আমাদের দৈনন্দিন জীবনে পল্টি মুরগি বর্তমান সময়ে একটি সহজলভ্য আমিষ। গ্রাম থেকে শহর জীবনে এক আমিষের চাহিদা পুরোনে পল্ট মুরগি গুরুত্বপূণ ভূমিকা রেখে চলেছে। কিন্তু মজার বিষয় হলো এই সহজলভ্য আমিষটি কিছু বছর আগেও আমাদের সবার জন্য অতীব অপ্রতুল এবং দুষ্প্রাপ্য ছিলো। একটা সময় ছিল মানুষ তার আমিষের চাহিদা মেটানোর জন্য পাঠা যা পরবর্তীতে (তখন খাসি অতটা সচল ছিল না ) এসে খাসি উপরেই নির্ভর করত। সেই সাথে পাঠার থেকেও যদি ভালো কিছু আমিষ খাবার হিসাবে গ্রহণ করতে চাইত তবে ডেলিকেসি মানে ভালো কিছু খাওয়ার নমুনা ছিল মুরগি।
আমরা এই গত শতব্দী থেকে এক অত্যাশ্চর্য বৃদ্ধি দেখলাম এই পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রি শিল্পের। এই অত্যাশ্চর্য বৃদ্ধির পিছনে যে উপাদানটি সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করেছে তা হলো এন্টিবায়োটিক্স এর প্রয়োগ। তবে বর্তমানে এই এন্টিবায়োটিক মানব সভ্যতার ধ্বংসের কারণ হয়ে উঠতে পারে। এর উপর Maryn McKenna এর একটি গবেষণাধর্মী লেখা লিখেছেন। আর আমরা বিভিন্ন উৎস থেকে যে তথ্য জানতে পারছি তার সূত্র ধরে এই লেখাটি সামনের দিকে এগিয়ে নিব।
পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ শিল্প বিপ্লব
পোল্ট্রি মুরগি মূলত ১৯২০ সালে পূর্বে শুধু ডিম উৎপাদনের জন্য পালন করা হত। তাই এর উৎপাদন ছিল খুব কম যার কারণে শুধু ডিম উৎপাদন এবং যখন ডিম দেওয়ার বয়স চলে যেতো তখন এর মাংস খাওয়া ছাড়া আর তেমন কোন ভূমিকা ছিল না আমিষ উৎপাদনে। শুধুমাত্র একটি শূন্যের ভূলেই আজ বিশ্ব জুড়ে পোল্ট্রি মুরগির এই বিশাল উৎপাদন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সেই চাঞ্চল্য ঘটনাটি ঘটেছিল ১৯২৩ সালে । পোল্ট্রি মুরগির বাচ্চা উৎপাদন এবং তার সরবরাহকারী একটি কোম্পানির ১৯২৩ সালে এই ভুলটিই করেছি। আমেরিকার ডিলাওয়ার বলে একটি স্থানে সে সময় এমন কি বর্তমানেও মুরগি উৎপাদনের জন্য প্রসিদ্ধ। তবে এই প্রসিদ্ধ আগে ছিলে শুধু ডিম উৎপাদনের জন্য কিন্তু বর্তমানে তা মাংস উৎপাদনের জন্য। বিশ্ব জুড়ে মুরগি উৎপাদনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন পিছনে সেই মহামূল্যবান ভুলে কথা হয়তো পাঠক আপনিও জানে না। সেই সময় সিসিল নামে একজন গৃহবধূ একটি কোম্পানি কাছে মাত্র ৫০ টি মুরগির বাচ্চার জন্য অডার করে।
