বিগ ব্রেকিং নিউজ-করোনার জিনোম সিকোয়েন্স আবিষ্কার করে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিল বাবা মেয়ে জুটি।

সিকোয়েন্স আবিষ্কার

বাংলাদেশে করোনার জিনোম সিকোয়েন্স প্রথম আবিষ্কারক দুই অনুজীব বিজ্ঞানী বাবা-মেয়ে জুটি ড. সমীর কুমার সাহা ও ড. সেজুঁতি সাহা। বাবা  ডাঃ  সমির  সাহা  এবং  কন্যা  ডাঃ  সেজুঁতি  সাহা  ওনারা  বাংলাদেশের চাঁদপুর জেলার কৃতি  সন্তান। সংবাদটি প্রকাশ হওয়ার সাথে সাথে সোশ্যাল মিডিয়া তাদের প্রতি হাজার হাজার মানুষকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ।

 

জিনোম সিকোয়েন্স কি?

জিনোম সিকোয়েন্স হলো কোন জীব বা অনুজীব এর সম্পূর্ণ কোষের ডিএনএ বা আরএনএ এর বিন্যাস। এই বিন্যাসের মাধ্যমে এটা কত বার পরিবর্তন হয়েছে বা এটা গতিপ্রকৃতি বা সৃষ্টি সম্পর্কে বিস্তারিত ধারনা পাওয়া যায়। অন্যভাবে বলা যায়,গবেষনাগারে একটি নির্দিষ্ট সময়ে কোন একটি জীবের জিনোমে বিদ্যমান ডি,এন,এ (অথবা কিছু ভাইরাসের ক্ষেত্রে আর,এন,এ)-র সম্পূর্ণ ক্রম নির্ধারণ করাকে বোঝায়। 

 

 

 

অর্থাৎ, ডি,এন,এ (অথবা আর,এন,এ)-তে বিদ্যমান চার ধরণের বেইস যথাক্রমে, এ্যা ডেনিন (A), থাইমিন (T), গুয়ানিন (G) এবং সাইটোসিন (C) (অথবা আর,এন,এ-এর ক্ষেত্রে ইউরাসিল (U)-এর ক্রম নির্ধারণ করাকেই বোঝায়। আর ‘জিনোম’ হলো একটি জীবে বিদ্যমান সকল জিনসহ ডি,এন,এ (অথবা কিছু ভাইরাসের ক্ষেত্রে আর,এন,এ)-র সম্পূর্ণ সেট, যা ঐ জীবের উৎপত্তি, বেঁচে থাকা এবং বংশগতি রক্ষার জন্য অপরিহার্য। যদি এক কথাই বলি তাহলে, জিনোম সিকুয়েন্স হলো ভাইরাসটির জিন বা গঠন গত বৈশিষ্ট্

 

একজন বাঙালি হিসেবে বাবা-মেয়েকে অনেক অনেক অভিনন্দন ও অনাগত আগামীর জন্য নিরন্তর শুভ কামনা ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে। চিকিৎসা বিজ্ঞানে গবেষণার জন্য এর আগেও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এই দুই বিজ্ঞানীর বেশ সুখ্যাতি রয়েছে, অর্জনের খাতায় আছে আন্তর্জাতিক অনেক পুরষ্কার।

 

 

এত বাধা,এত প্রতিকূলতা। তারমধ্যে এই দুই বাবা ও কন্যার  এই যুগান্তকারী সফলতায় অনির্বচনীয় আনন্দ‌ এনে দিলেও পৃথিবীর জন্য। অভিনন্দন অপার অশেষ।। এর আগে করোনা পরিক্ষা এর কিট আবিষ্কার এ প্রতিকৃত ছিলেন অন্য একজন বাঙালি বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার।। এভাবেই বাঙালি এগিয়ে যাক আগামীর দিকে। হারিয়ে যাও বাঙালির গৌরব ফিরিয়ে অনেক বাঙালির ঘরে।

 

লাইক দিতে ভূলবেন না যেন।