রোহিঙ্গা কারা ? কোথা থেকে এসেছে এরা? কেনই বা আজ এদের এমন পরিস্থিতি?

উদ্বাস্তু রোহিঙ্গা

বর্তমান পৃথিবীর একটা আলোড়ন সৃষ্টিকারী বিষয় হলো রোহিঙ্গা এবং রোহিঙ্গা জাতির সমস্যা। বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বেশি উদ্বাস্তু জাতীর নাম হলো রোহিঙ্গা। বাংলাদেশ, ভারত সহ সারা বিশ্বে প্রায় ১০ লক্ষর উপরে রোহিঙ্গা আজ উদ্বাস্তু। এর মধ্যে ৮-৯ লক্ষ বাংলাদেশে ৪০-৬০ হাজার ভারতে বাকিরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে আছে। যাদের কারণে বা যে কারণে এরা আজ উদ্বাস্তু তারা চিন্তিত না থাকলও আজ বাংলাদেশ, ভারত সহ পাশ্চাত্যের অনেক দেশই রোহিঙ্গাদের এই করুণ দুর্দশা নিয়ে খুবি উদগ্রীব। এরা যেমন নিজেরা সমস্যা মধ্যে আছে, তেমনি এদের নিয়ে বিশ্বে আজ গভীর সংকটে। শত ব্যাস্তার মাঝে আমি সেই বিষয়ে আপনাদের কাছে কিছু অজনা তথ্য তুলে আনার চেস্টা করেতেই আমার  এই গবেষণার।

রাক্ষসেদের দেশ

বন্ধুরা, আপনারা হয় তো মা, ঠাকুমা, দিদার কাছে একটা দেশের কথা বিভিন্ন গল্পের মাধ্যমে শুনে থাকবেন। “রাক্ষসেদের দেশ’’ হ্যাঁ, সেই রাক্ষসেদেশ বা রাক্ষপুরী আর কোন দেশ না, সেটা আজকের রাখাইন। এই রাখাইন শব্দটি উৎপত্তি পালিশব্দ “রাক্ষপুরা’’ যাকে সংস্কৃতে রাক্ষসপুরা বলে যার অর্থ রাক্ষসদের এলেকা বা রাক্ষসদের দেশ। মহভাতেও এই রাক্ষসদের দেশের কথা উল্লেখ আছে। ঐ সময় এই অঞ্চলে যে জাতি বাস করত তারা ছিলো নেগ্রিটো অধিবাসি। তাদের কাজ-কর্ম অকেটা ধর্মীয় রাক্ষসদের সাথে মিল ছিল। সম্ভবত সেই  “রাক্ষপুরির’’ কারণেই  কালে বিবর্তনেই এই অঞ্চলে নাম রাখাইন হয়। এখন পাঠক, নিশ্চই মনে ঘুর-পাক খাচ্ছে এই আধুনিক সময়ে এসেও তারা তাদের সেই নাম পরিবর্তন কেন করেনি? কি ঠিক ধরলাম তো? ‘পিকচার আবি বাকি হে ম্যারে দোস্ত!’ রাখাইনরা আপনার, আমার মতন আহমক না। যে কেউ কি বলল বা কেউ আপনার উপর কিছু চাপিয়ে দিলো আর সঙ্গে, সঙ্গে পরিবর্তন করে শিকড় থেকে দূরে চলে গেলাম। কি গায়ে লাগল? ফিরে যান সেই সিন্ধু সভ্যতাই আর জানুন কিভাবে সিন্ধু জাতি আজ হিন্দু জাতি হয়ে গেল। যাক আমি আজ ঐ আলোচনাই যেতেই চাই না। আপনার বললে আর এক দিন সেটা নিয়ে আলোচনা করব। আরে মিয়া, এতো প্যাচাল না মায়ারা মূল ঘটনা কি খুইলা কন। হ, হ আয়তাছি, রাখাইনরা তাদের নিজেদের ঐতিহ্য এবং নৈতিকতা যাতে মুছে না যায় তার জন্য আজও এই নাম গর্ভের সাথে ধারণ করে চলেছে। তারা এটা বিশ্বাস করে যে রাখাইন শব্দেটা আজও তাদের জাতিসত্ত্বা ধারণ করে চলেছে। তারা তাদের ভাষায় অর্থৎ রাখাইনদের ভাষায় তাদের রাজ্যকে রাখাইনপ্রে নামে ডাকে।

