চীনে মুসলিম নির্যাতন তিন পর্বের আজ শেষ পর্ব, উইঘুরদের আদ্য-মধ্য-পর্ব -৩

আগের পোস্টে আলোচনা

 আগের পোস্টে আলোচনা করেছিলাম জিনজিয়াং প্রদেশেপ্রায় বর্তমান ভারতের অর্ধেক। গোটা জিনজিয়াং প্রদেশ ধরে তৈরি হয়েছে হাজার হাজার বিভিন্ন ধরে ক্যাম্প। এই ক্যাম্প গুলিতে উইঘুরদের ধরে এনে চীন সরকার রেখেয়েছে তাদের লাইনে আনাতে। এই ক্যাম্প সম্পর্কে বহির বিশ্বে কোন খবর পাই না। কিছু দিন আগে চীন সরকার না বললে হয়তো বাকি বিশ্বের কাছে এই বিষয়টি সম্পূর্ণ অজানা থাকতো। যদিও চীন বলছে এগুলো প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, আমাদের দেশের আলোক প্রাপ্ত মানুষ গুলো এটা দেখেও না দেখার ভান করে থাকে। কারণ তাদের ধারণা চীন আবার ভুল করতে পারে না কি? তাই তাদের চোখে চীনের এই কর্মকাণ্ড সব সহি। তাদের বিশ্বাস কোন মতেই চীন ভুল করতে পারে না। চীনের এই ক্যাম্প ব্যবস্থা কিন্তু নতুন না, এর এর আগেও আমরা সোভিয়েত ইউনিয়ন কে দেখেছি, মাওরা এদেশে করেছিল। আমরা আলোচানা সুবিদত্বে এই ধরনে ক্যাম্পের থেকে বেচে আসা একজনের কথা থেকে এবার বলব। সেই ব্যক্তির নাম আমির তার কথা অনুযায়ী চীন গত ১৭ সাল থেকে বিভিন্ন স্থান থেকে উইঘুরদের ধরে আনে। আমির এদের একজন তার ভাষ্য অনুযায়ী তার সাথে আর অনেক, দিনের পর দিন আটক করে রাখেছে চীন। প্রশিক্ষন হিসাবে এখানে তাদেরকে শেখানো হচ্ছে নিজ ধর্মীয় বিশ্বাস কে ঘৃণা করতে এবং চীন সরকারের প্রতি আনুগত্য আনতে। যদি পরিবারের কোন ব্যক্তি ধর্মীয় বিশ্বাস পালনকরে তাকে ঘৃনা এবং নিন্দা করতে নির্দেশ দিচ্ছে। দিনের পর দিন তাদেকে কমিউনিস্ট দর্শন পালন করার জন্য নির্দেশ দিচ্ছে।

চীনে মুসলিমনির্যাতন

যদি কেউ এই কাজ করতে অস্বীকার জানায় তবে তার উপর নেমে আসে কঠিন শাস্তি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রাখা হয় একটা আবদ্ধ জায়গায়।আমির এই সাজা পেয়েছিল তাকে একটা আবদ্ধ ছোট ঘরে ২০ দিন আটকে রেখেছিল। কোন ধরনের প্রাকৃতিক কাজ করা ব্যবস্থা সেখানে ছিল না। সামান্য কিছু খাবার দিত দিনে। ২০ দিনের মাথায় সে আর পারছিলো না, তাই নিজেকে শেষ করে দিতে চাই। আত্মহত্যা করার সময় সেনারা বুঝতে পেরে তাকে বাইরে নিয়ে আসে। তার ভাষ্য অনুযায়ী এই ক্যাম্প গুলোতে হাজার হাজার উইঘুরদের চীন দিনের পর দিন আটকে অমানুষিক নির্যাতন করেছে। চীন সরকার উইঘুরদের ভালো করে বুঝিয়ে দিচ্ছে তোমাদের এই আরব্য ইসলামিক বিষয় চীনের জন্য খুবই বিপদজনক। ইতিহাস থেকে আমরা জানতে পাই ভয়ংকর মধ্যযুগীয় কথা, যে ভয়ংকরে মূল হতা আবরা ছিল। সেই ভয়ংকর মধ্যযুগীয় নির্যাতন আজ উইঘুরদের সাথে চীন করছে। অনেকটা আমার প্রিয় কবি সুকুমার রায়ের সেই পদ্যর ভুত দিয়ে গদ্যর ভূত তাড়ানোর মতই। মূলত উইঘুরদের সঠিক চীনা বানানো এটা একটি অমনবিক পদক্ষেপ মাত্র। মাও ধাচে চলছে পুন:শিক্ষিত করা কার্যক্রম যাহা পরিচালনা করছে চীনা সেনা। সোজাসাপ্টা বলা যেতে পারে আরব্য সংস্কৃতিক বিরুদ্ধে একটা আগ্রাসন মূলক মহজ ধোলাই পদক্ষেপ। চীনের এই বিশাল শিক্ষা কার্যক্রমে বাধ্য তামূলক অংশগ্রহন করতে হচ্ছে প্রায় লাখ দশেক বেশি উইঘুরদের,বলছে আমেরিকা সরকার, ইউরোপীয় কিছু বেসরকারী প্রতিষ্ঠান এবং তুরস্কে আশ্রয় নেয়া  টিভি সম্প্রচার সংস্থা। ধারণা করা হচ্ছে এই ধরনের ক্যাম্প দিন দিন চীন সরকার বাড়িয়ে চলেছে। ঝান ইয়োং নামের একজন প্রধান বিচারপতি অভিমত ব্যক্ত করেছেন. এ ধরনের ক্যাম্প আরো প্রসার করলে ঐ অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদ দমন করতে আর সহজ হবে।

