হিন্দু সৃষ্টিকাল গণনা

হিন্দু সৃষ্টিকাল গণনা: বিশ্বের বৃহত্তম এবং বৈজ্ঞানিক সময় গণনা পদ্ধতি।

হিন্দু সৃষ্টিকাল গণনা: বিশ্বের বৃহত্তম এবং বৈজ্ঞানিক সময় গণনা পদ্ধতি।

হিন্দু কাল গণনা- হিন্দু ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী, মহাজগৎ অনন্তকাল ধরে সময়চক্রে গতিশীল। এই চক্রের প্রারম্ভিক বিভাগটি হল কল্প বা “ব্রহ্মার এক দিন”, যা ৪৩২ কোটি বছরের সমান। ব্রহ্মার এক রাতের পরিসরও একই।

এমন ৩৬০ ব্রাহ্ম দিন-রাত বা অহোরাত্র মিলে তৈরী হয় এক ব্রাহ্ম বৎসর যার পরিমাণ ৩,১১০,৪০ কোটি মানব বছর বা সৌর বছর, যেখানে ব্রহ্মার জীবনকাল ১০০ ব্রাহ্ম-বৎসর, একে এক পরযুগ বলা হয়। অর্থাৎ সর্ববৃহৎ সময়চক্রটি ৩১,১০৪,০০০ কোটি মানব বছর বা সৌর বছরের সমান।

এই সময়কাল অতিবাহিত হলে গোটা ব্রহ্মাণ্ড পরমাত্মা বা পরব্রহ্মে বিলীন হয়, যতক্ষণ না নতুন সৃষ্টির উদ্ভব ঘটে। প্রতি ব্রাহ্ম দিনে ব্রহ্মা মহাজগৎ সৃষ্টি করেন এবং ব্রাহ্ম রাত্রে এটিকে ধ্বংস করেন। প্রতি ব্রাহ্ম রাতে নিদ্রিত ব্রহ্মার শরীরে সমাহিত হয় ব্রহ্মাণ্ড।

প্রতিটি কল্প ১৪ উপকল্প বা মন্বন্তর (মনু+অন্তর) এবং এক সত্য যুগ পরিমাণ সময়ে বিভক্ত, যার প্রতিটির পরিসর ৩০,৮৪,৪৮,০০০ বছর। দুটি মন্বন্তরের মাঝে এক বিরাট শূন্যস্থান থাকে। এই সময় বিশ্বে পুনর্জন্ম হয় এবং এক নতুন মনুর উদ্ভব হয়, যিনি মনুষ্যজাতির জনক ও রক্ষক।

বর্তমানে আমরা এই কল্পের সপ্তম মন্বন্তরে রয়েছি, বর্তমান মনুর নাম বৈবস্বত মনু। প্রত্যেকটি মন্বন্তর আবার ৭১ মহাযুগ বা চতুর্যুগ এবং এক সত্য যুগ সমন্বিত। ১০০০ মহাযুগে এক কল্প। প্রতিটি মহাযুগ ৪ যুগ নিয়ে গঠিত–সত্য, ত্রেতা, দ্বাপর ও কলি। এদের সময়কাল যথাক্রমে ৪৮০০, ৩৬০০, ২৪০০ ও ১২০০ দৈব বৎসর। 

সৃষ্টির পূর্বাবস্থা

সৃষ্টিক্রম বর্ণনা অনুযায়ী সৃষ্টির আদিতে স্থিত মূল প্রকৃতি ও পুরুষকে নিত্য সত্ত্বা হিসেবে দেখা হয়। এই নিত্য সত্ত্বার কোনো সৃষ্টি বা ধ্বংস হয় না। এখানে প্রকৃতি হচ্ছে ত্রিগুণাত্বক এই ব্যাক্ত জগতের মূল কারণ যা অব্যাক্ত সূক্ষরূপে থাকে। সত্ত্ব (প্রকাশ), রজঃ (প্রবৃত্তি) ও তমঃ (নিয়মাত্মক) এই তিনিটি গুণ একে অন্যকে অভিভূত করে এই অব্যাক্ত জগৎকে প্রকাশ করে ব্যাক্ত করে। এই প্রকৃতি ও প্রকৃতি হতে সৃ্ষ্ট বিকৃতি (ব্যাক্ত জগৎ) চেতনা রহিত অচেতন জড় রূপ। তার সাথে পুরুষের সংযোগ ঘটে। পুরুষ হচ্ছে সূক্ষ্ম, অব্যক্ত, নিত্য ও চৈতন্যরূপ সত্ত্বা। সৃষ্টির পূর্বে এই ভিন্ন অন্য কোনো সত্ত্বার অস্তিত্ব ছিল না। ঋগ্বেদের নাসদীয় সূক্তের ১০ মন্ডলের ১২৯ সুক্তে বলা হয়েছে,

