জো বাইডেন প্রশাসনের

জো বাইডেন প্রশাসনের একেবারে অন্দরমহলে বাঙালী সোনামুখীর সোহিনী চট্টোপাধ্যায়।

জো বাইডেন প্রশাসনের একেবারে অন্দরমহলে বাঙালী সোনামুখীর সোহিনী চট্টোপাধ্যায়। মণিমাণিক্য খচিত বাঙালীর মুকুটে একের পর এক রত্ন যোগ হয়ে চলেছে। এবারে জো বাইডেন প্রশাসনের একেবারে অন্দরমহলে বাঙালী। সোনামুখীর সোহিনী চট্টোপাধ্যায় নিযুক্ত হলেন রাষ্ট্রপুঞ্জে নিযুক্ত আমেরিকার রাষ্ট্রদূতের নীতি-পরামর্শদাতা।

বারাক ওবামার রাজত্যকালে তিনি ছিলেন আমেরিকার নীতি-উপদেষ্টা ( আন্তর্জাতিক উন্নয়ন )। কলেজছাত্রী থাকাকালীন অবস্থায় তিনি কলকাতায় এসে মাদার টেরিজার মিশনারিজ অব চ্যারিটির সঙ্গে কয়েক মাস কাজ করে যান।

কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতোকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পর সোহিনী জন্স হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ” আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ” নিয়ে আরেকবার স্নাতোকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।

বিডেন, যিনি আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির সাথে বৃহত্তর সম্পৃক্ততায় ফিরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন,তিনি সাবেক রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাজনৈতিক নিয়োগকারী কেলি ক্রাফ্টের স্থলাভিষিক্ত হবেন।

আইনজীবী চ্যাটার্জি সম্প্রতি কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড পাবলিক অ্যাফেয়ার্সের অনুষদে ছিলেন এবং তিনি কৌশলগত ও আন্তর্জাতিক স্টাডিজ সেন্টারের সিনিয়র সহযোগী ছিলেন।

তিনি আইনী সংস্থা স্টেপটো অ্যান্ড জনসনের আন্তর্জাতিক গ্রুপের একজন আইনজীবীও ছিলেন। 

বিডেন তাঁর প্রশাসনের কমপক্ষে ২০ জন ভারতীয় আমেরিকানকে নাম দিয়েছেন। এর মধ্যে নীরা ট্যান্ডেনকে মন্ত্রিসভা পদমর্যাদার অফিস অফ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড বাজেটের পরিচালক হয়েছেন; সার্জন জেনারেল হওয়ার জন্য বিবেক মুর্তি এবং সহযোগী অ্যাটর্নি জেনারেল হিসাবে ভানিতা গুপ্তা নাম এসেছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মন্ত্রিপরিষদের পদ পাওয়া প্রথম ভারতীয় আমেরিকান, নিকি হ্যালি ট্রাম্পের দ্বারা ইউএন স্থায়ী প্রতিনিধি হিসাবে নিযুক্ত হন।

সোহিনী চট্টোপাধ্যায় ইতিমধ্যে তিনি ডিউক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনের পঠনপাঠনও সম্পূর্ণ করেন। প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য তাঁর পিতা শ্রী স্বদেশ চট্টোপাধ্যায় ভারত-আমেরিকা সম্পর্ক মজবুত করার বিষয়ে বিশেষ অবদানের জন্য 2001 সালে ভারত সরকার প্রদত্ত পদ্মভূষণ সন্মানে ভূষিত হন।

বাঙালী হিসাবে গর্বিত আমরা সোহিনীর কৃতিত্ত্বকে সন্মান জানাই। তাঁর জন্য রইল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।জয় পঃ বঙ্গ। জয় বাঙালী।

 

আরো পড়ুন…..