মনুষত্ব আজ লুন্ঠিত, স্বামীর সৎকারে পেল না পাশের আত্মীয়-স্বজন স্বজাতিকে। স্ত্রী একাই করলো স্বামীর সৎকার। সোশ্যাল মিডিয়ার এই যুগে আমরা গড়ে তুলেছি সোশ্যাল আন্দোলন। যে আন্দোলনে মনুষ্যত্বের সিটি ফটো। আছে শুধু ব্যক্তিকেন্দ্রিক আর অমানবিকতা। ভয়ঙ্কর এক মনুষ্যত্বহীন জাতি হিসেবে বেঁচে আছি আমরা। মুখে ও কাজে হাজার ফারাক।প্রতিবছর হিন্দুধর্মের বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান উদযাপনের এবং তার লক্ষ্য লোকের সমাগমের প্রস্তুতি নিয়ে থাকে।
এর মধ্যে অন্যতম দুর্গাপূজার জন্মষ্টমী রথযাত্রা এবং গঙ্গা স্নান। পুজো পরিক্রমা নামে দুর্গাপুজোয় গাড়ির বড় বড় রোড শো বের করে। সেই সাথে থাকে হরেক রকমের আয়োজন। আবার বড় বড় সংগঠের কেন্দ্রীয় নেতারা কর্মী সন্মেলন বা সন্মেলনের নামে প্রতি মাসে জেলায় জেলায় সফর করে ফেইজবুকে পোষ্ট করে সেকি আত্ম প্রচার করা ট্রেডিশন হয়েছে। পুজোর নামে বড় বড় মন্দির প্যান্ডেল করে এক ইলাইকা আয়োজন করে থাকে। অনুষ্ঠানের ক’দিন বড় বড় নেতাদের এত তাড়া যে খাবার টাইম টাও পায় না।
আজ বড্ড জানতে ইচ্ছে করছে, কই করোনা কালীন এই দুর্যোগ মুহুর্তে সেসব হিন্দু সংগঠন বা নেতারা কয়জন হিন্দুর পাশে এসে দাঁড়িয়েছে । কেন আমরা সনাতনীর মননে গড়া একটি বিশাল ভান্ডার। সবার প্রতি সম্মান রেখেই বলছি– বাস্তবিকতা কি সত্যিই তাই? আজ এই করোনার দূর্যোগেও কেউই একতাবদ্ধ নয়। মৃতদেহ সৎকারে নেই জেলায় জেলায় সমন্বিত কোন সৎকার টিম।
আজ দুঃখের সাথে আমাকে জানাতে হচ্ছে ময়মনসিংহে জেলা সহকারী জজ উমা দাসের স্বামী ডঃ দেবাশীষ দাস করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে তার সৎকারে কোন হিন্দু বা হিন্দু সংগঠন এগিয়ে আসেনি। এমনকি তারা আত্মীয়স্বজনরাও নয়। পরে বাধ্য হয়ে উনি করোনা সৎকাজে নিয়োজিত মুসলিম টিমের সহায়তায় নেয় উমা দাশ। একাই উনার স্বামীকে সৎকার করেন। বিষয়টি খুবই লজ্জার ! এ লজ্জা আমার, আপনার, সকলের। কাল যদি আমি মারা যাই – এ অবস্থা কি আমারো হবে? আমি যে মরে গিয়েও লজ্জা পাব!
- দক্ষিণ জার্মানিতে উদ্ধার ৩২ হাজার বছরের পুরনো নৃসিংহ অবতারের মূর্তি।-সোজাসাপ্টা
- বিস্ফোরক কানেরিয়া, আফ্রিদির চক্রান্তের শিকার, তবে কি তিনি ভারতীয় নাগরিকত্ব নেবেন?
- মহাভারতের এই পাঁচটি শিক্ষা প্রতিটি যুগে সত্য প্রমাণিত হয়েছে!-সোজাসাপ্টা
- এক বাঙালির জাপান জয়, জাপান কেন ভারত-বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু?
- কেন শিবের মূর্তি সুইজারল্যান্ডের বিশ্বের বৃহত্তম পরীক্ষাগারের সামনে স্থাপন করা হয়?
উনি Covid-19 পজিটিভ ছিলেন কিন্তু দুঃখের বিষয় রেজাল্ট পাওয়ার ঘন্টা দুই আগেই উনি মারা যান। কাঠি হাতে একটা ছবি পোষ্ট করে অনেকে কান্নাকাটি করে দ্বায়িত্ব শীলতার পরিচয় দিয়ে মানবিক হচ্ছেন। এখনো সময় আছে সবাই এক জোট হয়ে অন্তত শশ্মান বন্ধু হওয়ার। পরিশেষে বলবো মৃত্যু সবার হবে কারো আগে কারো পরে। আমরা কি হতে পারি শেষ বিদায়ের শ্মশান বন্ধু হতে…
পলাশ দত্ত। ৮/৬/২০২০