ধ্বংসের পর, পুরনো রূপে ফিরে এসেছে ১৪০০ বছরের পুরনো ভগবান বুদ্ধমূর্তি।

ধ্বংসের করার পর, পুরনো রূপে ফিরে এসেছে ১৪০০ বছরের পুরনো ভগবান বুদ্ধমূর্তি। ধ্বংসের শিকার হওয়ার পরও আবার পুরনো রূপে ফিরে এসেছে পাকিস্তানের সোয়াত উপত্যকায় ১৪০০ বছরের পুরনো বুদ্ধমূর্তি

খাইবার পাখতুনখোয়ার সোয়াত উপত্যকার জাহানাবাদে গ্রানাইটের পর্বতের গায়ে খোদাই করে নির্মিত প্রাচীন বুদ্ধমূর্তি।

ইতালির পুরাতত্ত্ববিদ লুকা মারিয়া অলিভিয়ারি আর পাকিস্তানের পুরাতত্ত্ববিদ পারভেজ শাহিনের মতে প্রতিকৃতিটি খুব সম্ভবত ৭ম শতকে খোদাই করা হয়েছিল।

 

অর্থাৎ বিহারের পুষ্পবতী সাম্রাজ্যের বৌদ্ধ সম্রাট হর্ষবর্ধনের শাসনকালে নির্মিত হয়েছিল। ২০০৭ সালে তালিবা

পাকিস্তানের সোয়াত উপত্যকায় ১৪০০ বছরের পুরনো বুদ্ধমূর্তি
পাকিস্তানের সোয়াত উপত্যকায় ১৪০০ বছরের পুরনো বুদ্ধমূর্তি

নের রোষানলে পড়ে মূর্তিটি।বামিয়ানের ধাঁচে ডিনামাইট দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া হয় বুদ্ধের পদ্মাসনে বসা মূর্তির একাংশ।

 

এর কয়েক বছর পর ইতালির অর্থসাহায্যে এবং প্রত্নতত্ত্ববিদ লুকা অলিভিয়েরি,পারভেজ শাহিন সহ আরো কয়েকজনের প্রচেষ্টায় থ্রিডি প্রযুক্তি ব্যবহার করে সারিয়ে তোলা হয় প্রাচীন এই বুদ্ধমূর্তিটিকে।

 

পারভেজ শাহীন গভীর বেদনার সাথে জানিয়েছেন যে ইতিপূর্বে বহুবার নিজেদের দেশের প্রাচীন ইতিহাসকে ধ্বংস করে দেবার প্রয়াস চালিয়েছে মৌলবাদীরা।

 

 

 

 

তালিবানদের এই কুকর্মে বাধা দিতে গিয়ে নিহত হন পারভেজের পিতা। নিজের জীবন বিপন্ন করেও নিজের দেশের অতীতের গৌরবময় ইতিহাসকে রক্ষা করতে বদ্ধপরিকর তিনি।

তাঁর মতে প্রাচীন এই মূর্তির উপর হামলা আসলে পাকিস্তানের সভ্যতা, সংস্কৃতি

 আর ইতিহাসের উপরই হামলা।উল্লেখ্য যে এককালের মৌর্য সাম্রাজ্য ও পরে কুষাণ সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত সোয়াত উপত্যকা বৌদ্ধদের পবিত্র ভূমি হিশেবে পরিচিত ছিলো।

বজ্রযান বৌদ্ধদের কাছে এর গুরুত্ব ছিলো অপরিসীম।দ্বিতীয় থেকে চতুর্থ শতাব্দীর মধ্যে সোয়াতে হাজারো বৌদ্ধবিহার,সংঘারাম ও স্তূপ গড়ে ওঠে।প্রায় দশম শতাব্দী পর্যন্ত এখানে বৌদ্ধধর্মের প্রভাব ছিলো।

বিংশ শতাব্দী পর্যন্ত সোয়াত উপত্যকায় তীর্থযাত্রায় অনেক বৌদ্ধরা আসতেন যা ১৯৪৭ এ ভারত ভাগ হওয়ার পর আস্তে আস্তে কমে যেতে থাকে।

তথ্যসূত্রঃ