অমর বীর কাহিনী-মধুসূদন মজুমদার।

১। গ্রীকবিজেতা বসুমিত্র ২। প্রজারনে গােপালদেব ৩। দেবপুত্র জলৌক ৪। চালুক্যরাজ পুলকেশী ৫। নব সাহসাংক ভােজরাজ ৬। শহিদ নরপতি দাহির ৭। কাপুর সিং ও দল-খালসা ৮। আহােমরাজ শশায়েম্পা ৯। কোচপতি বিশ্বসিংহ ১০। জাঠরাজা সুরমল ১১। সাতবাহন গৌতমীপুত্র ১২। কাশীর রানি দিন্দা ১৩। কুরুথানজয়ী রণশর ১৪। বশাধিপ জয়নাগ ১৫। রাষ্ট্রকুটসম্রাট গােবিন্দ ১৬। উৎকলরাজ নরসিংহ চোড়গঙ্গ ১৭। চেরা-কেশরী শংকরীপাদ ১৮। তেরাে নদীর রাজা গােপচন্দ্র ১৯। সিঙ্গেরি-দুর্গমিনী সুদক্ষিণা ২০। হরি সিং নালওয়া ২১। ছত্রপতি শিবাজী ২২। শকারি শাতকণি ২৩। বাংলার দুলাল মহীপাল ২৪। রানা কুম্ভ ২৫। চালুক্যচক্রবর্তী তৈলপ আহবম ২৬। রণশ্বর কুজ বিবর্ধন ২৭। লাল্লিয়াশাহী উভাঙপুরী 

 

 

গ্রিকবিজেতাবসুমিত্র 

মৌর্য সম্রাটদের আর সেদিন নেই। 

রাজধানী পাটলিপুত্রের কী দুর্গতি তার দ্বারদেশ পর্যন্ত ধেয়ে ধেয়ে আসে বিদেশি বিধর্মী হানাদারেরা। এরা গ্রিবংশীয়। সেকেন্দার শাহের সেই দিগ্বিজয়ী সেনার সঙ্গে এদের পূর্বপুরুষেরা এসেছিল গ্রিস বা মাসিদোনিয়া থেকে। সম্রাট যখন দেশের পথে যাত্রা করলেন, এরা আর সঙ্গ নিল না তার। এশিয়াখণ্ডে ঐশ্বর্য বেশি, রাজ্যথাপনের সুযােগ যত্রতত্র, এমন সােনার সম্ভাবনাপূর্ণ স্থান ছেড়ে দরিদ্র গ্রিসে তারা ফিরে যাবে কিসের মােহে? 

তারা গেল না, কালক্রমে অনেকেই রাজা বাদশা বনে গেল ইরানে, তুরানে, গারে, পনদে। ছােটো ছােটো রাই প্রথমে গড়ে উঠেছিল, গ্রিসদেশের অতিক্ষুদ্র নগররাষ্ট্রগুলির ধাঁচে। কিন্তু অকথার চাপে এবং স্বার্থবুদ্ধির তাড়নায় এই রাষ্ট্রগুলি কালক্রমে পরস্পরের সঙ্গে মিশে গেল, সৃষ্টি হল কয়েকটি শক্তিমান সাজোর।। 

এসব সাম্রাজ্যের কর্ণধারেরা নির্বিচারে আগ্রাসী নীতি অনুসরণ করত মধ্য-এশিয়ায় ও হিন্দুস্থানে। মহাদেশের অনন্ত বিস্তার সমুখে পড়ে আছে, ধনে জনে সমৃদ্ধ স্বর্ণপ্রসূ দেশ। ঘােড়া ছুটিয়ে চলে যাও, আর লুটেপুটে নিয়ে এস যা কিছু সমুখে পড়ে রমণীয় বা লােভনীয়। ভারতকে তারা শ্মশান করে ছেড়েছে। 

শেষ মৌর্য সম্রাট, বৃহদ্রথ— 

অকর্মণ্য কিন্তু জেদি। সাম্রাজ্য তাঁর সংকুচিত হতে হতে মগধের সীমার মধ্যে এসে ঠেকেছে, কিন্তু দন্তের তঁার এতটুকু কমতি নেই। এখনাে কথা বলেন চন্দ্রগুপ্তীয় চড়া পর্দায়। সেনাপতি পুষমিত্র একদিন 

 

Free E-Book অমর বীর কাহিনী-মধুসূদন মজুমদার।