অশ্বিনী কুমার দত্তের নামে বরিশাল কলেজের নাম!

অশ্বিনী কুমার দত্তের নামে বরিশাল কলেজের নাম! ফুঁসে উঠেছে জনতা।

অশ্বিনী কুমার দত্তের নামে বরিশাল কলেজের নাম! ফুঁসে উঠেছে জনতা। সরকারি বরিশাল কলেজের নাম অপরিবর্তিত রাখার দাবি। সাম্প্রতিক সময় পাকিস্তানের সরকার ইসলামাবাদে ইসকন মন্দির করার ঘোষণা দিয়েছিল এবং সেই অনুযায়ী কাজ শুরু হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তানের মতন 95% মুসলিম জনসংখ্যার দেশে ইসকন মন্দির প্রতিষ্ঠিত হবেই এটা তো ভয়ংকর ব্যাপার। তাই জনতা পথে নেমে প্রতিবাদ স্বরূপ বোমা মেরে উড়িয়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

 

একপর্যায়ে সরকার বাধ্য হয়ে সেই মন্দির নির্মাণের কাজ স্থগিত করেছে। এই বিষয়টি নিয়ে সারা বিশ্বের থেকে নিন্দার ঝড় উঠেছে। কিন্তু তাতে কী যায় আসে দেশটির নাম তো পাকিস্তান। কিছুদিন আগে মুম্বাইতে এক তরুণী মজিতের লাউড স্পিকার সাউন্ড বেশি থাকায় তার প্রতিবাদ করে। পরবর্তীতে সেই তরুণীকে আইনের আওতায় নেয়া হয়েছে। কিন্তু আপনি পাকিস্তানের এমন টা আশা করতে পারেন!?

 

এবার আসুন আরো ভয়ঙ্কর তথ্য দিচ্ছি নিচে..

সেই পাকিস্তানের দেখাদেখি বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সময়ে একটি ভয়ঙ্কর নিউজ সামনে এসেছে। পাকিস্তান তো হিন্দু মন্দির করতে চেয়েছিল আর বাংলাদেশের একজন হিন্দুর নামে কলেজের নামকরণ করার প্রস্তাবে ফুঁসে উঠেছে জনসাধারণ। সাম্প্রতিক সময়ে সরকারি বরিশাল কলেজের নাম পরিবর্তন করে অশ্বিনী কুমার দত্তের নামে করার একটি প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠান বরিশালের জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান। এ প্রস্তাবে নাখোশ হওয়ায় সম্মিলিতভাবে এ আন্দোলন শুরু হয়।

 

তবে এখানে মজার বিষয় হলো আওয়ামী লীগ বিএনপি-জামাত ঐক্য বদ্ধ ভাবে আন্দোলন শুরু করেছে বাংলা ট্রিবিউন সংবাদ প্রকাশ করেছে। এখানে একটা বিষয় উল্লেখ না করলেই নয় বাংলাদেশের আওয়ামী লীগ, বিএনপি-জামাত এই তিনটে দল একে অপরের নাম পর্যন্ত শুনতে পারে না। কিন্তু কলেজের নামকরণ এ বিষয়ে তারা কিভাবে ঐক্যদ্বুদ্ধ হলো সেটাই এখন বিস্ময়কর বিষয়।

 

 

অশ্বিনী কুমার দত্তের নামে বরিশাল কলেজের নাম!

 

হিন্দু সম্পত্তি দখল করতে, রসরাজের মত কাউকে ফাঁসাতে এরকম জাতীয় ঐক্য চোখে পড়ে। বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক ঋত্বিক ঘটকের বাড়ি ভেঙ্গে সাইকেল গ্যারেজ বানানোর সংবাদে সুফিবাদী ইসলামিক কমিউনিস্ট ফরহাদ মজহার বলেছিলেন, বাংলাদেশে ঋত্বিক ঘটকের কোন অবদান নেই। কাজেই তার স্মৃতি কেন বাংলাদেশের জনগণ ধরে রাখবে? এব্যাপারে জামাত বিএনপি আওয়ামী লীগ সবাই মোটামুটি একমত। কারণ সম্পত্তি তো হিন্দুর।

 

তবে ইনারা কিন্তু বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের নাম নিয়ে টু শব্দ করে না। বাংলাদেশ ইয়েমেনের শাহজালালের নামে বিমানবন্দর হতে পারলেও অশ্বিনী কুমার দত্তের নামে একটা কলেজ হতে পারে না!  এভাবে একদিন মুছে ফেলতে হবে বাংলাদেশ  হিন্দু ছিলো!  মুছে ফেলতে হবে দেশভাগের ইতিহাস নতুন প্রজন্মকে জানতে দেয়া যাবে না এদের পূর্বে হিন্দুদের ছিল। এখানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো যে বাড়িটা অশ্বিনী কুমারের ছিল সেই বাড়িতেই কিন্তু কলেজ নির্মাণ হয়েছে। অশ্বিনী কুমার দত্তের বাড়িকে কলেজ নির্মাণ করা হলেও তার নামে কলেজ হতে পারবে না, কি মজা না!?

অশ্বিনী কুমার দত্তের নামে বরিশাল কলেজের নাম! ফুঁসে উঠেছে জনতা।

আন্দোলনকারী ছাত্ররা জানায় এই কলেজ প্রতিষ্ঠায় আছে সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুর রহমান বিশ্বাসের অবদান। পরোক্ষভাবে বলা হলো যেন কলেজের নাম হতে হলে তাদের নামেই হতে হবে। হোক না আবদুর রহমান বিশ্বাস রাজাকার ছিলো! অশ্বিনী কুমার দত্তের বাড়ি তো এনিমি প্রোপার্টি ছিলো। কাজেই শত্রুর নামে কলেজের নাম না করে রাজাকারের নামে করাটা অনেক যুক্তিযুক্ত। শত হলেও সে মুসলমান! আর পাকিস্তান তো আমরাই করেছিলাম! পাকিস্তান আবার আমরাই ভেঙ্গে ছিলাম। তাই বলে কি আবদুর রহমান বিশ্বাসের চাইতে অশ্বিনী কুমার দত্তের বেশি আপন?  তাই বুঝি হয়!

 

পাঠক এক সময় মানুষ ভাবতো পাকিস্তান যেহেতু গুড়া অন্ধ ধর্মের মধ্যে আছে সেহেতু ওখান থেকে ভালো কিছু কখনোই আশা করা যায় না। পাকিস্তান তো একটা মন্দির বন্ধ করেছে সেটা অস্বাভাবিক না পাকিস্তানের মতন দেশে। আপনি আমি কি বুঝতে পারছি তার এই ছোট ভাই নিজেদেরকে দাবি করে যারা। তারা তাদের থেকেও এককাঠি উপরে। যে ব্যক্তির বাড়িতে কলেজ প্রতিষ্ঠিত হলেও সেই ব্যক্তির নামে কলেজ যাবে সেখানেও প্রতিবাদ। এখন ভাবুন পাকিস্তান বাংলাদেশে কোন পথে চলছে। আর আমি আপনি সেকুলারিজমের মন্ত্র জব করি বসে।

পাঠক এখনো সময় আছে ভাবুন বাবার প্র্যাকটিস করুন।

সুত্র: Banglatribune.com