তৎকালে যাহা নাই তাহাও ছিল না, যাহা আছে তাহাও ছিল না পৃথিবীও ছিল না, অতি দূরবিস্তার আকাশও ছিল না। আবরণ করে এমন কি ছিল? কোথায় কাহার স্থান ছিল? দূর্গম ও গম্ভীর জল কি তখন ছিল?।। ১।।
তখন মৃত্যুও ছিল না, অমরত্বও ছিল না, রাত্রি ও দিনের প্রভেদ ছিল না। কেবল সেই একমাত্র বস্তু বায়ুর সহকারিতা ব্যতিরেকে আত্মামাত্র অবলম্বনে নিশ্বাস প্রশ্বাস যুক্ত হয়ে জীবিত ছিলেন। তিনি ব্যতীত আর কিছুই ছিল না।। ২।।

প্রকৃতি ও পুরুষের সংযোগ

প্রকৃতি ও পুরুষের সংযোগে ক্রমাণ্বয়ে ব্যাক্ত জগৎ সৃষ্টির হতে থাকে। প্রকৃতি ও পুরুষের উভয়ের সংযোগে প্রথম যে তত্ত্বের উৎপন্ন হয় তার নাম মহাত্তত্ত্ব বা বুদ্ধিতত্ত্ব। বর্ণনা অনুসারে ব্রহ্মই সেই প্রকৃতি-পুরুষের সংযোগকারী।

সাংখ্য দর্শনে সৃষ্টিক্রম

বিশ্বের বৃহত্তম এবং বৈজ্ঞানিক সময় গণনা পদ্ধতি (ঋষিদের দ্বারা করা গবেষণ 1 দিন)

7 দিন = 1 সপ্তাহ

4 সপ্তাহ = 1 মাস,

2 মাস = 1 ঋতু

6টি ঋতু = 1 বছর,

100 বছর = 1 শতাব্দী

10 শতাব্দী = 1 সহস্রাব্দ,

432 সহস্রাব্দ = 1 যুগ

2 যুগ = 1 দ্বাপর যুগ,

3 যুগ = 1 ত্রেতাযুগ,

4 যুগ = 1 সত্যযুগ

সত্যযুগ + ত্রেতাযুগ + দ্বাপরযুগ + কলিযুগ = 1 মহাযুগ

72 মহাযুগ = মন্বন্তর,

1000 মহাযুগ = 1 কল্প

1 নিত্য প্রলয় = 1 মহাযুগ (পৃথিবীতে জীবন শেষ হয় এবং তারপর শুরু হয়) 1 নৈমিতিকা প্রলয় = 1 কল্প (দেবতাদের শেষ ও জন্ম) মহালয়া = 730 কল্প (ব্রহ্মার শেষ ও জন্ম)

সমগ্র বিশ্বের সবচেয়ে বড় এবং বৈজ্ঞানিক সময় গণনা পদ্ধতি এখানে রয়েছে যা আমাদের দেশে ভারতে তৈরি।  এটি আমাদের ভারত যা আমাদের গর্ব করা উচিত।

বিশ্বের বৃহত্তম এবং বৈজ্ঞানিক সময় গণনা পদ্ধতি
বিশ্বের বৃহত্তম এবং বৈজ্ঞানিক সময় গণনা পদ্ধতি হিন্দু সৃষ্টিকাল গণনা: হিন্দু সৃষ্টিকাল গণনা: হিন্দু সৃষ্টিকাল গণনা: হিন্দু সৃষ্টিকাল গণনা:

 

দুই পক্ষঃ শুক্লপক্ষ ও কৃষ্ণপক্ষ।

দুটি অয়ন: উত্তরায়ণ, দক্ষিণাযন।

দুটি সুখ: অভ্যূদয় (জাগতিক), নিঃশ্রেয়স (মুক্তি সুখ)।

 

তিনটি জগত: পৃথিবী, আকাশ, পাতাল।

তিনটি গুণ: সত্ত্বগুণ, রজোগুণ, তমোগুণ।

তিনটি অবস্থা: কঠিন, তরল, বায়ু।

তিনটি স্তর: শুরু, মধ্য, শেষ।

তিনটি পর্যায়: শৈশব, যৌবন, বার্ধক্য।

তিনটি অবস্থা: জাগ্রত, মৃত, অচেতন।

তিনটি কাল: অতীত, ভবিষ্যত, বর্তমান।

তিনটি নাডি: ইড়া, পিঙ্গলা, সুষুম্না।

তিনটি শক্তি: শারীরিক,  আত্মিক,  সামাজিক ।

তিনটি ঋণ: পিতৃ ঋণ, দেব ঋণ, ঋষি (আচার্য) ঋণ।

তিন দোষ: বাত , পিত্ত, কফ।

 

