চলে গেলেন ৯০ বছরের বেশি সময় না খেয়ে থাকা সেই যোগী।-সোজাসাপ্টা

তাঁর এক প্রতিবেশী শীতল চৌধুরী বার্তা সংস্থা এএফপি’র বলেছেন, যোগী প্রহ্লাদ  বার্ধক্যজনিত কারণে গত মঙ্গলবার সকালে মারা যান। ভারতীয় যোগী দাবি ছিলো তিনি কয়েক দশক ধরে খাবার বা জল ছাড়াই কাটিয়েছেন। এফবিআর  এর সূত্র থেকে জানা গেছে ১৯২৯ সালের আগস্ট মাসে জন্মগ্রহণ করেছিলেন যোগী প্রহ্লাদ জানি গুজরাটে। তিনি দাবী করেছেন যে তার বেঁচে থাকার জন্য যে শক্তি প্রয়োজন সেটা তিনি ধ্যান থেকেই পেতেন।

 

মঙ্গলবার রাতে শরীর খারাপ হলে “মধ্যরাতের তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তবে সেখানে উপস্থিত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।” জানির দেহটি অম্বাজিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, এটি একটি মন্দিরের জন্য বিখ্যাত শহর এবং যেখানে তিনি একটি ছোট আশ্রম তৈরি করেছিলেন তিনি সেখানে “মাতাজি” (দেবী) হিসাবে পরিচিত ছিলেন তিনি। ভক্তদের শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য দুদিন মৃতদেহ আশ্রমে রাখা হয়েছিল।

বার্তা সংস্থা এফবিআই প্রতিবেদন অনুসারে এই যোগী বসবাস করতেন গুজরাটের চারাদা গ্রামে।  দীর্ঘ কেশিক এবং দাড়িওয়ালা প্রহ্লাদ জনি – যিনি লাল পোশাক পরতেন এবং নাকের আংটি পরতেন – তিনি পশ্চিম রাজ্যের চারাদা গ্রাম থাকতেন, যেখানে তিনি যোগ ও মধ্যস্থতার একটি রুটিনে জীবন কাটিয়েছিলেন। যোগী প্রহ্লাদের এই দাবির কারণে তাকে অনেকবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছে বিজ্ঞানীরা। 

 

এমনকি ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালাম এই যুগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছেন। শুধু যোগির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়নি। তার অবস্থানরত আশ্রমের গাছগুলোর ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। তবে আশ্চর্য হলেও এটাই সত্য বিজ্ঞানীরা এর কোনো কূলকিনারা খুঁজে পায়নি। ২০১০ সালে ডিফেন্স ইন্সটিটিউট অব ফিজিওলজি অ্যান্ড অ্যালাইড সায়েন্সেস (ডিআইপিএএস) এবং ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপম্যান্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও) এর বিষয়টা যখন তাদের নজরে আসে। 

 

 

সম্পূর্ণ একটা আলাদা পরিবেশে কঠোর পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে ১৫ দিনের একটা রিপোর্ট তৈরি করা হয়। তার এমআরআই, আল্ট্রাসাউন্ড, এক্স-রে এবং সূর্যালোকের নিচে বিরামহীন ভিডিও রেকর্ড করা হয়। তাঁর অঙ্গ, মস্তিষ্ক এবং রক্তনালীগুলির স্ক্যান করেছিলেন এবং তার হৃদয়, ফুসফুস এবং স্মৃতিশক্তি পরীক্ষা করে। সব পরীক্ষা শেষে বিজ্ঞানী এবং ডাক্তারা তার এই দাবিকে ভুল প্রমাণ করতে পারেনি।  তবে চিকিৎসকরা বলেছেন যে কোনও ব্যক্তি খাবার বা পানি ছাড়া দীর্ঘ সময় ধরে বেঁচে থাকতে পারবেন না।

আমাদের সাথে থাকতে লাইক দিন……………

 

সোজাসাপ্টা/এএফপি