লাভ জিহাদ

ডাঃ মেঘাকে লাভ জিহাদ থেকে রক্ষা করে হৈ চৈ ফেলে দিয়েছেন সাধক বজ্রদেহী মহারাজ।

লাভ জিহাদ: ডাঃ মেঘাকে লাভ জিহাদ থেকে রক্ষা করে হৈ চৈ ফেলে দিয়েছেন সাধক বজ্রদেহী মহারাজ। কর্ণাটক ম্যাঙ্গালুরু থেকে একটি ঘটনা সামনে এসেছে যা, কর্ণাটকের মিডিয়াতে খুব হৈ চৈ ফেলেছে।

ম্যাঙ্গালুরুর এক ডাক্তার হিন্দু মেয়ে একজন ডাক্তার মুসলমানকে বিয়ে করতে যাচ্ছিল। প্রথম দিকে হিন্দু মেয়েটি পরিবার বিষয়টি কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছিল না, যখন খবরটি তাদের সামনে আসে।

কিন্তু একটা সময় সেই হিন্দু ডাক্তার মেয়েটি এই বিষয়টি এমন পর্যয়ে নিয়ে যায় যে মেয়ের পরিবারের সদস্যরা মেয়েটির জেদের কাছে মাথা নত করে এবং তারা বিয়ের অনুমতি দেয়।

সেই অনুযায়ী মোহোন এবং পুশপা মোহোনের মেয়ে ডাঃ মেঘা এবং ডাঃ জাফর বিয়ের দিনখন ঠিক করে বিয়ের কার্ডও ছাপা হয়েছিল।

বিয়ের কার্ডও
বিয়ের কার্ডও

এই  খবরটি স্থানীয় লোকদের মধ্যে প্রতিক্রিয়া শুরু হয়। স্থানীয় এক হিন্দু সাধক বজ্রদেহী মহারাজ জি এই খবর পেয়ে মেয়েটির বাড়িতে গিয়ে হাজির হন। মহারাজ ঐ মেয়েটি বাড়ি গিয়ে পরিবারে সবার সাথে কথা বলেন এবং তিন পরিবারটিকে বলে যে তিনি মেয়েটি সাথে কথা বলতে চান। 

মহারাজের কথায় পরিবারটি সম্মতি দেওয় এবং মেয়েটি সাথে মহারাজ সনাতন ধর্ম ও সংস্কৃতির নিয়ে কথা বলেন, পাশাপাশি ধর্ম কি? ধর্মে সরুপ ব্যাখ্যা করেন।

ঘণ্টার পর ঘণ্টা মহারাজ সনাতন সংস্কৃতির সাথে অন্য সংস্কৃতির পাথর্ক্য সহ অনন্য ধর্ম গ্রন্থ খুলে ডাঃ মেঘার সামনে তুলে ধরেন।

সাধক বজ্রদেহী মহারাজ জি মেঘার পরিবারে সাথে
সাধক বজ্রদেহী মহারাজ জি মেঘার পরিবারে সাথে

মেয়েটি কি দুর্ভাগ্য করতে চলেছেন তারও ব্যাখ্যা করেন মহারাজ। যেহেতু মেয়েটি উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত ছিলেন সেহেতু সে মহারাজের কথা বুঝতে পারেন।

মেয়েটি মহারাজের কথা শুনার পর নিজেকে সে নতুন করে আবিষ্কার করে। সে তার করতে চালা কাজের জন্য লজ্জ্বীত এবংমেয়েটি খুব দুঃখিত হন।

সে তার সিদ্ধান্ত পরিত্যাগ করে। মহারাজ তাকে সনাতন সংস্কৃতি এবং সভ্যতা সম্পর্ক সচেতন করার পাশাপাশি তার সাথে আনা পবিত্র জল দিয়ে আছমান করান।

মেঘা পবিত্র জল দিয়ে আছমান করছে
মেঘা পবিত্র জল দিয়ে আছমান করছে

বজ্রদেহী মহারাজ

বজ্রদেহী মহারাজ হলেন প্রকৃত সাধক, যারা সমাজকে ভুল থেকে বিরত রাখেন, সঠিক দিক নির্দেশনা দেন।
কিন্তু এখান কিছু দরবেশ ভণ্ড বা বেদকে আকাশ বইয়ের সাথে তুলনা করে সংগঠনগুলোর পৃষ্ঠপোষকতা করার সময় পান না।

আজ আমাদের সমাজে এমন সাধক-মহাত্মাদের এগিয়ে আসতে হবে, সমাজের স্বার্থে তাদের ধর্ম প্রচারে অবদান রাখতে হবে, তবেই আমাদের নতুন প্রজন্মকে তাদের ধর্ম সম্পর্কে সচেতন করা যাবে। আমাদের সাধু সমাজকে অনেক ধন্যবাদ।

আর পড়ুন…..