সেই মহামূল্যবান ভুল কোম্পানিটি এই সময় করে বসে. তারা ৫০ টি মুরগির বাচ্চার অডার স্থানে ৫০০ টি অর্থাৎ ভুল করে একটি শূন্য বেশি দিয়ে বসে । যার ফলে ঐ গৃহবধূ যখন বাচ্চা নিতে আসে তখন সে অতিরিক্ত বাচ্চা নিতে অস্বীকার জানাই, পরবর্তীতে সেই গৃহবধূ ৫০০ টি বাচ্চাই নিয়ে নেন। সিসিল বাচ্চা গুলো আর বিক্রি না করে সে ওগুলোকে লালন পালন করতে থাকে। কিছুদিন পরে যখন প্রতিটি মুরগি ২ প্রায় পাউন্ড হয় তখন তার কাছে ৩৮৭ টি মুরগি অবশিষ্ট ছিল। ঐ ৩৮৭ টি মুরগি বড় করে বাজারে বেচে সিসিল প্রতি পাউন্ডে ৬২ সেন্ট লাভ করে।
সিসিল পরের বছর ১০০০ বাচ্চার অডার করে এবং তা থেকে প্রতি পাউন্ডে ৫০ সেন্ট লাভ করে। এই ফলে সিসিল রাতারাতি ফুলে ফেঁপে ওঠতে থাকে। ১৯২৬ পর থেকে তার বাৎসরিক উৎপাদন ১০ জাহার বাচ্চায় এসে দাঁড়ায়। ১৯২৮ এর মধ্যেই ওটা হয়ে যায় ২৬ হাজার বাচ্চা। তার এই সফলতা মুহূর্তের মধ্যে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে ১৯২৮ সালে এর মধ্যে প্রায় ৫০০ মানুষ এই কাজের সাথে যুক্ত হয়ে যায়।
পরবর্তী সময়ে এই শিল্পের নানা ঘাত প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে যায়। বিশাল বাণিজ্যিক ভাবে এগিয়ে আসে Ronald McDonald এর চিকেন নাগেটস এবং McDonald এর উদ্ভব। আজ গোটা বিশ্ব সে সময়ের তুলনায় প্রায় ৫ গুণ চিকেন খায়। এটা ছিল মুরগি শিল্পের জন্মের কাহিনী । কিন্তু সেই কাহিনীর সাথে ওষুধ শিল্পের সহযোগিতায় উৎপাদন এখন বেড়ে হয়েছে বহু গুণঃ।
পোল্টি শিল্পে এন্টিবায়োটিক্স
থমাস জুইক ব্রিটিশ বিজ্ঞানী ১৯৪৮ এ ভিটামিন আর অন্য বৈজ্ঞানিক খাবার এর মুরগির উপর প্রয়োগ করে একটি পরীক্ষা করছিলেন। থমাস জুইক যেই কোম্পানিতে ছিলেন সেই কোম্পানি সেই সময়ের বিস্ময় ,বাজারে নতুন আসা এন্টিবায়োটিক এর তৈরির কাজ করছিল। মুরগির উপর এন্টিবায়োটিক প্রয়োগে উৎসাহ যোগায় থমাস কে, কারণ ঐ এন্টিবায়োটিক মানুষের আয়ু আর রোগ প্রতিরোধে অভূতপূর্ব সাফল্য দেখেছি। পরীক্ষাগারের কিছু মুরগিকে একটি নির্দিষ্ট পরিমান খাওয়াতে থাকেন। কিছুদিন যেতেই ফলাফল দেখে তিনি তো অবাক, ফলাফল আসে চমকপ্রদ। তিনি লক্ষ্য করলেন যে মুরগি গুলোকে এন্টিবায়োটিক দিয়েছিলেন তার প্রায় ২.৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে অনন্য মুরগি থেকে। এই খবর আর চাপা থাকে না চারিদিকে দাবানলে মতো ছড়িয়ে পড়ে। মাত্র কিছু বছরের মধ্যে আমেরিকাতে এর ব্যবহার বহুগুণ বেড়ে যায়। এর ফলে মুরগি উৎপাদন আমেরিকাতে বহুগুণ বেড়ে যায়।
