কবিগুরুর জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে বিশেষ সম্মানার্থে ইজরায়েলে কবির নামে রাস্তা।

সোজাসাপ্টা ডেস্ক: রবীন্দ্রনাথ শুধু বাঙালির অন্তরে নয় তিনি বিশ্বের বিশ্বনন্দিত। তার অমর সব সৃষ্টির জন্য আজ বিশ্বের বুকে অমর হয়ে আছে। তার এইসকল কালজয়ী সৃষ্টির জন্য সে সারা বিশ্বের বুকে এক কালজয়ী মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে নিজেকে। সে যে বিশ্বের বুকে এক কালজয়ী মানুষ তা আবারও প্রমাণিত হলো তার 159 তম জন্মদিনে এসে। কবিগুরুর 159 তম জন্মদিন উপলক্ষে শুধু ভারত এবং বাংলাদেশে নয় বিশ্বের বুকে তাকে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে তার কর্মের স্মরণে।
নোবেল কমিটির পক্ষ থেকে তার জন্মদিন অন্য ভাবে স্মরণ করেছে। শুধু নোবেল কমিটি বা বাংলাদেশ-ভারত নয় বিশ্বের বুকে দূরদেশে তার কর্ম স্মরণীয় করে রাখতে তার নামে রাস্তার উন্মোচন হলো। আমরা অনেকের মুখে শুনে থাকি যে শিল্পী এবং তার সৃষ্টির কোন কাঁটাতার থাকেনা। থাকে না তার কোনো সীমারেখা। থাকে না তার কোন বন্ধু। থাকে না তার কোন জাতি ভেদ। শিল্পী এবং তার সৃষ্টি সবসময়ই এই সমস্ত সীমারেখার উদ্যোগেই যা কিছু সৃষ্টি মানব কল্যাণের জন্যই করে। কবিগুরুর এই কালজয়ী সৃষ্টি স্মরণ করে রাখার জন্য শত শত কিলোমিটার দূরে ইজরাইল সরকার তার নামে তৈরি করেছে রাস্তা।
এর আগেও কালজয়ী ব্যক্তিদের নামে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ধরনের রাস্তা বা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তৈরি করার কথা শোনা গেছে। রবীন্দ্রনাথের নামেও বিভিন্ন দেশে অনেক রাস্তা আছে। ইসরাইলের রাজধানীর তেল আভিভের রবীন্দ্রনাথের প্রতি সম্মানার্থে ইজরায়েল সরকার একটি রাস্তার নামকরণ করেছেন। ইজরায়েল সরকার কবিগুরুর সম্মানার্থে জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে সেই সংবাদটির ছবিসহ প্রকাশ করেছে।
রবীনাথ ঠাকুর তার সৃষ্টিকর্মের মাধ্যমে মানুষকে যে কতটা অনুপ্রাণিত করে চলেছে তার প্রমাণ কবিগুরুর 159 তম জন্মবার্ষিকী এসেও প্রমাণিত হলো।
সময়ের সাথে বা কালের নিয়মে প্রতিটা মুহূর্তেই সমাজের পরিবর্তনের সাথে সাথে সবকিছু নতুনত্বের সাথে মিশে যায়। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যে বর্তমানে এস প্রাসঙ্গিক তা আরেকবার প্রমাণিত হলো। অন্য সকলের থেকেও রবীন্দ্রনাথ যে আলাদা সেটা বোধহয় আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। আমরা জানি আমরা বাঙালি হিসেবে রবীন্দ্রনাথ আমাদের কাছে আবেগ। কিন্তু এই আবেগ টা যে শুধু বাঙ্গালী বা ভারতবর্ষের মধ্যে সীমাবদ্ধ না, সেটা আরেকবার প্রমাণিত হলো।
আমরা ইতিহাস থেকে দেখেছি রবীন্দ্রনাথকে ভুলে যখন বাঙালি পশ্চিমাদের ভাষাটানে ছুটে যায়। ঠিক তখনই এক জাপানি রবীন্দ্রনাথের প্রেমে পড়ে ছুটে আসে বাংলা শিখতে। যখন আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েইনস এইরেসে ভ্রমণপিপাসু বাঙালি পায়চারি করতে করতে হঠাৎ ‘আর টেগোর’ লেখা রাস্তার নাম দেখতে পেয়েছে। তাঁর সৃষ্টির প্রেমে পড়ে, বিশ্ব সাহিত্য ইতিহাসে তাঁর অবদানের কথা মাথায় রেখে দূরদেশেও এই বঙ্গসন্তানের অনুরাগীর সংখ্যা নেহাত কম নয়! লেখাটি পড়ার পর অবশ্যই লাইক করতে ভূলবেন না।