সনাতন ধর্মের প্রবর্তক কে

সনাতন ধর্মের প্রবর্তক কে? তার পরিচয় কী?

সনাতন ধর্মের প্রবর্তক কে? তার পরিচয় কী? এটা প্রায়ই বলা হয় যে হিন্দু ধর্মের কোন প্রতিষ্ঠাতা নেই। এই ধর্মের শুরু সম্পর্কে কিছুই জানা যায় না। তবে ধর্মের পণ্ডিতদের মতে, বর্তমানে চালু থাকা এই ধর্মের সূচনা হয়েছিল প্রথম মনু স্বয়ম্ভু মনুর মন্বন্তর দিয়ে।

হিন্দু ধর্ম বলতে ভারতের মানুষদের হাজার বছরের জীবানাচরনকে বুঝায়। এ সেই ভারত একসময় যে ‘ ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ’ আফগানিস্তান মিলে এক ভারতবর্ষ ছিলো। “হিন্দু” শব্দটি বহিরাগতরা হিন্দুদের দিয়েছে। মূলত সিন্ধু নদের তীরের মানুষদের ‘হিন্দু’ বলা হয়। সেই হিসেবে পাকিস্তানের মুসলমানরাও জাতিতে হিন্দু জাতি, বাংলাদেশি মুসলমানেরাও জাতিতে হিন্দু জাতি।

হিন্দু ধর্মের কোনো একজন প্রতিষ্ঠাতা নেই। ভারতের হাজার বছরের ইতিহাস, ঐতিহ্য নিয়ে হিন্দু ‘সনাতন’ ধর্ম। ভারতীয় উপমহাদেশের মানুষদের জীবনাচরনে হিন্দু ধর্মের প্রভাব ব্যাপক। 

হিন্দু ধর্মের কোনো একক প্রতিষ্ঠাতা নেই। প্রাচীন সমাজের মুনি ঋষিরা ধ্যান সাধনা করে এ অঞ্চলের মানুষের সাথে ঈশ্বরের যোগসূত্র স্থাপন করে যে জীবনব্যবস্থা প্রনয়ন করেছেন সেটাই সনাতন হিন্দু ধর্ম। হিন্দু ধর্মের মূল আদি গ্রন্থ বেদগ্রন্থ।

এই বেদগ্রন্থ মানবরচিত তবে ঈশ্বর থেকে অনুপ্রানিত। আব্রাহামীয় ধর্মের গ্রন্থগুলো যেমন সরাসরি ঈশ্বর থেকে এসেছে বলা হয় হিন্দু ধর্মের গ্রন্থগুলো সরাসরি ঈশ্বর থেকে কোনো ফেরেশতার মাধ্যমে আসে নি।

প্রাচীন মনিষীরা ধ্যানরত অবস্থায় ঈশ্বরের সান্নিধ্যে আসেন এবং ঈশ্বর থেকে অনুপ্রানিত হয়ে নিজেরাই বেদগ্রন্থ রচনা করেন। এইসব বেদগ্রন্থে মনিষীদের নিজেদের কথাও আছে এবং ঈশ্বর কর্তৃক আধ্যাত্বিকতা অর্জনের পরে ঐশ্বরিক কথাও আছে।

হিন্দু ধর্মের পরমেশ্বর বা পরম ঈশ্বর হচ্ছেন ব্রহ্ম।
হিন্দু ধর্মের পরমেশ্বর বা পরম ঈশ্বর হচ্ছেন ব্রহ্ম।

হিন্দু ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা কে?

হিন্দু ধর্মের পরমেশ্বর বা পরম ঈশ্বর হচ্ছেন ব্রহ্ম। হিন্দু ধর্মের ঈশ্বর-চূড়া বা ঈশ্বর-মাথা হচ্ছেন ব্রহ্ম। জগতের সবকিছুর উৎস ব্রহ্ম। ব্রহ্ম নিরাকার কিন্তু সাকার রূপে তিনি দেবতা ও দেবী হিসেবে সর্বত্র বিরাজমান থাকেন। 

পরমেশ্বর ব্রহ্মের প্রতীক হচ্ছে ওঁ ( উচ্চারনঃ অ…উ… ম)। এটি একটি পবিত্র শব্দ। জীবাত্মা পরমেশ্বর ব্রহ্মের সাথে এক হয়ে যাওয়া বুঝাতে এই পবিত্র প্রতীক ব্যবহার করা হয়।