চার বর্ণ: ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শূদ্র।

চার অবস্থা: জাগ্রত, স্বপ্ন,  সুষুপ্তি,  তুরীয়। 

চারটি নিয়ম: সাম, দাম, দণ্ড,  ভেদ। 

চারটি বেদ: ঋগ্বেদ, সামবেদ, যজুর্বেদ, অথর্ববেদ। 

চার নারী: মা, স্ত্রী, বোন, কন্যা। 

চার যুগ: সত্যযুগ, ত্রেতাযুগ, দ্বাপর যুগ, কলিযুগ। 

চার কাল: সকাল, সন্ধ্যা, দিন, রাত। 

চারটি প্রাণী: জলজ, ভূমিচর, উভচর, খেচর। 

উত্পত্তিগত চারটি : অণ্ডজ, জরায়ুজ, স্বেদজ, উদ্ভিজ। 

চারটি আশ্রম: ব্রহ্মচর্য, গৃহস্থ, বানপ্রস্থ, সন্ন্যাস। 

চারটি খাদ্যদ্রব্য: চব্য, পেয়, লেহ্য, চোষ্য। 

চার পুরুষার্থ : ধর্ম, অর্থ, কাম, মোক্ষ। 

চারটি যন্ত্র: তাত, সুশির, অবনাদ্ব, ঘন।

চারটি কোন: ঈশান,  অগ্নি,  নৈঋত, বায়ু।
 

পাঁচটি স্থূল ভূত: পৃথিবী, আকাশ, আগুন, জল, বায়ু। 

পাঁচটি ইন্দ্রিয়: চোখ, নাক, কান, জিহ্বা, ত্বক। 

পাঁচটি তন্মাত্রা : শব্দ, স্পর্শ, রূপ, রস, গন্ধ । 

পাঁচ আঙুল: বৃদ্ধাঙ্গুলি , তর্জনী, মধ্যমা, অনামিকা, কনিষ্ঠ।  

পাঁচটি বায়ুঃ প্রাণ, আপন, ব্যায়ন, সমান, উদান। 

পাঁচটি জ্ঞানেন্দ্রিয়: চোখ, নাক, কান, জিহ্বা, ত্বক,।

পাঁচটি কর্মেন্দ্রিয়: পায়ু , উপস্থ, হস্ত, পা, বাক।

 

ছয়টি ঋতু:  বসন্ত, গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত , শীত।

ছযটি বেদাঙ্গ: শিক্ষা, কল্প, ব্যাকরণ, নিরুক্ত, ছন্দ , জ্যোতিষ।

ছটি উপাঙ্গ: যোগ,  সাংখ্য, বৈশেষিক, ন্যায়, বেদান্ত, মীমাংসা ।

ছটি দিক: পূর্ব,  পশ্চিম,  উত্তর,  দক্ষিণ,  ঊর্ধ, অধ।
 

সাতটি স্বর: সা, রে, গা, মা, পা, ধ, নি। 

সাতটি নোট: ষডজ, ঋষভ, গান্ধার, মধ্যম, পঞ্চম, ধৈবত, নিষাদ।

সাত দিন: সূর্য, সোম, মঙ্গল, বুধ, বৃহস্পতি, শুক্র, শনি। 

সাতটি মাটি: গৌশালা, ঘোড়া, হাতীশাল, রাজদ্বার, বাম্বীর মাটি, নদীর সঙ্গম, পুকুর। 

সাতটি মহাদেশ: জম্বুদ্বীপ (এশিয়া), প্লাক্ষদ্বীপ, শালমলীদ্বীপ, কুশদ্বীপ, ক্রৌঞ্চদ্বীপ, শাকদ্বীপ, পুষ্করদ্বীপ।

সাত ধাতু (শারীরিক): রস, রক্ত, মাংস, মেদ, অস্থি, মজ্জা, শুক্র।

সাতটি রঙ: কালা, বেগুনি, নীল, সবুজ, হলুদ, কমলা, লাল। মৌলিক তিনটি

 

হিন্দু সৃষ্টিকাল গণনা
হিন্দু সৃষ্টিকাল গণনা

ঋষি, মুনি, সাধু ও সন্ন্যাসীর মধ্যে পার্থক্য কি??

হিন্দু সৃষ্টিকাল গণনা: বেদ-জ্ঞান:-

 Q.1- বেদ কাকে বলে? উত্তর- ঐশ্বরিক জ্ঞানের গ্রন্থকে বেদ বলে।
 Q.2- বেদ-জ্ঞান কে দিয়েছেন? উত্তরঃ ইশ্বর  দিয়েছেন।
 Q.3- ঈশ্বর কখন বেদ-জ্ঞান দিয়েছেন? উত্তর- সৃষ্টির আদিতে ঈশ্বর বেদ-জ্ঞান দিয়েছেন।
 Q.4- ঈশ্বর কেন বেদের জ্ঞান দিয়েছেন? উত্তর- জীব ও জগতের কল্যাণের জন্য।
 Q.5- বেদ কয়টি? উত্তর- চারটি। 1-ঋগ্বেদ 2-যজুর্বেদ 3-সামবেদ 4-অথর্ববেদ
 Q.6- বেদের ব্রাহ্মণ।  বেদ ব্রাহ্মণ 1 – ঋগ্বেদ – ঐতরেয় 2 – যজুর্বেদ – শতপথ 3 – সামবেদ – আরণ্যক  4 – অথর্ববেদ – গোপথ
Q.7- বেদের কয়টি উপবেদ আছে। উত্তর – চারটি।

