হিন্দু ধর্ম গ্রহন

হিন্দু ধর্ম গ্রহন-2: নূর হয়ে গেল নিশা, খ্রিস্টান সুমিতও ঘরে ফিরেছে, বিয়ে করেছে হিন্দু রীতি মেনে।

হিন্দু ধর্ম গ্রহন: নূর হয়ে গেল নিশা, খ্রিস্টান সুমিতও ঘরে ফিরেছে, বিয়ে করেছে হিন্দু রীতি মেনে। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের বেরেলি জেলার, যেখানে এক খ্রিস্টান ছেলে এবং মুসলিম মেয়ে প্রেমের বিয়ে করেছে। 

হিন্দু রীতিতে মন্দিরে বিয়ে করেন দুজনেই। আমরা আপনাকে জানিয়ে রাখি যে এই বিবাহটি বেরেলির অগস্ত্য মুনি আশ্রমে হয়েছিল।  এই বিবাহে কন্যদান করেন মন্দিরের মহন্ত। সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, গোটা বিষয়টি সম্পর্কে তথ্য দিয়েছেন মন্দিরের মহন্ত কে কে শঙ্খধর।

দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ার সময় থেকে তাদের এই ভালোবাসা শুরু

সংবাদ মাধ্যমের খবর  অনুযায়ী , বরের নাম সুমিত এবং সে খ্রিস্টান ধর্মের ছিল। একই সময়ে, কনের নাম নূর বেগম তিনি ছিল মুসলিম ধর্মাবলম্বী। বলা হয়েছিল যে সুমিত বেরেলির বাসিন্দা এবং নুর বেগম পিলিভীতের বাসিন্দা। দুজনেই দ্বাদশ শ্রেনীর পড়ার সময় থেকে একে অপরকে ভালো বাসত । পরে দুজনেই একে অপরকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়, তখন তাদের মধ্যে ধর্মের দেয়াল দাঁড়ায়। এর ভিত্তিতে উভয়ের  পরিবার থেকে বিরোধিতা শুরু হয়। অন্যদিকে, সুমিত সনাতন সংস্কার পছন্দ করতেন, তাই তিনি হিন্দু হয়ে নূরকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। নূরও তৎক্ষণাৎ এ প্রস্তাব গ্রহণ করে বিয়েতে রাজি হন।

 

 

নিশা নবরাত্রির উপোস রাখবে

এই বিয়েতে সুমিতের হিন্দু বন্ধুরা তা পাশে এগিয়ে আসে। এরপরই দু’জনকে নিয়ে বেরিলিতে অগস্ত্য মুনির আশ্রমে আসেন হিন্দু যুববাহিনীর কর্মীরা। পুরো বিষয়টি এখানকার মহন্ত পণ্ডিত কে কে শঙ্খধরকে বলা হয়েছিল পূর্বেই। বিযের সাথে সুমিত ও নূর তাদের সাবালক হওয়ার প্রমাণ পেশ করেন।

প্রথেমে দুজনেই সনাতন ধর্মে ফিরে আসেন, তারপর আশ্রমে বিয়ে করেন। বিয়ের পর এখন নতুন নাম পেয়েছেন নূর থেকে নিশা। একই সময়ে, বিয়ের পর সুমিত ও নিশা সনাতন ধর্মের আচার-অনুষ্ঠান মেনে চলার সংকল্প করেন। নিশা বলেন, “ আমি একজন প্রাপ্তবয়স্ক। যথাযথ যত্ন সহকারে সমস্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া নিয়েছি। আমি আমার স্বামীর সাথে দূরে অন্য কোন শহরে গিয়ে শান্তিতে বসবাস করতে চােই। আমি মা দুর্গার ভক্ত। আসন্ন নবরাত্রি থেকে তার উপবাসও রাখব।

মিয়া বি রাজি হলে কাজী কি করবেন?

এই মামলায় বিয়ে করা অগত্যা মুনি আশ্রমের মহন্ত কে কে শঙ্খধর সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “ নূরের বাবার নাম বাবু বক্স। বিয়ের পর মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা পিলিভীত জেলার জেহানাবাদ থানায় সুমিত ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে । 

মেয়েটিকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। এখন আদালত ও পুলিশের কাছে মেয়েটির বক্তব্যের ভিত্তিতে আকারে পাঠানো হয়েছে। মেয়েটি প্রাপ্তবয়স্ক এবং এমএ এর ছাত্রী । বিয়ের হলফনামা সে কথায় লিখেছেন তিনি। 

হুমকিও পেয়েছিলেন মহন্ত

মহন্ত বলেন, “ আমি কমলেশ তিওয়ারির সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। জইশ-ই-মহম্মদের নাম থেকে হুমকিও এসেছে। আগে আমার নিরাপত্তার জন্য ২ জন পুলিশ দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু আপাতত আমার নিরাপত্তায় কেউ নেই। যদিও পিলিভীতের জেহানাবাদ থানার এসএইচও অস্বীকার করেছেন যে মেয়েটির বাবার তরফে এই বিষয়ে কোনও মামলা দায়ের করা হয়েছে।