জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গভীর রাতে নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষদের ঈদ উপহার দিলেন সৌম্য।

গভীর রাতে নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষদের ঈদ উপহার দিলেন সৌম্য। বিশ্বজুড়ে মরণঘা’তী ভাইরাস করোনার কারণে সব কিছু স্থি মিত হয়ে হয়ে আছে। চলছেন লকডাউন, বাংলাদেশের এর বাইরে নয়, সারা দেশজুড়ে চলছে লকডাউন । এমন পরিস্থিতিতে দেশের  নিম্ন আয়ের মানুষের আয় করার পথ বন্ধ হয়ে গেছে। এই জটিল পরিস্থিতি থেকে উচ্চবিত্তরা বের হয়ে আসতে পারলেও নিম্নবিত্ত মানুষের জন্য খুবই কষ্টদায়ক হয়ে উঠেছে।  সেই সাথে চলছে রোজা এবং সামনে ঈদ। কিন্তু নিম্নবিত্তদের হাতে নেই কোন টাকা-পয়সা যার কারণে সামনের ঈদের আনন্দ কিভাবে কাটাবে সেটা তাদের নেই জানা। 

 

এই নিম্নবিত্ত মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য এগিয়ে আসলে বাংলাদেশের সেরা ব্যাটসম্যান ক্রিকেটার সৌম্য সরকার।যেখানে সারা  বিশ্বের মানুষ করোনা আতঙ্কে ঘর থেকে বের হতে ভয় পাচ্ছে, সেখানে সৌম্য সরকার তার নিজ এলাকার কাটিয়া মাঠপাড়া গ্রামে গিয়ে মানুষের বাড়ি বাড়ি ঈদের উপহার সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছে। একজন প্রতিভাবান ব্যাটসম্যান মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ঈদের সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছে এটা একটা বিরল ঘটনা বটে। অনেকটা নিজের জীবনের পরোয়া না করেই। তার এই মানবিকতা এলাকার মানুষ সহ সারা বিশ্বের মানুষ ভুলবে না কখনো। 27 বছরের এই প্রতিভাবান ক্রিকেটার এর প্রতি  রইল শুভকামনা।

 

সৌম্য সরকার মূলত বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের সাতক্ষীরা জেলার ছেলে।করোনা কালীন এই পরিস্থিতিতে সৌম্য সরকার সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জনগণকে সচেতন মূলক  বাতার পাশাপাশি অনেক হতদরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। সেইসাথে 27 জন ক্রিকেটারের মিলে তাদের বেতনের অর্ধেক সরকারের ত্রাণ তহবিলে দিয়েছেন তার সৌম্য সরকার ছিলেন। সে তার মাসিক বেতনের অর্ধেক অর্থাৎ 1 লক্ষ 50 হাজার টাকা দান করেছিলেন।

 

 

এছাড়াও এই বাংলাদেশের প্রতিভাবান ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকার তার জীবনের প্রথম শতক হাঁকানো   ব্যাটটি বিক্রি 4 লাখ 50 হাজার টাকা পেয়েছেন। সেই টাকা তিনি করোনা মোকাবেলার জন্য দান করবেন বলে জানিয়েছেন। সাধারনত বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা সামান্য কিছু যদি সোশ্যাল মিডিয়ায় যদি প্রকাশ পা্রেিই তাহলে সেটা ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়। দুঃখের বিষয়  সৌম্য সরকারের এই মহৎ কাজটি আসেনি কোন মিডিয়া ।

ভালোলাগলে অবশ্যই লাইক দিতে ভূলবেনা।