এন্টিবায়োটিক ব্যবহার
আজকাল খামার গুলিতে প্রাণীদের উপর এন্টিবায়োটিক্স এর ব্যবহারের প্রায় ৮০% এর বেশি।পুরো শিল্পের ক্ষেত্রে নজর দিই তবে দেখব রোগ না হলেও পুরো জীবন চক্রে অল্প পরিমানে যদি আমরা পুরো শিল্পের ক্ষেত্রে নজর দিই তা হলে দেখবো শুধু কোনো রোগ হলে না , পুরো জীবন চক্রে এন্টিবায়োটিক অল্প পরিমানে দিয়ে যাওয়া হচ্ছে অনেক ক্ষেত্রে একটা অলিখিত । এই এন্টিবায়োটিক ব্যবহারে কারণ যে কোনো ক্ষতির থেকে মুক্তি। যা আজ মানব সভ্যতার জন্য ডেকে আনছে বড় বিপদ। আজ বিভিন্ন সেমিনারে বার বার বলা হচ্ছে এই বিপদের কথা।
মুরগির স্বাস্থ্য দেখতে গিয়ে আমরা নিজেদের স্বাস্থ্যের জলাজ্ঞলি দিয়েছি। আজ রোগ জীবাণুগুলো বহু গুণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষামতা সম্পন্ন হয়ে ওঠছে। আমরা হয় তো জানিই না, আমাদের এক প্রজন্মের মধ্যে এই জীবাণুগুলোর কয়েক হাজার প্রজন্মের বিবর্তন হয়ে থাকে। এদের জীন এখন বহু গুণ পুনর্গঠিত হয়েছে , সাধারণ এন্টিবায়োটিক দিয়ে সাধারণ রোগ প্রতিরোধ ও আজ সম্ভব হচ্ছে না। জাতিসংঘ তাদের প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এই প্রতিরোধ কে মানুষের সার্বিক বিপদের কারণ বলে একে বর্ননা করেছে। প্রেস রিলিজ এর লিংক ও দিয়ে দিলাম ।
আজ মুরগির মাংসের মাধ্যমে আমাদের শরীরে প্রবেশ করা এন্টিবায়োটিক এর কারণে আমাদের সাধারণ রোগের কারণে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা প্রচুর বেড়ে গিয়েছে। একটি পরিসংখ্যান বলছে শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ২০১৩-২০২০ এর মধ্যে লক্ষ লোক সাধারণ রোগে আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গিয়েছে প্রায় ২৩ হাজার মানুষ। (তথ্যসূত্র ) এই রোগের জন্য প্রায় চিকিৎসা ব্যয় হয়েছে ২০ বিলিয়ন ডলার । সূত্র এখানেই শেষ না, ২০৫০ নাগাদ মানুষ যদি এর সমাধান না খুঁজে বের করতে পারে মানুষ তবে এই ওষুধের রেজিস্ট্যান্স এর কারণে ১ কোটি মানুষের মৃত্যু হবে, বলছে ব্রিটেনের একটি জরিপে। শুধু মারা যাবে না তার উপর খরচ হবে ১০০ ট্রিলিয়ন ডলার। হ্যা , ট্রিলিয়ন!
সত্যই চিন্তার বিষয় তা হলে এখন কি হবে? কি ভাবে আমরা এই রাক্ষস কে বোতলের আটকাতে পারি ?