রোহিঙ্গা শব্দটা কি ভাবে এলো

এতক্ষণ আমরা আলোচনা করলাম রাখাইন শব্দ টা কিভাবে কোথা থেকে এসেছে । আসুন এবার ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি কিভাবে কোথা থেকে আসলো দেখি। রহম শব্দের অর্থ “ আল্লার আশীর্বাদ” আর  আরবী শব্দ “রহম”  থেকেই উৎপত্তি ‘রোহিঙ্গা’ শব্দের । নবম দশকের দিকে যখন আরব ব্যবসায়ীরা ব্যবসার জন্য আসতো রাখাইনে ওই সময় তাদের সাথে কিছু সংখ্যক ধর্ম প্রচারক আসতো। তারা রাখাইন অঞ্চলে ইসলাম ধর্মের প্রচারের কাজ করতো এর ফলে যে সমস্ত রাখাইনরা ধর্ম পরিবর্তন করতো তাদেরকেই বলা হতো রহং । পরবর্তীতে এই রহং থেকে রোহিং= রোহিংগা শব্দের উৎপত্তি। আর এই রহং রা যে এলেকায় থাকত তার নাম হলো ‘রোহাং’। অর্থাৎ আল্লাহর আশীর্বাদ প্রাপ্ত সম্প্রদায় প্রথম দিকে আসলে রোহিঙ্গা বলা হতো না । যারা ধর্ম পরিবর্তন করে আসতো তাদেরকে রহং বলা হত ধর্ম পরিবর্তন করার ফলে একটা নতুন সম্প্রদায় তৈরি হয়। আস্তে, আস্তে সেই রহং থেকেই রোহিঙ্গা শব্দটা এসেছে। নৃতত্ব বিদ জ্যাকুইজ লেইডার এর মতে, ১৯৯০ সাল পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের ‘চিট্টাগংনিয়ান’ নামে ডাকা হত। কারণ রাখানের যারা স্থানীয় রোহিঙ্গা ছিলো তার কয় এক গুন লোক বাংলাদের চট্রগ্রাম এলেকা থেকে এসে রাখানেই মুসলিম সম্প্রদায়ের সাথে বাস করতে থাকে। যার দরুন এদের কে আবার “চিটাগাঙ্গী বাঙ্গালী’ বলা হতো।

আরাকানের ইতিহাস

প্রাচীন ভারতে ইতিহাসে সব চেয়ে বৃহত্তম সাম্রাজ্য ছিলো মৌর্য্য সাম্রাজ্য। মগধকে কেন্দ্র করেই গড়ে ওঠে এই মৌর্য্য সাম্রাজ্য। এর রাজধানী ছিলো পাটলিপুত্রতে। সবচেয়ে অবাক করার বিষয় ভারতবর্ষের ইতিহাস মৌর্য্য সাম্রাজ্য থেকে বড় সাম্রাজ্য আর পরে তৈরি হয়নি। নন্দ রাজবংশ উচ্ছেদ করে এই সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য্য। একটা পর্যায় মৌর্য্য সাম্রাজ্য এতো টাই শক্তিশালী হয়ে উঠে যে, পুরবের মূল ভারতবর্ষ থেকে হারিয়ে যাওয়া পশ্চিমের রাজ্যগুলিকে পুনরায় মূল ভারতবর্ষের সাথে যোগ করতে সক্ষম হয় মৌর্য্য সাম্রাজ্য। মৌর্য্য সাম্রাজ্য শক্তির কাছে আলেকজান্ডারের সেনাবাহিনীর পশ্চাৎ অপসারণ হতে বাধ্য হয়। যার ফলে ভারতবর্ষের পশ্চিম অংশের রাজ্যগুলো আবার তার মূল ভূ-খন্ডর যুক্ত হয়। ৩১৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দের মধ্যেই মৌর্য্য সাম্রাজ্য গ্রীক সত্রপগুলিকে পরাজিত করে মূল ভারতবর্ষের পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়। বর্তমান সময়ের মানচিত্রের নিরিখে মৌর্য্য সাম্রাজ্য বিস্তৃত ছিল পশ্চিমে বালুচিস্তান ও হিন্দুকুশ পর্বতমালা থেকে শুরু করে উত্তরে হিমালয়, পূর্বে আসাম সহ বর্তমান মায়ানমার পর্যন্ত। কলিঙ্গ রাজ্য জয়ের মধ্য দিয়ে সমগ্র দক্ষিণ ভারতে মৌর্য্য সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠিত হয়। চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য্য, বিন্দুসার এবং অশোক মৌর্য সাম্রাজ্যের উল্লযোগ্য শাসক ছিল। শুঙ্গ রাজবংশের উত্থান মধ্য দিয়েই মৌর্য্য সাম্রাজ্যের রাজ্যতের খাতা বন্ধ হয়। এই রাজ্যর সময় কাল ছিল খ্রিঃপূঃ ৩২২–খ্রিঃপূঃ ১৮৫ পর্যন্ত।

