নারীদের কি উপনয়ন

নারীদের কি উপনয়ন বা পৈতা ধারণ হয়? হিন্দু শাস্ত্র কি বলে এই নিয়ে?

নারীদের কি উপনয়ন বা পৈতা ধারণ হয়? হিন্দু শাস্ত্র কি বলে এই নিয়ে? 

শাস্ত্র মতে উপনয়ন অর্থাৎ পৈতার অর্থ দ্বিজ হওয়া। ‘দ্বিজ’ শব্দের অর্থ দ্বিতীয় জন্ম। বৈদিক যুগে দ্বিজ হতেন নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলেই। উপনয়ন শব্দটির অর্থ বেদ অধ্যয়নের জন্য গুরুর কাছে যাওয়া। তাই এই সময়কালে পুরুষের সঙ্গে সঙ্গে নারীরাও ব্রহ্মচর্য জীবন পালন করে গুরু আলয়ে থেকে বেদ অধ্যয়ন করতেন। উপবীত ধারণ থেকে বাদ যেতেন না মেয়েরাও। তাঁরা পৈতা গ্রহণ করে যজমান হতেনযাগ-যজ্ঞের অধিকার ছিল তাঁদের

সনাতন ধর্মমতে মানব জীবনের ষোড়শবিধ সংস্কার মনুষ্য জীবনকে সুন্দর  ও কল্যাণকর গড়ে তোলার লক্ষে পবিত্র বেদে ঐশ্বরিক প্রেরণায় ঋষিরা অনেক ধর্মীয় আচার -আচরণ ও মাঙ্গলিক কর্মের নির্দেশ দিয়েছেন যা  বৈদিক সংস্কার নামে পরিচিত। আর সেই ১৬ টি সংস্কারের একটি হল উপনয়ন।আমরা সবসময় দেখে আসছি উপনয়ন হয় শুধু ছেলেদের,তাহলে মেয়েদের কি উপনয়ন হবেনা?এ নিয়ে শাস্ত্র কি বলে আজ তাই আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব।

উপনয়ন উপ=নিকটে  নয়ন = চোখ। উপনয়ন শব্দের অর্থ হচ্ছে নিকটে যাওয়া।যে অনুষ্টানের পর ছাত্রকে বিদ্যা শিক্ষার জন্য গুরুর নিকটে যাওয়া হয় তার নাম ছিল উপনয়ন। সহজ কথায় উপনয়ন শব্দের অর্থ হচ্ছে যজ্ঞোপবীত বা পৈতা ধারণ।  এই উপনয়ন হলো শাস্ত্র অনুষ্ঠান যার মাধ্যমে হিন্দু বালক- বালিকারা  দ্বিজের সংস্কারে দীক্ষিত হয়।এটি এক্টি শিক্ষারাম্ভকালীন অনুষ্টান।

উপনয়নের পর সনাতনীদের দ্বিজ বলা হয়। দ্বিজ মানে দুবার জন্ম নিয়েছেন যিনি।বৈদিক দর্শন অনুযায়ী, প্রথম বার ব্যক্তির জন্ম হয় মাতৃগর্ভে এবং দ্বিতীয়বার জন্ম হয় উপবীত বা পৈতা ধারণ করে জ্ঞানার্জন করার মাধ্যমে।ঈশ্বরকে পাবার জন্য যে জ্ঞান,সেই জ্ঞান অর্জনের জন্য গায়ত্রী মন্ত্র সাধনের অধিকার লাভ করার অনুষ্ঠানকে উপনয়ন বলে।

