কবিগুরুর শান্তিনিকেতন

নব‍্য তালেবান তৃণমূল কংগ্রেস ধ্বংস করছে কবিগুরুর শান্তিনিকেতন – কৃত্তিবাস ওঝা

নব‍্য তালেবান তৃণমূল কংগ্রেস ধ্বংস করছে কবিগুরুর শান্তিনিকেতন। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত শান্তিনিকেতনের ভূমি দখল করতে মরিয়া স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস। সম্প্রতি স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক নরেশ বাউরির নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেসের ভূমিদস্যুরা, বুলডোজার দিয়ে ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা মাঠের সীমানা প্রাচীর গুঁড়িয়ে দিয়েছে এবং ক্ষমতাসীন তৃণমূল সন্ত্রাসীরা শান্তিনিকেতন-এর অভ্যন্তরে ব্যাপক ভাঙচুর ও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে।

 

কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রতিষ্ঠিত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘটিত এই ধ্বংসলীলার প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন – “এটা ঐতিহ্য রক্ষা”। নবান্নে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলাকারী ভূমিদস্যুদের অপতৎপরতাকে প্রকাশ‍্যে বাহবা দিয়ে বলেছেন যে, দখলদারিত্বের ঐতিহ্য রক্ষায় তিনি গুণ্ডা খেতাব দিতেও পিছপা হবেন না।

কবিগুরুর শান্তিনিকেতন
কবিগুরুর শান্তিনিকেতন

বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করেছেন, দ্বিতীয় তালিবানি শক্তি পশ্চিমবঙ্গ শাসন করছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করে বলেছেন, “তৃণমূল কংগ্রেস ঐতিহ্য নিয়ে গর্ব করলেও তারা বিশ্বভারতীর পাঁচিল ভেঙেছে। তৃণমূল কংগ্রেস বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার মিথ্যা অভিযোগ করেছিল বিজেপির বিরুদ্ধে; অথচ তারাই আজ রবীন্দ্রনাথের শান্তিনিকেতন গুঁড়িয়ে দিয়েছে।”

দিলীপ ঘোষ আরোও বলেন,”যে রাজ‍্যে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সুরক্ষিত নন, সেখানে বাংলা আর বাঙালি কতটা সুরক্ষিত – সেটা ভাবতে হবে। শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্য আজ বিপন্ন। বাইরে থেকে লোক আনা হয়েছে,গণ্ডগোল ও ভাঙচুর করার জন্য। যার নেতৃত্ব দিয়েছে স্থানীয় তৃণমূলের বিধায়ক। চক্রান্ত করে ভূমি মাফিয়ারা বিশ্বভারতীর জমি লুঠ করছে। আর দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তামাশা দেখেছে পুলিশ।”

এদিকে শান্তিনিকেতনের ধ্বংসলীলার প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছেন অমর্ত্য সেন সহ পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত সেক্যুলার বুদ্ধিজীবীরা। পৃথিবীর প্রাচীনতম নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংস করেছে তুরস্কের খেলাফতপন্থী ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজী। মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় তুরস্কের সেই খেলাফত পন্থীদের সঙ্গে দহরম মহরম ভারতীয় সেক্যুলারদের।

 

মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর ষড়যন্ত্রে ভারতের সেক‍্যুলার হিন্দুরা তুরস্কের যে খেলাফত আন্দোলন-এ অংশগ্রহণ করেছিল, আজকের দিনের তালেবান, আল কায়েদা, আইএস প্রভৃতি উগ্রবাদী সংগঠন তুরস্কের সেই খেলাফতপন্থী রাজনীতির যোগ্য উত্তরসূরী।

এজন্যই আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিতে তালেবান, আল কায়েদা, আইএস প্রভৃতি উগ্রবাদী সংগঠন যে তাণ্ডবলীলা চালাচ্ছে – সাধারণত সেই সব অপকর্মের প্রতি প্রচ্ছন্ন সমর্থন জানায় অমর্ত্য সেনের মতো হিন্দু নামধারী সেক্যুলার বুদ্ধিজীবীরা।

 

পাকিস্তান প্রভাবিত মমতা ব্যানার্জীর তৃণমূল কংগ্রেস সরকার, পশ্চিমবঙ্গের বিদ্যালয়গুলোতে সনাতন ধর্ম শিক্ষা বন্ধ করে দিয়ে, ইসলাম ধর্ম ও মাদ্রাসা শিক্ষা প্রসারে ৪০১৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। মমতা ব্যানার্জীর নব্য তালেবান সরকার, সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়ে রাজ্যবাসীর উপর মাদ্রাসা শিক্ষা চাপিয়ে দিতে – কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতন ধ্বংস করে ফেলার ষড়যন্ত্র-এ লিপ্ত রয়েছে।

কবিগুরুর শান্তিনিকেতন কবিগুরুর শান্তিনিকেতন কবিগুরুর শান্তিনিকেতন কবিগুরুর শান্তিনিকেতন

 

লেখক-কৃত্তিবাস ওঝা,ভূরাজনৈতিক বিশ্লেষক।
লেখকের আরো লেখা……

শীর্ষ অস্ত্র রপ্তানিকারক রাষ্ট্রে পরিণত হতে চলেছে ভারত – কৃত্তিবাস ওঝা