আরকান থেকে রাখাইন

‘মৌর্য’ সাম্রাজ্যের অধীনে আরাকান থাকার কারণে ঐ সময় আরাকানে হিন্দু ধর্ম এবং হিন্দু সংষ্কৃতি সম্মৃদ্ধ ছিল। পরবর্তীতে বৌদ্ধ আমলে বর্তমান মায়মারের উত্তরাঞ্চল থেকে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের আগমনে বার্মিজরা হিন্দু থেকে  বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহন করলে ঐ অঞ্চল বৌদ্ধ রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়। যার ফলে আরাকানে বা রাখাইনে ভৌগলিক দিক দিয়ে এবং ধর্ম গত দিক দিয়ে ‘বৌদ্ধ বার্মা’ হিসাবেই পরিচিত পায়। ঐতিহাসিকদের  ভাষ্যমতে, নবম শতাব্দী আরব, ভারত,চীন এবং পোর্তুগীজদের ব্যবসা কেন্দ্র হয়ে ওঠে রাখাইন। সমুদ্র তীরবর্তী হওয়াই এই ব্যবসা কেন্দ্রটি সমৃদ্ধি লাভ করে। ‘সিল্ক রুট’ ধরে স্থল পথেও আরব থেকে চিন পর্যন্ত এই বানিজ্য চলতো। ১৯৬২ সালে পর মিয়ানমারের সামরিক শাসন শুরু হলে, আরকান থেকে রাখাইন রাজ্যর নাম দেওয় সেনাবাহিনি। আপনার যদি গুগল করেন দেখবেন। মায়ানমার দেশটাই পুরোটাই বৌদ্ধ ধর্মেলম্বীর বাস। প্রতিবেশি দেশ কম্বোডিয়াতেও বেশির ভাগ বর্তমানে বৌদ্ধ ধর্মের লোকের বাস। যদিও পূর্বে কম্বোডিয়া হিন্দু দেশ ছিল।

আরাকানে ইসলামে আগমন

উপরে উল্লেখ করা হযেছে নবম শতাব্দী আরবী ব্যাবসাহিরা  ইসলাম সংগে করে এই অঞ্চল ব্যবসা শুরু করে। দক্ষিণ ভারতের মালাবার ও নিকোবর দ্বীপ সহ ইন্দোনেশিয়ায় যে ভাবে চতুরতাইয় মধ্য দিয়ে ইসলাম প্রবেশ করে ঠিক একই ভাবে আরাকানে ইসলামের প্রবেশ। যার হাত ধরে আরাকানে ১৪৩০ সালে ‘শান্তিকান’ নামে প্রথম মসজিদ প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলার সুলতান জালাল উদ্দিন মুহাম্মদ শাহা তার শাসন আমলে আরাকান আক্রমন করলে বৌদ্ধ রাজা  ‘মিন শ মুন’ পরাজীত হয় যার ফলে সুলতান জালাল তাকে প্রস্তাব দেওয় তুমি যদি ইসলাম গ্রহন কর তবে তুমি আমার অধীনে সামন্ত রাজা হিসাবে থাকতে পার, রাজা ইসলাম গ্রহণ করে রাজ্য বাঁচায়। যার কারণে একটা সময় ওখানে বড় সংখ্যক মানুষ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে বাধ্য হয়। রাজা ‘মিন শ মুন’ অনেকটা বাধ্য হয়েই আরাকানে আরবি অক্ষরের মুদ্রা প্রচলন করেন। বর্তমান বাংলার অনেকই মুসলিমই ঐ সময় সুলতানের প্রভাবে আরাকানে গিয়ে বসবাস শুরু করে। শাজাহানের পুত্র শাহ সুজা তার ভাই আওরংজেবের সাথে যুদ্ধে পরাজিত হলে প্রাণ বাঁচাতে আরাকানে আশ্রয় গ্রহন করে। সেই সাথে তার একটা মোটা সংখ্যক সৈন্য সামন্তও আরাকানে বসবাস শুরু করে। এক পর্যায়ে তারাই আরাকানের স্থায়ী বাসিন্দা হয়ে ওঠে। শুরুর দিকে আরব ব্যবসায়ী পরে সুলতানের প্রভাবে বাংলা থেকে এবং সর্বশেষ সুজার সেনাবাহিনী মিলে আরাকানে মৌরষী পাট করছে সেখানকার বর্তমানে রোহিঙ্গারা। রাখানেই যখন হামল শুরু হয় তার পর থেকে আমারা অনেক খবর জানতে পায়েরেছি। তার মধ্য উল্লেখযোগ্য রোহিঙ্গা নারীদের গর্ভ না কি কখনোই খালি থাকে না! যার ফলে খুব অল্প সময়ে জনসংখ্যার বিচারে তারা ফুলে-ফেপে আজ মত্ত বড় হাতি। ৪ স্ত্রী, ২০ সন্তান এটাই এদের সংখ্যা বাড়ানোর মূল মন্ত্র। যার করণে রাখানেই তারা খুব দূরত্ব সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায়ের রূপ পায়।

