সেক্যুলারদের ষড়যন্ত্র

ঠেকাও সেক্যুলারদের ষড়যন্ত্র, বাঁচাও ভারত : কৃত্তিবাস ওঝা

ঠেকাও সেক্যুলারদের ষড়যন্ত্র, বাঁচাও ভারত : খুব বেশিদিন আগের কথা নয়। মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ দেশ ছিল লেবানন। লেবাননে যখন অনাবিল শান্তি বিরাজ করছিল, তখন ওই দেশটিতে খ্রিস্টান ও সনাতন দ্রুজরা মিলে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল। সমগ্র পৃথিবীর ভ্রমণ পিপাসু মানুষদের আকর্ষণের কেন্দ্রে ছিল লেবাননের রাজধানী বৈরুত।

 

ভারতের মতোই লেবাননের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মধ্যে একসময় সেক্যুলার রাজনীতির প্রাদুর্ভাব ঘটে। আজ যেরকম ইসলাম ধর্মালম্বী পাকিস্তানি জঙ্গি বা রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের ভারতে ঢোকানোর জন্য আন্তানিয়া-মমতাজ প্রভৃতি সেক‍্যুলাররা আন্দোলন-সংগ্রাম করছে; লেবাননেও তদ্রুপ সেক‍্যুলাররা ক্ষমতায় গিয়ে,উদারতা-সহিষ্ণুতার নামে আরব সন্ত্রাসবাদীদের অবাধ প্রবেশের সুযোগ করে দিয়েছিল।

লেবাননে এখন মুসলিম জনসংখ্যার হার বেড়ে ৫০ শতাংশ। ইতোমধ্যেই খ্রিস্টানদের হাত থেকে রাজনৈতিক ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছে মুসলমানরা। মুসলমানদের হাতে লেবাননের নিয়ন্ত্রণ চলে যাওয়ার পর থেকে, দেশটি জিহাদিদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে।

সেক্যুলারদের ষড়যন্ত্র
secular india

 

মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ দেশটি ইসলামি শাসনব্যবস্থায় এখন সবচেয়ে অশান্তিপূর্ণ জায়গা। ভুলেও কোন পর্যটক আর লেবাননে যাওয়ার নাম উচ্চারণ করে না। যে সেক্যুলার রাজনীতিবিদরা একসময় আদর করে মুসলমানদের লেবাননে ঢুকিয়েছে; রাজনৈতিক ক্ষমতা কুক্ষিগত করার পর সেই মুসলমানরা – সেক‍্যুলারদেরই সবার আগে কেটে ছাপ করেছে। প্রাণভয়ে খ্রিস্টান ও দ্রুজরা প্রতিনিয়ত লেবানন ছেড়ে পালাচ্ছে।

গত (০৪-০৮-২০২০) ভয়াবহ বিস্ফোরণে লেবাননের রাজধানী বৈরুত বন্দরের বিশাল এলাকা ধ্বংসস্তুপে পরিনত হয়েছে। লেবাননের এই ধ্বংসলীলা থেকে ভারতের হিন্দুরা শিক্ষা নিয়ে যদি সেক‍্যুলার রাজনৈতিক দলগুলোকে রুখে না দাঁড়ায়,তাহলে অচিরেই ভারতকে বরন করে নিতে হবে লেবাননের ভাগ্য।

কংগ্রেস শাসনামলে পাকিস্তানি অনুপ্রবেশকারীরা ভারতে বড় বড় জঙ্গি হামলা চালিয়েছে, বিশেষ করে মুম্বাই হামলা। সোনিয়া-রাহুল-আহমেদ প্যাটেল ইত্যাদি কংগ্রেসের সেক্যুলারচক্র, পরিকল্পিতভাবে পাকিস্তানি জেহাদিদের অপকর্ম আড়াল করতে – হিন্দু বিদ্বেষী অপপ্রচার চালাতো এই বলে যে,ওই সব জঙ্গি হামলা ইসলাম ধর্মালম্বী জিহাদিরা চালায়নি, এগুলো হচ্ছে গৈরিক সন্ত্রাস বা হিন্দু সন্ত্রাসবাদ।