ব্রহ্মচর্য এবং উপনয়ন কি নারীদের জন্যও প্রযোজ্য?
উপনয়ন

নারীর উপনয়ন বা পৈতা ধারণ-

ওম অগ্নে ব্রতপতে ব্রতং চরিষ্যামি তচ্ছকেয়ং তন্মে রাধ্যতাম।ইদমহমনৃতাৎ সত্যমুপৈমি।। (যজুবেদ ১।৫)
অনুবাদ-হে ব্রতপতে অগ্নে!আমি ব্রত ধারণ করছি যে,আমি যেন অসত্যকে ছেড়ে সত্যকে জানি,সত্যকে মানি ও সদা সত্য ব্যবহার করি।হে প্রভু! তুমি আমাকে এ মন সামর্থ্য প্রদান করো যেন এই সত্য ব্রত সদা সত্য সিদ্ধ হয়। 

পুরাকালে কুমারীদের উপনয়ন হতো, তাদের বেদ পাঠ শিক্ষা দেওয়া হত এবং গায়ত্রী মন্ত্র উচ্চারনের  প্রদ্ধতি শিখানো হতো এবং গুরুগৃহ হতে সমাবর্তন অনুষ্টান ও হতো।

ঋগ্বেদে ১০।০৫।৪১ মন্ত্রে বিবাহ সংস্কারে স্পষ্ট বলা হয়েছে,পতির সামনে যজ্ঞোপবীতধারিণীকন্যা।দু:খের বিষয় এখন শুধু ব্রাক্ষণ ও পুরোহিতরা পূজা করার জন্য উপনয়ন গ্রহণ করে।

নারীর যজ্ঞোপবীত সংস্কারে বেদ-
“ব্রক্ষচর্যেণ কন্যা যুবনাং বিন্দতে পতিম”(অথর্ব্ববেদ ১১।৫।১৮)
অনুবাদ-ব্রক্ষচর্য অবলম্বন করিবার পর(বেদাদিশাস্ত্র অধ্যয়ন পূর্বক বিদ্যা লাভ করিয়া)কুমারী কন্যা যৌবনকালে বিদ্বান পতিকে লাভ করিবে।

প্রাচীন বৈদিক সমাজে নারীশিক্ষার ও নারীদের উপনয়ন তথা ব্রহ্মচর্য জীবন পালনের একটি চিত্র দেখা যাক:

“ব্রহ্মচর্যেন কন্যা যুবানং বিন্দতে পতিম্।”
(অথর্ববেদ ১১.৫.১৮)
অর্থাত্‍ ঠিক যেমন যুবক ব্রহ্মচর্য শেষ করে বিদুষী কন্যাকে বিয়ে করবে ঠিক তেমনি একজন যুবতীও ব্রহ্মচর্য শেষ করে পছন্দমত বিদ্বান যুবককে স্বামী হিসেবে গ্রহণ করবে।

পাণিনি তার সংস্কৃত ব্যকরন শাস্ত্রে ছাত্রীদের ব্রহ্মচর্যের প্রতিষ্ঠান ছাত্রীশালা ও এর মহিলা অধ্যাপক আচার্যনি এর এর উল্লেখ করেছেন-

“মাতুলাচার্যাণামানুক্ত”
(পাণিনি ৪.১.৪৬)

এবং “ছাস্যাদযঃ ছাত্রীশালাযাম্”
(পাণিনি ৬.২.৭৬)

ব্রহ্মচারিনী ছাত্রীদের নারী শিক্ষক উপদেষ্টির উল্লেখ পাওয়া যায় ঋগ্বেদ ১.৩.১১, ১০.১৫৬.২ প্রভৃতিতে।

“চেতন্তি সুমতিনাম যজ্ঞম দধে সরস্বতী”
(ঋগ্বেদ ১.৩.১১)
এখানে নারী শিক্ষিকাকে জ্ঞানদাত্রী ও প্রেরণদাত্রীরূপে শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে।

পবিত্র বেদ ও শতপথ ব্রাহ্মণে আমরা দেখতে পাই যে কিভাবে গার্গী, মৈত্রেয়ী, অত্রেয়ী, বাক, অপালাসহ বিভিন্ন নারীরা ব্রহ্মচর্য পালনের মাধ্যমে ঋষি পর্যায়ে উন্নীত হয়েছিলেন।

