ইতিমধ্যে চীনকে বড় ধাক্কা দিয়েছে “মেক এন ইন্ডিয়ার” (MAKE IN INDIA)। স্যামসাং বিশ্বের সবচাইতে বড় মোবাইল ফোন উৎপাদন প্রতিষ্ঠান তার উৎপাদন কার্যক্রম গত দু’বছর ধরে কমিয়ে দিয়েছে। গতবছর বছরের প্রথম দিকে স্যামসাং চিনে একটি কারখানা বন্ধ করে দেওয়ার পর আগস্টে হুইঝোর কারখানায় উৎপাদন কমিয়ে দেয়। দিন দিন চীনে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি এবং আর্থিক বৃদ্ধির গতি শ্লথ এর কারণে স্যামসাং সহ অনেক কোম্পানি তাদের উৎপাদন অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তবে অ্যাপল চিনে তাদের উৎপাদন চালিয়ে যাবে।
তারই ধারাবাহিকতায় স্যামসাং এখন বিশ্বের সবচাইতে বড় মোবাইল ফোন উৎপাদন কারখানা তৈরি করেছে ভারতে। কিছুদিন আগে দক্ষিণ কোরিয়ার কোম্পানি স্যামসাং দিল্লির অদূরেই তাদের এই বিশ্বের বৃহত্তম কারখানাটি চালু করেছে। ইতিমধ্যেই এই কারখানাটি দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে ইন এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উদ্বোধন করেছে। রাজধানী নয়াদিল্লির থেকে এক ঘণ্টার দূরত্বে নয়ডা শিল্প এলাকায় এই কারখানাটি অবস্থিত।
এই কারখানাটি থেকে বছরে 120 কোটির ও বেশি মোবাইল উৎপাদন করা সম্ভব হবে! যা ভারতে চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। এই কারখানাটি প্রায় 32 একর জমির উপর নির্মিত হয়েছে যা পূর্বের স্যামসাংয়ের প্রধান কারখানার পাশে। প্রতিবছর 68 মিলিয়ন স্যামসাং ফোনের চাহিদা রয়েছে ভারতে। ধারণা করা হচ্ছে 2020 সালের মধ্যে এই চাহিদা 120 মিলিয়ন দাঁড়াবে।
স্যামসাং ইন্ডিয়ার সিইও এইচসি হংগ এ কারখানাকে ভারতের প্রতি স্যামসাংয়ের প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, মেক ইন ইন্ডিয়া প্রচারণার মাধ্যমে ভারত সরকার বিনিয়োগ বাড়ানোর যে কৌশল হাতে নিয়েছে এটি এরই একটি সাফল্য। তিনি বলেন, সরকার বৈশ্বিক কম্পানিগুলোকে ভারতে ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের ব্যাপারে উৎসাহিত করছে।
একটা সময় ভারতের সবচাইতে বেশি স্মার্টফোন বিক্রি হতো স্যামসাংয়ের। কিন্তু স্বল্প দাম এবং টেকসই হওয়ার কারণে শাওমির ফোন ভারতের বাজারে প্রথম স্থান অধিকার করে নেয়। স্যামসাং তার পূর্বের অবস্থান পুনরায় উদ্ধার করার জন্যই ভারতে বিনিয়োগ বাড়িয়েছে। গত বছর কম্পানিটি ভারতে নতুন করে ৭১৫ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দেয়। সেইসাথে ভারতের মধ্যবিত্তদের হাতের নাগালে স্মার্টফোন তুলে দেয়ার বদ্ধ পরিকল্পনা করেছে।
SM-M315F মডেলের উৎপাদনের মাধ্য দিয়ে ভারতের বাজারে স্যামসাং Manufactured শুরু করল।
- বিগ নিউজ-টিকটককে গুডবাই জানাতে পালটা ‘মিঁত্রো’। ডাউনলোড সহ দেখে নিন।
- ৩৭০ ধারা তুলে দিয়ার পর কাশ্মীরে প্রথম বিক্রি হলো জমি।-সোজসাপ্টা
- লকডাউনের মধ্যে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ীতে অর্তকিত হামলা ভাংচুর ও লুটপাট।
- চলে গেলেন ৯০ বছরের বেশি সময় না খেয়ে থাকা সেই যোগী।-সোজাসাপ্টা
- গাছ,পশু, নদীর পূজা এই ধর্মীয় রীতি কুসংস্কার না বিজ্ঞান?-সোজাসাপ্টা
তবে চায়না কোম্পানি শাওমি ভারতে তাদের উৎপাদন শুরু করার পর থেকে ক্রমাগত তাদের উৎপাদন কারখানা বৃদ্ধি করে চলেছে। বর্তমানে শাওমির ভারতে ৬টি মোবাইল ফোন উৎপাদন কারখানা রয়েছে। যা পূর্ব থেকে প্রায় তিন গুণ বেশি। এর ফলে শাওমি ভারতীয় কারখানা থেকে প্রতি সেকেন্ডে দুইটি করে স্মার্টফোন উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছে। যা কারণে ভারতের বড় বাজার পুনরুদ্ধার করার জন্য স্যামসাংয়ের এই বৃহত্তম পরিকল্পনা।
বর্তমানে ভারতে স্মার্টফোন ব্যবহারকারী রয়েছে ৩০০ মিলিয়ন। বিশ্বে চীনের পর এটিই স্মার্টফোনের দ্বিতীয় বৃহৎ বাজার। যদিও এখনো দেশটির দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ ইন্টারনেট প্রবেশাধিকার পায়নি। সিএনএন মানি।