সোজাসাপ্টা ডেস্ক: কোন পথে বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থা? বেশ কয়েক বছর আগে রামধনুর পরিবর্তন হয়ে হয়েছে রংধনু। সেটাকে হয়তোবা আমরা অনেকেই সেভাবে গুরুত্ব দেইনি। কিন্তু আবার একটা নতুন সংবাদ আমাদের সামনে আসলো পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দৌলতে। অনুমোদিত ষষ্ঠ শ্রেণির বাচ্চাদের ইতিহাস পাঠ্য বইয়ে বলা হয়েছে রাবণ নাকি ভারতের স্থানীয় বাসিন্দা এবং সৎ মানুষ। অপরদিকে রাম হলো ভারতের বাইরে থেকে আসা যাযাবর মানুষ। সৎ রাবণ নাকি রামের হাতে পরাজিত হলে রামায়নের রাবণ কে খারাপ চরিত্র রুপে দেখানো হয়েছে। কি বিশ্বাস হচ্ছে না ঠিক এমনটাই লেখা হয়েছে ষষ্ঠ শ্রেণীর বই তে।
- পিস টিভিতে “ঘৃণাত্মক বক্তব্য” প্রচার কারার জন্য জাকির নায়েককে জরিমানা করেছে যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রক সংস্থা অফকম।।
- দিদির রাজ্যে রাম এবার বিদেশী আক্রমণকারীর তকমা পেলন, হলেন অসুর।
- আর্য়ুবেদিক ওষুধে হবে করোনা রোগীর চিকিৎসা সফল শ্রীলংকার একদল চিকিৎসক।
- ত্রিনিদাদে সাগর ভরাট করে এক সাধুর মন্দির নির্মাণ, অপরুপ সেই ছবি দেখুন।
- বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ মৃতদেহ সৎকার দাহর মাধ্যমে সম্পন্ন করছে, নতুন রিপোর্ট দেখুন।
‘অতীত ও ঐতিহ্য’ নামের ষষ্ঠ শ্রেণীর এই ইতিহাস বইতে পরিষ্কার বাংলায় আরও লেখা রয়েছে, ইংরাজি ‘রোমিং’ (Roaming) শব্দের অর্থ ঘুরে বেড়ানো। আবার সংস্কৃতে ‘রাম’ শব্দের একটা অর্থ হল ঘোরা! তাই ইংরাজি শব্দে রোমিংয়ের সঙ্গে রামের মিল দেখে বোঝা যায় কোনও এক সময় যাযাবরের মতো ঘুরতে ঘুরতেই ভারতীয় উপমহাদেশে চলে এসেছিল একদল লোক। এই মানুষগুলো ভারতের উত্তরের আদিবাসীদের মেরে বসবাস শুরু করে। একটা সময় উত্তর থেকে দক্ষিনে এসে দক্ষিণের মানুষদের পরাজিত করে সেখানে রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন এই মানুষগুলো। আসলে রান হলো এই মানুষদের যেটা গল্প। লেখার একটা পর্যায়ে এসে বলা হয়েছে যেহেতু রাবণ পরাজিত হয়েছিল সেহেতু রাবণ এবং রাবণের অনুসারীদের অসুর বলে আখ্যায়িত দেয়া হয়েছে।
এমন সব অদ্ভুত অদ্ভুত ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে ষষ্ঠ শ্রেণীর বই। যা গত কয়দিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। এই ধরনের ভুল তথ্য উপস্থাপনা করার জন্য ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া বেশিরভাগ লোক এই ধরনের ভুল তথ্য দেওয়ার জন্য একটা সুষ্ঠু পরিকল্পনার আশ্রয় নেয়া হয়েছে বলে ধারণা পোষণ করছেন।
ব্যবহারকারীদের বেশিরভাগ বলতে শুরু করেছে এটা শুধু ইতিহাস বিকৃতি নয় এটা হিন্দু ধর্মের উপর আঘাত। হিন্দুদের আরাধ্য দেবতা রামচন্দ্রের বিরুদ্ধে এক ধরনের ষড়যন্ত্র। রামচন্দ্রের চরিত্রহননের উদ্দেশ্যে এ ধরনের ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে। শুধু এটাই নয় পাশাপাশি রাবণ সম্পর্কে ভুল তথ্য উপস্থাপন করে হিন্দু ধর্মের মহাকাব্য রামায়ণ সম্পর্কে মানুষের কাছে একটা ভুল বার্তা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।