উত্তররামচরিতমানস এর ২.৩ এ পাওয়া যায় ঋষিনী অত্রেয়ী বলছেন,
“এই অঞ্চলে অগস্ত্যসহ অনেক বিখ্যাত মহর্ষি আছেন। আমি মহর্ষি বাল্মীকির আশ্রম থেকে এখানে এসেছি তাঁদের কাছ থেকে বেদ অধ্যয়ন করতে।”

“ওঁ শুদ্ধ পুত যোসিত যজ্ঞিয়া ইমা ব্রাহ্মনম হস্তেষু প্রপ্রতক সদায়মি।
যত্‍কামা ইদমাভিসিন্চমি বো হামিন্দ্রো মরুত্বন্স দদাতু তন্বে।। ওঁ”

অর্থাৎ “আমার সকল কন্যাগণ পবিত্র, ধর্মনিষ্ঠ, সকল ধর্মানুষ্ঠান (যজ্ঞাদি) পালনে যোগ্য।তাঁরা সকলে পবিত্র বেদ মন্ত্র নিষ্ঠার সহিত পাঠ করবে। তাঁরা সকলে বিদ্বান গুরুর নিকট বিদ্যালাভ করবে। ঈশ্বর তাদের নৈবেদ্য গ্রহণ করবেন।”

বৈদিক শাস্ত্রে নারীদের উপনয়ন তথা ব্রহ্মচর্য পালনের বিষয়ে এর চেয়ে সুস্পষ্ট প্রমাণ আর কী হতে পারে?

ব্রক্ষচর্য পালনের পূর্বশর্ত হচ্ছে উপনয়ন সংস্কার বা গায়ত্রী মন্ত্র দিক্ষিত হয়ে যজ্ঞোপবীত বা পৈতা ধারন করা। সুতারং বেদ অনুযায়ী নারীদের যজ্ঞোপবীত বা পৈতা ধারনে পূর্ন অধিকার রয়েছে।

প্রাবৃতাং যজ্ঞোপবীতিনীমম্যুদানয়ন জপেৎ।সোমোহদদদ গন্ধর্বায়েতি।।(গোভিল গৃহ্যসূত্র ২.১.১৯)
অনুবাদ- সুবস্ত্রশোভিতা( যজ্ঞোপবীতিনীম)যজ্ঞোপবীত পরিহিতা কন্যাকে দান করিয়া সোমদদদ মন্ত্র জপ করিবে।

সকল কুমারী কন্যার উচিত বেদজ্ঞ আচার্য্যের নিকট উপনয়ন নিয়ে যজ্ঞোপবীত বা পৈতা ধারণ করা এবং ব্রক্ষচর্য পালন করা।

বৈদিক যুগে নারীদের পবিত্র ব্রক্ষসূত্র দিয়ে দীক্ষিত করা হতো অর্থাৎ তাদের উপনয়ন হতো,তারা গায়ত্রী মন্ত্র উচ্চারণ  করতেন,পবিত্র অগ্নিযজ্ঞে আরাধনা করতেন।যা একজন পুরুষের সমান, কোন অংশে কম নয় যা আজ  আমরা চিন্তা করতেই পারি না।ব্রক্ষবাদিনী নারী আর সদ্যবধু নারী নামে দুটি ভাগ ছিল।পবিত্র উৎসবের মাধ্যমে ব্রক্ষ সূত্রের দ্বারা  উপনীত করে যাদের বিয়ে হত তারাই সদ্যবধু আর ব্রক্ষবাদিনীরা বিয়ে করতেন না,তারা পুরুষের মতোই ব্রক্ষচর্য পালন করতেন।উপকুরবান ব্রক্ষচারীরা গুরুগৃহে অধ্যয়নশেষে পিতৃগৃহে গিয়ে বিয়ে করে গার্হস্থ্য ধর্ম পালন করতেন।

