বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্টেডিয়াম
মেলবোর্ন স্টেডিয়ামকে টপকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট স্টেডিয়াম ভারতে। মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড দর্শক ধারণ ক্ষমতা ৯০ হাজার। এক লাখ ১০ হাজার দর্শক বসে খেলা দেখার এই স্টেডিয়ামে। স্থান- গুজরাটের আহমেদাবাদের মোতেরা। নাম সরদার প্যাটেল গুজরাট স্টেডিয়াম। ২০১৯ স্টেডিয়ামটি চালু হবে।
ফ্রিল্যান্সিংএন্ড আউটসোর্সিং
সরকারের নানা মুখি উদ্যোগের ফলে আউটসোর্সিং এর জন্য সবচেয়ে উৎকৃষ্ট মানে দেশের তালিকায়া ভারতের ১ নাম্বার স্থানে উঠে এসেছে। যেখানো বাংলাদেশ ২য়, পাকিস্তান ২৫তম। দেশের বেকার দেশের যুবকরা বছরে প্রায় আউটসোর্সিং থেকে ৮০ বিলিয়ন ডলার আয় করছে। বিশ্বে মোট আউটসোর্সিং কাজের ৮০ ভাগ কাজ আমাদের এই দেশের যুব সমাজ করে থাকে। যার ফলে দেশের কোটি কোটি বেকারের কাজের ক্ষেত্রে তৈরি হয়েছে এইখাতে। আর এটা সম্ভব হয়েছে মোদি সরকারের কিছু গুরুত্বপূর্ণ নীতির কারণে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য যেটি নেটের ডেটার দাম কমানো।
ইসরোর সাফল্য
সাম্প্রতিা কবছর গুলোতে ইসরো নানা সাফল্য আপনার দেখেছেন, ইসরো আজ বিশ্বের নানা প্রান্তো প্রশংসা। সম্পূর্ণ নিজস্ব জিপিাএস সিস্টেম আজ আছে ভারতের, যেটা সম্ভব করেছে ইসরো। আমেরিকার নিজস্ব জিপিএস ব্যবস্থার সাহায্যে কাজ করে, সেই তালিকায় ভারতা ঢুকে গেছে। মঙ্গলে ইসরোর উপগ্রহ পাঠাতে সফল হয়েছে আর সেটা আমেরিকার থেকে দশ ভাগের এক ভাগ কম খরচে। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে আণবিক ঘড়ি তৈরি করেছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। মোদী সরকারের নির্দেশে অনুযায়ী আগামী ৪ বছরে মোট ৬০ টি মহাকাশ অভিযান পরিচালনা করবে ইসরো। ২০২১ সালে ভারত চাঁদে মানুষ পাঠাবে সে কথা চলতি বছরে স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেছেন।’জি স্যাট-১১’ উৎক্ষেপণ যাহা পরবর্তী প্রজন্মের যোগাযোগ বা কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট হিসাবে কাজ করবে। সেনার জন্য ইসরো ৮টি স্যাটেলাইট পাঠিয়েছে। নৌবাহিনী জন্য অত্যাধুনিক স্যাটেলাইট তৈরি করেছে ইসরো। এর ফলে উপকূল সহ সমগ্র বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের অব্যর্থ থ্রিডি ইমেজ পাওয়া যাচ্ছে। মিসাইল, ক্রুজ মিসাইল, ব্যালিস্টিক মিসাইল উৎক্ষেপণের জন্য এবং ড্রোন থেকে আক্রমণ করার জন্য “গগন জিপিএস সিস্টেম” কাজ শুরু করেছে। এশিয়ার বৃহৎ অংশ এবং ভারত মহাসাগর অঞ্চলে ‘গগন জিপিএস’ এর সুবিধা পাবে সেনা। জিপিএস সিস্টেম আসলে কি সেটা একটি জানি ২০০৩ সালে ইরাক যুদ্ধে আমেরিকা তাদের জিপিএস সিস্টেম জ্যাম এর মাধ্যমে ইরাকের বেশির ভাগ অস্ত্র অকেজো করে দেয়। ইসরোর পরবর্তী অভিযান গুলির মধ্যে রয়ছে “মঙ্গলায়ন ২”“চন্দ্রায়ন ২”, সূর্য অভিযান “আদিত্য”,”মহাকাশে ভারত ও ফ্রান্সের যৌথ অভিযান”,”মহাকাশে মানুষ পাঠানো”এছাড়া “শনি ও বৃহষ্পতি অভিযান” গূরুত্বপূর্ন।