আরাকানে ইসলামিক দেশের স্বপ্ন দেখা শুরু

এখন আমরা দেখব কিভাবে আরাকানকে রোহিঙ্গারা সত্যিকারের আরবীকরণে দিকে ধাবিত করেছিল। মতো দর্শনের নামে সারা বিশ্বে চলছে এক অলিখিত আরব্য সাম্রাজ্যবাদ। এই মতবাদ যেখানেই প্রবেশ করবে সেখানেই তার আপন সংস্কৃতি এবং আপন মতবাদ ‍গুলিকে আঘাত করে ধ্বংস করে দিয়েছে। ঠিক সে ভাবেই রাখাইনে শুরু হয়। “রোহিংগা জামায়াত আল ঊলেমা” নামে রাখাইনে ১৯৩৬ দিকে প্রথম একটি স্বতন্ত্র মুসলিম সংগঠনে যাত্র শুরু হয়। সে বছরেই তারা ব্রিটিশ সরকারের কাছে আরাকানকে বা রাখাইনকে একটা মুসলিম স্বতন্ত্র দেশ হিসাবে দাবি জানান। যদিও ব্রিটিশ সরকার তাদের এই দাবির পক্ষে কোন সিন্ধান্ত নেই নি। যখন ব্রিটিশ সরকার তাদের দাবিতে কোন ধরণে কর্ণপাত করল না। তখন তারা জিন্নার দ্বি-জাতিতত্ত্ব সাথে স্বপ্ন দেখতে শুরু করল। তারা ভাবল রাখাইনকে মায়ানমার থেকে আলাদা করে পূব-পাকিস্থানে সাথে জুড়ে দিবে। কিন্তু রোহিঙ্গাদের সেই অলিক স্বপ্নে জল ঢাললো জিন্নাহ নিজেই। জিন্নার স্বপ্নের সেই “পাক” ভূমি অর্থাৎ পবিত্র ভূমির সাথে পুর্ন প্রতন্ত্য পাহাড়ি, বর্বরীয়, অশিক্ষিত পশু সুলভ আচরণকারী সম্প্রদায়কে যোগ করতে চাইলনা। কি ঝামেলা বলুন তো, তাই রোহিঙ্গাদের সেই স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল। ফলে কি হলো, স্বপ্ন ভঙ্গ নিয়ে রোহিঙ্গারা মায়ানমারের পশ্চিম অঞ্চলের বর্তমান রাখইন নামে একটি প্রদেশ হয়ে থেকে গেল। কিন্তু তাতে কি হবে? তারা কি দমে যাবার পাত্র? একে তো তারা সংখ্যাগরিষ্ট তার উপর সেই সাম্রাজ্যবাদী আরবদের মতে দীক্ষিত। তার উপর ‘আল্লার আশীর্বাদ ধন্য” অন্য অপবিত্র জাতির সাথে থাকার পাত্র তারা না। তারা ভাবতে শুরু করল তার তো নিজেরা “পাক’’ বাকিরা তো অপবিত্র। কোন ভাবেই অপবিত্রদের সাথে এক হয়ে বাস করা সম্ভবনা। আর ভাবন্তর শেষে কাজ শুরু হল নিম্নে সেই ভাবন্তরের আলোকে আলোচনা করব।