মহাভারতে দেখা পাণ্ডব মাতা কুন্তিও ব্রক্ষসূত্রে(পৈতা) ভুষিত ছিলেন।এছাড়া প্রাচীন বৈদিক সমাজে নারীশিক্ষা ওনারীদের উপ নয়ন তথা ব্রক্ষচর্য পালন করতেন যেমন –

১) ঘোষা (ঋগবেদ দশম মন্ডলের ৩৯-৪১ নং সুক্তের দ্রষ্টা,ঋষি কক্ষিবান এর কন্যা)২) লোপামুদ্রা৩) মৈত্রেয়ী৪) গার্গী৫) পৌলমি৬) রোমশা৬) অপালা৭) বাক (ঋগবেদের বিখ্যাত দেবীসূক্তের দ্রষ্টা )৮) অপত৯) কত্রু১০) বিশ্ববর১১) জুহু১২) ভগম্ভ্রীনি (মহর্ষি অম্ভ্রন এর কন্যা, ঋগবেদের অষ্টম মন্ডলের ১২৫ নং সুক্তের দ্রষ্টা)১৩) যরিতা১৪) শ্রদ্ধা১৫) উর্বশী১৬) স্বর্ণগা১৭) ইন্দ্রানী১৮) সাবিত্রী১৯) দেবায়নী২০) নোধা২১) আকৃষ্ভাষা২২) শীকাতনবাবরি২৩) গণ্পায়নী২৪) মন্ধত্রী২৫) গোধ২৬) কক্ষিবতী২৭) দক্ষিণা২৮) অদিতি২৯) রাত্রি (মহর্ষি ভরদ্বাজের কন্যা)৩০) শ্রীলক্ষ্য সনাতনের সকলে এই ষোড়শ সংস্কার পালন করে যথাযথ জ্ঞান অর্জন না করলে ভবিষ্যতে অনকে বড় ক্ষতির সম্মুখীন হবে সনাতন সমাজ। 

তাই শাস্ত্র বলছে শুধু ছেলেরা নয় মেয়েরাও এই বিধান পালন করবে।উপনয়নে নারী পুরুষ নির্বিশেষে সকলের অধিকার রয়েছে।অথচ ভণ্ড পৌরাণিক পুরোহিতগণ পুরুষতন্ত্র কায়েম করার জন্য এক সময় নারীদের শাস্ত্র পাঠ বন্ধ করে দিয়েছিলেন, সতীদাহের মত জঘন্য প্রথা চালু করেছিলেন।

যে ধর্মের মুল ধর্মগ্রন্থ বেদের মন্ত্রদ্রষ্টা ঋষি নারী হতে পারেন, সেই ধর্মে নারীর মর্যাদা, বেদপাঠের অধিকার, উপনয়ন ও ব্রহ্মচর্যের অধিকার নিয়ে আলোচনা করাটাই এক দুঃখজনক ব্যাপার।

এ বিষয়ে স্বামী বিবেকানন্দের কিছু কথা খুব প্রাসঙ্গিক ও গুরুত্বপূর্ণ:
“ …সাধারণের ভেতর আর মেয়েদের মধ্যে শিক্ষাবিস্তার না হলে কিছু হবার জো নেই। সেজন্য আমার ইচ্ছা কতকগুলি ব্রহ্মচারী ও ব্রহ্মচারিণী তৈরি করব।

ব্রহ্মচারিণীরা মেয়েদের মধ্যে শিক্ষাবিস্তার করবে। কিন্তু দেশী ধরণে ঐ কাজ করতে হবে। পুরুষদের জন্য যেমন কতকগুলি শিক্ষাকেন্দ্র করতে হবে, মেয়েদের শিক্ষা দিতেও সেইরুপ কতকগুলি কেন্দ্র করতে হবে। শিক্ষিতা ও সচ্চরিত্রা ব্রহ্মচারিণীরা ঐ সকল কেন্দ্রে মেয়েদের শিক্ষার ভার নেবে।

