সনাতন ধর্ম গ্রহণ

সনাতন ধর্ম: ৭০ জন খৃষ্টান, সনাতন ধর্মে ফিরে আসল বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী জেলা যশোরে।

সনাতন ধর্ম: ৭০ জন খৃষ্টান সনাতন ধর্মে ফিরে আসল বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী জেলা যশোরে। একটা সময় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে একটা ধারণা ছিল যে সনাতন  ধর্ম গ্রহণ করা বা কনভার্ট হওয়া যায়না। আদতে বেশিরভাগ লোক সনাতন ধর্ম সম্পর্কে না জেনেই তার মন গড়া এই ধরনের বক্তব্য দিয়ে থাকতেন।

হ্যাঁ, এটা সত্য যে সনাতন  ধর্মে কনভার্ট বা ধর্মান্তরিত হওয়ার মতন এই বিষয়গুলো সুস্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করার নাই, এর প্রধান কারণ হলো পৃথিবীর প্রথম ধর্ম হল সনাতন ধর্ম। সনাতন ধর্ম কোন নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে মানুষকে বেঁধে ফেলতে বিশ্বাস করে না।

বরং সনাতন ধর্ম একটা মানুষকে মানুষ হিসেবে বেড়ে ওঠার জন্য যত ধরনের  সাবলীল পরিবেশের দরকার হয় সেই পরিবেশটাই তৈরি করে দেয়। বর্তমান সময়ে ধর্ম বলে আমরা যে সমস্ত মতবাদকে জেনে আসছি আদতে এগুলো কোনটাই ধর্ম না।  কারণ ধর্ম কখনোই চুল, দাড়ি, টুপি, কোট, জামা, প্যান্ট, টিকা ইত্যাদি দ্বারা সীমাবদ্ধ নয়। 

ঠিক এই কারণেই সনাতন ধর্মে নতুন করে কাউকে ধর্মান্তরিত করার প্রয়োজন বোধ করেনি আমাদের পূর্বপুরুষেরা। তবে এই জায়গায় অনেকেই প্রশ্ন করতে পারেন যে তাহলে কি সনাতন ধর্মে অন্য ধর্ম থেকে কেউ আসতে পারবে না? এর প্রতি উত্তরে আপনাদের বলতে চাই অবশ্যই আসতে পারবে। আমাদের পূর্বপুরুষেরা সারাবিশ্বে একসময় এই সনাতন ধর্ম  ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। 

খৃষ্টান থেকে সনাতন ধর্মে ফিরে আসল।
খৃষ্টান থেকে সনাতন ধর্মে ফিরে আসল।

আর তার বাস্তব প্রমান আমরা সুদূর ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড ইত্যাদি দেখতে পাই। তাহলে আমাদের পূর্বপুরুষরা ঐ সমস্ত স্থানের মানুষদেরকে কিভাবে সনাতন ধর্ম চর্চার পথ দেখিয়েছিল। 

সত্যি কথা বলতে গেলে বলতে হয় আমাদের পূর্বপুরুষেরা ওইসব অঞ্চলে কাউকে সনাতন ধর্মে ধর্মান্তরিত করতেন না। তারা শুধু ওই অঞ্চলে গিয়ে তাদের উপাস্য দেব-দেবী যা কিছুই ছিল তার সাথে সনাতন সংস্কৃতি চর্চার পথটাই দেখিয়ে দিয়েছিলেন।  

বিষয়টা এমন যদি আমাদের পূর্বপুরুষ ইন্দোনেশিয়ায় গিয়ে একজনকে দেখেছেন যে, একটা বড় গাছকে সৃষ্টিকর্তা ভেবে উপাসনা  করছে তাকে নতুন করে আবার কোন ঈশ্বরের সন্ধান আমাদের পূর্বপুরুষরা দেননি। বরং সেই গাছের মধ্যে যে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব রয়েছে সনাতন জীবনধারার চর্চার মাধ্যমে সেই স্রষ্টার দর্শনের পথ দেখিয়ে দিতেন। 

সনাতন ধর্ম
৭০ জন খৃষ্টান, সনাতন ধর্মে ফিরে আসল বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী জেলা যশোরে।

 