বেদ উপবেদ 1- ঋগ্বেদ- আয়ুর্বেদ     2- যজুর্বেদ- ধনুর্বেদ     3 -সামবেদ – গন্ধর্ববেদ     4- অথর্ববেদ – অর্থবেদ
 

প্রশ্ন 8- বেদের অঙ্গ কি? উত্তর- ছয়টি। 1 – শিক্ষা 2 – কল্প 3- ব্যাকরণ4- নিরুক্ত  5 – ছন্দ  6 – জ্যোতিষQ.9- ঈশ্বর কোন ঋষিদের বেদের জ্ঞান দান করেছিলেন? উত্তরঃ চারজন ঋষি। বেদ ঋষি 1- ঋগ্বেদ- অগ্নি 2 – যজুর্বেদ – বায়ু 3 – সামবেদ – আদিত্য 4 – অথর্ববেদ – অঙ্গিরা

প্রশ্ন 10- ঈশ্বর কিভাবে ঋষিদের বেদের জ্ঞান দিয়েছেন? উত্তরঃ সমাধি অবস্থায়।
 Q.11- বেদে জ্ঞান কেমন? উত্তর- সকল সত্য শাখার জ্ঞান-বিজ্ঞান।
 Q.12- বেদের বিষয় কি কি? উত্তর- চারটি। ঋষি থিম 1- ঋগ্বেদ – জ্ঞান 2- যজুর্বেদ – কর্ম 3- সামবেদ- উপাসনা 4- অথর্ববেদ – বিজ্ঞান
 Q.13- বেদে- ঋগ্বেদে। 1- মণ্ডল  – 10 2 – অষ্টক – 08 3 – সূক্ত – 1028 4 – অনুবাক – 85 5 – ঋচা – 10589
 যজুর্বেদে। 1- অধ্যায়- 40 2- মন্ত্র – 1975
 সামবেদে। 1- আর্চিক – 06 2 – অধ্যায় – 06 3- ঋচা – 1875
 অথর্ববেদে। 1- কাণ্ড  – 20 2- সূক্ত – 731 3 – মন্ত্র – 5977           

Q.14- বেদ পাঠ করার অধিকার কার আছে?  উত্তর- বেদ পাঠ করার অধিকার সকল মানুষের। 
 Q.16- বেদে অবতারের প্রমাণ আছে কি? উত্তর নাই।
 Q.17- সবচেয়ে বড় বেদ কোনটি? উত্তর – ঋগ্বেদ।
 Q.18- বেদের উৎপত্তি কবে? উত্তর- সৃষ্টির সূচনা থেকেই ঈশ্বরের দ্বারা বেদের উদ্ভব।  অর্থাৎ ১ বিলিয়ন ৯৬ কোটি ৮ লাখ ৫৩ হাজার ১২৩বছর আগে।
 

Q.19- বেদ-জ্ঞানের সহায়ক দর্শন (উপাং) কয়টি এবং তাদের রচয়িতাদের নাম কী? উত্তর- 1- ন্যায় দর্শন- গৌতম মুনি। 2- বৈশেষিক দর্শন- কণাদ মুনি। 3- যোগদর্শন – পতঞ্জলি মুনি। 4- মীমাংসা দর্শন- জৈমিনী মুনি। 5- সাংখ্য দর্শন – কপিল মুনি। 6- বেদান্ত দর্শন – ব্যাস মুনি।

Q.20- শাস্ত্রের বিষয় কী? উত্তর- আত্মা, পরমাত্মা, প্রকৃতি, জগতের উৎপত্তি, মুক্তি মানে সকল প্রকার শারীরিক ও আধ্যাত্মিক জ্ঞান-বিজ্ঞান ইত্যাদি।
 Q.21- কতটি প্রামাণিক উপনিষদ আছে? উত্তর- মাত্র এগারো।
 Q.22- উপনিষদের নাম বল? উত্তর- 01-ইশ (ঈশবাস) 02-কেন 03-কঠ 04-প্রশ্ন 05-মুন্ডক 06-মান্ডুক্য 07-ঐতরেয়া 08- তৈতিরীয় 09-চান্দোগ্য 10-বৃহদারণ্যক 11-শ্বেতাশ্বতর।
 Q.23- উপনিষদের বিষয়গুলি কোথা থেকে নেওয়া হয়েছে? উত্তরঃ বেদ থেকে। 