রোহিঙ্গারা কিভাবে সন্ত্রাসী হলো

আমরা উপরেই আলোচনা করেছি রোহিঙ্গারা রাখাইনে কি ভাবে বসবাস স্থাপিন শুরু করে। উপরের আলোচনাই একটা বিষয় বাদ পড়েছে, তা হলে বাংলার বিভিন্ন স্থান থেকে বিভিন্ন খারাপ কাজের সাজার হাত থেকে বাচার জন্য পালিয়ে এসে একটা মোটা সংখ্যক মানুষ এই রাখাইনে বসবাস করতে শুরু করে। ভূলে গেলে চলবে না শাহ সুজার একটা মোটা সংখ্যক সেনা আগই রাখাইনে বসবাস শুরু করেছিল। তাদের কাজই ছিল যুদ্ধ করা। যেহেতু যুদ্ধ করার তেমন কোন সুযোগ নাই এবং সেই সাথে শিক্ষাও ছিলনা। সেহেতু তারা পাশে ভাতের দ্বীপ আন্দামানেতে ছোট,ছোট ডিঙ্গি নৌকাতে এসে চুরি,ডাকাতি ইত্যাদি শুরু করে। কি বিশ্বাস হয় না? আন্দামানের পুলিশ চৌকিতে আপনি গেলেই দেখতে পাবেন- এই নিরীহদের দেখলে মনে হবে বেচারারা একটা ভাজা মাছও উল্টিয়ে নিজের ভূক দূর করবে সেটা অসম্ভব। না, না পাঠক আপনারা ওনাদের ভূল বোঝবেনা। আসলে কি জানেন, এটা “পাক= পবিত্র” জাতির একটা বিশেষত্ব। এরা কতটা বর্বর, নৃশংস, নিষ্টুর, অসভ্য তা জানার জন্য আপনাকে কষ্ট করে আন্দামানে যেতে হবে না। কলকাতা হাইকোর্ট, আন্দামানের লোকদের বিচার কোর্ট হিসাবে চলে, তাই আন্দামানে আপরাধীদের তালিকা দেখলেই বুঝবেন। এদের কাছে মানুষ হত্যা মাছ-ভাত। হ্যাঁ, পাঠক ঠিক ধরেছেন মধ্য যুগে আরবে বেদুইনরা এমনি ছিল বলে বিভিন্ন আরবের গ্রন্থ গুলি থেকে জানা যায়। যদিও বর্তমানে সেই বেদুইন ওখানে দেখা যায় না। এ থেকে বুঝতে কষ্ট হয় না, যে বর্তমানে আরবে যারা টিকে আছে তারা বেদুইন দের থেকেও কতটা  বর্বর, নৃশংস, নিষ্টুতা ছিলো। যারদের কারণে বেদুইন হারিয়ে গেছে ইতিহাসে। ১৯৭১ সালে যখন পাকিস্থান, বাংলাদেশ থেকে ভারতের সহযোগিতাই বিতারীত হল তার পতিশোধ নিবার জন্য পাকিস্থানে যে সরকারি ক্ষমতাই এসেছে তারা সব সময় আরকানে রহিঙ্গাদের একটা জেহাদী যুদ্ধবাজ তৈরীর চেস্টা করেছে। কারণ তাদের দিয়ে ভারতের পুর্ব রাজ্যগুলিকে অশান্ত করে তুলা যাবে। তবে মজার বিষয় হল ভাই, ভায়ের কষ্ট বোঝে। আর তার জন্যই বাংলাদেশ থেকে সেই পাকিরা লাথি খেলেও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোন ধরণের জিহাদী কায়কালাপ করে নাই। যতটা মায়নমার বা ভারতে উত্তর-পূব রাজ্যগুলিতে করেছে। পাকিস্থানের মূল লক্ষ্য ভরতের পশ্চিমের রাজ্য কাশ্মীরের মতন পুর্ব দিকে রাজ্যগুলিতে একটা অশান্তির পরিবেশ তৈরি করে রাখা। এর ফলে ভারতকে সব সময় একটা চাপে রাখা সম্ভব হবে,যার দরুণ ভারতে উন্নতি ব্যাহত করা যাবে। ৪৭ সালে দেশ ভাগ হবার পর থেকে ভারত কে আবারো খণ্ডিত করার চেস্টা চলছে দেশ ও দেশের বাইরে। সৌদি আরব সহ মধ্য প্রাচ্যের অনেক গুলি দেশই পাকিস্থানের গোয়েন্দা বাহিনী দ্বারায় এই রোহিঙ্গাদের জেহাদি তৈরিতে অংশীদার। এই জন্য ভারতে কিছু আরবের টাকাই চলা মিডিয়া, বিধর্মী, স্বধর্মী সাংবাদিক, মিডিয়ার মালিক, সিনেমার প্রজোজক, পরিচালক বেশ কিছু অভিনেতা, শক্তিশালী ‘পরিবার কেন্দ্রিক এবং একনায়ক/ নায়িকা তান্ত্রিক রাজনৈতিক দল এবং তাদের দোষররা প্রবল চেস্টা চালাছে।

রাখাইনে রোহিঙ্গাদের সন্ত্রাসী সংগঠন

কাশ্মীরের ‘হিজ বুল মুজাহিদিন’ বাংলাদেশের ‘জামাতুল মুজাহিদিন’, ‘হরকত-উল-জেহাদ-উল-ইসলামী’, এবং ইন্টার-ন্যাশনাল তালিবানের ধাচেই RSO অথৎ Rohingya Solidarity Organization’ (RSO) was founded in early 1980’s কাজ করে চলেছে। এদের একটাই সাধানা আর তা হল-“জিহাদ” জিহাদ দ্বারা আরবের জয়ধ্বজা রাখাইনে ওড়ানো। বিভিন্ন ধরণের খুন, গুম, লুট, ভয়ের মাধ্যমে এরা এই কাজগুলি পরিচালনা করে থাকে যাদের নেতা ‘নুরুল ইসলাম’।।

  • Arakan Rohingya National Organization’তৈরি হয়েছে ১৯৯৮ সালে আর ঐ সালেই Arakan Rohingya Islamic Front’ in 1998 নামে অন্য আর একটি সংগঠন যারা পরবর্তীতে মিলে“ARNO” কার্যক্রম চালাচ্ছে।
  • Ittihad Al-Tullab Al-Muslimeen, Arakan (Burma) নামে জেহাদি ছাত্র শাখা যেটা the largest Rohingya student’s organization
  • রাজনৈতিক দল National United Party of Arakan (NUPA) তৈরি সময় কাল ১৯৯৪।
  • আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (ARSA) পুরনো নাম হারাকাহ আল ইয়াকিন হলো মায়ানমারের উত্তর রাখাইন রাজ্যে সক্রিয় একটি রোহিঙ্গা বিদ্রোহী দল । ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসের ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের রিপোর্ট অনুসারে এর নেতৃত্বে আছে “আতাউল্লা” যে কিনা রোহিঙ্গা, যার জন্ম পাকিস্থানে করাচিতে এবং বেড়ে উঠা সৌদির মক্কা শহরে। ARSA রাই কিছু দিন আগে হামলা করে মায়নমারের সিকিউরিটি ফোর্স এর প্রায় ৮৪ জন সদস্য সহ অনেক ক্ষতি সাধাণ করে। যার কারণেই আজ বিশ্ব জুড়ে ভাসাচ্ছে রোহিঙ্গারা। এ ছাড়াও আরো স্থানীয় ছোট কিছু সন্ত্রাসী দল আছে।