ওঁ
সনাতন ধর্মের প্রবর্তক কে

সনাতন ধর্মের প্রবর্তক কে

এক ফোঁটা জল বিশাল সাগরে মিলে গিয়ে ঐ বিশাল সাগরের রুপ ধারণ করে, ঠিক তেমনি সকল দেব-দেবী মিলিত হয়ে পরমেশ্বর ব্রহ্মর রূপধারণ করেন।

পরমেশ্বর ব্রহ্মর সাকার রূপের প্রধান রূপ তিনটি। প্রথম রূপ ব্রহ্মা দেবতা। যার কাজ শুধু সৃষ্টি করা। সৃষ্টি করেই উনার কাজ শেষ। দেবতা ব্রাহ্মার আরাধনা কম করা হয় কারন উনার কাজ শুধু সৃৃৃষ্টি। রক্ষণাবেক্ষণ করেন আরেক দেবতা বিষ্ণু। ব্রহ্মার কাজ যেখানে শেষ বিষ্ণুর কাজ সেখানে শুরু। তিনি জগতের সব কিছুর রক্ষাকর্তা। বিষ্ণু অনেক অবতার ধারণ করেন জগতের সবকিছুকে রক্ষা ও পালন করতে। সেই অবতার রূপ হচ্ছে রাম, কৃষ্ণ ও আরো অনেক দেবতা। তবে পরমেশ্বর ব্রহ্মার সবচেয়ে শক্তিশালী রূপ হচ্ছে শিবের রূপ। তিনিই প্রলয়কর্তা সর্বশক্তিধর মহাদেব শিব।

আদি হিন্দু শাস্ত্রের চরিত্ররা যাদের কে দেবতা বা দেবী রূপে পূজিত করা হয় তারা কেউই মানুষ নন তারা প্রতীকী। ব্রহ্মা যেমন জ্ঞানের (wisdom) প্রতীকী। কিন্তু জ্ঞান একটি আধার, তার থেকে নদীর মতন বাক্যের মাধ্যমে যে নির্যাস বেরিয়ে আসে তাই হল বিদ্যা (knowledge)। তাই জন্যেই সরস্বতী দেবী বিদ্যার দেবী, নদী স্বরূপিনী, বাগদেবী। যেহেতু বিদ্যা জন্ম নিয়েছে জ্ঞানের ক্রোরে, তাই বলা হয় সরস্বতী দেবী ব্রহ্মাজাত। আমি যেমন আমার বাবার ছেলে সেইরকম ভাবে সরস্বতী দেবী ব্রহ্মার মেয়ে ভাবলে খুবই ভুল হবে।

ব্রহ্ম (ব্রহ্মা না) হল আদি অনন্ত অবিনশ্বর অজ্ঞাত। কিন্তু তার এই অজ্ঞাত রূপ কে দুটি ভাগ করা যায় – পুং এবং স্ত্রী। যাই স্থির, অবিচল তাই পুং। যেমন হিমালয়। যা বয়ে যায় সেই স্ত্রী। যেমন গঙ্গা। আরো বেশি আধুনিক করে বললে, থিয়োরি এবং অ্যাপ্লিকেশন।

এই পুং কে তিনটি ভাবে প্রকাশিত হতে দেখা যায় – ব্রহ্মা ( যার থেকে সবার উৎপত্তি), বিষ্ণু (যে অস্তিত্বের পালক) এবং মহেশ্বর (যে ধ্বংসের মধ্যে দিয়ে সৃষ্টির চক্রবূহ কে আবার চালিত করে)। কিন্তু যাই পুং থাকবে তারই স্ত্রী রূপ চাই। কারণ পুং এবং স্ত্রী এই দুটি রূপের সামঞ্জস্য না থাকলে সৃষ্টিই হয় না।

ব্রহ্মার স্ত্রী রূপ সরস্বতী, বিষ্ণুর স্ত্রী রূপ লক্ষী (ধন/খাদ্যশস্য), এবং মহেশ্বরের স্ত্রী চণ্ডী (যার দুটি রূপ কালি এবং দুর্গা – অসংযত ও সংযত ধ্বংস)। এবার আপনি যদি ভাবেন স্ত্রী রূপ মানে যার সাথে প্রেম করে বিয়ে করলেন, হানিমুন যাবেন সেই স্ত্রী তাতে আপনার শিক্ষার সম্পূর্ণ মানহানি হবার পূর্ণ সুযোগ।