ইস্পাত উৎপাদনে
নরেন্দ্র মোদি দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে একের পর এক শিল্প বান্ধব সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছে। এর জের ধরে জাপানকে হারিয়ে ইস্পাত উৎপাদনে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ হিসেবে উঠে এসেছে ভারত। মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার থেকেমাত্র ১ বছরের মধ্যে ইস্পাত উৎপাদনে ভারত চতুর্থ স্থানে থেকে আমেরিকা, জাপান পিছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বাকি থাকল চীন। মোদির একের পর এক নেওয়া পদ ক্ষেপের ফলে ইস্পাত উৎপাদনে ভারত বিশ্বের মধ্যে নতুন দিক দিশারী হয়ে উঠেছে। ভারতে ২০১৭-১৮-র অর্থ বছরে প্রায় ৯৩.১১ মিলিয়ন টন বেশি ইস্পাত উৎপাদিত হয়েছে এর ফলে জাপানকে হারিয়ে বিশ্বের বুকে ভারত দ্বিতীয় বৃহত্তম ইস্পাত উৎপাদক দেশ হয়। সরকার বিদেশ থেকে ইস্পাত আমদানি বন্ধকরে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, জিএসটি এবং একাধিক নির্মাণ কার্য শুরু করার ফলে দেশে হু হু করে বৃদ্ধি পেতে থাকে ইস্পাতের উৎপাদন। ধারনা করা হচ্ছে যে ভাবে দেশে ইস্পাত উৎপাদন শুরু হয়েছে এ ধারা বজায় থাকলে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে দেশ ইস্পাত উৎপাদন ৩০০ মিলিয়ন টন ছাড়িয়ে যাবে।
বিদ্যুৎ সংযোগ
যে গ্রাম গুলো এক সময় কেরোসিনের দ্বারা আলোকিত হত তা আজ বিদ্যুৎ দ্বারায় আলোকিত। মোদির সরকারে বিদ্যুৎ মন্ত্রক গ্রামীণ বৈদ্যুতি করণ থেকে শুরু করে দেশকে বিদ্যুৎ উদ্বৃত্ত দেশে পরিণত করেছে। রাজ্যে জ্যোতি গ্রাম যোজনা নামক প্রকল্পের মাধ্যমে সরকার প্রায় ৪ কোটি গরিব ও মধ্য আয়ের পরিবারকে বিনা পয়সায় বিদ্যুৎ সংযোগ। কৃষকদের প্রাধান্য দেন সরকার বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষেত্রে। এর জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ গুলিকে এবং গ্রামীন বিদ্যুৎ সংযোগ সরকার আলাদা করেছে। দেশের গ্রাম গুলোতে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে মোদী সরকারের সাফল্য
2011: 55%
2014: 65%
2018: 97%
People Research on India’s Consumer Economy দেখুন-গ্রামীণ বিদ্যুৎ সংযোগ।
ডিজিটাল ইন্ডিয়া
প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে দেশকে উন্নতির জন্য মোদি সরকার ২০১৫ সালের জুলাইয়ে ডিজিটাল ইন্ডিয়া মিশনের উদ্বোধন করেছেন। প্রযুক্তির জনসাধারণের জীবনযাত্রার মানে উন্নয়ন লক্ষ্যে এই ডিজিটাল ইন্ডিয়া মিশন। প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলে ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পে মাধ্যমে এগিয়ে চলেছে। অনেকেই হয়তো ভাবছেন কি ডিজিটাল ইন্ডিয়া তো কিছুই দেখি না। একটু চোখ খুলুন আপনি আজ অনেক কাজই আর আগের মতো