Q.24-  কর্মাণুসার চারটি বর্ণ । উত্তর- 1- ব্রাহ্মণ 2- ক্ষত্রিয় 3- বৈশ্য 4- শূদ্র
 Q.25- চার যুগ। 1- সত্যযুগ- 17,28000 বছর ধরে নামকরণ করা হয়েছে (সত্যযুগ)। 2-ত্রেতাযুগ – 12,96000 বছর ধরে নামকরণ করা হয়েছে (ত্রেতাযুগ)। 3- দ্বাপর যুগের নাম 8,64000 বছরের। 4- কলিযুগ- 4,32000 বছরের নাম। এ পর্যন্ত কলিযুগের 5122 বছর উপভোগ করা হয়েছে। 4,27024 বছর ভোগ করতে হবে।
 

পঞ্চ মহাযজ্ঞ 1- ব্রহ্ম যজ্ঞ   2- দেব যজ্ঞ   3- পিতৃ যজ্ঞ  4- বলিবৈশ্বদেব যজ্ঞ 5- অতিথি যজ্ঞ স্বর্গ- যেখানে সুখ আছে। নরক – যেখানে দুঃখ আছে।

৬-বেদ মন্ত্রের  দ্রষ্টা কয়েকজন মহিলা ঋষিকা ? লোপামুদ্রা ,গার্গী,ঘোষা।

৭- যুগ গুলির নাম কি কি?  সত্য, ত্রেতা, দ্বাপর ,কলি  

৮-বনে বসবাস কারী মানুষ হনুমানের মাতার নাম কি ছিল? অঞ্জনা

৯-রাম সেতু বানানোর ক্ষেত্রে দুইজন মূল কারিগর ছিলেন তাদের নাম কি? নল ও নীল

১০-মূল বাল্মিকী রামায়ণের কতগুলি কান্ড? ছটি

১১-মূল বাল্মিকী রামায়ণে মাতা সীতার  অগ্নির মধ্যে প্রবেশ সত্যিই কি আছে ?নেই

১২-মহাভারত রচনা কে করেছিলেন ?মহর্ষি বেদব্যাস

১৩-পঞ্চপান্ডবের নাম কি কি? যুধিষ্ঠির, ভীম, অর্জুন, নকুল ,সহদেব ।
১৪-ভগবান কৃষ্ণের মাতার নাম  কি? দেবোকি

১৫-ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পিতার নাম কি?বসুদেব 
১৬-ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বৃন্দাবন কত বছর বয়সে  ত্যাগ করেছিলেন ? আনুমানিক 10 থেকে 12 বছরের মধ্যে

১৭-সনাতন ধর্মে মানসিক শান্তি ও আনন্দলাভ এবং বুদ্ধির বিকাশের জন্য কোন মন্ত্র টি  জপ করা প্রয়োজন যার  উপকারিতা  বিজ্ঞানের গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে ?   গায়ত্রী মন্ত্র

১৮-বিশেষ করে ছাত্র-ছাত্রীদের বুদ্ধির বিকাশের জন্য কোন মন্ত্রটি জপ করা উচিত? গায়ত্রী

১৯-ব্রহ্ম জ্ঞান অর্জন করলে তাকে কি বলা হয়? ব্রাহ্মণ

২০-শূদ্র বা বাল্মিকী সমাজে জন্মগ্রহণ করেও ঋষি হয়েছিলেন ওনার নাম কি ? মহর্ষি বাল্মিকী ,রবিদাস,নামদেব

২১-কপালে তিলক লাগানোর   বৈজ্ঞানিক কারণ ? “শক্তি”ক্ষয় রোধ করে। তিলক’ আজ্ঞা চক্র কে সক্রিয় হয়ে ওঠে আধ্যাত্মিক উন্নতি হয় ।ঋষি বিজ্ঞানী

২২-জ্যোতির্বিদ্যার জনক: আর্যভট্ট; কাজ – আর্যভট্টিয়াম

২৩-জ্যোতিষের জনক: বরাহমিহির, কাজ ? পঞ্চসিদ্ধান্তিকা, ব্রুহাত হোরা শাস্ত্র

২৪-অর্থনীতির জনক: চাণক্য, রচনা: অর্থশাস্ত্র

২৫-পরমাণু তত্ত্বের জনক: ঋষি কনাদ, কাজ: কনাদ সূত্র

২৬-মেডিসিনের জনক? ধন্বান্তরি, প্রথম আয়ুর্বেদ প্রচার করেছিলেন

২৭-ভগবান কৃষ্ণ ১৬১০০ বিবাহ করেছিলেন! জবাবঃএটা একটা কাল্পনিক কাহিনী যেটা বিদেশি আক্রমণ কালে শাস্ত্রের মধ্যে মেশানো হয়েছে । ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জীবনে একমাত্র স্ত্রী ছিলেন  রুক্মিণী দেবী এবং ১২ বছর হিমালয়  বদ্রীক আশ্রমে  ব্রহ্মচর্য পালন করেছিলেন তারপর ওনাদের একমাত্র পুত্র প্রদ্যুম্ন।