যাই হোক, এবার নিশ্চই বুঝলেন যে সরস্বতী কী করে ব্রহ্মার স্ত্রী এবং কন্যা দুই হল। উপরেই বলা হয়েছে পরম ব্রহ্ম এই প্রতীকি রুপ গুলো কোনটিই মানব সত্তা নয়।

সনাতন ধর্মের প্রবর্তক কে

 

পুং কে তিনটি ভাবে প্রকাশিত হতে দেখা যায়
পুং কে তিনটি ভাবে প্রকাশিত হতে দেখা যায়

 

জগত চলে নির্দিষ্ট একটি পদ্ধতিতে। সৃষ্টির পরে রক্ষনাবেক্ষন এবং এরপরে প্রলয় বা ধ্বংস এবং আবার নতুন করে সৃৃষ্টি। এভাবেই জগত চলছে। এর ব্যাতয় প্রকৃৃ্তির নিয়ম বিরুদ্ধ। শিব এই কাজটির দায়িত্বে আছেন। শিব জগতের সবকিছু এক নিমেষেই ধ্বংস করে দিতে পারেন। তাই শিবের শক্তি অন্য দেবতাদের চেয়ে অনেক বেশি। এই শক্তির রূপকে শিবলিঙ্গ পূজার মাধ্যমে আরাধনা করা হয়।

এই তিন প্রধান দেবতার স্ত্রী রূপ হচ্ছেন যথাক্রমে স্বরস্বতী দেবী যিনি ব্রহ্মর স্ত্রী, লক্ষ্মী দেবী যিনি বিষ্ণুর স্ত্রী ও পার্বতী দেবী যিনি শিবের স্ত্রী। নারী-পুরুষ মিলেই জগতের সবকিছু। দেবতাকে সম্পূর্ন করেছে তাঁর অর্ধাঙ্গিনী দেবী। এই দেব-দেবীদের সবার উৎস ঐ পরমেশ্বর ব্রহ্ম। তাঁরই সাকার রূপ এনারা। এই প্রধান দেবীদের অবতার রূপ হচ্ছেন দূর্গা, কালি সহ আরো অনেক দেবী।

স্বরস্বতী দেবী যিনি ব্রহ্মর স্ত্রী, লক্ষ্মী দেবী যিনি বিষ্ণুর স্ত্রী ও পার্বতী দেবী যিনি শিবের স্ত্রী।
স্ত্রী কে তিনটি ভাবে প্রকাশিত হতে দেখা যায়

সনাতন ধর্মের প্রবর্তক কে

পরমেশ্বর ব্রহ্ম যেহেতু নিরাকার তাই সাধারণ হিন্দুরা ঈশ্বরের সাকার রূপ দেব -দেবীর পূজার মাধ্যমে পরমেশ্বর ব্রহ্মের পূজা করে থাকেন। সবকিছুর উৎস ব্রহ্ম আবার সবকিছু সেই পরমেশ্বরের কাছেই বিলীন হবে। তাই হিন্দু ধর্ম মতে পরমেশ্বর সর্বত্র বিরাজমান। তিনি গরুর মধ্যেও আছেন, ঘাসের মধ্যেও আছে,  তিনি মানুষের মধ্যেও আছেন। তিনি তার সৃষ্টির সবকিছুতে বিরাজমান। তাই ভক্ত যদি গরুকেও পরেমেশ্বর ব্রহ্ম বা ঈশ্বরের রূপ ভেবে পূজা করে তবে সেটাও ব্রহ্ম গ্রহণ করেন, কারন তিনি সর্বত্র দেব-দেবী হয়ে বিরাজ করছেন।

হিন্দু ধর্মকে আসলে অন্য ধর্মের সাথে গুলিয়ে ফিলেল ভূল হবে। একটা সময় মানুষের চিন্তা ক্ষমতা তুলনা মূলক কমে যাওয়ার কারণে বিভিন্ন সত্তাকে বিভিন্ন রুপ দিয়ে কল্পনা করা শুরু হয়। আদতে হিন্দু ধর্মে স্বর্গ নরক, ঈশ্বরের রুপ এগুলো কিছুই ছিল না। শুধু মানুষের চিন্তা শক্তির ক্ষীনতার জন্য এই সত্তা দিয়ে কল্পনা করা হয়েছে। মূল ব্রহ্ম (ব্রহ্মা না) হল আদি অনন্ত অবিনশ্বর অজ্ঞাত। যাকে আজ আমরা বিজ্ঞানের ভাষায় বিগ ব্যাঙ্গ বলছি।

