এই ঘটনার বাদী হয়ে এফআইআর-এ করেছেন অশোক কুমার, তিনি বর্তমনে  এই মন্দিরের রক্ষক। তাদের মতে, শনিবার তারা সকলেই মন্দিরের উঠানে বসে ছিলেন, তখন সকাল দশটায় ইসমাইল শাইদী নামে এক ব্যক্তি আসেন। হঠাৎ লোকটি মন্দিরের ভিতর ঢকে প্রতিমা ভাঙ্গচুর করেতে শুরু করে।

তারা  চিৎকার করলে সে দৌড় দিয়ে পালিয়ে যায়। অশোক কুমার এই মত পোষণ করেছেন যে ইসমাইল শাইদী তার ধর্মীয় প্রতিমাটিকে ক্ষতিগ্রস্থ করে অপমান করেছেন। তার বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত।

কাদিও ঘানওয়ার পুলিশ পাকিস্তান দণ্ডবিধির ২৯৫ এ ধারায় মামলা দায়ের করেছে এবং অভিযুক্ত ইসমাইল শাইদীকে গ্রেপ্তার করেছে।

এসএইচও আসগর স্টিভ জানিয়েছেন, অভিযুক্ত তার বক্তব্যে শিকার করে নিয়েছে সে ভাঙ্গচুর করেছে। তবে তিনি কোনও চরমপন্থী দল বা সংগঠনের অন্তর্গত ছিলেন না। তাকে আদালতে হাজির করা হবে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে পাঠানো হবে।

কীভাবে মন্দিরটির নামকরণ করা হয়েছিল রাম পীরের নামানুসারে?

রাম পীর পাঁচশ বছর আগে যোধপুর থেকে দেড়শ কিলোমিটার দূরের রানো জে শহরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং তাঁর সমাধি সেখানে রয়েছে। তাঁর অনুসারীদের মধ্যে সনাতন ধর্ম, মেংওয়ার, কোলহি, ভীল সন্যাসী, জোগি, বাগরী, খত্রি এবং লোহার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যারা পাকিস্তানের পাশাপাশি ভারতের বিপুল সংখ্যক বাস করে।

সিন্ধুর হায়দরাবাদ থেকে 30 কিলোমিটার দূরে তন্দওয়ালা ইয়ারে রামা পীরের একটি বিশাল মন্দির রয়েছে। মন্দির সম্পর্কে সেখানকার একজন ধর্মীয় নেতা ঈশ্বর দাস বলেছেন যে একশো বছর আগে খাত্রি জাতির এক ব্যক্তি সন্তান ধারণের ইচ্ছায় রাম পীরের সমাধিতে গিয়েছিলেন।

সেখানে তিনি একটি অদৃশ্য কন্ঠস্বর শুনতে পেলেন যা তাকে তার শহর একটি মন্দির তৈরি করতে বলছে কারণ এখানে তীর্থযাত্রীদের পক্ষে আসা কঠিন। এমনকি সেখানেও মানুষের ইচ্ছা পূরণ হয়। খত্রি এখানে একজোড়া জুতা নিয়ে এসেছিলেন এবং এখানে একটি মন্দির তৈরি করেছিলেন। সেই পাট, যাকে বলা হয় আখন্দ পাট, আজও উজ্জ্বল।

প্রতি বছর বৈশাখ মাসের নবম ও একাদশকে এখানে একটি উত্সব অনুষ্ঠিত হয়। তান্ডো আল্লাহিয়রের বাইরে দলে দলে তীর্থযাত্রীরা সেখানে জড়ো হন। অনুসরণকারীদের হাতে গোলাপী পতাকা থাকে, এই পতাকাটিকে ধজা বলা হয় যা তার অনুসারীদের জন্য রাম সাধকের চব্বিশটি নির্দেশাবলীর মধ্যে একটি।