২৮- ইশ্বর ,ভগবান, দেবতাঈশ্বরের মুখ্য নাম ওম   ঈশ্বরের জন্ম মৃত্যু হয় না তাই ঈশ্বরের একটি নাম হল অজ। তাছাড়া ঈশ্বরের আরো  গৌণিক নাম ওপরে বর্ণনা করা আছেভগবান যার রূপ আছে তাকে রুপবান বলা হয় । তেমনি যার মধ্যে সমস্ত ঐশ্বর্য্য, সমস্ত বীর্য্য, সমস্ত যশ, সমস্ত শ্রী, সমস্ত জ্ঞান এবং সমস্ত বৈরাগ্য এই ছয়টি গুন পূর্ণমাত্রায় বর্তমান, তিনি হচ্ছেন ?ভগবানমানুষ কি ভগবান হতে পারে ? হ্যা

৩৩কোটী দেবতা। ১১ রুদ্র + ১২  আদিত্য + ৮  বসু + ইন্দ্র  ও প্রজাপতি এই ৩৩ কোটি দেবতার নাম ৮বসু পৃথিবী,অগ্নি, আকাশ, বায়ু, জল, , সূর্য, চন্দ্র, নক্ষত্র, এই বসুর জন্য আমরা সুখ-দুঃখ বাস নিবাস ব্যথা বেদনা রাতদিন আলো অন্ধকার  কাল মহাকাল সময় সত্যাসত্য অর্থের প্রকাশ বুঝতে পারি, + ১১রুদ্র প্রাণ , অপান, ব্যান, উদান, সমান, নাগ, কূর্ম,কৃকল,দেবদত্ত, ধনঞ্জয়, জীবাত্মা । শরীরের মধ্যেই আছে । মৃত্যুর পর শরীর থেকে এগুলি যখন বেরিয়ে যায় তখন রোদন করায় তাই হলো রুদ্র। আদিত্য হলো বারোটি মাস।

২৯-বৈদিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্বর্গ নরক কি কোন স্থান?না  বেদ ধর্ম অনুসারে এই পৃথিবীতেই স্বর্গ স্ব এর অর্থ হলো  যে অবস্থায় মানুষ সুখ ভোগ করে স্বর্গ বলে।

৩০-অস্ট্রেলিয়ার কোন দেশের মেডিকেল কলেজ স্থাপন করা হয়েছে মহর্ষি  সুশ্রুতের মূর্তি ?

৩১-বেদ হলো মানব সভ্যতার প্রাচীনতম ক্লাসিক ভারতের আত্মা বেদের মধ্যে প্রোথিত এই উক্তিটি কার ছিল? এপিজে আবদুল কালাম

৩২-কত মুখী- রুদ্রাক্ষ পুরুষ,মহিলা এবং শিশু- সকলের জন্য নিরাপদ এবং  যেকোনো নেগেটিভ শক্তি কিংবা কালা জাদু থেকে আপনাকে রক্ষা করে ? পঞ্চমুখী

৩২-আমরা ধানদূর্বা দিয়ে_ আশীর্বাদ_কেন_করি ?প্রাচীন সনাতনী সমাজে ধান ছিল ধনের প্রতীক। অন্যদিকে দূর্বা হচ্ছে দীর্ঘায়ুর প্রতীক

৩৩-সূর্যকে তামার পাত্রের মাধ্যমে জল উত্সর্গের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে খুব সকালে সূর্যের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর উপকারিতা? সূর্যের সাথে জলের বিকিরণ এর ফলে সেই আলো  আমাদের শরীরকে সুস্থ করে তোলে।

৩৪-প্রাচীনকালে নদীতে তামার পয়সা নিক্ষেপ করা এর বিজ্ঞান ভিত্তিক কারণটি কি?

৩৫-বাড়ির নেগেটিভ এনার্জি দূর হয় ও পজিটিভ এনার্জির সঞ্চার হয়। ফুসফুস মজবুত হয়। এর ফলে ফুসফুস সংক্রান্ত রোগ কম হয়। শ্বাস-প্রশ্বাস সংক্রান্ত রোগ দূর করার কোন রীতি আমাদের জীবনে প্রয়োজন? শঙ্খ বাজানো

৩৬-তামা জলের দূষিত পদার্থ কে শুদ্ধ করতে কাজে লাগে।তাই এই সময়ে জল  পরিশুদ্ধ করার মেশিনে তামা ব্যবহার করা হচ্ছে ।যজ্ঞ কি এবং কেন করবেন?