ভাগ্য ভালো যে পাকিস্তানি জঙ্গিরা ধরা পড়ে গেছিলো; নাহলে সোনিয়া-রাহুল-আহমেদরা হিন্দুদের বারোটা বাজিয়ে দিত। তালেবান, আল কায়েদা, আইএস প্রভৃতি ইসলামপন্থী জঙ্গি সংগঠনগুলোর সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে বিশ্বজনমত সোচ্চার। অথচ ভারতের সেক‍্যুলার রাজনীতিবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা বিদেশে গিয়ে ইসলামপন্থী জিহাদিদের পক্ষে গলা ফাটিয়েছে; আর হিন্দুদের বিরুদ্ধে রটিয়ে বেড়িয়েছে জঘন্য সব কুৎসা।

কংগ্রেস,কমিউনিস্ট,তৃণমূল, সমাজবাদী পার্টি – এই সমস্ত দলগুলো মুখে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বললেও, ভারতের সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু সম্প্রদায়কে সংখ্যালঘুতে পরিণত করতে এরা গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। ভারতীয় সেক্যুলার ও পাকিস্তানের মিলিত ষড়যন্ত্রে – স্বাধীনতা উত্তর ভারতে মুসলিম জনসংখ্যা হার বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে গেছে।

বাইরে থেকে বন্যার জলের মতো ঢুকছে অনুপ্রবেশকারীরা। অনুপ্রবেশকারীরা পশ্চিমবঙ্গে দুধেল গাই হিসেবে খুবই আদরণীয়। পাকিস্তান থেকে আনা দুধেল গাইদের বারুদের স্তূপে মাঝে মাঝে যেরকম বিস্ফোরণ ঘটছে, সেসব ঘটনা লেবাননের কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়।

আশ্রয় দেওয়া দেশগুলোতে ইসলামী মৌলবাদিদের জিহাদ একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে ওঠছে।নিউজিল্যান্ড ইসলামী জিহাদিদের ছুরি হামলা, হামলাকারী একজন শ্রীলংকান মুসলিম শরণার্থী। অন্য দিকে জার্মানিতে নিউজিল্যান্ড মডেলে জিহাদি হামলার শিকার হয়েছে দুই জার্মান নাগরিক। জানা যায়, আক্রমণকারী জিহাদি একজন আফগান শরণার্থী।

বার্লিনের উইলমার্সডর্ফ এলাকায় এই জিহাদি হামলার ঘটনা ঘটে। তদন্তকারী জার্মান পুলিশ কর্তারা বলেছেন যে, ভুক্তভোগী মহিলা শরিয়তের আইন না মেনে চলায় তীব্র বিদ্বেষ থেকেই এই হামলা

আজ থেকে বহু বছর আগে ফ্রান্স হাজার হাজার মুসলিম শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কিছু বছর পর এই লোকেরা আলাদা শিক্ষা ও উপাসনা পদ্ধতির অধিকার দাবি করতে শুরু করে। তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠানোর পরিবর্তে, লোকেরা বাড়িতেই সেমিনারি শিক্ষা দিতে শুরু করে এবং এই ধর্মীয় উন্মাদনার কারণ দিন দিন ফ্রান্সে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এই ঘটনার পর থেকে ভারতে আফগান শরণার্থীদের স্থান দেওয়া নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। কারণ কিছুদিন আগেই শাহীনবাগ মডেলে দিল্লিতে আন্দোলন করেছিল আফগান শরণার্থীরা। ফলে স্বাভাবিকভাবেই তাদের স্থান দেওয়ার ব্যাপার নিয়ে বিচলিত ভারত সাধারণ নাগরিকরা।

লেখক-কৃত্তিবাস ওঝা,ভূরাজনৈতিক বিশ্লেষক।
লেখক-কৃত্তিবাস ওঝা,ভূরাজনৈতিক বিশ্লেষক।
লেখকের আরো লেখা……