যে ইতিহাস হয়নি জানা, টিপু সুলতান কি ইতিহাসের নায়ক, না খলনায়ক?

ইংরেজদের আগম ভারতে হিন্দুদের আশীর্বাদ

ইংরেজদের আগম ভারতে হিন্দুদের আশীর্বাদ
                                           Picture search by google

দেশের ইতিহাস বইতে ইংরেজরা ভারতের শত্রু বলেই বার,বার বলা হয়েছে। কিন্তু আপনি কি জানেন? ইংরেজরা ভারত দখলে পর ভারতের হিন্দুরা একটু একটু করে মুক্তির সাধ পেতে শুরু করে। ইংরেজদের এই প্রক্রিয়া শুরু হয় ১৭৫৭ সালে, লম্পট সিরাজদ্দৌলাকে হত্যার মধ্য দিয়ে আর শেষ হয় ১৭৯৯ এ টিপুকে হত্যা মাধ্যমে।

ঐ সময় ভারত শাসন করার একটা চাপা স্বপ্ন দেখত ফ্রান্স ও পর্তুগিজরা। এটা টিপু বুঝতে পেরে ফ্রান্স ও পর্তুগিজ সাথে সম্পর্ক করে ইংরেজদের শায়েস্তা করতে চেয়েছিল। কিন্তু ফ্রান্স ও পর্তুগিজরা ইংরেজদের শক্তির কথা বুঝতে পেরে সামনে আর পা বাড়ানি। যার দরুণ টিপুর সব পরিকল্পনা বানের জলে ভেসে যায়। এদিকে হিন্দুরা মুসলিম দু:শাসন থেকে মুক্তি পেয়ে তাদের ভাঙ্গা মন্দির গুলো পূনারাই মেরামত করতে শুর করে। যার ফলে হিন্দুরা ইংরেজদের অনেকটা সমর্থক হয়ে ওঠে।

 

২০০ বছরে ইংরেজ শাসনে হিন্দু কখনোই ধর্মীয় বিশ্বাসের উপর আঘাত হতে দেখেনি। যার কারণে হিন্দুরা ইংরেজদের প্রতি অনেকটাই খুশিই ছিলো। তবে এই খুশি টিপু ভালো ভাবে নেই নি। তাই তিনি হিন্দুদের শায়েস্তা করার জন্য ১৭৯৭ সালের ৫ ফেব্র্রুয়ারি, আফগানিস্তানের শাসক, আহমেদ শাহ আবদালীর সেনাপতি জামান শাহকে এক চিঠিতে লিখে, “আল্লার ইচ্ছা ও রসূলের আদেশ অনুসারে আমাদের উচিত মিলিতভাবে ভারতের এই কাফেরদের বিরুদ্ধে জিহাদ শুরু করা।

প্রত্যেক শুক্রবার আমার রাজ্যের মুসলমানরা জুমার নামাজের পর খুতবা দিচ্ছে, ‘হে আল্লা, আপনি ঐ ঘৃণ্য কাফেরদের মস্তক ছিন্ন করে দিন। তাদের পাপের বোঝা তাদের মাথায় পতিত হোক।’ আমি বিশ্বাস করি সর্বশক্তিমান আল্লা আমাদের প্রার্থনাকে কার্যকর করবেন এবং এই পবিত্র কাজে হাত মিলিয়ে অগ্রসর হলে আমরা নিশ্চয় সফলকাম হবো।”

টিপুর প্রিয় খেলা

চিঠি পড়ে বুঝা যাচ্ছে, একই সাথে কাফের অর্থাৎ হিন্দুদের এবং ইংরেজদের শায়েস্তা কর জন্য টিপু আফগানিস্তানের শাসককে একান্তু অনুরোধ করছে। দেশ প্রেমিক শাসক যদি হতো টিপু তবে কি আফগানিস্তানকে বলতে পারত ভারতকে আক্রমন করো? তার মধ্যে কাল্পনিক দেশ প্রেম ছিলো, বাস্তবিক নয়। তার কাছে একটাই প্রেম আর সেটা আরোব্য সাম্রাজ্যবাদ। আপনারা হতো শুনে থাকবেন টিপুর প্রিয় খেলা কি ছিলো। ও জানে না?

 

 

আসুন দেখি খেলা টা কি ছিলো। খেলাট সম্পর্কে জানতে হলে আপনাকে সেই ব্রিটেনের ইন্ডিয়া অফিস লাইব্রেরি থেকে প্রাপ্ত টিপুর নিজ হাতে লেখা তার আত্মজীবনী “সুলতান-ই-তাওয়ারিখ” ও “তারিখ-ই-খুদাদাদি” বই দুটা পড়তে হবে। না, না টেনশন করার কিছু নাই আমি আপনাদের সাহায্য করছি ।

কি আছে সেই বইতে লেখা। টিপু নিজেই উল্লেখ করেছে- যে সকাল হিন্দুরা মুসলিম হতে চাইতো না, তাদের কে ধরে এনে অবসর সময়ে চার হাত পায়ে দড়ি বেঁধে হাতির পায়ে সাথে বেঁধে আর হাতিগুলোকে চারদিকে ছুটতে দিয়ে দেহেকে ছিন্ন ভিন্ন করত। আর এর থেকেই টিপু তার অবসরে বিনোদন নিয়ে থাকত। কি বুঝা গেল এবার তার প্রিয় খেলা কি ছিলো?

 

মহিকুল হাসানও স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছেন যে, “ওই দুটি গ্রন্থে (সুলতান-ই-তাওয়ারিখ ও তারিখ-ই-খুদাদাদি) প্রাপ্ত তথ্য থেকে এটাই প্রমাণ হয় যে, ধর্মের ব্যাপারে টিপু ছিলো একটি বদ্ধ উন্মাদ। দক্ষিণ ভারতের এক রাজা, নাম চিরাক্কাল, মন্দির না ভাঙ্গার জন্য অনুরোধ করেছিল তার বিনিময়ে সে টিপুকে ৪ লক্ষ টাকা দিতে চেয়েছিল।

জবাবে টিপু লিখেছিলো, পৃথিবীর সমস্ত সম্পদ যদি কেউ আমার পায়ের কাছে এনে দেয়, তবুও আমাকে কেউ মন্দির ভাঙা থেকে নিরস্ত করতে পারবে না।” কর্নাটকের ও কেরালা বেশি ভাগে মুসলিম টিপু দ্বারায় জোর পূর্বক ধর্মান্তরিত। এই মানুষ গুলোকে ভূলিয়ে ফেলা সম্ভাব হয়েছে যে তাদের পূর্ব পুরুষদেরকে জোর করে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে। যারা টিপুকে সেক্যুলা প্রমাণ করা জন্য আদা-জল খেয়ে লেগেছেন। তাদের কে বলব আপনার আগে এ রেফারেন্স গুলো দেখে আসুন।

 

মনে অনেক প্রশ্ন

                                Picture search by google

উপরের আলোচনা পড়ে পাঠক আপনাদের মনে অনেক প্রশ্নই এসে গেছে আশা করি। এর মধ্যে একটা বড় প্রশ্ন হলো উপরে যেসব ঠিটি, টিপুর আত্মজীবনীর এবং বিভিন্ন ইতিহাসবিদের, কথা বলা হয়েছে তা আদেও কি সত্য; তাই তো? হ্যাঁ, পাঠক আপনারা কিন্তু ঐ গিদওয়ানি লেখা উপন্যাস থেকে তৈরি কাহিনী দেখে এমন প্রশ্ন করেনি?

লেখাটির বাকি অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন।৪