৩৭-জীবনে আনন্দের রসায়ন তৈরি করা যায় পিটুইটারি গ্রন্থির ক্ষরণের মাধ্যমে একে কিভাবে জাগিয়ে তোলা যায় ? ধ্যানের মাধ্যমে

৩৮-ভগবান শিব সত্যিই কি গাঁজা খেতেন ?না

৩৯-আমাদের প্রাচীন শাস্ত্র বিকৃত কখন হয়েছিল করেছিল? বিদেশি শাসনকালে।

৪০-পৃথিবীতে বেদ ও উপনিষদ এর মতো এত প্রণোদনাপূর্ণ, এত অতিমানবীয় গ্রন্থ আর নেই।-ম্যাক্স মুলার, প্রখ্যাত জার্মান দার্শনিক

৪১-বাল্মিকী রামায়ণ কয়টি কান্ড ও কি কি?বাল্মিকী রামায়ণে ছিল মোট 6 টি কান্ড ছিল যথা বাল কান্ড, অযোধ্যা কান্ড, অরণ্য কান্ড, কিশকিন্ধা কান্ড, সুন্দরকান্ড, যুদ্ধ কান্ড,। বাল্মিকী রামায়ণ মাতা সীতার বনবাসের  ও অগ্নিতে প্রবেশের কোন উল্লেখ নাই । সেখানে রাম সীতার মিলন দিয়েই রামায়ন শেষ হচ্ছে যুদ্ধ কান্ডে ।পরবর্তীকালে তুলসীদাস কিংবা বিভিন্ন আঞ্চলিক লেখকের রচনায়  সীতার অগ্নি প্রবেশ ও বনবাসের প্রসঙ্গ আছে। উত্তরাকাণ্ড বলে প্রকাশ করেন।

৪২-বিশ্বের সবচেয়ে বড় গবেষণা কেন্দ্রে স্থাপন করা হয়েছে ভগবান শিবের নটরাজ মূর্তি কোন দেশে?সুইজারল্যান্ডের সান শহরে হয়। অষ্ট যোগ ?যম ,নিয়ম ,আসন, প্রাণায়াম, প্রত্যাহার, ধ্যান ,ধারণা ,সমাধি।ধর্মীয় অনুষ্ঠানে কুইজ প্রতিযোগিতা করতে পারেন যাতে সনাতন ধর্মের শিশুরা অল্প বয়স থেকেই তাদের ধর্মীয় জ্ঞান অর্জন করতে পারে।

 

হিন্দু সৃষ্টিকাল গণনা: পঞ্চতন্মাত্র হতে পঞ্চস্থুলভূতের সৃষ্টি

পঞ্চতন্মাত্র হতে পঞ্চস্থুলভূতের সৃষ্টি। শব্দতন্মাত্র হতে আকাশ; শব্দ ও স্পর্শ তন্মাত্র হতে বায়ু; শব্দ, স্পর্শ ও রূপতন্মাত্র হতে তেজ; শব্দ, স্পর্শ, রূপ ও রসতন্মাত্র হতে জল সৃষ্টি হয়। পরব্রহ্মই সেই জলকে ধারণ করলেন। এরপর তিনিই সেই জলে জগৎ বীজরূপ ইচ্ছাশক্তি স্থাপন করলেন। এই বীজ ক্রমে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়ে সুবর্ণময় এক অণ্ডে পরিণত হয়।

একে পবিত্র বেদে হিরণ্যগর্ভ বা ব্রহ্মাণ্ড এবং আদিতে ছিলেন বলে তাকে আদিত্য বলা হয়েছে। সেই সূবর্ণময় অণ্ড বিশাল জলরাশিকে নিজগর্ভমধ্যস্থ করল। সেখানে পরব্রহ্মই অবস্থান করলেন এবং তিনি ব্রহ্মা নামে পরিচিত হলেন। সৃষ্টির কারণরূপ সেই জলকে ‘নারা’ বলা হয়েছে। এই “নারা“-জলসমূহে প্রথম অয়ন বা আশ্রয় ছিল বলে ব্রহ্মাকে নারায়ণও বলা হয়ে থাকে।

এই অণ্ড ক্রমাণ্বয়ে জল, বহ্নি বা অগ্নি, বায়ু ও আকাশ দ্বারা ক্রমে আবৃত হল। এরপর শব্দ, স্পর্শ, রূপ, রস ও গন্ধতন্মাত্র হতে ত্রিগুণাত্বক পৃ্থিবীর উপাদান উৎপন্ন হল।

হিন্দু সৃষ্টিকাল গণনা: অণ্ডের বিভাজন

ব্রহ্মা সংবৎসরকাল পর অণ্ডকে ভাগ করে উর্ধ্বভাগ সৃষ্টি শক্তিরূপ ব্রহ্মা, মধ্যভাগ স্থিতিশক্তিরূপ বিষ্ণু, এবং অধোভাগে ধ্বংশ শক্তি বা প্রলয় শক্তিরূপ শিব প্রকটিত হল। মনুসংহিতায় বলা হয়েছে উর্ধখণ্ডে স্বর্গলোক, নিম্নখণ্ডে ভূলোক এবং মধ্যভাগে আকাশ, অষ্টদিক ও শাশ্বত জলস্থান সৃষ্টি হয়েছে। অণ্ড ভাগের সময় একপ্রকার তরঙ্গ রশ্মির উদ্ভব হয়। এরপর ব্রহ্ম বিন্দু থেকে সবকিছু গতিময় বা ব্যাপ্ত হয়, অব্যাক্ত হতে সমস্তকিছু ব্যাক্ত হতে থাকে, সৃষ্টি হয় বিভিন্ন গ্রহ, নক্ষত্র ও জগতের।