পুরান, ইতিহাস, গৃহকার্য, শিল্প, ঘরকন্নার নিয়ম ও আদর্শ চরিত্র গঠনের সহায়ক নীতিগুলি বর্তমান- বিজ্ঞানের সহায়তায় শিক্ষা দিতে হবে। ছাত্রীদের ধর্মপরায়ন ও নীতিপরায়ণ করতে হবে। কালে যাতে তারা ভাল গিন্নি তৈরি হয়, তাই করতে হবে। এই সকল মেয়েদের সন্তানসন্ততিগণ পরে ঐ সকল বিষয়ে আরও উন্নতি লাভ করতে পারবে। যাদের মা শিক্ষিতা ও নীতিপরায়ণা হন, তাদের ঘরেই বড়লোক জন্মায়।

মেয়েদের আগে তুলতে হবে, জনসাধারণকে জাগাতে হবে; তবে তো দেশের কল্যাণ।
ধর্ম, শিক্ষা, বিজ্ঞান, ঘরকন্না, রন্ধন, সেলাই, শরীরপালন এ-সব বিষয়ে স্থুল মর্মগুলোই মেয়েদের শেখানো উচিত।

সব বিষয়ে চোখ ফুটিয়ে দিতে হবে। আদর্শ নারী চরিত্রগুলি ছাত্রীদের সামনে সর্বদা ধরে উচ্চ ত্যাগরূপ ব্রতে তাদের অনুরাগ জন্মে দিতে হবে। সীতা, সাবিত্রী, দময়ন্তী, লীলাবতী, খনা, মীরা এদের জীবনচরিত্র মেয়েদের বুঝিয়ে দিয়ে তাদের নিজেদের জীবন ঐরূপে গঠন করতে হবে।

বৈদিক যুগে, উপনিষদের যুগে দেখতে পাব- মৈত্রেয়ী গার্গী প্রভৃতি প্রাতঃস্মরণীয়া মেয়েরা ব্রহ্মবিচারে ঋষিস্থানীয়া হয়ে রয়েছেন। হাজার বেদজ্ঞ ব্রাহ্মণের সভায় গার্গী সগর্বে যাজ্ঞবল্ককে ব্রহ্মবিচারে আহবান করেছিলেন।

মেয়েদের পূজা করেই সব সব জাত বড় হয়েছে। যে দেশে, যে জাতে মেয়েদের পূজা নেই, সে দেশ সে জাত কখনও বড় হতে পারেনি, কস্নিন কালে পারবেও না। তোদের জাতের যে এত অধঃপতন ঘটেছে, তার প্রধান কারণ এইসব শক্তিমূর্তির অবমাননা করা। …যেখানে স্ত্রীলোকের আদর নেই, স্ত্রীলোকেরা নিরানন্দে অবস্থান করে, সে সংসারে- সে দেশের কখন উন্নতির আশা নেই (মনুসংহিতা বাণী); এজন্য এদের আগে তুলতে হবে- এদের জন্য আদর্শ মঠ স্থাপন করতে হবে।”

এই হলো স্বামীজির বিবেচনা। অথচ ভণ্ড পৌরানিক স্মৃতিকার পুরোহিতগণ পুরুষতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে মনুস্মৃতিতে সংযোজন এনে একসময় নারীদের শাস্ত্রপাঠ বন্ধ করে দিয়েছিলেন, নারীবিদ্বেষী শ্লোক সংযুক্ত করেন, সতীদাহের মত বেদবিরুদ্ধ একটা জঘণ্য প্রথা চালু করেছিলেন।

আসুন, মিথ্যা ও কুসংস্কার দুর করে, বেদের শুভ্র শ্রেষ্ঠ পথ অনুসরণ করে নারী-পুরুষ বৈষম্যহীন মানব সমাজ গঠন করি। বেদের শাশ্বত সত্য পৌঁছে দিন সকলের মাঝে!