মনের নিয়ন্ত্রণের যন্ত্র যখন- এক তরুণ ভারতীয় উদ্ভাবিত প্রযুক্তির “অল্টার ইগো”

বর্তমান আধুনিক যুগে মানুষ বিজ্ঞানের অনেক সুফল ব্যবহার করছে। এর মধ্যে কম্পিউটার, মোবাইলের কথা সর্বাধিক বেশি চোখের সামনে চলে আসে। এই সকল ডিভাইস ব্যবহারে কারণে মানুষের মধ্যে নতুন নতুন চিন্তা চলে আসছে। আপনিও হয়তো অনেক কিছু চিন্তা করছেন। কম্পিউটার বা মোবাইল অথবা অন্য কোনো বৈদ্যুতিন যন্ত্র মানুষের মনের কথা বুঝতে পারবে বা মানুষ তার মনের ভাব দ্বারায় এই সকল ডিভাইস নিয়ন্ত্রন করবে এটি আমরা আগে ভাবতে না পারলেও বর্তমাসন ভাবার সময় এসেছে, হ্যাঁ ঠিকই শুনছেন। এই বিষয়টি একটি সময় হয় তো মানুষের কাছে কোন কল্পবিজ্ঞানের গল্প মনে হলেও, বর্তমানে তা সত্য হতে চলেছে। মানুষের এই স্বপ্ন পূরণের জন্য এম.আই.টি মানে ম্যাসাচুয়েট ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি একটি অসাধারন ডিভাইস আনতে চলেছে প্রযুক্তির মাধ্যমে। এই ডিভাইসটি আপনি চশমার মতো চোখে ব্যবহার করে এবং কানে লাগিয়ে সরাসরি মনে ভাব কম্পিউটারের সাথে আদান প্রদান করতে পারবেন। মজার বিষয় হলো আপনি মুখে কোন ধরনের শব্দ না ব্যবহার করে এই কাজটি করতে পারবেন খুব সহজেই। উহু চমৎকার না?

আমি প্রতিনিয়ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লেখালেখি করে থাকি প্রযুক্তি আমার খুব ভালো লাগে তবে লেখা হয় কম। আমার পূর্বে একটি লেখায় বলেছিলাম আগামীতে এমন সময় আছে যে কম্পিউটার এবং স্মার্টফোন তাদের গৌরবের স্থান হারাবে। এমন কি অবলুপ্তি হতে পারে। কিছুদিন আগে এই অসাধারণ আবিষ্কার নিউজটি পেয়েছিলাম এবং খুব আনন্দিত হয়েছিলাম্। আর তার থেকেই এই  আজ লেখা। যখন আমরা কোন বিষয় পড়ি বা অধ্যয়ন করি তখন আমরা শব্দ গুলো মনে মনে উচ্চারণ করতে থাকি। যার ফলে কি হয়, আমাদের শরীরের স্বরযন্ত্র আর ল্যারিংস মধ্যে একটি সূক্ষ্ম নড়াচড়া বা কম্পন হতে থাকে। যেটি আমরা সাধারনত বুঝতে পারি না। ঠিক সেই কম্পন স্থান বা নড়াচড়া স্থানই হলো যন্ত্রের আর বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগের খেলা। এই কাজটি করবে যে যন্ত্রটি তার নাম হলো “অল্টার ইগো”। যন্ত্রটি কি ভাবে কাজ করবে তা উপরে ছোট পরিসরে বলেছি। এখন আর একটু পরিষ্কার করছি। কোন ব্যক্তি যখন এই যন্ত্র বা ডিভাইসটি নিজের সাথে সংযোগ করে কোন শব্দ বা বাক্য মনে মনে চিন্তা করবে, তা মুহূর্তের মধ্যে নির্দিষ্ট কম্পিউটারের নির্দেশ হিসেবে চলে যাবে। মজার বিষয় হলো এই নির্দিষ্ট নির্দেশ পাঠানোর জন্য ঐ ব্যক্তিকে কোন ধরনের আওয়াজ বা মুখের শব্দে ব্যবহার করতে হবে না।

কি ভাবে কাজ করে যন্ত্রটি?