 চীনেউইঘুদের উপর নির্যাতন

 
চীনা প্রশাসনের হাত থেকে আর এক ভাগ্যবানের নাম বেকেলি বা বকিলি। তার সাথে চীনের সরকার আমিরের মতো একই ধরনের আচারণ করেছিল। বেকেলি ভাগ্যের জোরে ২০০৬ দিকে চীন প্রশাসনের নজরএড়িয়ে কাজাখস্থানে পৌছাতে সমর্থন হন। বেকেলি চীন থেকে পালিয়ে কাজাখস্তান এলে কাজাখস্তানের সরকার তাকে ২০০৯ নাগরিকত্ব দেওয়। সে কাজাখস্তানের নাগরিক পেলেও তার মা. বোন. স্ত্রী,মেয়ে চীনেই ছিল। যার কারনে সে কাজাখস্থানের নাগরিকত্ব পাবার কিছু দিনের মধ্যে চীনে নিজের পরিবারের সাথে দেখা করতে যায়। এই দেখা করতে যায় টা তার জন্য হয়ে দাঁড়ায় কাল। সে চীনের মাটিতে পা রাখা মাত্র প্রশাসন তাকে আটক করে বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন করতে থাকে। তার প্রতি চীন প্রশাসনে নির্যাতনের ধরন ছিল এমন, ঘন্টার পর ঘন্টা চেয়ারে বসিয়ে সেই চেয়ার উপরে ঝুলিয়ে, দিনের পর দিনে জেরা করা। প্রশাসনের মূল জিজ্ঞাসা ছিল সে কাজাখস্থানের চীন বিরুধী কি কি কাজের সাথে জড়িত ছিল। কিন্তু বকেলি বারবারি একটা কথাই বলে গিয়েছে,সে কোন চীন বিরোধী কাজের সাথে কাজাখস্তান জড়িত না। কিন্তু কে শোনে কার তার কথা। নির্যাতন মাত্রা দিন দিন বৃদ্ধি পেতেই থাকে এক পর্যায়ে সে প্রায় মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে। তার পর প্রায় সাত মাস পর তাকে একটা কাগজ ধরিয়ে কোন কারণে তাকে এত দিন আটক রেখেছে তারকোন বিবরণ না দিয়ে ছেড়ে দেয়। এটা যে চীন প্রশাসন এনারা ঐ সব কারণ দশানর ধার ধারেনা। কিন্তু তারপর আবার তাকে পুনরায় আট করে একটা ক্যাম্পে ১ হাজরা ওনার মতো দুর্ভাগা সাথে রাখে। তবে এখানে আগের মতে তেমন নির্যাতন কর তো না। যেটা করো তো তা হল বাধ্যতামূলক চীনের জাতীয় সঙ্গীত গাওনো এবং তাদের গেয়ে শোন এই আর কি।

