পৃথিবীতে মৃতদেহের সৎকারের জন্য ধর্ম ও সংস্কৃতি অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন রিতি দেখা যায়। তবে মোটের উপরে বলতে গেলে মূলত বিশ্বজুড়ে মৃতদেহের অন্তোষ্টিক্রিয়া করার জন্য দুইটি নিয়ম প্রচলিত আছে। একটি মাটিতে পুঁতে ফেলা, অন্যটি আগুনে পুড়িয়ে ফেলা। তবে আমাদের এই উপমহাদেশে হিন্দু এবং বৌদ্ধ সম্প্রদায় প্রধানত মৃতদেহ সৎকার করে আগুনে পুড়িয়ে। কিন্তু বেশিরভাগ হিন্দু এবং বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষ জানেনা কেন তারা আগুনে মৃতদেহ সৎকার করে। প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী তারা এ কাজটি করে থাকে।
এক কথায় বলতে গেলে বলা যায় যে এই বিষয়ে ধারণা বা জানা না থাকার কারণে বেশিরভাগ মানুষ এর সঠিক উত্তর দিতে পারে না। তাই অনেক সময় এই উত্তরটি যখন অন্য কেউ করে তখন অনেকে বিব্রত হন। তবে আমি আজকে আপনাদেরকে এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিব যা এর আগে কখনো আপনি শোনেন নি। প্রথমে আমি আপনাদেরকে একটা বিষয় পরিষ্কার করে দিয়ে যে শুধু হিন্দু বা বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নয়। এমনকি খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের থেকেও এখন দাহও করা হয়। আপনি আরো জানলে অবাক হবেন যে বিশ্বজুড়ে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ মৃতদেহ আগুনে পুড়িয়ে থাকে।
- বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ মৃতদেহ সৎকার দাহর মাধ্যমে সম্পন্ন করছে, নতুন রিপোর্ট দেখুন।
- “হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়” প্রতিষ্ঠিত হলো, ইন্দোনেশিয়ায় সরকারী ভাবে।
- বিগ ব্রেকিং নিউজ-করোনার জিনোম সিকোয়েন্স আবিষ্কার করে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিল বাবা মেয়ে জুটি।
- ভিডিও সহ-সামনে এলো, স্বামিবাগ ইসকন মন্দিরের করোনায় আক্রান্ত সকল সাধুদের সুস্থ হবার রহস্য।
- দুর্লভ ভিডিও সামনে এলো,মাইনাস ৪৫ ডিগ্রি তাপমাত্রায় খালি গায়ে ধ্যানে মগ্ন সাধু!
কি বিশ্বাস হচ্ছে না তো? আসছি সে জায়গায়। পৃথিবীর মেধা জাতিদের মধ্যে যদি একটা সমীক্ষা করা হয় তাহলে প্রথমে যে জাতির নাম আসবে সেটা হলো জাপানী জাতি। হ্যাঁ, এই জাপানি জাতির 99% মানুষকে দাহ করা হয় মৃত্যুর পর। শুধু জাপান নয়, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, চীন, কোরিয়া, ভারতসহ বিশ্বের বহু দেশেই মৃতদেহ সৎকার করা হয় আগুনে। কি এটাও বিশ্বাস হচ্ছে না? এ প্রশ্নের উত্তর আমি দেব নিচ্ছি থাকুন।
আসলে মৃতদেহ আগুনে দাহ করা এটা খুব প্রাচীন একটা পদ্ধতি এই পদ্ধতিটা আসার পিছনে কতগুলো বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের সামনে এসেছে। কিছু মানুষ এই বিষয়গুলো না জেনেই এই বিষয়টাকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে উপস্থাপনা করে একটা বিব্রতকর পরিস্থিতির তৈরি করার চেষ্টা করে। বর্তমান সময়ে করোনা ভাইরাসের উপক্রম আমরা দেখছি, এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে বিজ্ঞান কিন্তু সেই প্রাচীন প্রথাতে ফিরে যাওয়ার কথাই বলছে।
- ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মোহন বাঁশির সুর আজও শোনা যায় বৃন্দাবনের এই মন্দিরে।
- খ্রিস্টান ধর্ম ত্যাগ করে হিন্দু ধর্মে ফিরে এলো গুজরাটে ১৪৪টি খ্রিস্টান পরিবার।
- আমেরিকায় প্রার্থনা দিবসে বিশ্ব শান্তির জন্য হোয়াইট হাউসে বৈদিক মন্ত্র পাঠ।
- কবিগুরুর জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে বিশেষ সম্মানার্থে ইজরায়েলে কবির নামে রাস্তা।
- বিজ্ঞানের আলোকে প্রথা,ধর্মীয় রীতি কুসংস্কার না বিজ্ঞান?