বেশ কয়েকটি উপায়
১. পোল্ট্রি ইত্যাদি শিল্পে এন্টিবায়োটিক নিয়ন্ত্রণ জন্য গ্রোথ প্রোমোটার নামে একটি গোষ্ঠী কাজ করতে শুরু করেছে। ইউরোপিয়ান দেশগুলো ইতিমধ্যেই এই কাজ শুরু হয়েছে। ২০০৬ থেকে এর প্রয়োগ নিষিদ্ধ করা হয়েছে এই মহাদেশে । এখন কোনো স্বীকৃত পশুর ডাক্তার এর প্রেসক্রিপশন ছাড়া এর প্রয়োগ নিষিদ্ধ।
২. বর্তমান ফার্ম গুলোতে এন্টিবায়োটিক এর প্রয়োগ যেখানে হচ্ছেই সেখানে ডোজ এর পরিমান কমানো দিকে নজর দিয়েছে। তবুও এটা বন্ধ বা অনেক বেশি কমের পযয় আনা এখনো সম্ভব হয়নি। কারন আমেরিকার সহ ওই দেশগুলোতে শক্তিশালী ফার্মিং লবি রহয়েছে। ঠিক এই প্রশ্ন এখন মনে মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে, তাই না, আর আমাদের দেশে ? না বললেই ভালো ! তা হলে উপায় ? এন্টিবায়োটিক এর কম বা একেবারে বন্ধ করে প্রভাবশালী ফার্মিং গোষ্ঠীর বিরুদ্ধ গন সচেতনা গড়ে তুলা এতো সহজ হবে না।
আশার কথা হল অদম্য মানুষ তার মহা আয়ূধ বিজ্ঞান কে দিয়ে এর অস্ত্র বের করেছে। এই এন্টিবায়োটিক এর বিকল্প নিয়ে প্রচুর গবেষণা চলছে,অনেক পথ আছে ,না আমি একদম এই মুহিতে মুরগির খামার এর ক্ষেত্রে বিকল্প রাস্তার খবর জানাতে চাইছি না।
নাম নিলাম একাধিক নানাভাবে ব্যবহ্রত রান্নাঘরের হার্ব এর !
ভূমধ্যসাগরীয় হার্ব মানে একটি বিকল্প অরিগানো পাওয়া গেছে একটি ভেষজ যা আমিষ রান্নায় দেওয়া হয়, তার থেকে উৎপাদিত তেল। ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশন বিভাগ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, বহুদিনের এর উপর গবেষণা করছে। গবেষণা বলছে মুরগিগুলোর রোগ প্রতিরোধের জন্য এই তেল পরিমান মত খাওয়ালে মুরগি ৬০ ভাগ মৃত্যু হার কমিয়ে আনা সম্ভব। এই বিষয়ের উপর ২০১৪ সালের করা সমীক্ষাটি এখানে দেখুন। এ ছাড়াও আশা কথা আর একটু শুনুন ২০১১ সালে একটি বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় অরিগানো , গোলমরিচ , দারুচিনির নির্যাস দিয়ে একই ভাবে ওই মুরগির ওজন বৃদ্ধি , রোগ প্রতিরোধ ইত্যাদি করা যাচ্ছে অনেক সফল ভাবে। সূত্র
বিজ্ঞানীরা একটি বিষয় এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হয়েছে যে এই সকল প্রাকৃতিক গাছ বা উপাদান দিয়ে সাফল্যে আসবে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত আপনাদের এটা বলা সম্ভব হচ্ছে না যে এটি কি ভাবে কাজ করে।এই গবেষণা কেবল ওই ফার্মের মুরগির উপর হচ্ছে না ,মূল তো মানুষ তাই না ? একই ভাবে দেখা যাচ্ছে থাইম (বাংলা প্রতিশব্দ জানি না ! ) আর লবঙ্গর তেলে কিছু স্ত্রী অঙ্গের ব্যাকটেরিয়াল রোগের প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করছে । সূত্র