নিচই আপনার মনে এবার ঘুরপাক খাচ্ছে কি ভাবে কাজ করে এই ডিভাইসটি? যখন কোন ব্যক্তি মনে মনে কোন বিষয় ভাববে বা চিন্তা তা মুখ আর চোয়ালের স্নায়ু-পেশির সংকেতে কম্পিউটারের বোধগম্য রুপ দিয়ে কম্পিউটারের বা মোবাইলের বার্তার আকারে পাঠাবে। এই প্রক্রিয়া আসলে বাংলায় বুঝনো কঠিন যেটিকে ইংরেজিতে নিউরোমাসকিউলার প্রক্রিয়া বলে। কম্পিউটার এই নির্দেশে বা শব্দ ধীরে ধীরে গ্রহণ করে তা একটি প্রোগ্রাম মাধ্যমে পরিবর্তন করে আলাদা কম্পিউটারের বার্তাই রুপ দিয়ে থাকে। এই যন্ত্রটি কে প্রযুক্তি বিদরা বর্ননা করেছেন “বুদ্ধিমত্তার সূচনা ” ডিভাইস বা যন্ত্র হিসাবে। অল্টার ইগো গবেষকদের ভাষায় একটি আলাদা “বুদ্ধিমত্তার সূচনা ” সত্তা। IA সংক্ষিপ্ত নাম, যার পুরো নাম হল “intelligence-augmentation”। ডিভাইসটি দেখেতে অনেকটা ইয়ার ফোন মতো যাহা আমাদের কানের পাশ দিয়ে চোয়াল পর্যন্ত বিস্তৃত। অনেক সময় আমরা স্টেজে শো তে উপস্থাপকদের এক ধরনে তার হীন বা মুখের সাথে লাগানো যন্ত্রে ব্যবহার দেখে থাকি। এই অল্টার ইগো ডিভাইসটিও অনেকটা তেমন। আপনার অনুচ্চারিত বাক্য বা শব্দ যন্ত্রের  ভিতরে থাকা সেন্সর কম্পিউটারের ভাষায় অনুবাদ করে কম্পিউটারের কাছে পৌছিয়ে দেবে। ঠিক একই প্রক্রিয়ায় আবার কম্পিউটারের ভাষা অনুবাদ করে আপনার কাছে আপনার উপযোগি ভাষায় আপনার কাছে উপস্থাপন করবে।


সাড়া ফেলাই ডিভাইসটি কে “বুদ্ধিমত্তার -উত্তরণ ” হিসাবে মনে করা হচ্ছে। চোয়ালের হাড় এবং কানের ভিতরের ধারক অংশের সাথে সংযোগ স্থাপনে মাধ্যমে যন্ত্রটি কাজ। মনে করুন আপনি বাড়ি বারে কোথায় যাচ্ছেন বা কোথায় বসে আছেন। এমন সময় আপনি কোন বিষয় মনে মনে ভাবছেন সেটাই আপনি উচ্চারন না করে আশাস পাশের শব্দ ছাড়ায় ডিভাইসে দ্বারা কম্পিউটারে পাঠাতে পারবেন। এখানে একটি গুরুত্বপূণ বিষয় হল ডিভাইসটি আউটগোয়িং এবং ইনকামিং উভায় মাধ্যমে কাজ করে থাকে, হেডফোন এর মতো একমুখী নয়। আপনানি যেহেতু কম্পিউটার থেকে আশা শব্দ গুলো কানে ভিতর শুনবেন সেহেতু পারিপার্শিক শব্দ আপনার কানে পৌছবে না, ঠিক হেডফোনের মতো। যার ফরে চার পাশের লোকের সাথে আপনি অদৃশ্য যোগসূত্র রেখেই কাজ করতে পারবেন। ঠিক দৈব বা ভুতুড়ে বানি শুনার মতো। মজার বিষয় হল আপনি আপনার চারপাশের মানুষ গুলো কিছুই বুঝতে পারবে না।

কাজটি যতটা না আনন্দের তার থেকে ভারতীয়দের জন্য সম্মানের কারণ ডিভাইসটি আবিষ্কার করেছে এক জন ভারতীয় তরুণ প্রবাসী গবেষক। অর্ণব কাপুর নামে এক জন ভারতীয় তরুণ গবেষক ডিভাইসটি আবিষ্কারক। সে মূলত এএমআইটির একজন স্নাতক স্তরের পড়ুয়া। এ.এম.আইটি ইত মোধ্য তার এই কাজের স্বীকৃতি দিয়েছে। যারা এতো দিন বলছিল কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার আর মানবিক চিন্তার কখনোই একই বৃত্তে আনা সম্ভব নয়। সেই সমালোচনা কারীদের জন্য বিষয়টি দু:খেরী। কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার আর মানবিক সাথে এখন পযন্ত ৯২% মিলে গেছে। কি এখন মনে হচ্ছে না, মানে অনুচ্চারিত কথা বৈদ্যুতিন যন্ত্রের অনুবাদ বা কাজের রূপান্তরের এটি বিস্ময়কর!