এদের অর্থের যুগান-দাতা সৌদি, পাকিস্তান, আফগানীস্থান, বাংলাদেশ, দক্ষিন পুর্ব এশিয়া বিভিন্ন দেশের জেহাদী সংগঠন গুলি। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইসলামি জঙ্গি সংগঠনে সাথে এদের যোগসূত্র বেশ আগ থেকেই। চিন্তার বিষয় তাদের সাথে যুক্ত হয়েছে ইরাক, ইয়েমেন, সিরিয়া বিভিন্ন জঙ্গী সংগঠন। লাদেরন নেত্তৃত্বে এই রোহিঙ্গরা পবিত্র যুদ্ধ করেছিল আফগানিস্তানে। যার ভিডিও ক্লিপ আমেরিকার সেনাবাহিনী কিছু অংশ প্রকাশ করেছি। Rabitat al-Alam al-Islami’ এদের কে অর্থ সাহায্য করে, যেটা অবস্থান সৌদতে।

ভূমিপুত্র রাখাইনরা বিতাড়িত কেন?

পৃথিবীর যত আরবের মতাদর্শন চর্চা কারী আছে তার জাতিগত ভাবে অন্য সকল মানুষের থেকে নিজেদের আলাদা ভাবে। যদি কেউ নতুন এই মতাদর্শন চর্চা শুরু করে, তবে সে পরের দিন থেকেই তার পূর্ব পুরুষের সংস্কৃতি সহ সকল বিষয়েল বিরোধীতা বা ঘৃনা করা তার কর্তব্য। একমাত্র আরবের শিক্ষা, সংস্কৃতি ছাড়া তারা কোন জীবন প্রনালী ধারণ করে না। এদের এই কাজের প্রমাণ চান পশ্চিমবাংলার দিকে তাকান মাদ্রাসায় পড়বে, আরবী বা উর্দু নাম রাখবে। নিজেদের কোন অনুষ্ঠানে আরবীর ছড়াছড়ি এবং ভারতীয় সংস্কৃতিকে ঘৃনা করবে। যদি সে প্রকৃতি আরবের মতাদর্শন চর্চা করে। মজার বিষয় হল আপনি যদি আরবের মতাদর্শন চর্চা করেন, তবে অবশ্যই পুরোটা চর্চা করতে হবে। এবার যদি আপনি বলেন আমি আরবের মতাদর্শনে কোন অংশ চর্চা করি আবার যেটা প্রযোজন মনে করি না তা চর্চা করি না। তবে কিন্তু আপনি প্রকৃত একজন ধার্মিক হলেনা। তাই আপনাকে হয় পুরোটাই চর্চা করতে হবে আর নাই হয় মরতে হবে। আমরা হয় তো সাধারণ মানুষ এই বিষয় গুলি নিয়ে বেশি ভাবি না। যার ফলে একটা বড় ধরণে গুজামিল ঢুকে যাচ্ছে সমাজে।  এই আরবের মতাদর্শনে মধ্যে যতটা না ধর্মীয় তার থেকে হাজার গুন রাজনৈতিক। লক্ষ্য একটা যেন, তেন  ভাবে বিশ্ব ব্যাপি এই দর্শনে মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করা। তাই সব সময় রাজনৈতিক ভাবেই তারা নিজেদের একটা আলাদা জাতি হিসাবে প্রমাণ করতে চায়। কি প্রমাণ চান? দেখুন ভারতের দিকে ৮০০ বছর, কম সময় না! এই ভূমিতেই বাস করে নিজেদের কে ‘ভুমিপুত্র’ ভাবার ক্ষামতা হল না। যার দরুন আলাদা দেশ এবং আলাদা একটা জাতি দাবী করল। এনারা এই কাজ করার জন্য বেশি না, মাত্র একটি মাধ্যম ব্যবহার করে আর তা হল জিহাদ। সেটা আবার কি ওটার বিস্তারীত যাব না দাদা। শুধু বলব আপনার সম্পদ এবং আপনার বৌ কে নিজের ভেবে একটা সময় পর নিজের করে নিয়ার নাম জিহাদ। এটা কোন রাঘের কথাও না, ক্ষবের কথাও না, যেহেতু নিজের চোখ এবং জ্ঞান আছে শুধু্ গুগলে গিয়ে একটু পড়া শুনো করলেই জানতে পারবেন। হ্যাঁ, দাদারা আর প্যাচাল পাড়ব না, মূল কথাই আসব এবার। রাখাইনেও ঠিক এই ঘটানার কারণে, আজ এই পরিস্থি বর্তমান। সারা বিশ্ব ভালই জানে অহিংস নীতিতে বৌদ্ধরা কতটা উন্নত। তবে মজার বিষয় হল তারা অহিংসা নীতিতে বিশ্বাসী হলেও তারা নিজের সংস্কৃতি, ধর্ম এবং দেশকে ‍খুব ভালোবাসে। ওরা সেকুলারের নামে ভণ্ডামি করে না। ওরা ভারতীদের মত মুখে, মুখে বিপ্লব করে না। যখন বৌদ্ধ ভিক্ষুরাই দেখল  কিছু সংখ্যক মানুষ সংখ্যায় বৃদ্ধি পেয়ে নিজেদের আলাদা দেশ ভাগ করার জন্য সংঘটিত হচ্ছে। তখন থেকেই বৌদ্ধ ভিক্ষুরাই এর বিরুদ্ধে আন্দলোন শুরু করল। যার ফলে কিছু বৌদ্ধ ভিক্ষুক বার্মার সামরিক শাসকদের রাইফেলের গুলির সামনে বুক পেতে দিয়েছিলো।

