জোর পূর্বক ধর্মান্তকরণ: জোরপূর্বক ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগ উঠল শিক্ষকের বিরুদ্ধে । হয় ইসলাম গ্রহণ না হয় দেশ ত্যাগ হুমকি দিলেন স্কুল শিক্ষক,গাজীপুর জেলার অন্তর্গত সিমলা কান্দি এলাকার কড্ডা বাজার শফি উদ্দিন মোল্লা পাবলিক স্কুলের গণিত বিভাগের শিক্ষক মোঃ নাজমুল খান, পিতা গোলাম নবী খান জোরপূর্বক হিন্দু শিক্ষার্থীদের ইসলাম ধর্ম গ্রহণে বাধ্য করা এবং ইসলাম ধর্মের বই পড়ানো এবং গোমাংস ভক্ষণ এর উপর চাপ সৃষ্টি করছেন। ঐ এলাকার হিন্দু জনগোষ্ঠী এর তীব্র নিন্দা করে বিবৃতি দিচ্ছেন।
পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র আবির বর্মণের (১২) পিতা রাজিব বর্মন এক অভিযোগ দায়ের করে পুলিশ কমিশনার গাজীপুর মহোদয়ের নিকট অভিযোগ করে বলেন ঐ স্কুলের শিক্ষক পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির হিন্দু ধর্মের ছেলে মেয়েদেরকে বাধ্যতামূলকভাবে ইসলাম ধর্মের বই পড়া এবং ইসলাম ধর্ম গ্রহণের জন্য বাধ্য করেছেন।
পরবর্তীতে উক্ত বিষয়ে প্রতিবাদ করলে বিষয়টি জানাজানি না করার জন্য প্রধান শিক্ষক সবাইকে অনুরোধ করেন কিন্তু ছেলে মেয়েদের অভিভাবকরা বিষয়টি নিয়ে সন্তুষ্ট না হওয়ায় দেশের প্রচলিত আইনে বিচার চেয়েছেন ।
এছাড়াও গত ২৬/০৭/২০২২ তারিখে গণিত শিক্ষক মোঃ নাজমুল খান শফিউদ্দিন মোল্লা পাবলিক বিদ্যালয়ের একটি সপ্তম শ্রেণীর হিন্দু ছাত্রী ঋতু রানি বর্মণকে (১২) তার শরীরের বিভিন্ন অংশে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানি করেছে। ঋতুরানি বর্মণের পিতা অধীর চন্দ্র বর্মণ উক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে বাসন থানায় নারী শিশু আইনের ১০ ধারায় একটি মামলা দায়ের করলে বাসন থানার অফিসার ইন চার্জ মোঃ নাজমুল খানকে গ্রেফতার করে ।
উল্লেখ করা যায় যে, থানায় অভিযোগ দায়ের করা হিন্দু ব্যক্তি অধীর চন্দ্র বর্মন জানান গত ২৬/০৭/২০২২ তারিখে স্কুলের গণিত শিক্ষক জনাব নাজমুল খান (৩২)গণিত ক্লাস নেওয়ার সময় আনুমানিক ১২ ঘটিকার সময় ক্লাসে তাহার মেয়েকে বিভিন্ন রকম অশ্লীল কথাবার্তা বলেন এবং বিভিন্ন সময়ে এককভাবে ক্লাসে ঢুকেই নানারকম কুরুচিপূর্ণ কথা বলে এবং শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দেন। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে তার মেয়েকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের আহ্বান জানান। এছাড়া গরুর মাংস খাওয়ার জন্য প্রস্তাব দেন।
তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি অধীর চন্দ্র বর্মন শোনার পরপরই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নিকট জানালে তিনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান। তিনি আরো বলেন বিষয়টি কারো নিকট আলোচনা না করার জন্য অনুরোধ করেন কিন্তু এই পর্যন্ত কোন প্রকার ব্যবস্থা তিনি গ্রহণ করেন নি।
বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচের সভাপতি সুপ্রিম কোর্টের আআইনজীবী অ্যাডভোকেট রবীন্দ্র ঘোষ বাসন থানার অফিসার ইনচার্জ কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন এবং তিনি বলেন আসামিকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাকে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা নেয়ার মানসে কোর্টে চালান দেওয়া হয়েছে। অফিসার ইনচার্জ মামলাটি রেকর্ড করে মামলা নাম্বার ১৫ তারিখ ১৪/০৮/২০২২ নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ১০ ধারা অনুসারে মামলা করেছেন। কিন্তু উক্ত মামলা দায়ের করার পর আসামি পক্ষ হিন্দু বাদিদেরকে উক্ত এলাকা ছাড়ার হুমকি দিয়েছেন, অন্যথায় হিন্দুদের বিরুদ্ধে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দিবেন।
বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচ ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন এবং ওই এলাকার মুক্তি যোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আঃকঃমঃ মজাম্মেল হককে মোবাইলের মাধ্যমে বিষয়টি অবগত করানো হয়, তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে আশান্বিত করেছেন। এহেন ধর্মান্তর করনের অপচেষ্টা এবং ছাত্রীদের শ্লীলতাহানি করন প্রক্রিয়া আইনের আওতায় এনে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহন করার দাবী জানাচ্ছে বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচ। এলাকার হিন্দু জনগণ এহেন অত্যাচারের প্রতিকারের জন্য ঢাকা শহরে বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচ এর অফিসে এসে কান্নাবিজড়িত কণ্ঠে এই বিচার দাবি করেছেন । জোর পূর্বক ধর্মান্তকরণ জোর পূর্বক ধর্মান্তকরণ জোর পূর্বক ধর্মান্তকরণ