মৃতদেহ দাহ করার পিছনে ধর্মীয় বা শাস্ত্রীয় ব্যাখ্যা আছে। আমি আজ এই আলোচনায় ধর্মীয় ব্যাখ্যা দিকে যাব না । এমনকি বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাতে আমি এই আলোচনায় করতে চাইছি না। আজকে আমি আসলে একটু ভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চাই। শুধু ছোট্ট করে এখানে বলে রাখি, মৃতদেহ আগুনে সৎকার এর পিছনে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা হল। আগুনে সৎকার করলে মৃতদেহের যদি কোন ধরনের ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া থাকলে সেটা আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস হয়ে যায়।
যার ফলে নতুন করে মৃতদের থেকে ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া পরিবেশের ক্ষতি করে না। আগুনের আরেকটা বড় সুবিধা জমির স্বল্পতার কারণে যে সমস্যাগুলো হয় তা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আমি উপরে আলোচনা করেছি যে বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ মানুষকে মৃত্যুর পর সৎকারের জন্য আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয়। এর উত্তরটা আমি এখন ধারাবাহিকভাবে দিচ্ছি শুধু একটু মিলিয়ে নেবেন।
- একজন কিশোর কুমার দাস বনাম রাইসু গংদের সাম্প্রদায়িক ইতরামী।
- অমর বীর কাহিনী-মধুসূদন মজুমদার।
- প্রথম হিন্দু পাইলট হিসেবে পাকিস্তানের বিমান বাহিনীতে যোগ দিয়ে ইতিহাস তৈরি করলেন রাহুল দেব।
- বাংলা মহাভারত সম্পূর্ণ পর্ব ফ্রি ডাউনলোড। Bangla Mahabharat Full Episode Free Download.
- বিজ্ঞানে বাঙালি নতুন সাফল্যর জ্যোতির্ময় দুই পালক!
হ্যাঁ, এখানে একটু পরিষ্কার করে দিই এই রিপোর্টটা আমি ব্যক্তিগত ভাবে তৈরি করিনি এমনকি কারো কাছ থেকে শুনে আমি এখানে বলছি না। সম্পূর্ণ উইকিপিডিয়া থেকে আমি রিপোর্টটা তুলে ধরলাম। এখানে আমি উইকিপিডিয়ার লিঙ্ক দিয়ে দিলাম আপনাদের যদি এই বিষয়ে কোনো কৌতুহল থাকে তাহলে অবশ্যই দেখে নেবেন। শুধু ভারত বর্ষ নয় পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশেও মৃতদেহ সৎকার আগুনে করা হয়। নিচেই উইকিপিডিয়া থেকে সেই তালিকা দেয়া হলো দেশ এবং শতকরা হার।
দেশ শতকরা হার
জাপান ৯৯.৯৭%
নেপাল ৯৫%
তাইওয়ান ৯২.৪৭%
হাঙ্গেরী ৯০%
কোরিয়া ৮১.৬%
ভারত ৮৫%
বৃটিশ কলোম্বিয়া ৭৭%
ডেনমার্ক ৭৬%
ব্রিটেন ৭৫.৪৪%
নিউজিল্যান্ড ৭০%
সুইডেন ৭০%
কানাডা ৬৫%+
অস্ট্রেলিয়া ৬৫%
নেদারল্যান্ড ৬৩%
যুক্তরাষ্ট্র ৪৭%
চীন ৪৫.৬%
ফ্রান্স ৪৫%
উইকি অনুসারে পূনাঙ্গ লিস্ট দেখতে ক্লিক করুন। উইকিপিডিয়ার এই তালিকা থেকে আমাদের কাছে একটা বিষয় পরিষ্কার হয়ে গেছে। যে শুধু ভারত এবং নেপাল নয়, মুসলিম দেশগুলি ছাড়া বিশ্বের বহু দেশেই মৃতদেহ সৎকার কাজ করা হয়ে থাকে আগুনে। তবে আমরা যদি উপরের তালিকাটা লক্ষ্য করি একটা বিষয় অবশ্যই আপনাকে অবাক করবে, উপরের তালিকায় পাঁচ নম্বরের মধ্যেও ভারতের স্থান নাই,হিন্দু প্রধান দেশ হওয়া সত্ত্বেও। আশা করি আপনারা বিষয়টা এবার অন্তত পরিস্কার হয়েছেন যে উপমহাদেশের বাইরে ও বহুসংখ্যক দেশে মৃতদেহ সৎকার অগ্নি দ্বারা হয়ে থাকে।মৃতদেহ সৎকার আগুনের মাধ্যমে করা আসলে এটা অনেকে অনেক সময় ভুল ব্যাখ্যা করে থাকে। কিন্তু বর্তমান বিজ্ঞান এটা কে অন্যান্য মাধ্যম থেকে অতি উত্তম বলে বর্ণনা করেছে। বিশেষ করে পৃথিবীতে যখন মহামারী দেখা দেয়। তখন অবশ্যই এই পন্থাটা সকলের মেনে চলা উচিত সকল কিছুর উর্ধে উঠে। আমি এই লেখাটিতে উপযুক্ত উৎস দিয়ে লেখার চেষ্টা করেছি। যদি এরপরেও কারো কোন প্রশ্ন থাকে আমাদের ফেসবুক কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন উত্তর দেয়ার চেষ্টা করব। ধন্যবাদ, সকলকে কষ্ট করে লেখাটি পড়ার জন্য।
উৎস:- ইউনাইটেড হিন্দু কনসার্ন এবং উইকিপিডিয়া।
ভালো লাগলে লাইক দিতে ভুলবেন না যেন ।