ব্লাসফেমি

ব্লাসফেমি: পাকিস্তানে রাতে ব্লাসফেমির স্বপ্ন (ধর্ম অবমাননা) দেখে পরদিন গলা কেটে খুন।

ব্লাসফেমি: পাকিস্তানে স্বপ্নের বশবর্তী হয়ে এক মেয়েকে হত্যা করেছে তিন নারী শিক্ষক।অভিযুক্তের এক স্বজন ভিকটিমকে স্বপ্নে ধর্ম অবমাননা করতে দেখেছিল, তারপরে তিনজন এই অপরাধ করেছিল। পুলিশ সবাইকে গ্রেফতার করেছে। 

  • পাকিস্তানের ডেরা ইসমাইল খানের ঘটনা
  • পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে
  • নিহতের গলা ধারালো জিনিস দিয়ে বিদ্ধ করা হয়েছে

 

পাকিস্তানে ব্লাসফেমির নামে আরেকটি খুনের ঘটনা সামনে এসেছে। ডেরা ইসমাইল খানে তিনজন মহিলা শিক্ষক সহকর্মীকে গলা কেটে হত্যা করেছেন। তিনজনই বলে যে মৃত ব্যক্তি পরনিন্দা করেছিল, তাই তারা এমন করেছে। আশ্চর্যের বিষয় হলো, এক আত্মীয়ের স্বপ্নের ভিত্তিতে ভিকটিমের বিরুদ্ধে ব্লাসফেমির অভিযোগ তোলেন। মঙ্গলবার এ ঘটনার পর ঐ স্বজনসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

ধর্মীয় বিষয়ে মতপার্থক্য ছিল

পাকিস্তানের দৈনিক ‘ডন’-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখেন, ওই মহিলার গলা কেটা, রাস্তার রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। এফআইআরে বলা হয়েছে যে আক্রান্তের উপর হামলায় ধারালো বস্তু ব্যবহার করা হয়েছে। অভিযুক্ত নারীদের বয়স যথাক্রমে 17, 21 এবং 24 বছর।ব্লাসফেমি এবং ধর্মীয় ইস্যুতে মতপার্থক্যের অভিযোগে তারা 21 বছর বয়সী ভিকটিমকে হত্যা করেছে।নিহত ব্যক্তি বিশিষ্ট ধর্মীয় পণ্ডিত মাওলানা তারিক জামীলের অনুসারী ছিলেন, যাকে অভিযুক্ত মহিলারা অপছন্দ করতেন।

মাদ্রাসার বাইরে লাশ

স্বপ্ন দেখছেন অভিযুক্ত নাবালক

একজন পুলিশ অফিসার বলেছেন, অভিযুক্তের 13 বছর বয়সী কিশোর আত্মীয়ের একটি স্বপ্ন ছিল যেখানে সে ভিকটিম দ্বারা সংঘটিত কথিত ব্লাসফেমি সম্পর্কে জানতে পারে  ঐ তিন জন এবং পরে তাকে হত্যা করে। পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিক তদন্তে স্বপ্নের বিবরণ সম্বলিত একটি রেজিস্টার উদ্ধার করা হয়েছে।এরপর সন্দেহভাজন তিনজনকে স্বজনসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

 

মাদ্রাসা বোর্ডের নিন্দা

অভিযুক্ত মহিলারা মেহসুদ উপজাতির এবং দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তান উপজাতি জেলার অন্তর্গত। এ ঘটনার পর মাদ্রাসার বোর্ড ‘ওয়াফাকুল মাদারিস আল আরব পাকিস্তান’ হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে একে দুর্ভাগ্যজনক বলে অভিহিত করেছে। এক বিবৃতিতে, বোর্ড ঘটনার স্বাধীন ও সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছে এবং দোষীদের গ্রেপ্তার ও তাদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগেও পাকিস্তানে ব্লাসফেমির নামে খুনের ঘটনা ঘটেছে। 

 

উল্লেখ্য – ব্লাসফেমি হল- ধর্ম অবমাননা, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও অনুরূপ আচরণ’কে অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। সাধারণত ইসলামিক দেশগুলোতে ব্লাসফেমি আইনের অনুশীলন হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে।

 

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশেও এমন কিছু ঘটনা সামনে এসেছে। ক-দিন ধরে সোস্যাল মিডিয়া  এই পোষ্টটি ঘুর পাক খাচ্ছে-

ধর্ম অবমাননা
ধর্ম অবমাননা

 

 

সোস্যাল মিডিয়া অন্য আর একটি পোষ্টে এক ব্যক্তি লিখেছেন যা ভাইরাল হয়েছে-

বরঞ্চ স্কুলে বিজ্ঞান বই পড়ানো বাদ দিন!

মুন্সিগঞ্জ সদরের বিনোদপুর রাম কানাই উচ্চ বিদ্যালয়। এই বিদ্যালয়ের সিনিয়র বিজ্ঞান শিক্ষক হৃদয় বণিক। দশম শ্রেণিতে বিজ্ঞানের ক্লাস নিচ্ছিলেন। প্রসঙ্গক্রমে ছাত্ররা দাবি করছিল স্যার বিজ্ঞান তো কোরাণ থেকে উৎপত্তি হয়েছে আর সর্বকালের সেরা বিজ্ঞানী হলো আমাদের পেয়ারে নবী মোঃ। 

 

তখন স্যার বললেন, দেখ ধর্ম আর বিজ্ঞান আলাদা বিষয়। কোন ধর্ম থেকেই বিজ্ঞান উৎপত্তি হয়নি৷ ধর্ম হলো বিশ্বাস আর বিজ্ঞান প্রমাণিত বিষয়৷ আর বর্তমান যুগের ৯০% বিজ্ঞানী ইহুদি, খ্রিস্টান। তারাতো কোরান পড়েনা। 

 

ব্যস আর যায় কোথায়। এতেই বাচ্চা পোলাপানের নুনুভূতি জাগ্রত হয়ে উঠলো। স্যারের বক্তব্য একজন গোপনে রেকর্ড করলো। সবাই প্রধান শিক্ষকের কাছে নালিশ করলো, স্যার আমাদের ধর্ম আর নবীর বিরুদ্ধে অবমাননাকর কথা বলছে, আমাদের ধর্মীয় অনুভূতি মারাত্মক আহত হয়েছে। প্রধান শিক্ষক বললেন, উনাকে কারণ দর্শাও নোটিশ দেয়া হবে এবং ৩ দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হবে। না, না ৩ দিন সহ্য হবেনা। শুরু হয়ে গেলো বিক্ষোভ। বহিরাগত লোকজনদের খবর দেয়া হলো। ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, মালাউনের ফাঁসি চাই। 

 

কি বুঝলেন?  কোথায় যাচ্ছে দেশ?  আর কোথায় যাচ্ছে নতুন প্রজন্ম? কি চিন্তা ভাবনা আর দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে এরা বড় হচ্ছে?  এই বয়সেই এদের মগজ এমনভাবে ধোলাই করা হয়েছে এবং বিশ্বাসের ভাইরাস এদের শরীরে প্রবেশ করিয়ে দেয়া হয়েছে। 

 

কেন এমন হচ্ছে? কারা করছে এদের মগজ ধোলাই? কি হবে আমাদের ভবিষ্যত?
ধর্ম নিয়ে আর লিখতে ইচ্ছে করেনা। মনে হয় আমরা তলিয়ে যাচ্ছি অতল গহবরে। আমি এবং আমার মতো ২/৪ জন কি ঠেকাতে পারবো?
Courtesy: Alauddin AL Azad

 

আর পুড়ন…..