হিন্দুদের আদি এবং প্রধান ধর্ম গ্রন্থ হলো বেদ, বেদ মূল উপনিষেধ আর উপনিষেদের সারই হলো গীতা। বেদে যা বিস্তারিত আছে তা উপনিষেধে সংক্ষিপ্তি আকারে। আর উপনিষেধের সার আছে গীতায়।

হিন্দু ধর্মের প্রধাণ গ্রন্থ বেদ, পুরাণগ্রন্থ ছাড়াও আরো উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলো হচ্ছে রামায়ন, মহাভারত ও শ্রীমদ্ভাগবতগীতা।

রামায়ন হচ্ছে রামের যুগের কাহিনী। সেই সময়ে রাম কিভাবে রাবণের কাছ থেকে নিজ স্ত্রী সীতাকে উদ্ধার করে দুষ্টের দমন করে শিষ্টের পালন করেছেন সেই কাহিনীর পৌরাণিক রূপ হচ্ছে রামায়ন।

রামায়ন
রামায়ন

মহাভারত হচ্ছে ধর্মযুদ্ধের কাহিনী। কৃষ্ণ এখানে অন্যতম চরিত্র। যিনি রাম , তিনিই কৃষ্ণ। উনারা দুজনই বিষ্ণু দেবতার অবতার। মানে উনারা এক যুগে ছিলেন রাম, এক যুগে কৃষ্ণ। হরে কৃষ্ণ, হরে রাম। জয় শ্রী রাম, জয় শ্রী কৃষ্ণ হিন্দু ধর্মের দুটি বিশেষ ধ্বনি।

সনাতন ধর্মের প্রবর্তক কে

মহাভার
মহাভার

 

মহাভারতের যুগে ভগবান শ্রীকৃৃষ্ণ কুরুক্ষেত্রে একই বংশের পান্ডব ও কৌরব দলের মধ্যে সংগঠিত যুদ্ধে পান্ডবদের পক্ষ নিয়ে উনার শিষ্য অর্জুনকে নির্দেশ দেন অধর্মের প্রতীক কৌরবদের ধ্বংস করতে। সেই সময় কৃষ্ণের বাণীর সন্নিবেশ হচ্ছে শ্রীমদ্ভাগবতগীতা।

ভগবান শ্রীকৃৃষ্ণ হচ্ছেন পরমেশ্বর ব্রহ্মর অন্যতম গুনবাচক প্রকাশ। ব্রহ্ম, বিষ্ণু ও শ্রীকৃৃষ্ণ এক ও অভিন্ন স্বত্তা বিধায় হিন্দুরা ঈশ্বর বলতে ভগবান শ্রীকৃৃষ্ণকেই বুঝিয়ে থাকেন। ঈশ্বর এক কিন্তু তাঁর নাম অনেক। কেউ বলে ব্রহ্ম, কেউ বলে রাম, কেউ বলে শ্রীকৃৃষ্ণ, কেউ বলে শিব।

সবাই ঐ এক পরম আত্মার বিভিন্ন গুনের প্রকাশ। যে নামেই পরমেশ্বরকে ডাকা হোক না কেনো সবই ঈশ্বর গ্রহন করেন এই হচ্ছে হিন্দুদের বিশ্বাস।

সনাতন ধর্মের প্রবর্তক কে
হিন্দু ধর্মের পরিচিতি
হিন্দু ধর্মের পরিচিতি
সনাতন ধর্মের প্রবর্তক কে

এই হচ্ছে মোটামুটি হিন্দু ধর্মের পরিচিতি। আশাকরি একটা ধারণা পেয়েছেন।

গীতায়, শ্রীকৃষ্ণের মাধ্যমে, পরমেশ্বর ভগবান বলেছেন যে ‘আমি এই অবিনশ্বর জ্ঞান আদিত্যকে বলেছিলাম, আদিত্য তার পুত্র বৈবস্বত মনুকে বলেছিলেন এবং মনু তার পুত্র রাজা ইক্ষ্বাকুকে বলেছিলেন। এইভাবে, রাজকীয় ঋষিরা ঐতিহ্য থেকে প্রাপ্ত এই যোগবিদ্যা জানতে পেরেছিলেন।