আবার ধরুন কেউ কোন একটা নদী অথবা পশু-পাখিকে শ্রদ্ধার সাথে  সৃষ্টিকর্তার প্রতিলিপি হিসেবে সম্মান জানান। আমাদের পূর্বপুরুষ সেটাকে বন্ধ করেন নাই। বরং সনাতন জীবনধারার মাধ্যমে সৃষ্টিকর্তাকে পাওয়ার জন্য পথটাকে দেখিয়ে দিয়েছিলেন মাত্র ।

এই কারণে আমরা যদি সারা বিশ্বের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দিকে তাকাই তাহলে দেখতে পাই স্থান ভেদে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঈশ্বর ভাবনাটা ভিন্ন ভিন্ন কিন্তু ঈশ্বরকে পাবার পন্থাগুলো সকলেরে একই বৃত্তে। 

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমরা যদি একটু লক্ষ্য করি.তাহলে আমরা দেখতে পাই বিভিন্ন ধর্ম থেকে সনাতন ধর্মে ফিরে আসার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই প্রবণতাগুলো পিছনে অনেকগুলো কারণ আছে। আমি সেই ব্যাখ্যাটা আজ এখানে করবো না, আমি বরং আজ আপনাদেরকে একই ধরনের একটি সুসংবাদ দিব।

বেশি সময় পিছিয়ে যেতে হবে না মাত্র কয়েক বছর আগেও বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সনাতন  ধর্মবিশ্বাসীদের টার্গেট করে কিছু বিদেশি এনজিওর মাধ্যমে বহু সনাতনী কে খ্রিস্টান ধর্মে দীক্ষিত করা হয়েছিল।

যার কারণে আমরা দেখতে পায় বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে হাজার হাজার আদিবাসী সম্প্রদায় তাদের মূল শিকড় থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বিদেশি খ্রিস্টান ধর্ম চর্চা করে চলেছে। তবে এখানে আসার কথা হল সাম্প্রতিক বছরগুলোতে খ্রিস্টান সম্প্রদায় থেকে ঐ সমস্ত সনাতনী মানুষগুলো আবার তাদের  শিকড়ের ফিরছে।

সনাতন ধর্ম
হিন্দু ধর্ম গ্রহন করল যশোরে ৭০ জন

 

ঠিক তেমনি একটি সংবাদ আমাদের কাছে এসেছে, বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী জেলা যশোরের। খবরের সূত্র অনুযায়ী  বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী জেলা যশোর এর মনিরামপুর উপজেলায়, হোগলাডাঙ্গা গ্রামের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে, প্রায় ৭০ জনেরও বেশি লোক নিজ ধর্ম ত্যাগ করে “খৃষ্টান” ধর্ম গ্রহণ করেছিল বেশ কিছু বছর আগে। 

তবে আশার কথা হল গত সপ্তাহে তারা সবাই নিজেদের ভূল বুজতে পেরে আবার স্বধর্মে ফিরে এসেছেন। এখানে উল্লেখ্য এই দলে  ৭০ জন নারী পুরুষ শিশু  ছিল। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী বুঝা যায় এই সমস্ত ব্যক্তিরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন খ্রিস্টান এনজিওদের  প্রলোভনে পা দিয়েছিলেন।

 তাদের বেশিরভাগকে অর্থের বিনিময় অথবা চাকরির লোভ দেখিয়ে হিন্দু ধর্ম থেকে খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করা হয়েছিল। তবে সম্প্রতিক সময়ে অঞ্চলে  ইসকন সহ বিভিন্ন হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রচেষ্টায় ওই সমস্ত ব্যক্তি পুনরায় তাদের নিজ ধর্মে ফিরে আসতে শুরু করেছেন। 

পরিশেষে একটা কথা বলতে চাই অর্থের বিনিময়ে কেউ নিজ ধর্ম থেকে অন্য ধর্মে ধর্মান্তারিত হবেন না। শ্রীমদ্ভাগবত গীতায় বলা আছে : নিজ ধর্মের অনুষ্ঠান দোষযুক্ত হলেও মঙ্গলজনক, অন্য ধর্মের অনুষ্ঠান থেকে।

এই সংবাদটি যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই  লাইক এবং শেয়ার করে আমাদের সাথে থাকবেন, ধন্যবাদ।

সনাতন ধর্ম , সনাতন ধর্ম,  সনাতন ধর্ম, সনাতন ধর্ম, সনাতন ধর্ম,  সনাতন ধর্ম 

অবশ্যই লাইক করতে ভূলবেন না। 

আর পড়ুন….