হিন্দু সৃষ্টিকাল গণনা: সৃষ্টির বিস্তার

বিভিন্ন গ্রন্থে ব্রহ্মাকে প্রথম জন্মগ্রহণকারী ও গৌণ স্রষ্টা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁর শুরুর সময়কে কল্প হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। বিবরণে বলা হয়েছে, মহাবিশ্বকে প্রথমে তিনি তিন ও পরে চৌদ্দ লোকে ভাগ করেন এবং মহাবিশ্বকে গুণ ও পূর্ণ করার জন্য প্রথম জীবিতসত্তা সৃষ্টি করেন। বিবরণে বলা হয়েছে, ব্রহ্মা তমসাচ্ছন্ন পৃথিবীকে চন্দ্র, সূর্য ও নক্ষত্রমন্ডলী দ্বারা আলোকিত করেন। সৃষ্টি-বিস্তারের জন্য প্রথমে তিনি ঋষিগণ সৃষ্টি করেন, কিন্তু এরা বংশবিস্তারে অনাগ্রহী হয়ে তপস্যায় মগ্ন হয়। এতে ব্রহ্মা নিজ মূর্তি থেকে “শতরূপা ও স্বয়ম্ভুব মনু” নামক নারী ও পুরুষ সৃষ্টি করেন। এদের প্রিয়ব্রত ও উত্তানপাদ নামক দুই পুত্র এবং আকুতি, দেবাহুতি ও প্রসূতি নামে তিন কন্যার জন্ম হয়। এভাবে পৃথিবীতে মানুষের বংশ বিস্তার শুরু হয়।

হিন্দু সৃষ্টিকাল গণনা: লোক বা জগৎ

হিন্দুধর্মে চোদ্দটি লোক বা জগতের কথা বলা হয়েছে – ৭টি ঊর্ধ্বলোক এবং ৭টি নিম্নলোক (পৃথিবী রয়েছে ঊর্ধ্বলোকগুলোর সবচেয়ে নিচে)। ঊর্ধ্বলোকগুলো হল – ভূ (ভূমি), ভূবঃ (বায়ু), স্ব (স্বর্গ), মহঃ, জন, তপ ও সত্য। সত্যলোকে ব্রহ্মার বাস, মহঃ লোকে ঋষিগণের বাস এবং স্বর্গে বাস দেবতাদের। নিম্নলোকগুলো হল – অতল, বিতল, সুতল, রসাতল, তলাতল, মহাতল ও পাতাল

হিন্দু সৃষ্টিকাল গণনা
পুরাণে নিম্নতর সাতটি লোকের অস্তিত্ব
পুরাণে উচ্চতর সাতটি লোকের অস্তিত্ব
পুরাণে উচ্চতর সাতটি লোকের অস্তিত্ব

 

প্রতিটি লোকই হল (পৃথিবী বাদে) মৃত্যুর পর আত্মার অস্থায়ী বাসস্থান। পৃথিবীতে জীবের মৃত্যুর পর ধর্মরাজ যম জীবের সমস্ত পাপ-পুণ্যের বিচার করে তাকে ঊর্ধ্ব কিংবা নিম্নলোকে পাঠান। ধর্মের কিছু শাখায় বলা আছে, পাপ ও পুণ্য পরস্পরকে প্রশমিত করতে পারে, তাই পরবর্তী জন্ম স্বর্গ বা পাতালে হতেই পারে। আবার কোথাও বলা হয়েছে, পাপ ও পুণ্য একে অপরকে প্রভাবিত করতে পারে না। এই ক্ষেত্রে আত্মা উপযুক্ত লোকটিতে জন্ম নেয়। তারপর ওই লোকে আত্মার জীবনকাল শেষ হলে তা পুনরায় পৃথিবীতে ফিরে আসে (পৃথিবীর কোনো এক জীব রূপে জন্ম নেয়)। বলা হয়, একমাত্র পৃথিবীতে মানুষ হিসেবে জন্মগ্রহণ করলেই আত্মার মোক্ষলাভ বা পরমধামে যাত্রা হতে পারে, যে স্থান জন্ম-মৃত্যুর চক্র থেকে মুক্ত, যেখানে রয়েছে স্বর্গীয় পরমানন্দ। হিন্দু সৃষ্টিকাল গণনা হিন্দু সৃষ্টিকাল গণনা হিন্দু সৃষ্টিকাল গণনা হিন্দু সৃষ্টিকাল গণনা

 

লাইভ খেলা এবং লাইভ টিবি দেখতে চান?  এখানে যান