দুই ভাই মিলে সারা পৃথিবীকে ভাগ করে নিয়েছে

আরব থেকে উদ্ভুত মতাদর্শন গুলো বিশ্বের যে প্রান্তেই পৌছিয়েছে সেই স্থানে দখল করে তাদের নিজেদের মত চাপিয়ে দিযেছে। কি বিশ্বস হয় না? মনে পরে সম্রাট কনষ্টান্টাইন কথা, নিজে খ্রীষ্ট ধর্ম গ্রহণ করে পুরো পৃথিবীটাকে খ্রীষ্টান ধর্মের ছায়াতলে নিয়ে এসেছিলেন। আপনি প্রতি দিন রাস্তাতে কম বেশি অনেক গাড়ি দেখতে পানা, তাই না?  হ্যাঁ, তাতে কি হয়েছে? আসছি দাদা সে কথাই, নিশ্চই ‘পিজেরো’ গাড়ি নাম শুনেছে বা দেখেছেন? হ্যাঁ, তো? এই ‘পিজেরো’ নামটা একটা ভাড়টে গুন্ডা দলের প্রধানের (সর্দার) নাম ছিলো। যে সর্দারের গুণ্ডামি করে প্রচুর অর্থ উপার্জন করেছিল, সে জন্মসূত্রে একজন স্প্যানিশ। ১৫৫২ সালে তখন ভারতের শাসক মোঘলরা ঐ সময় স্পেনের রাজার চাওয়াতেই একজন ভাড়াটিয়া তার নিজের বাহিনী নিয়ে দক্ষিন আমেরিকার ‘পেরু’ দখল করে ইঙ্কা রাজা আতাহুল্পা এর সাথে সে ভাল সম্পর্ক করে তাকে খুন করে। হয় তো আপনার কাছে বিষয়টা সাধারণ মনে হতে পারে, কিন্তু পাঠক আপনরা জানেনা সে দিন পেরুর রাজধানী ‘লিমা’ কত নিরীহ ইঙ্কাদের রক্তে লাল হয়েছিল।

যারা সেদিন মারা গিয়েছিল তারা তো বেঁচেয়ে গিয়েছিল। কিন্তু যারা জীবিত ছিল, তাদের কি হল?  এই দখলে ফলে সমস্ত পেরু ও ইঙ্কা বাসি স্পেনের রাজার অধীনে চলে আসে যার ফলে সমস্ত পেরু ও ইঙ্কা বাসিকে ক্যাথলিক বানানো হয়। হ্যাঁ, এবার আসি সেই পিজেরো কথাই, যে কিনা অতুল ঐশ্বর্য্যের মালিক হয়ে পেরুকে ১০ বছর শাসন করে। কালে গর্ভে হয় তো পেরুবাসি ভূলে গেছে তাদের আপন ধর্ম, সংষ্কৃতি কথা যার ফলে তারা আজও রোমান ক্যাথলিক হয়ে এক অদ্ভুত নিজস্ব স্বত্তাহীন জাতিতে পরিনত হয়েছে। জানতে হলে পড়ুন “দেবতাদের দেশে” বইটা জানতে পারবেন এক ভয়ংকর অমানবিক গল্পের কথা। ইতিহাসের একটা বড় সময় খ্রীষ্টানরা তাদের ধর্ম ও যীশুর নামে রক্তের হোলি খেলে দেশ থেকে দেশ দখল করেছি। যদিও তারা আজ সভ্য জাতি হয়েছে উঠেছে, এটাই আশার কথা । কিন্তু আজও সেই আরব থেকে সৃষ্টি আর এক ভাই খোলা তরয়াল নিয়ে দর্শনের নামে পৃথিবীতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। বাদ ছিল পুবের হিন্দু তথা বর্তমানে বৌদ্ধ দেশ গুলো আর পুরো দখল না করতে পারা আমাদের এই ভারত। পিকচার আবি বাকি হ্যা না, এক তৃতীয়াংশ নেওয়া হয়ে গেছে, বাকি অংশ নিবার জন্য ঠিক ঠাক ভাবেই কাজ চলছিল। শুধু তাতে জল ঢেলেছে বৌদ্ধরা। কিন্তু হিন্দুরা আজও সবগ্র জ্ঞানি ভণ্ড সেকুলার সেজে জপের মালা জপে চলেছে।