এটা কোন ভুল নয়, এটা এক ধরনের পরিকল্পনা করেই করা হয়েছে বলে বেশিরভাগ মানুষের মত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বঙ্গ-আরএসএস-এর এক শীর্ষ নেতার কথায় রাম প্রতিটি হিন্দুবাড়ির কাছে আদর্শ ছেলে। আমাদের বাবা-মা ছোটবেলা থেকেই রামের মতো চরিত্রবান হওয়ার শিক্ষা দিতেন। রামের চরিত্র হিন্দু বাড়ির ছেলেদের চরিত্র গঠনে আদর্শ রূপে আজও গ্রহণযোগ্য। আমাদের ছোট ছাত্রছাত্রীদের কাছে ভুলভাবে রাম, রাবণ ও রামায়ণকে তুলে ধরা ভয়ঙ্কর অন্যায়, যেটাই কিছুদিন যাবৎ করা হয়ে আসছে। এর পেছনে বিশেষ কোনও গোষ্ঠীকে খুশি করার ব্যপার রয়েছে কিনা তাও দেখা উচিৎ বলে মন্তব্য করেছেন ওই আরএসএস নেতা৷
- “হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়” প্রতিষ্ঠিত হলো, ইন্দোনেশিয়ায় সরকারী ভাবে।
- বিগ ব্রেকিং নিউজ-করোনার জিনোম সিকোয়েন্স আবিষ্কার করে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিল বাবা মেয়ে জুটি।
- ভিডিও সহ-সামনে এলো, স্বামিবাগ ইসকন মন্দিরের করোনায় আক্রান্ত সকল সাধুদের সুস্থ হবার রহস্য।
- দুর্লভ ভিডিও সামনে এলো,মাইনাস ৪৫ ডিগ্রি তাপমাত্রায় খালি গায়ে ধ্যানে মগ্ন সাধু!
- ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মোহন বাঁশির সুর আজও শোনা যায় বৃন্দাবনের এই মন্দিরে।
মমতা সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তার কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ অভিযোগ করতে শুরু করেছে। সংখ্যালঘুদের তুষ্ট করতে গিয়ে মমতা ব্যানার্জি অযাচিতভাবে হিন্দু এবং হিন্দু ধর্মের উপর আঘাত করে চলেছে। সেইসাথে এই ধরনের ঘটনা ঘটার পর সরকারের উদাসীনতা দেখে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ সংশয় প্রকাশ করেছে। তবে এখনও পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে এই কর্মকান্ডের কোনো পদক্ষেপ বা কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এই বইটির লেখক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শিরিন_মাসুদ। যেখানে হরে কৃষ্ণ, হরে রাম ছাড়া চলে না। সেখানে রাম এখন বিদেশী আক্রমণকারী আর্য অসুর আর রাবণ হল সৎ লোক। এভাবে শিশুদের মস্তিষ্কে রামবিদ্বেষী চিন্তা চেতনা ঢোকাচ্ছে রাবণ সরকার। এখন রাম হচ্ছে বিদেশী আক্রমণকারী, এর পরে হয়ত কৃষ্ণকেও বিদেশী কূটনীতিবীদ বানানো হবে।
মূলত পশ্চিমবঙ্গে মমতা সরকারের আগমনের আগে সিপিএম এর বাড়বাড়ন্ত ছিল এবং সিপিএম সরকার কে পরাজিত করার জন্য মমতা সরকার সেসময় সংখ্যালঘু কিছু বুদ্ধিজীবীদের হাত ধরেছিল। যার পরে থেকে এভাবেই সংখ্যালঘু তোষণ করছে এবং সরকারি বিধি নিষেধ অমান্য করেও মাদ্রাসাগুলোকে টাকা দিচ্ছে ও মাদ্রাসা ব্যবস্থা চালু করছে বলে অনেকেই ফেসবুকে মত প্রকাশ করেছে।
মন চাইলে একটা লাইক।