এবার দেখা যাক এই ডিভাইস আবিষ্কারের ফলে কি কি হতে পারে। “অল্টার ইগো” ডিভাইয়টি কম্পিউটার এবং মানুষের মাঝে যোগাযোগের ধারাটি পুরোপুরি পাল্টে যাবে। এখন গুগলে দ্বারা মানুষ কথা বলে তা স্ক্রিনে লিখতে পারে কিন্তু এখন আর বলতে হবে না শুধু মনে করলে স্ক্রিনে  লিখা হয়ে যাবে। সেদিন আর বেশি দূরে নয় যে দিন আপনাদের জন্য আমাকে কষ্ট করে লিখতে হবে না। শুধু চিন্তা করে মনে মনে আর তার স্ক্রিনে লেখা হয়ে যাবে। ডিভাইসটি একটি নিজস্ব আছে. আর তা হলো অন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগে মানুষের বদলে যন্ত্রের নির্ভরশীলতা যেখানে মূল লক্ষ্য সেখানে এই প্রয়োগ মানুষের ক্ষমতা বাড়িয়ে যন্ত্র আর মানুষের এক অসাধারন সহাবস্থানের পথ দেখাবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল এই ডিভাইসটি মোবাইল বা অন্য কোন বৈদ্যুতিক ডিভাইসের মতো মানুষের মস্তিষ্কের বা শরীরের উপর কোন প্রভাব ফেলবে না। ডিজিটাল জগতের সকল ধরনে কাজ আপনি মুখে না বলে মন দ্বারা নির্দেশ দিয়ে করিয়ে নিতে পারবেন। কি ভাবছেন?  সাধের স্মার্টনেস ফোনটি কি হবে? না এখনি চিন্তা করার মতো কিছু হয় নি। ধারণা করা হচ্ছে স্মার্টনেস ফোনের মাধ্যমে এটি ব্যবহার করার উপযোগিতা তৈরি হবে। শুধু শরীরে বা হাতের ব্যবহার থাকবে না।

দরুন আপনি কোন ভিড়ের মধ্যে আছেন কিন্তু আপনাকে অন্য সাথে যোগাযোগ করতে হবে সেখানে চেঁচাতে হবে না। শুধু মনে চিন্তা করলেই আপনার ভাবনা আপনার বন্ধুর ডিভাইসে চলে যাবে। এর অসামান্য ব্যবহার হতে পারে কোনো বিমানের ককপিটের পাইলটের কাছে এবং গ্রাউন্ড ম্যান বা ধরুন ফ্যাক্টরি ইত্যাদিতে। কোন উচ্চ শব্দের জন্য ভুল শোনা বা সঠিক ভাবে কোন নির্দেশ না পাঠানোর কোন সমস্যা থাকবে না। ডিভাইসটি মানুষকে কম্পিউটারে সাথে সহজে সংযোগ করে আর অনেক বেশি শক্তিশালী এবং নিখুঁত কাজ করতে সহতা করবে। যদি এক বাক্য বলতে হয়, তবে বলতে হবে ডিভাইস টি আপনাকে দিবে একটি নতুন সত্তা।

কি ভাবে কাজ করে এই যন্ত্র ?

এই ডিভাইসটি তৈরিতে মূল সমস্যা বা চ্যালেঞ্জ যেটি ছিল তা হল গলার স্নায়ু-পেশী গুলোর সাথে মানুষের মুখের সমন্বয় স্থাপন করা। মানুষের মুখের উচ্চারিত শব্দ ধরে সেই শব্দ চার রকম উচ্চারণ রুপ দিয়া সেই সাথে পেশী নাডাচড়া কে নথিভুক্ত করা ছিল কর্মকাণ্ডের প্রথম ধাপ। এই যন্ত্রটিতে শব্দ ধারণ করার জন্য ১৬টি ইলেকট্রোড মানের বৈদ্যুতিক ধারক মুখের থেকে গলা পর্যন্ত ব্যবহার করা হয়েছে। এর ফলে কম্পিউটার কোড যা এই নির্দিষ্ট শব্দ বা বাক্য কে আলাদা করতে পারবে গবেষণায় সেই কথা বলা হয়েছে। মানুষের মুখ, গলা এবং চোয়াল ও ঘাড় পর্যন্ত মোট সাতটি অংশে যন্ত্রের ইলেক্ট্রোড গুলো ছুঁয়ে নির্ণয় করবে আপনার না বলা কথা বা অনুচ্চারিত মনে কথা। এই প্রক্রিয়া তৈরি হবে উপরের আলোচ্য যন্ত্রটি। অপর আর একটি হেডফোন থাকবে এর সাথে যার কাজ হবে বৈদ্যুতিন বার্তা মাধ্যমে আপনার কানের ভিতরের অংশে শব্দ পৌঁছে দেবে। এই কাজ হচ্ছে শ্রবণ যন্ত্রের পারিপার্শিক হাড় এর মধ্যে দিকে শব্দ কম্পন পৌঁছে দিয়ে ফলে আপনার কানের বাইরের অংশ থাকছে খোলা।