এনালগ সিস্টেম করবেন না। কি বিশ্বাস হচ্ছে না? এক স্থান থেকে অন্য স্থানে টাকা এখন কি আগের মতো এনালগ সিস্টেমে পাঠান? শুধুটাকা পাঠান নয়। শিক্ষা, কৃষি, সহ দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে এখন আপনি আপনার অজান্তে ডিজিটাল সিস্টেম ব্যবহার করছেন। রেলের টিকিট এখন আর ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে কাটতে হয় না। ভিডিও সংযোগ এর মাধ্যমে যে কারো সাথে সহজে যোগাযোগ করা সম্ভাব হয়েছে। লক্ষ, লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হচ্ছে এই ডিজিটাল ইন্ডিয়া’র সফলে। ডিজিটাল পেমেন্টের সুবিধা দেশের বিভিন্ন কোণে কোণে পৌঁছে গেছে। দেশের কৃষকরা ডিজিটাল সিস্টেম ব্যবহার করে বৈজ্ঞানিক উপায়ে ফসল উৎপাদন করছে। ডিজিটাল ইন্ডিয়া’র মাধ্যমে বহু উদ্ভাবনমুখী চিন্তা ও পদক্ষেপেরবিকাশ ঘটছে। আগে যেখানে ১ GB নেট কেনার জন্য মানুষকে অনেক টাকা খরজ করতে হতো সেখানে এখন মাত্র ৫ টাকায় হয়ে যাচ্ছে। অনেকেই বলে থাকেন মোদি ১৫ লক্ষ টাকা দিতে চেয়েছিল,কিন্তু দেওয় নাই। এই কথাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা সেটা বেশিরভাগ মানুষই জানে। তিনি বলেছিলেনযে, দেশের বাইরে অথাৎ বিদেশে দেশের যে টাকা আছে, সেই টাকা যদি ফিরিয়ে আনা যায় তবেদেশের প্রতিটি মানুষকে ১৫ লক্ষ করে টাকা দিয়া যাবে। এখন আমি যদি তর্কের খাতিরে ধরেইনিযে মোদি ১৫ লক্ষ টাকা দেবার কথা বলেছে। তবে মনে হয় আপনি সেটা পেয়ে গেছেন। কি বিশ্বাস হচ্ছে না? ২০১৫ সালের ৫ সেপ্টেম্বর সর্বজনীন ভাবে জিও পরিষেবা চালু হয়, সেদিন থেকেযদি ২০১৯ শেষ পর্যন্ত প্রতি GB নেট ২০০ থেকে ২৫০ টাকা ধরেন, তবে মনে হয় ১৫ লক্ষ নাহক একে বারে কমও হবে না। এখন বুদ্ধি মানের মতো বলবেন মুকেশ আম্বানিকে মোদি অবৈধ ভাবে এটা করার সুযোগ করে দিয়েছে। তর্কের খাতিরে আমি ধরেই নিলাম যেমোদি আম্বানিকে অনেক সুযোগ সুবিধা করে দিয়েছে। তো বন্ধু এই সুবিধা কি মোদিতার নিজের জন্য করেছে? না সে করেছে দেশের সাধারণ মানুষের জন্য সুতরাং পাপ্প মার্কা কথা না বলে সত্য কে বলতে শিখুন। মোদি যেটা করেছে সেটা আপনার আমার জন্য করছে। কোন ছেলে,মেয়ে, স্বজনদের এমন কি নিজের জন্য নয়। সাম্প্রতিক সময়ে একটি জরিপে মাধ্যমে জানা গিয়েছে দেশের ৪র্থ ধনী ব্যক্তি হলেন সোনিয়া গান্ধী, এখন প্রশ্ন হলো তিনি এমন কিব্যবসা করেন? তার এই অর্থের উৎস কি? জানি এগুলো আপনার নজরে আসার সুযোগ দেবে না, তারকারণ কি সেটা আপনি ভাল জানেন।
দেশের বার্ষিক_মুদ্রাস্ফীতি
বাংলা তথা ভারতের গভীর অর্থনৈতিক বিদ অমর্ত্যসেন বাবু কিছুদিন আগে বলেছিলেন দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খুব খারাপ যাচ্ছে।
অর্থনীতিবিদ চাওয়ালা
2006: 5.8%. 2014: 6.3%
2007: 6.4%. 2015: 5.9%
2008: 8.3%. 2016: 4.9%
2009: 10.8%. 2017: 2.5%
2010: 12.1%. 2018: 3.7%
2011: 8.9%
2012: 9.3%
2013: 10.9%
তথ্যসূত্রের লিংক এখানে….
