ঢেকে দিয়া হল ভারতমাতার মূর্তি, খ্রিস্টান মিশনারিদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত অনায়।

তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারীর খ্রিস্টান মিশনারিরা অভিযোগ করেছেন যে ভারতমাতার একটি মূর্তি তাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে। পুলিশ তাৎক্ষণিক প্রতিমাটিকে কভার দিয়ে ঢেকে দেয়। প্রাপ্ত  সংবাদ অনুযায়ী দীর্ঘদিন ধরে সেখানকার খ্রিস্টান সম্প্রদায় বলে আসছিল ভারত মাতার  একটি মূর্তি তাদের ধর্ম অনুভূতিতে আঘাত করছে। বিষয়টি পুলিশের নজরে আসতে পুলিশ মূর্তিটি ঢেকে দেয়ার ব্যবস্থা করে।

 

সেখানকার একটা সংগঠন Indu Makkal Katchi ( Official ) বিষয়টি তাদের অফিশিয়াল পেজে টুইট করা মাত্রই সংবাদটি  সোশ্যাল-মিডিয়ায়-ভাইরাল হয়। সেইসাথে সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠে নিন্দার ঝড়। অনেকে প্রশ্ন করতে থাকে ভারতের বুকে থেকে ভারত মাতার প্রতি  এমন ধরনের কর্মকাণ্ড কখনোই কাম্য নয়। তবে এখানে আশ্চর্যের বিষয় হলো কিছু হিন্দু যুবক সেখানে এই কর্মকান্ডের  বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে শুরু করে, যার ফলে পুলিশ ওই হিন্দু যুবকদের গ্রেপ্তার করে।

 

Meowshi  নামের একজন টুইটারে মন্তব্য করেছেন- খুব শীঘ্রই তারা আমাদের মন্দির এবং ঈশ্বরের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাবে,  তারা বলতে শুরু করবে আমাদের ঈশ্বর, মন্দির তাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে। এভাবে চলতে থাকলে একদিন দেখা যাবে, রাষ্ট্র আমাদের মন্দিরগুলি বন্ধ করে দেবে এবং বাকী হিন্দুদের গ্রেপ্তার করবে। সেই সাথে সমস্ত বুদ্ধিজীবীরা চুপচাপ থাকবে আর বলতে থাকবে এটাই আমাদের ধর্মনিরপেক্ষতা।

এই পোস্টিতে আর এক মন্তব্য করেছেন- সম্পূর্ণ হাস্যকর অভিযোগ এবং স্থানীয় পুলিশ কর্তৃক পরিচালিত। যদি আমরা অভিযোগ করি যে আমার নিকটবর্তী কোনও মসজিদ বা চার্চ আমার ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করছে, তাহলে পুলিশ কি সেই জায়গাটি বন্ধ করে দেবে ?????

 

অন্য এক জন মন্তব্য করেছেন- সৌদি রাজা যখন বালিতে অবকাশ যাপন করতে যান তখন সেখানকার মূর্তিগুলোকে ঢেকে দেয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু সেই সময় সৌদি আরবের রাজার এই বক্তব্যকে বালি প্রশাসন মেনে নেয়নি। সেখানে ভারতে থেকেই ভারত মাতার মূর্তির প্রতি এমন অবমাননা এটা মেনে নেয়া যায়না।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এই সংবাদটি যখন সারা বিশ্ব সহ দেশের মধ্যে হইচই ফেলে দিলেও। এখনো পর্যন্ত কন্যাকুমারী পুলিশের তরফ থেকে কিছু জানানো হয়নি।

আমাদের সাথে থাকতে একটি লাইক দিয়ে রাখুন।