হিজাবের উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপাল ইন্দোনেশিয়া

হিজাবের উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপাল ইন্দোনেশিয়া, মেয়েদের আর হিজাব পরতে বাধ্য করা যাবে না।

হিজাবের উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপাল ইন্দোনেশিয়া, মেয়েদের আর হিজাব পরতে বাধ্য করা যাবে না। কেন সরকারের এমন সিদ্ধান্ত? বৃহত্তম মুসলিম জনসংখ্যার দেশ ইন্দোনেশিয়ায় মেয়েরা স্কুলে হিজাব না পরার স্বাধীনতা অর্জন করেছে।যেসব স্কুলগুলিতে মেয়েদের হিজাব পরা বাধ্যতামূলক ছিল সরকার সেই বাধ্যকতা পুরোপুরি তুলে দিয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

 

মানবাধিকার কর্মীরা ইন্দোনেশিয়ান সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা বলেছেন যে দেশের অনেক রক্ষণশীল অঞ্চলে অমুসলিম মেয়েরাও বছরের পর বছর ধরে স্কুলে হিজাব পরতে বাধ্য হয়েছে।

 

ইন্দোনেশিয়ার শিক্ষামন্ত্রী নাদিম মাকারিম বলেছেন যে ধর্মীয় পোশাক পরা উচিত বা না সেটা কোন ব্যক্তির পছন্দের উপর নির্ভর করে এবং স্কুলগুলি এটিকে বাধ্যতামূলক করতে পারে না। তাঁর মতে, যে কোন স্কুল মেয়েদের হিজাব পরতে বাধ্য করলে, সেই স্কুলটিকে নিষিদ্ধ করা হবে। এ জাতীয় বিদ্যালয়ে সরকারের কাছ থেকে প্রাপ্ত অনুদান বন্ধ করা হবে।

 

পশ্চিমা সুমাত্রার পদাং শহরে একজন খ্রিস্টান মেয়ের কারণে হিজাব পরার বিষয়টি সেখানে দীর্ঘদিন ধরেইে আলোচনা চলছিল। স্কুলে তাকে হিজাব পরতে বাধ্য করা হয়েছিল। সে হিজাব প্রত্যাখ্যান করেছিল কিন্তু স্কুুল থেকে চাপ দিয়া হয়েছিল,

 

তার বাবা-মা স্কুলে গিয়ে তাদের সাথে কথোপকথন গোপনে রেকর্ড  করেছিল, রেকর্ড এ পরিস্কার হয়ে যায় স্কুলটি হিজাবকে সমস্ত মেয়েদের জন্য বাধ্যতামূলক হিসাবে ঘোষণা করেছিলেন। এই ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে গেলে, বিদ্যালয়ের ক্ষমা চাইতে হয়েছিল।

২৭ কোটি জনসংখ্যার সাথে ইন্দোনেশিয়ায় ছয়টি ধর্ম আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পেয়েছে, তবে সেখানকার 90% মানুষ মুসলমান। সাম্প্রতিক সময়ে ইন্দোনেশিয়ায় ক্রমবর্ধমান ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা দেখা দিয়েছে।

 

ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী ইয়াকুত চোলিল সুমাত্রার এই ঘটনাটিকে  “মাত্র একটি সূচনা” হিসাবে বর্ণনা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “অন্য ধর্মগুলিতে বিশ্বাসী লোকদের সাথে সংঘর্ষ বা তাদের সাথে ঘটে যাওয়া কোনও অন্যায় কাজকে ন্যায্যতা দেওয়া ধর্মের মত নয়।”

আরো দেখুন…..