দক্ষিন ইরানে অবস্থিত চোখ ধাঁধানো বান্দর আব্বাসে হিন্দু মন্দির। হিন্দু জাতি সম্পর্কে কোন কথা আসলে প্রথমে যে দেশটার নাম আসে সেটা সে ভারত।আমরা ভারতবর্ষের প্রতিটি কোনায় কোনায় অজস্র হিন্দু ধর্মের প্রতীক মন্দির দেবদেবীর মূর্তি দেখতে পাই। বর্তমান বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নতুন নতুন হিন্দু সভ্যতার অনেক নিদর্শন আবিষ্কৃত হচ্ছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জার্মান ভিয়েতনাম থাইল্যান্ড ইন্দোনেশিয়া মালয়েশিয়া এমনকি মধ্যপ্রাচ্যের বহু দেশে প্রাচীন ভারতীয় সভ্যতার প্রতীক বিভিন্ন দেবদেবীর মূর্তি এবং স্তম্প পাওয়ার খবর আমরা পাচ্ছি।
আমরা ইতিহাস থেকে জানতে পারি একটা সময় মধ্যপ্রাচ্যে হিন্দু সভ্যতার বহু নিদর্শন ছিল। কিন্তু সেই সমস্ত নিদর্শনগুলো আরব বিশ্বে ইসলাম আসার পরে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছিল। যে সামান্য কিছু নিদর্শন বর্তমানে আছে সেটাও ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে। আমরা দেখেছি ইরাক যুদ্ধে আইএসআই কিভাবে ইরাকের প্রত্নতাত্ত্বিক সম্পদ গুলো ধ্বংস করে দিয়েছে।
- এত কাছে ভগবান, তবু কেন অধরা – সনাতন সদানন্দ দাশ।
- ভারত-মার্কিন প্রতিরক্ষা চুক্তি: দুই দেশের মধ্যে নতুন চুক্তি চীন কেন ভয় পাচ্ছে?
- এদের পাল্লায় পড়েই ভক্তের ভগবান ভণ্ডের ভগবান হয়েছে। পায়ের নখ থেকে মাথার চুল পর্যন্ত ভক্তির সাইনবোর্ড।
- পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের আবারো হিন্দু মন্দির ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।-সোজাসাপ্টা
- তিব্বতে ৭০ বছরের চীনা দখল: কিভাবে তিব্বতের স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়েছিল চিনের হাতে।
- গণধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত রাহুল গান্ধী, শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে চাইছেন – কৃত্তিবাস ওঝা
- পরিত্যক্ত দোকান ঘরে কিভাবে তৈরী হলাে নিউইয়র্কে প্রথম ইস্কনের “রাধা কৃষ্ণ মন্দির”?-সোজাসাপ্টা
- ইন্দোনেশিয়ায় প্রথম হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় ‘সুগ্রীব’ চালু হয়েছে।-সোজাসাপ্টা
- এক হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে অষ্টধাতুর ২১৬ ফুট উঁচু রামানুজাচার্যের মন্দির ও মূর্তি নির্মিত হচ্ছে।
ঠিক তেমনি ভারতীয় হিন্দু সভ্যতার এবং হিন্দু ধর্মের প্রতীক হিসেবে একটি মন্দির এখনো আমরা দক্ষিণ ইরানে দেখতে পাই। বহু ইন্টারনেট ঘাটাঘাটির পরেও এই মন্দির সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তেমন পাওয়া যায়নি। সামান্য যে কয়েকটি তথ্য পেয়েছি সেটাই এখানে তুলে ধরার চেষ্টা করছি।
মন্দিরটির অনেক ছবি আপনি ইন্টারনেটে পেয়ে যাবেন, কিন্তু বিস্তারিত তেমন কিছুই পাবেন না। আজ আপনাদের সামনে সেই মন্দিরের চোখ ধাঁধানো কিছু ফুটেছে তুলে ধরলাম।
বুলেটিন নিউজ অনুসারে, এই হিন্দু মন্দিরটি ইরাকের অন্যতম ঐতিহাসিক হিন্দু মন্দির। মন্দিরটি অবস্থান দক্ষিন ইরানে হরমোজগান প্রদেশের বন্দর আব্বাসের কেন্দ্রস্থলে। এই মন্দিরটি ইমাম খোমেণী স্ট্রিটে বাজারের সামনে অবস্থিত বন্দর আব্বাসের একটি আকর্ষণীয় স্মৃতিস্তম্ভ।
এই মন্দিরটির তৈরি হয় 1310 হিজরিতে ইংরেজি 1892। উ: বন্দর আব্বাসের তত্কালীন শাসক মোহাম্মদ হাসান খান সাদ আল-মুলকের আমলে এটি ভারতীয় বণিকদের দ্বারা তৈরি হিন্দু মন্দির। যে ছিলো সম্পূর্ণ বণিদের উপহারে টাকা থেকে তৈরি।
এটির নকশা সম্পূর্ণরূপে ভারতীয় স্থাপত্য দ্বারা অনুপ্রাণিত এবং নগরীর অন্যান্য বিল্ডিং থেকে স্পষ্টতই আলাদা। এই মন্দিরটির বিল্ডিংটি একটি মধ্য চতুষ্কোণ কক্ষ যার উপর একটি গম্বুজ রয়েছে।
এই গম্বুজটির স্থাপত্য শৈলী এটি কেবল পারস্য উপসাগরীয় বিল্ডিং থেকে নয় বরং সমগ্র ইরান থেকে পৃথক করে। এই বিল্ডিংয়ের নকশাটি পুরোপুরি ভারতীয় স্থাপত্যের দ্বারা প্রভাবিত।
মন্দিরের ছবি থেকে দেখা যাচ্ছে মন্দিরটির অসাধারণ কারুকার্য খচিত একটি গম্বুজ বর্তমান। ধারণা করা হয় এই মন্দিরটা বর্তমান ইরান অবস্থিত একমাত্র হিন্দু মন্দির।
লেখাটি পড়ার পর অবশ্যই লাইক করতে ভূলবেন না।