প্রাপ্ত এই জ্ঞান 11 জন প্রজাপতি, 11 রুদ্র এবং তাঁর নিজের রূপ স্বয়ম্ভু মনু এবং সাতরূপাকে দিয়েছিলেন। স্বয়ম্ভুব মনু এই জ্ঞান তাঁর পুত্রদের কাছে পৌঁছে দেন, তারপর যথাক্রমে স্বরোচিষ, অতমি, তমস মনু, রায়বত, চক্ষুষ এবং তারপর বৈবস্বত মনু ঐতিহ্য থেকে এই জ্ঞান লাভ করেন। শেষ পর্যন্ত এই জ্ঞান ভগবান শ্রীকৃষ্ণ গীতা আকারে পেয়েছিলেন। এই মুহূর্তে বরাহ কল্পে সপ্তম মনুর মন্বন্তর, বৈবশ্বত মনু চলছে।

ঋগ্বেদের স্তোত্রগুলিতে প্রায় 414 ঋষির নাম পাওয়া যায়, যার মধ্যে প্রায় 30টি নাম মহিলা ঋষিদের। এইভাবে, ঋষি এবং মনু, যারা বেদ শ্রবণ করেছিলেন এবং বেদ পরিচালনা করেছিলেন, তারাই হিন্দু ধর্মের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা। হিন্দু ঋষি রা ধর্মকে আধ্যাত্মিক বিজ্ঞানে রূপান্তরিত করেছেন । রাজযোগ নামে যা সারা বিশ্বে সমাদৃত । যা নিম্ন সত্তার সকল মানুষকে দেবত্বে পৌঁছে দিতে পারে ।

হিন্দু ধর্ম বা সনাতন ধর্ম বলে কোনও ধর্ম আক্ষরিক ভাবে তৈরি হয়ে নি। বৈদিক যুগে বেদের রচনা। এদের ভাষ্য স্বয়ং সম্পূর্ণ, তাতে বিভিন্ন আচার সংহিতার ব্যাখ্যা বিস্তারিত ভাবে দেওয়া আছে।

ধর্ম বলতে আমি ব্যাক্তিগত ভাবে যা বুঝি, তা হল জন্মগত ধারা বা কর্ম। যেমন কুকুরের ধর্ম হল পাহারা দেওয়া আর মনিবের কথা শুনে চলা, মনুষ্য ধর্ম মানবতা, ক্ষমা, বিদ্যা শিক্ষা ,সমাজ শাস্ত্র ,তত্ব ইত্যাদি, গাছের ধর্ম হল ফল ফুল ছায়া আর পাখিদের আস্তানা প্রদান করা।

সনাতন ধর্মের প্রবর্তক কে
সনাতন ধর্মের প্রবর্তক কে

 

আর আমরা মানুষেরা যা নিয়ে হানাহানি করি তা হল আমাদের সমাজ ভিত্বিক আচার বিচার মাত্র। উদাহরণ স্বরূপ আমি বাঙ্গালি মাছ খাই ভাত খাই আর খাই সরিষার তেল কিন্তু নারিকেল তেল খেতে পারিনা, সে রকম যারা কেরালাইট তারা মাছ ভাত খায়ে কিন্তু সরিষার তেল খেতে পারে না, তারা খায়ে নারিকেল তেল। ফলে বাঙ্গালির আচার, রীতি, খাদ্য সরিষার তেল খাওয়া আর কেরালাইটের আচার, রীতি, খাদ্য নারিকেল তেল খাওয়া।

সুতরাং আচার বিচার তা পারিপার্শ্বিক আবহাওয়া জলবায়ু স্থান কাল হিসাবে তৈরি হয়। এছাড়া যে আচার বিচার সেই আদ্যিকাল থেকে সনাতনী চলে আসছে তাই সনাতন ধর্ম।

আর পড়ুন…..

সনাতন ধর্মের প্রবর্তক কে সনাতন ধর্মের প্রবর্তক কে সনাতন ধর্মের প্রবর্তক কে সনাতন ধর্মের প্রবর্তক কে সনাতন ধর্মের প্রবর্তক কে সনাতন ধর্মের প্রবর্তক কে