ওয়াশিংটন ডিসি

যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির ঐতিহাসিক তাৎপর্য রয়েছে, পুরো ইতিহাস জানুন

যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির ঐতিহাসিক তাৎপর্য রয়েছে, পুরো ইতিহাস জানুন। ওয়াশিংটন ডিসি আমেরিকার রাজধানী, বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ এবং এই শহরের ইতিহাস প্রায় 200 বছরের পুরনো। এই স্থানটি শুধু আমেরিকার রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু নয়, গোটা বিশ্বের রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু।

ওয়াশিংটন ডিসিকে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী রাজধানীও বলা হয়, যা 1800 সালে আমেরিকার রাজধানী করা হয়েছিল। এর আগে 1790 সালে, নিউইয়র্ক এবং তারপর 1791 সালে, ফিলাডেলফিয়া ছিল আমেরিকার রাজধানী। এটি সেই সময়ের কথা যখন আমেরিকা ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা পেয়েছিল, আমেরিকার প্রথম রাষ্ট্রপতি ছিলেন জর্জ ওয়াশিংটন।

ওয়াশিংটন ডিসির ইতিহাস

জর্জ ওয়াশিংটন আমেরিকার নতুন রাজধানী পোটোম্যাক নদীর তীরে করার কথা বলা হয়েছিল। এর জন্য এটি ভার্জিনিয়া এবং মেরিল্যান্ডের মধ্যবর্তী স্থান নিরবার্চন করা হয়েছিল। পরবর্তীতে এই স্থানের নামকরণ করা হয় ওয়াশিংটন ডিসি, যা আজকের আমেরিকার রাজধানী । এটি 1800 সালে প্রতিষ্ঠিত হয়, যখন হোয়াইট হাউসও প্রস্তুত শেষ হল, কিন্তু 1812 সালে ব্রিটেন আমেরিকা আক্রমণ করে এবং এই যুদ্ধ তিন বছর স্থায়ী হয়।

ওয়াশিংটন ডিসি যুদ্ধে অনেক ক্ষত হয়

যুদ্ধের সময় ব্রিটেন ওয়াশিংটন ডিসি দখল করে এবং হোয়াইট হাউসে আগুন ধরিয়ে দেয়। এই যুদ্ধের পর, ব্রিটেন 1815 সালে আমেরিকা থেকে ফিরে আসে, কিন্তু এই যুদ্ধে ওয়াশিংটন ডিসি যে ক্ষত হয় তা কখনোই সারতে পারে নাই। এই যুদ্ধের পর, ওয়াশিংটন ডিসিতে অনেক জাদুঘর নির্মিত হয়েছিল এবং হোয়াইট হাউসটিও পুনর্নির্মাণ করা হয়েছিল। মজার ব্যাপার হল, ওয়াশিংটন ডিসির নাম জর্জ ওয়াশিংটনের নামে রাখা হলেও তিনি কখনো হোয়াইট হাউসে থাকেননি।

ওয়াশিংটন ডিসির ইতিহাস 200 বছরের পুরনো

ওয়াশিংটন ডিসি আমেরিকার রাজধানী, বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশের রাজধানী এবং এই শহরের ইতিহাস প্রায় 200 বছরের পুরনো। এই স্থানটি শুধু আমেরিকার রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু নয়, গোটা বিশ্বের রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু। এখানে প্রণীত নীতি কোনো না কোনো কারণে সমগ্র বিশ্বে প্রভাব ফেলে। এই শহরটি 17 জুলাই 1790 সালে তৈরি করা হয়েছিল। শহরের প্রতিষ্ঠাতা এবং আমেরিকার প্রথম প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটনের নামে এই শহরের নামকরণ করা হয়েছে। তিনি এই সুন্দর শহরটিকে আমেরিকার রাজধানী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। আমেরিকার এই সবচেয়ে শক্তিশালী শহরটি মেরিল্যান্ড এবং ভার্জিনিয়ার ভূমিতে নির্মিত হয়েছিল। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এর সীমানা বাড়তে থাকে এবং এই শহর আরো সুন্দর হয়ে ওঠে।

Washington, D.C
Washington, D.C

ওয়াশিংটন ডিসি আমেরিকান ইতিহাস সম্পর্কিত টুকরো দিয়ে সজ্জিত

1812 সালে আমেরিকা এবং গ্রেট ব্রিটেনের মধ্যে যুদ্ধে ব্রিটিশ সেনাবাহিনী ওয়াশিংটনের নিয়ন্ত্রণ নেয়। এই দুর্দান্ত শহরটি যুদ্ধের আগুনে পুড়ে গিয়েছিল এবং এই আগুনে ভবনগুলিকে বিশ্ব রাজনীতির কেন্দ্র বলা হয় অর্থাৎ হোয়াইট হাউস। ব্রিটেনের সাথে যুদ্ধে ক্যাপিটল বিল্ডিং এবং কংগ্রেস লাইব্রেরিও খারাপভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরে, এই সমস্ত ভবনগুলি পুনর্নির্মাণ করা হয়েছিল এবং শহরটি পুনর্বাসিত হয়েছিল। এই পুরো শহরটি আমেরিকান ইতিহাস সম্পর্কিত ছোট ছোট টুকরো দিয়ে সজ্জিত এবং এই ভবনগুলো আমেরিকার ইতিহাসের খারাপ এবং ভাল সময়ের গল্প বলে।

ওয়াশিংটন ডিসিতে অনেক স্মৃতিসৌধ নির্মিত হয়েছে

ওয়াশিংটন ডিসিতে এমন সব মানুষের স্মৃতিসৌধ রয়েছে যারা আমেরিকার ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।তাদের মধ্যে রয়েছে লিঙ্কন মেমোরিয়াল, যা আমেরিকার 16 তম রাষ্ট্রপতি আব্রাহাম লিংকনকে উৎসর্গ করা হয়েছে। এই স্মৃতিসৌধ এই শহরের একটি বিশেষ পরিচয়। এখানে জেফারসন মেমোরিয়ালও রয়েছে, যার নাম আমেরিকার তৃতীয় প্রেসিডেন্ট টমাস জেফারসনের নামে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া, মার্টিন লুথার কিং, জুনিয়র মেমোরিয়াল এবং ফ্রাঙ্কলিন ডেলানো রুজভেল্ট মেমোরিয়াল আমেরিকার ইতিহাসের সঙ্গে যুক্ত এই মহান ব্যক্তিদের গল্প আজকের প্রজন্মের কাছেও  উদাহরণ।

মহাত্মা গান্ধীকে উৎসর্গ করা স্মারক

শুধু আমেরিকান কেন, সেখানে ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীকে উৎসর্গ করা একটি স্মারকও রয়েছে, যিনি বিশ্বকে অহিংসার পাঠ শেখিয়েছিলেন। মহাত্মা গান্ধীকে উৎসর্গ করা স্মৃতিস্তম্ভ শুধু একটি উদাহরণ, কারণ বিশ্বের মহান মানুষ এবং সংস্কৃতির সাথে সম্পর্কিত অনেক বিশেষ ভবন রয়েছে, যা এই শহরের একটি অবিস্মরণীয় চিহ্ন। এই সমস্ত ভবন ওয়াশিংটন ডিসিকে বিশ্বের যেকোনো দেশের রাজধানী থেকে আলাদা করে তোলে।

আর পড়ুন..