সামরিক শক্তিধর কি চীনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে? জার্মানিকে জাপান কেন অনুরোধ করেছে?

 

জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী যোগ করেছেন, “তারা সংহতির সুস্পষ্ট সংকেত চায়। একটি বৈধ আন্তর্জাতিক আইনের জন্য, অবাধ আন্দোলনের জন্য। জার্মানির পক্ষে এই বার্তাটি এই অঞ্চলে তার সহযোগীদের উপস্থিতির মধ্য দিয়ে পৌঁছে দেওয়ার সময় এসেছে।” যেহেতু বিদ্যমান আইনটি সম্মানিত, তাই আমাদের এতেও আগ্রহ রয়েছে ”

চীন এর প্রতিক্রিয়া

চীন বিদেশী শক্তির জন্য জাপানের যৌথ সামরিক মহড়ার সমালোচনা করেছে। চীনা সরকার পত্রিকা গ্লোবাল টাইমসের সাম্প্রতিক সম্পাদকীয়তে জাপানের এই পদক্ষেপের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। পত্রিকাটি লিখেছিল, টোকিও “যুক্তরাষ্ট্র এবং তার অংশীদারদের একত্রিত করে তার অবৈধ সমুদ্রসংশ্লিষ্ট দাবি সমর্থন করছে এবং চীনের উন্নয়ন বন্ধ করতে চায়। তবে এই ধরনের লক্ষ্য পূরণ করা হবে না।”

ইউরোপীয় দেশগুলির প্রতি তদন্ত করে সংবাদপত্রটি লিখেছিল, “ব্রিটেন ও ফ্রান্সেরও তাদের শক্তির দিকে নজর দেওয়া উচিত। চীন আর একশো বছরের পুরানো চীন নয় যা সহজেই হয়রানির শিকার হতে পারে। সেই দিনগুলি অনেক দিন আগের যখন পশ্চিমে হানাদাররা তারা পূর্ব দিকে এসে কিছু বন্দুক নিয়ে একটি দেশ দখল করত এবং তার পরে কয়েকশো বছর রাজত্ব করত। তারা যদি আবারও চীনকে উস্কে দেয় তবে অবশ্যই তাদের প্রতিক্রিয়া জানানো হবে। তারা যা পাবে তার চেয়ে বেশি হারাবে। “

এমন সম্ভাবনা রয়েছে যে জার্মানি জাপানের সাথে যৌথ কূটনীতিতে তার জাহাজটি পাঠালে বেইজিংও একইরকম প্রতিক্রিয়া দেখায়।

চীনের ক্রমবর্ধমান আক্রমণাত্মক কর্মকাণ্ড এবং সামরিক মহড়ার মধ্যে আমেরিকা ঘোষণা করেছে যে তারা এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে তার সেনা সংখ্যা আরো বৃদ্ধি করবে । এই ইস্যুটি চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।

আসিয়ান সদস্য দেশগুলি চীনের সাথে যুদ্ধ চায় না তবে তারা চায় আমেরিকা এই অঞ্চলে তার সামরিক উপস্থিতি বজায় রাখুক।আমেরিকাবিরোধী বৈদেশিক নীতি সত্ত্বেও ফিলিপাইনের রাষ্ট্রপতি রদ্রিগো দুটার্তে মার্কিন-ফিলিপাইন সামরিক চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়েছেন, এর পেছনে চীনই সবচেয়ে বড় কারণ।

ইন্দোনেশিয়ার সাথে সংঘর্ষ

তবে, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন এবং মালয়েশিয়ার অঞ্চলে ঘন ঘন চীনা নৌকা ও জাহাজের দখল এবং আমেরিকার প্রতি এই দেশগুলির ইতিবাচক মনোভাব বৃদ্ধি পেয়েছে। সম্প্রতি, ইন্দোনেশিয়ার নাটুনা দ্বীপের একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চলে চীনের দখলের কারণে ইন্দোনেশিয়াও চীনের বিরুদ্ধে একত্রিত হতে প্রস্তুত।