উপরে মোদি সরকারের বিভিন্ন খাতে সাফল্যের কথা কম বেশি তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। যে সকল খাতবাদ গেছে তার মধ্যে উল্লেখ না করলে নয়। এমন কিছু খাত তুলে ধরলাম নিম্নে-অটোমোবাইলএবং অটোমোবাইল কম্পোনেন্ট, বিমানচালনা, বায়োটেকনোলজি, নির্মাণ শিল্প, প্রতিরক্ষা খাত,ইলেকট্রনিক সিস্টেম, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, তথ্য প্রযুক্তি, চামড়া, মিডিয়া ও বিনোদন,খনন, তেল এবং গ্যাস, ফার্মাসিউটিক্যালস, বন্দর ও নৌপরিবহন, রেলপথ, নবায়নযোগ্য শক্তি,সড়ক ও জনপথ, মহাকাশ গবেষণা, বস্ত্র ও গার্মেন্টস, তাপ শক্তি, পর্যটন ও আতিথেয়তা ইত্যাদি।
আসুন দেখি এর বার কংগ্রেসের আমলের বিভিন্ন সময়ে দুর্নীতি-
1987 – বোফর্স কামান ঘোটালা, ৯৬০ কোটি
1992 – শেয়ার কেলেঙ্কারি, ৫,০০০ কোটি
1994 – চিনি কেলেঙ্কারি, ৬৫০ কোটি
1995 – প্রেফ্রেন্সাল অ্যালটমেন্ট ঘোটালা, ৫,০০০ কোটি
1995 – কাস্টমস ট্যাক্স কেলেঙ্কারি, ৪৩ কোটি
1995 – কাম্বলার ঘোটালা, ১,০০০ কোটি
1995 – দীনার/হাওয়ালা ঘোটালা, ৪০০ কোটি
1995 – মেঘালয় বন কেলেঙ্কারি, ৩০০ কোটি
1996 – সার আমদানী ঘোটালা, ১,৩০০ কোটি
1996 – পশু-খাদ্য কেলেঙ্কারি, ৯৫০ কোটি
1996 – ইউরিয়া ঘোটালা, ১৩৩ কোটি
1997 – বিহার জমি ঘোটালা, ৪০০ কোটি
1997 – মিউচুয়াল ফান্ড ঘোটালা, ১,২০০ কোটি
1997 – সুখরাম টেলিকম ঘোটালা, ১,৫০০ কোটি
1997 – SNC পাওয়ার প্রজেক্ট ঘোটালা, ৩৭৪ কোটি
1998 – উদয় গোয়েল কৃষি-উৎপাদ ঘোটালা, ২১০ কোটি
1998 – টীক-প্ল্যান্টেশন ঘোটালা, ৮,০০০ কোটি
2001 – ডালমিয়া শেয়ার ঘোটালা, ৫৯৫ কোটি
2001 – UTI ঘোটালা, ৩২ কোটি
2001 – কেতন পারেখ প্রতিভূতি ঘোটালা, ১০০০ কোটি
2002 – সঞ্জয় অগ্রবাল গৃহ-নিবেশ ঘোটালা, ৬০০ কোটি
2002 – কলকাতা স্টক-এক্সচেঞ্জ ঘোটালা, ১২০ কোটি
2003 – স্ট্যাম্প কেলেঙ্কারি, ২০,০০০ কোটি
2005 – আই পি ও করিডর ঘোটালা, ১,০০০ কোটি
2005 – বিহার বিপর্যয়-মোকাবিলা তহবিল ঘোটালা, ১৭ কোটি
2005 – ডুবোজাহাজ ঘোটালা, ১৮,৯৭৮ কোটি
2006 – তাজ করিডর ঘোটালা, ১৭৫ কোটি
2006 – পঞ্জাব সিটী-সেন্টার ঘোটালা, ১,৫০০ কোটি
2008 – কয়লা ঘোটালা, ২,১০,০০০ কোটি
2008 – সত্যম কেলেঙ্কারি, ৮,০০০ কোটি
2008 – সেনা-রেশন ঘোটালা, ৫,০০০ কোটি
2008 – স্টেট ব্যাঙ্ক অফ সৌরাষ্ট্র ঘোটালা, ৯৫ কোটি
2008 – হাসান আলী হাওয়ালা ঘোটালা, ৩৯,১২০ কোটি
2009 – ওড়িষা খনী কেলেঙ্কারি, ৭,০০০ কোটি
2009 – চাল-রপ্তানী ঘোটালা, ২,৫০০ কোটি
2009 – ঝাড়খন্ড খনী ঘোটালা, ৪,০০০ কোটি
2009 – ঝাড়খন্ড মেডিক্যাল-ইন্সট্রুমেন্ট ঘোটালা, ১৩০ কোটি
2010 – আদর্শ-হাউজিং ঘোটালা, ৯০০ কোটি
2010 – খাদ্য-সরবরাহ ঘোটালা, ৩৫,০০০ কোটি
2010 – S ব্যান্ড স্পেকট্রাম ঘোটালা, ২, ০০,০০০ কোটি
2011 – 2G স্পেকট্রাম ঘোটালা, ১, ৭৬,০০০ কোটি
2011 – কমনওয়েলথ গেমস ঘোটালা, ৭০,০০০ কোটি
কিছু বাদ থেকে গেল???