অন্য দিকে বহিরঙ্গে কেটে যাওয়া থেকে জটিল ইনফেকশন যার উপর স্টাফিলোকক্কাস নামের পাজি জার্ম ইতিমধ্যেই এন্টিবায়োটিক এর প্রতিরোধ করে ফেলেছে , তার সফল চিকিৎসা শুরু হয়েছে চা গাছের থেকে উৎপাদিত তেল থেকে ! সূত্র :
এন্টিবায়োটিক এবং এই তেল গুলোর একযোগে ব্যবহার করলে আরো অনেক বেশি রোগের উপশম হচ্ছে। একদল গবেষকের মতে এই এই ভেষজ তেল গুলো ওই জীবাণুর কোষের দেওয়াল কে দুর্বল করে ওই এন্টিবায়োটিক গুলো কে কাজ করিয়ে ওদের মৃত্যু ঘটাতে সাহায্য করছে। সূত্র :
আমাদের বাজার অর্থনীতির সীমাবদ্ধতা আছে এটাই আমাদের জন্য বড় মুশকিল। এই মুহুতে আপনি ভুল করেও আশা করতে পারেন না যে বাজারে ব্যবহারিত ওষুধের বদলে এই কোম্পানিগুলো নতুন ভেষজ ওষুধের জন্য তারা নতুন ভাবে টাকা খরচ করে অতিরিক্ত গবেষণা বা পদক্ষেপ নেবে। সেটা প্রমান দেখার জন্য বেশি দূর যেতে হবে না। এখন আমরা নিয়মিত দেখেছি এসপিরিন থেকে ম্যালেরিয়ার ওষুধ সব প্রাকৃতিক ভেষজ থাকলেও এখনো সেটার ব্যবহার অপতুল সজাসাপ্ট এর উপর কোন কাজ হয় না। এই সমস্যার সমাধানে জন্য তাই এগিয়ে আসতে হবে রাষ্ট্রকেই। আশা রাখব আমরা অবশ্যই,হয়তো আসবে ,যাই হোক ,আবার মূল বিষয়ে খামারের ফিরে আসি।
এই ধরণের সাপ্লিমেন্টরি খামার এর খাবার আসছে শুরু করেছে বাজারে এটাই আশার বানি। পাশাপাশি তেলও আসছে। এই নতুন বিষয়ের পক্ষে কিছু মালিক কাজ করতে শুরু করেছে।
এদের একজন , স্কট সেলার তিনি বেল এন্ড ইভানস খামারের মালিক , তৈরী করেছেন এন্টিবায়োটিক বিহীন মুরগি উৎপাদনের খামার। ২০১২ তে নিউইয়র্ক টাইমস এ দেওয়া এক স্বাক্ষাৎকারে তিনি বলেন প্রচলিত মুরগির রোগে তিনি অরিগানো আর দারচিনির তেল দিয়ে তার খামার রক্ষা করেছেন। এখানে বলে রাখা ভালো , এই খামারটি কোনো আতিপাতি খামার না , খামারটি যে কোনো সময় ৯০ লক্ষ মুরগির যোগানের ক্ষমতা আছে ! সূত্র
তিনি আরো বলেছে সময় এসেছে সময়ের সাথে নিজেদের পরিবর্তন করার। তিনি এই অস্ত্র কে ব্যবহার করতে অনুরোধ করছেন অনন্য খামারিদের। তিনি ১০ বছর নিয়েছেন মানুষ কে বুঝতে যার মধ্যে তার নিজের অধস্থন ১৫০০ কর্মচারী ও আছেন। প্রচুর বাধা তিনি পেয়েছেন , তার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে লোকে প্রশ্ন করেছে। এই তেল ছাড়া ও তিনি খামার গুলো পরিষ্কার রাখতে আবেদন করেছেন।
এই লেখাটি একটি গবেষণা মূলক লেখা এর সূত্রগুলো মাঝে মাঝে দিয়েছি।
এখানে বলে রাখি আমার কোনো মুরগির খামার নেই বা আমি পশু বিশেষজ্ঞ না। তাই যদি কোথাও আপনার দৃষ্টিতে মনে হয় ভূল তবে সেটা সংশোধিত করার জন্য সহযোগিতা করুণ। এই ব্যস্ত সময়ের মাঝে লেখাটি পড়ান জন্য অনেক ধন্যবাদ। কমেন্টে আপনাদের মতামত দিলে খুশি হব।
ধন্যবাদ
অভিরুপ ঢেরা।