হিন্দু পুরোহিকে বিয়ে।

সনাতন রীতি: অস্ট্রেলিয়া থেকে ভারতে এসে সনাতন রীতিতে হিন্দু পুরোহিকে বিয়ে। অস্ট্রেলিয়ান এক নারীর হৃদয় হিন্দু পুরোহিতের কাছে ধরা দিয়েছে, তার পর বিয়ে করেছিন এবং সন্তানদের নিয়ে স্থায়ী হয়েছেন।

ভারত বিশ্বের একমাত্র দেশ, যে দেশ তার সংস্কৃতি, ধর্মীয় রীতিনীতি, ঐতিহ্য এবং আচার-অনুষ্ঠানের জন্য বিশ্বে পরিচিত।

সনাতন রীতি
সনাতন রীতি বিয়ে এক অস্ট্রেয়ান নারীর

 

যে কেউ এখানে আসে ভারতের শালীনতা এবং সৌন্দর্য দেখতে পায়। আসলে এখানে অতিথিকে ঈশ্বরের মর্যাদা দেওয়া হয়।

কিছুদিন আগে একজন অস্ট্রেলিয়ান নারী ভারতে উত্তরাখণ্ডে বেড়াতে এসেছিলেন এবং তিনি ভারতে এসে  এক সনাতনী পুরোহিকে বিয় করে  ভারতীয় হয়েছেন, হ্যাঁ, শুধু তাই নয়, তিনি বিয়ের পূর্বেেই মন্দিরের পুরোহিতের প্রেমে পড়েছিলেন।

 

হিন্দু পুরোহিকে বিয়ে
অস্ট্রেলিয়া থেকে ভারতে এসে সনাতন রীতিতে হিন্দু পুরোহিকে বিয়ে।

 

তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কী এই বিদেশি নারীর প্রেমের মজার গল্প?

খবরে বলা হয়েছে, ৪০ বছর বয়সী অস্ট্রেলিয়ান এক নারী জুলিয়া বুল নবরাত্রি উপলক্ষে বদ্রীনাথ দেখতে ভারতে এসেছিলেন। জুলিয়ার সঙ্গে তার একটি ৫ বছরের ছেলেও ছিল। 

যাইহোক, তার আরো একটি 14 বছর বয়সী ছেলে রয়েছে যে অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনা করছেন। এখন এমন পরিস্থিতিতে বদ্রীনাথের মন্দির দর্শনের সময় জুলিয়ার দেখা হয় এক বাবা সিদ্ধনাথ মহারাজ এর সাথে বরফানি ধামে।

জুলিয়ার ভাষ্যমতে, তিনি ভারতে এসে বেশি কিছু দিন ধরে বাবার গ্রামের চামোলি স্থানে বন্ধ মহেশ্বর আশ্রমে বসবাস করছেন। মূলত জুলিয়া সেখানে এই সময় যোগ অনুশীলন করেছিলেন।

এবং ব্রহ্মবিদ্যার জ্ঞানও নিয়েছিলেন। বলা হচ্ছে, আশ্রমে থাকার সময় জুলিয়ার ছোট ছেলে বাবাকে বাবা বলে ডাকতে শুরু করে, এরপর জুলিয়া এই পণ্ডিতদের প্রেমে পড়ে এবং সে তাকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়।

কিন্তু প্রথম দিকে পণ্ডিত বিয়ে করতে রাজি ছিলেনা। তবে পরে জুলিয়ার তার প্রতি ভালোবাসা এবং গ্রামবাসির অনুরোধে পুরোহিত বিবাহ করতে রাজি হন।

আসলে, জুলিয়া যখন পণ্ডিতকে বিয়ে করার কথা বলে এবং তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়, তখন বাবা অস্বীকার করেছিলেন কারন সে আসলে বিবাহ জীবনে প্রবেশ করতে চাইছিলেনা। আর এর পরেই গ্রামের সকল সদস্যদের সামনে হিন্দু রীতিতে মন্দিরে বিয়ে হয় দুজনের।

জুলিয়া পুরোহিতকে বিয়ে করার পর নিজের নাম পরিবর্তন করে মাতা ঋষিবন হন। আর এর সঙ্গে দুই ছেলের নাম রাখা হয়েছে বিশাল ও রাহুল। জুলিয়ার মতে, তিনি হিন্দু ধর্মে প্রচুর বিশ্বাস করেন, যার কারণে তিনি হিন্দু ধর্ম গ্রহণের কথা ভেবেছিলেন।

তবে জুলিয়া ইতিমধ্যে বিবাহিত ছিল কিন্তু কিছু কারণে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছিল। প্রসঙ্গত, জুলিয়া অস্ট্রেলিয়ায় যোগব্যায়ামের প্রশিক্ষণও দিতেন। অস্ট্রেলিয়ায় জুলিয়ার একটি আশ্রমও রয়েছে যার নাম ‘শান্তি দ্বার’।

জুলিয়া জানান, তিনি ভারতে এসেছিলেন ধ্যানের শিক্ষা নিতে। যখন তিনি জানতে পারলেন যে উত্তরাখণ্ডকে ‘গডস ল্যান্ড’ বলা হয়, তখন তিনি অস্ট্রেলিয়া থেকে উত্তরাখণ্ডে আসার পরিকল্পনা করেন। যাইহোক, জুলিয়া এমবিএ করেছে।

জুলিয়া বলেন, ভারতে আসার পর তিনি সুখে জীবন কাটাচ্ছেন। এখন তিনি অস্ট্রেলিয়া থেকে আরও বেশি লোককে চামোলিতে আনতে চান এবং তাদের যোগব্যায়াম শেখাতে চান।

আর পড়ুন……