আমরা যারা পশ্চিম বাংলায় বাসকরি তারা হয় তো জানিই না পশ্চিমবঙ্গের কয়কটি জনপ্রিয় প্রকল্প কেন্দ্রীয় সরকারের । যাহা দিদি তার নিজের সরকারের নামে চালাচ্ছে।
● কেন্দ্র: অন্তদয় অন্ন যোজনা= ◆ রাজ্য: খাদ্য সাথী
● কেন্দ্র: বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও=◆ রাজ্য: কন্যাশ্রী
● কেন্দ্র: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা=◆ রাজ্য: নিজশ্রী/বাংলার বাড়ি/আমার ঠিকানা/ বাংলার আবাস যোজনা
● কেন্দ্র: প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা=◆ রাজ্য: বাংলার গ্রামীন সড়ক যোজনা
● কেন্দ্র: প্রধানমন্ত্রী (গ্রামীন) আবাস যোজনা=◆ রাজ্য: বাংলা গৃহ প্রকল্প
● কেন্দ্র: স্বচ্ছ ভারত মিশন=◆ রাজ্য: মিশন নির্মল বাংলা
● কেন্দ্র: অজীবিকা (জাতীয় গ্রামীন শৈশব মিশন) = ◆ রাজ্য: আনন্দধারা
● কেন্দ্র: আয়ুষ্মান ভারত=◆ রাজ্য: স্বাস্থ্যসাথী
● কেন্দ্র: স্কিল ইন্ডিয়া=◆ রাজ্য: উৎকর্ষ বাংলা
● কেন্দ্র: মনরেগা (মহত্মা গান্ধী ন্যাশনাল রুরাল এমপ্লয়মেন্ট অ্যাক্ট) = ◆ রাজ্য: কর্মশ্রী
● কেন্দ্র: জন ঔষধি=◆ রাজ্য: ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান
● কেন্দ্র: জহরলাল নেহেরু ন্যাশনাল আর্বান রিনিউয়াল মিশন=◆ রাজ্য: বাংলাশ্রী
● কেন্দ্র: ন্যাশনাল স্কলারশিপ=◆ রাজ্য: শিক্ষাশ্রী
● কেন্দ্র: প্রধানমন্ত্রী সৌভাগ্য যোজনা=◆ রাজ্য: শিক্ষাশ্রী
● কেন্দ্র: প্রধানমন্ত্রী কৃষি সেচ যোজনা=◆ রাজ্য: সেচ বন্ধু
পশ্চিম বঙ্গ সরকার কেন্দ্রে প্রায় সকল যোজনা কপি পেষ্ট করে নিজেদের বলে চালিয়ে যাচ্ছে।
সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন মুখী নীতির কারণে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা, শিল্পসংখ্যা, কৃষিউন্নত, তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্র, স্বাস্থ্য পরিষেবা ও আউটসোর্সিং ইত্যাদি কারণে ভারতের সম্পত্তির পরিমাণ বাড়ছে। যারা ২৫ হাজার টাকা এবং একটি সাইকেল পাবার পর বলতে শুরু করেছেন মোদি কি করেছে তাদেরকে বলব। শুধু বিরোধীতার সাথে আপনারা মোদির বিরোধীতা না করে গত ৭০ বছর ধরে বিগত সরকার কি কি করেছে তার সাথে একটু মিলিয়ে নিবেন। ৫ বছরের কাজের সাথে গত ৭০ কাজ এবং তার সাথে দুর্নীতি উভায়ে মিলিয়ে একটু দেখবেন দয়া করে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল গত সাড়ে চার বছরে জঙ্গিরা ভারতবর্ষের বুকে কোন ধরনের আঁচড় কাটতে পারেনি।
পাঠক যদি আপনার মনে হয় এই লেখাটি যে তথ্য আছে তা সাধারণ মানুষের জানা উচিৎ তবে আপনার একটি শেয়ারইপারে সেটা। যদি আপনাদের কারো মনে হয় যে এই লেখাটিতে কোন বিষয় যোগ করার প্রয়োজন বাবাদ গিয়েছে এমন কি ভূল হয়েছে, তবে কমেন্ট করে জানাবেন দয়া করে।
গত সাড়ে চার বছরে মোদি সরকারের সাফল্য তালিকা। দেখেনি দেশের জন্য মোদি সরকার কি কি করল। (প্রথম পর্ব)
লেখাটি একটি গবেষণা মূলক লেখা
লেখক- অভিরুপ বন্দ্যোপাধ্যায়
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা।
তথ্যসূত্র-