বৌদ্ধ VS হিন্দু

পোপ জন পল সেই আশির দশকে ভারতে এসে দিল্লীর ময়দানে দাড়িয়ে বলেছিল ‘এক বিংশ শতাব্দী ভারতী পাগানদের সভ্য বানানোর শতাব্দী’ (Twenty first Century will be the century to make the Indian Pagans Civilised) কি বন্ধু মনে পড়ে? পোপ জন পলকে উড়িয়ে আনা হয়েছিল রোম থেকে। সরকারী অতিথি হিসাবে এসে সেদিন তিনি ভরতীয়দের এমন অপমানের কথা বললেও কোন ভরতীয় তিনার এই কথার বিরুদ্ধে টু-শব্দ করেনি। এই কথা আজ বুঝতে খুব একটা কষ্ট হয় না, সেদিন কি উদ্দেশ্য সাধনের জন্য ভরতের একটা প্রাচীন দল এই রোমান ক্যাথলিক এনে ভারতবাসিকে অপমান করেছি। সেই ধারবাইকতা ভারতে সুচুরিতার সাথে চলছে। ভাবা যায়, একটা অগনতান্ত্রিক উপায়ে কাউকে ফোর্ড ফাইন্ডেশন থেকে মোটা অংকের টাকা এবং ম্যাগসেসে পুরষ্কার পাইয়ে দিয়ে দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী পদে বসিয়ে দিয়া হয়েছি।। বেশ কয়েকজন টাকার বিনিময়ে বিক্রি হয়ে দেশ বিরোধী কাজের সাথে ওতোপ্রোত ভাবে জড়িয়ে পড়ল। এই সকল বিক্রিত বুদ্ধিজীবিরা বেশির ভাগ সিনেমার পরিচালক,প্রযোজন, অভিনেতা ছিলো। চিন্তা করার কিছু নাই এবারূ বৌদ্ধদের দিকে তাকাই, বৌদ্ধরা পৃথিবীর বুকে অহিংস প্রতীক। কিন্তু দেশ প্রেমের কাছে তারা হিংসুক হতেও পিছুপা হয় না। ভরতীয়দের মতন মহাত্মা সাজার জন্য লেজ গুটিয়ের কুকুরে হতে চাই না। প্রধানমন্ত্রী পদ পাবার জন্য কেউ কেউ আজ যে কোন ধরণের দেশ বিরোধী কাজ করতেও বিবেকের বিরধীতা পাই না। কিন্তু বৌদ্ধরা সারা বিশ্বের কাছে একটা রোল মডেল হয়ে থাকবে যে তার সেকু ভণ্ডামির নামে জেহাদের কাছে মাথা নত করেনি।

আমার এই লিখাটা একটা গবেষণা মূক লেখা-

নেট দুনিয়া ঘাটলে এ ধরণে লেখা আপনি পাবেনা বলেই চালে। রোহিঙ্গাদের নিয়ে অনলাইনে বাংলাই যত লিখা আছে তার বেশি ভাগ তথ্যহীন বা অসম্পূর্ণ। আর যে কয়টা লেখা মান সম্মত তার বেশির ভাগের কোন তথ্য সূত্র নাই। এই গবেষণা করা জন্য যে মানুষ গুলো আমাকে বিভিন্ন ভাবে অনুপ্রেরণা বা সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি রইল আমার গভীর শ্রদ্ধা। বিশেষ করে পারভেজ রানা, ড: মিনাল কান্তি দেব নাথ, আজিজুর রহমান, সৈকত মানিক, সুপ্রিয় ব্যানার্জী, বাদন দাস এবং মিঠুন রায় প্রতি। এই লেখাটা পড়ার পর হয় তো অনেকেই তার অনুভূতিতে আঘাত অনুভব করতে পারেন। তাদের কে শ্রদ্ধার সাথে বলতে চাই যদি যুক্তি দিয়ে চিন্তা করতে পারেন তবে কোন বিষয়ে আপনার অপত্তি থাকলে কমেন্টে জানান। আর যদি বেশিই খারপ লাগে তবে এড়িয়ে যায়। যদি আপনাদের মনে হয় আমি এই গবেষণার মাধ্যমে আপনাদের কাছে কিছু অজানা তথ্য তুলে ধরতে পেরেছি।পরলে কমেন্ট করে জানাবে। সর্বপরি যদি আপনাদে মনে হয় এই গবেষণা মূলক লেখাটা সবার জানার প্রযোজন। তবে দয়া করে শিয়ার করতে ভূলবেনা।

[kkstarratings]

সূত্র:-

“দেবতাদের দেশে” বইটা

মৌর্য্য সাম্রাজ্য

রোহিঙ্গা

আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি কারা?

আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি – উইকিপিডিয়া

https://economictimes.indiatimes.com/topic/ARSA

www.amar-sangbad.com/special/articles/55695/রোহিঙ্গাদের-ইতিহাস?

https://ramjanulbba.wordpress.com/2015/10/02/মৌর্য-বংশ-বা-সম্রাজ্য

bn.banglapedia.org/index.php?title=অশোক

itmarakan.org/

https://www.bbc.com/bengali/news-38769750

https://www.bbc.com/bengali/news-39024669

www.bd-pratidin.com/international-news/2017/09/07/262081