যার ফলে কি হবে আপনার বাইরের বা আশপাশের শব্দ শোনাতে আপনার কোন ধরনের সমস্যা হবে না। যন্ত্রটি অনেক জটিল কাজ কেউ সহজে করতে সহযোগিতা করবে। ধরুন আপনি আপনার বন্ধু সাথে তাস বা দাবা খেলছেন ডিভাইসটি আপনাকে পরবর্তী কি খেলবেন তার জানিয়ে দেবে। আবার যে চালটি আপনি দিতে চাইছেন সেটা দিলে কি হবে সেটিও বলে দিবে। অথাৎ আপনার সঠিক চাল বা খেলা কি হবে তা আগ থেকে কম্পিউটার আপনাকে জানিয়ে দিবে। সবচেয়ে বেশি উপকার হবে সেই সব ব্যক্তিদের যারা ইতো মধ্যে বাকশক্তি হারিয়েছে তাদের মতামত প্রকাশ করতে। তাই এ কথা এখন খুব জর দিয়েই বলা যাচ্ছে স্বরযন্ত্র বিকল ব্যক্তিদের কথা বলার জন্য এই ডিভাইসটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। গবেষকরা ধারণা করছে এই যন্ত্রটি আগামীতে পশুদের ভাষা বুঝতে সাহায্য করবে।


ধর্মের ষাঁড় এর আজে বাজে কাজ জন্য আজ আমাদের এই ভাষ যোগ্য ভূমি দিন দিন কালিমা লিপ্ত হচ্ছে। তারা শুধু ঘৃনা ছড়াণ ছাড়া আর কিছু জানে না। তাদের কে কখনেই দেখি না বিজ্ঞান বা প্রযুক্তি দ্বারা বন্ধ জানালা গুলো সর্বজনীন খুলে নতুন প্রজন্মের জন্য কিছু করতে। আজ আমরা উচ্চ শরে চিৎকার দিয়ে বলতে পারি, ইন্টারনেটর সহযোগিতাই ইউটিউকে কাজে লাগিয়ে সর্বসাধারণের জন্য বা নতুন প্রজন্মের জন্য বিজ্ঞান কে আর সহজ এবং আকর্ষণীয় করে তুলতে পারি। হ্যা বন্ধু বিজ্ঞানকে আকর্ষণীয় করে সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার দিন আজ আমাদের সানিদ্ধে এসেছে। আমি আজ সেই দিনটার স্বপ্ন দেখি ভীষণ রকম! যে দিন হয় তো আর বেশি দূরে নয়, প্রত্যন্ত গ্রামের কোন নতুন প্রজন্ম ইন্টারনেটকে কাজে লাগিয়ে বিজ্ঞানমুখী শিক্ষায় জাগ্রত হচ্ছে। এই জাগ্রত যাত্রার হাত ধরেই হয় তো শেষ হবে, সাধারণকে ভুল বুঝিয়ে বোকা বানানো সেই পাপিদের ক্ষমতার দিন। শুধু স্বপ্নই দেখি না, মনে প্রাণে এক মন্ত্রে বিশ্বাসী-মাভৈ রাত যত গভীর প্রত্যুষ ততই সন্নিকটে! আমি আশাবাদী আপনিও হয়তো সেই যাত্রায় যাত্রী হবার জন্য আশাবাদী। কি থাকবেন তো সেই যাত্রায়?

এ ধরনের নতুন নতুন বিজ্ঞান ভিত্তিক পোস্ট পেতে ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে রাখুন। যাতে আমরা নতুন পোষ্ট করা মাত্রই আপনি পড়তে পারেন। যদি ভালো লাগে তবে অবশ্যই শেয়ার করতে ভূলবে না। সবাইকে আবারো অনেক অনেক ধন্যবাদ জানিয়ে আজ শেষ করছি। ভালো থাকুন সবাই।

লেখক- সুমন মুখার্জি

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা ।

তথ্যসূত্র:–
১. এমআইটির নিজস্ব ধারণকৃত হাতে কলমে করে দেখানো ভিডিও এখানে

২. গুরু প্যাটি মেসির উপরের অর্ণবের দেওয়া অসাধারন একটি উপস্থাপনা এখানে

৩. গার্ডিয়ান কাগজের খবরের লিংক

৫.অন্য আর একটি নিউজ সাইটে এই সম্পর্কিত আর খবর এখনে

৬.  এই গবেষনাপত্রের উপর আর জানার ইচ্ছা থাকলে খোচা দিন এইখানে

৭. অর্ণবের এই বিষয়ের উপর একটি অসাধারন স্বাক্ষাতকার খোচা দিন

আপনিও আপনার লেখা পাঠাতে পারেন আমাদের E-mail ঠিকানায়।

আমাদের E-mail ঠিকানা- [email protected]