চীন পরিকল্পিতভাবে সারা পৃথিবীতে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে দিয়ে, বিশ্ব অর্থনীতির নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে নেওয়ার গভীর ষড়যন্ত্র এঁটেছে। ভারতে ব্যাপকভাবে চাইনিজ করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়লেও, আরোগ্যের হার ৫৪%। এজন্য চীনের আর তর সইছে না। সারা পৃথিবী যখন করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে ব্যস্ত, চীন তখন ভারত সীমান্তে ভূমি দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
চীন-ভারত দ্বিপাক্ষিক সমঝোতার কারণে, উভয় দেশের সৈন্য যখন সীমান্তে যায়, তারা আগ্নেয়াস্ত্র বহন করতে পারে না। গুলি না চললেও সীমান্তে দুই বাহিনীর মধ্যে বেশ কয়েকবার হাতাহাতি – ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটেছে। সেই লড়াইয়ে খর্বাকৃতির চাইনিজ বাহিনী কখনও সুবিধা করতে পারে নি। তাই তারা সম্প্রতি জঘন্য কৌশল নিতে শুরু করেছে । তারা লাঠি হাতে সীমান্তে টহল দিতে আসে । সেই লাঠির মাথায় থাকে সুচালো লৌহ ফলাকা । গুলি চালাতে পারবে না বলে, ওই লৌহ ফলাকা লাগানো লাঠি দিয়ে তারা আঘাত করে ভারতীয় বাহিনীকে। ভারত যথেষ্ট ধৈর্য সহকারে চিনের এই সব কৌশলের মোকাবিলা করার চেষ্টা চালিয়ে এসেছে।
আন্তর্জাতিক নিরপেক্ষ গণমাধ্যমের সংবাদ অনুযায়ী, গত ১৫ জুন সোমবার মাঝ রাতে পেট্রোলিংয়ের সময় ভারতীয় বিহার রেজিমেন্ট দেখতে পায় – গালওয়ান নদীর পশ্চিম প্রান্তে লাইন অফ কন্ট্রোল পার হয়ে, ভারতীয় ভূখণ্ডে পেট্রোল পয়েন্ট ১৪-তে টেন্ট তৈরি করেছে চীনের পিপলস আর্মি।
ফলে পেট্রোলপার্টি দ্রুত সেখানে ছুটে যায় এবং উভয় পক্ষে বচসা শুরু হয়। আহত সেনাদের বক্তব্য – সামান্য হাতাহাতি শুরু হতেই চীনের সৈন্যরা লৌহ ফলাকা যুক্ত লাঠি দিয়ে আক্রমণ করে। খালি হাতে সমুচিত জবাব দেয় ভারতীয় সৈন্যরাও। অত উচ্চতায় প্রচণ্ড ঠান্ডার সঙ্গে যুঝে নেওয়াই কঠিন। তাপমাত্রা হিমাঙ্কের অনেক নীচে। অক্সিজেনের ভীষণ অভাব। তার মধ্যেই দুই পক্ষের সংঘর্ষ চরমে পৌঁছায়। আহত সেনা জওয়ানরা নদীতে পড়ে যায়। মঙ্গলবার সকালে বহু সেনার মৃতদেহ নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য – ১ জন কর্নেল সহ মোট ২৩ জন ভারতীয় জওয়ান শহীদ হয়েছেন। আরো ১১০ জন সৈনিক গুরুতর আহত। ফলে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এদিকে চীনের সেনা বাহিনীর তরফ থেকে অবশ্য এখনও কোনও বিবৃতি প্রকাশ করা হয়নি। সরকারি ভাবে ক্ষয়ক্ষতির কথাও জানানো হয়নি। তবে চীনের সরকারি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সে দেশেও বেশ কিছু সেনার মৃত্যু হয়েছে। সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের দাবি – ভারতের সেনা চীনের রেডিও ইন্টারসেপ্ট করে জানতে পেরেছে, চীনের অন্তত ৪৩ জন সেনা এই সংঘর্ষে নিহত হয়েছে।মার্কিন গোয়েন্দা সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, ওই সংঘর্ষে চীনের কমপক্ষে ৩৫ জন সৈন্য হতাহত হয়েছে।
ভারত পৃথিবীর বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ, চীন পৃথিবীর স্বৈরতন্ত্রের সর্দার। সঙ্গত কারণেই, বর্তমান সঙ্কটকালে ইউরোপ, আমেরিকা,ইসরাইল,অস্ট্রেলিয়া,জা
চীন ভারতের তুলনায় সামরিকভাবে অনেক শক্তিশালী দেশ হলেও, দুর্গম ভারতীয় সীমান্তে সৈন্য ও সমরাস্ত্র সমাবেশ করা, চীনের জন্য মোটেও সহজ কাজ নয়। লৌহ মানব নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন জাতীয়তাবাদী সরকারের সুদক্ষ ও সুদৃঢ় নেতৃত্ব যেমন ভারতকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে ; পাশাপাশি ভারতের অভ্যন্তরে রয়ে গেছে, বিশাল সংখ্যক সেক্যুলার ও বামপন্থী চীন-পাকিস্তানের দালালরা। এই গৃহশত্রু বিভীষণরাই হচ্ছে ভারতের মূল দুর্বলতা।
ভারতের হাতে সবচেয়ে শক্তিশালী একটি অস্ত্র রয়ে গেছে,যা চীনের হাতে নেই – সেটি হচ্ছে ভারতের অভ্যন্তরে চাইনিজ পণ্যের বিশাল বাজার। প্রায় একশো বিলিয়ন ডলারের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের সিংহভাগ ভারসাম্য চীনের দিকে।
ভারতীয় জনগণ যদি চাইনিজ পণ্য বর্জন করে, তাহলে ভারতের অভ্যন্তরে চীনের বিরাট বাজারটি নষ্ট হয়ে যেতে বাধ্য।
চীন থেকে খুব একটা অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ভারতে আমদানি করা হয় না ; যা আমদানি হয় – তা সবই ভোগ্যপণ্য। কাজেই চাইনিজ পণ্য বর্জন করলে, ভারতের আহামরি তেমন ক্ষতি হয়ে যাবে না। চীনের ক্ষতি করতে কোন গুলি ছুড়তে হবে না, বোমা ফেলতে হবে না, সৈন্য মারতে হবে না ; কেবল চাইনিজ পণ্য ব্যবহার না করলেই কেল্লাফতে।
সুতরাং আসুন, সমস্ত ভারতবাসী হাতে হাত মিলাই – হৃদয়ে হৃদয় মিলিয়ে প্রতিজ্ঞা করি : কোন চাইনিজ পণ্য আমরা ব্যবহার করব না; দরকার হলে কষ্ট করে চলব, তবু চাইনিজ পণ্য বর্জন করব।
পাশে থাকতে একটি লাইক দিয়ে রাখুন।