ঘর ওয়াপসি

ঘর ওয়াপসি : কবরস্থান ছিল ধর্মান্তরের কারণ, ১২ বছর পর ১৯ জন সদস্য হিন্দু ধর্মে ফিরে আসলেন।

ঘর ওয়াপসি : কবরস্থান ছিল ধর্মান্তরের কারণ, ১২ বছর পর ১৯ জন সদস্য হিন্দু ধর্মে ফিরে আসেন। মিরাট: গত ২৫ বছর ধরে মৃত উমরের পরিবার শামলীর কান্ধলা শহরের মহল্লা রাইজদগানের মাজরা ডাংডুগ্রায় বসবাস করে আসছে। এই পরিবারের সকল সদস্য মুসলিম রীতিনীতি অনুযায়ী বসবাস করছিল।উমরের পুত্র রশিদ বলেছিলেন যে তাঁর পূর্বপুরুষরা চিরকাল ধার্মিক ছিলেন। 

প্রায় ১২ বছর আগে, সেই সময়ে কিছু পরিস্থিতির কারণে, পূর্বপুরুষরা ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। এখন সনাতন ধর্মে অনুপ্রাণিত হয়ে পরিবারের লোকেরা তাদের স্বধর্মের দিকে ফিরে যাওয়ার মন ঠিক করেছে। যার কারণে পরিবারের লোকেরা ওয়ার্ড কাউন্সিলর দীপক সায়নী এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের কাছে লিখিত আবেদন জানিয়ে হিন্দু সমাজে ফিরে আসার দাবি করেছিলেন।

রশিদ বলেছিলেন তিনি তার পরিবারের সদস্যদের সাথে ডিএম জসজিৎ কৌর এবং এসডিএম কোর্ট কাইরানার কাছে গিয়েছিলেন তাদের বক্তব্য রেকর্ড করার জন্য। তার পর রশিদ পরিবারের ১৯জন সদস্যসহ শহরের সিদ্ধপীঠ মানকামেশ্বর সুরজকুণ্ড মন্দির প্রাঙ্গণে পৌঁছান।

মন্দির চত্বরে যশবীর মহারাজের দ্বারা হম করা হয়েছিল এবং প্রত্যেককে হম শুদ্ধি মাধ্যমে হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করা হয়েছিল। ওয়ার্ড কাউন্সিলর দীপক সায়নী, রিকি রাওয়াত, রাজীব কাশ্যপ, সোনু, উপেন্দ্র, রাহুল, শুভম, দীনেশ এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে, বিজেপির জেলা মন্ত্রী বিবেক প্রেমি তার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করে বলেছেন যে কিছুদিন আগে হিন্দু সমাজের কিছু লোক ইসলাম গ্রহণ করেছে।

ঐ দিন কান্ধলার সুরজকুণ্ড মন্দিরে একই সমাজের মোট  তিনটি পরিবারের ১৯ জন মানুষ শুদ্ধ হয়ে হিন্দু ধর্মে ফিরে এসেছেন। পরে হিন্দু সমাজ এই মানুষকে স্বাগত জানায়। রশিদ ওরফে বিকাশ বলেছিলেন যে তার পূর্বপুরুষরা হিন্দু বঞ্জরে সমাজে অন্তরভুক্ত ছিল।

পূর্বপুরুষদের সময় থেকে, তাদের মধ্যে রীতি চালু ছিল যে তাদের কেউ মারা গেলে তাদের সমাধি দেওয়া হত, কিন্তু তাদের সমাধি দেওয়া জন্য স্থায়ী কোন জায়গা না থাকায় মৃত দেহ সমাধি দেওয়া জন্য পাশের কবরস্থানে নেওযা হত। যার কারনে মৃত দেহ সমাধিস্থ করতে ইসলামি আচার অনুষ্ঠান করতে হয়েছিল।

বহু চেস্টা করেও ঐ সময়ের সরকারে কোন সহযোগিতা পাইনি ঐ পরিবার গুলি। যার কারনে তাদের সমাজ বিভিন্ন সময় বহু সমস্যার মুখমুখি পড়ছিল।  যখন বহু চেস্টার পর এই সমস্যার সমাধান হলনা, তখন তার বাবা ইসলাম গ্রহণ করেন। রশিদের মতে, তার বাবা বলেছিলেন যে কবরস্থান ব্যবহারের কারণে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেছেন।

এখন তৃতীয় প্রজন্ম যখন বিষয়টি জানতে পারে তখন তারা নিজেরদের মধ্যে আলোচনা করে এবং সিন্ধান্ত নেন যেহেতু তারা হিন্দু সমাজের অন্তর্গত ছিল, তাই তারা এখন আবার ঘরে ফিরবে। তিনি প্রশাসনের কাছ থেকে আশা করেন যে আমাদের সমাজকে মৃতদেহের শেষকৃত্যের জন্য আলাদা জায়গা দেওয়া হবে এবং যাতে আমাদের অন্য কারো উপর নির্ভর করতে না হয়।

তবে স্থানীয় রাজনীতিক এবং সাধারণ মানুষ তাদের কে আস্থত্ব করেছে খুব দুরুত্ব তাদের এই সমস্যা সমাধান করা হবে।

আর পড়ুন……