চীন সরকারের প্রতি আনুগত্য

পাশাপাশি চীনের জাতীয় পতাকা তোলা, চীন সরকারের প্রতি আনুগত্য সরুপ চীনা ভাষা শেখা, চীনা ইতিহাস জানা এবং শিকার করা, যে চীন সরকার তাদের শাসনের দ্বারা ভেড়া চড়িয়ে খাওয়ানো একটি জাতিকে আজ স্বাধীন করে তাদের উপকারী করেছে। আর তেমন বেশি কিছু নয়, এই ধরনের খাবার আগে বা পরে চীন সারকারে প্রতি আনুগত্য সরুপ দু-চারবার সারকারে প্রতি সম্মান সরুপ স্লোগান দেয়া। তবে এই প্রশিক্ষণ সময়সীমা ছিল ৪ ঘন্টারমতন। এ সময়ে যা শেখানো বা বলা হত সেটা আবার মুখস্থ করে সেটা আবার বলতে হত। যদি কেউসেটা না পার তো তবে শাস্তি হিসেবে ঘণ্টা ধরে একটি দেয়ালের সামনে দাড় করিয়ে তিরস্কার করা হত। তাদের মুখ দিয়ে অনেকটা বাধ্য করে বলানো হত, ইসলামের কারণে সারা পৃথিবী জুড়েযে ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম কথা। প্রশিক্ষক সময় বার বার তাদের বলা হত বা প্রশ্ন করাহত চীনের আইন না ইসলামি আইন কোনটা মানবে। ইসলাম বা আরব্য সংস্কৃতি তাদের জন্য কতটা বিপদজনক সেটার বিপরীত বক্তব্য রাখতে বাধ্য করা হতো। একজন অন্য জনের সামনে দাঁড়িয়ে নিজরে বিশ্বাস বা ইসলামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন নিন্দিত বাক্য ব্যবহার করতে বলা হয়। ইসলামে ইতিহাস এবং তার যে রীতিনীতি তারে নিন্দা জানানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। এভাবেই দিনের পর দিন তাকে এবং তার সাথে থাকা মানুষ গুলোকে মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতন করা হয়ে হয়েছে। আশার কথা হলো ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে তাকে হটাৎ ছেড়ে দেয়। তবে সে মুক্তি পাবার পর সেইকথা কারর কাছে মুখ খুলে বলেনি। একটা সময় তার পরিবারে সদস্যদের এক এক করে তুলে নিয়েযায় প্রশাসন যার দরুন সে মুখ খুলতে বাধ্য হয়।

নিউক্লিয়ার বোমার পরীক্ষা

উপরের এই দুটি ঘটনা চীনের গোলাম পাকিস্তানের সবচেয়ে জনবহুল পত্রিকা ডন থেকে অনুবাদ করা। প্রযোজনে নিচের লিং থেকে দেখে নিন। উপরে আলোচনা করেছি এই অঞ্চল কিভাবে রাশিয় চীন এবং ভাগাভাগি করে গত প্রায় ২০০ বছর খাচ্ছে। তবে মজার বিষয় হল উইঘুরদের এই নির্যাতনে বিরুদ্ধে কোন হেফজত ইসলাম হেফজত করতে আসে নাই। আবার কোন বুদ্ধিজীবী মোমবাতি হাতে মিছিল করে প্রতিবাদ করে নাই। এমন কি মুসলিম বিশ্ব বলেযারা পৃথিবী থেকে নিজেদের আলদা করে রাখে তারাও নয়। চীন সাম্প্রদিক বছর গুলিতে ঐ অঞ্চলে প্রায় ৪০টি বেশি নিউক্লিয়ার বোমার পরীক্ষা করেছে। সেই সকাল বোমার তেজস্ক্রিয়তার ঐ অঞ্চলের মানুষের উপর কি ধরনের প্রভাব পড়ছে তা বাইরের বিশ্ব জানতেই পারছে না। এই বিষয়গুলি যাতে বাহির বিশ্ব না জানতে পারে সে বিষয়ে চীন সরকার সম্পূর্ণ সচেতন। কিছু আধুনিক ডিভাসের কারণে নিউজ গুলো বাইরে বিশ্বের কাছে পৌছিয়ে যাচ্ছে (তথ্যাসূত্র ডন পাকিস্তানি পত্রিকা)। নব্বই দশকের থেকে এই অঞ্চলে সহিংস কর্মকান্ড ব্যাপক ভাবে বাড়তে থাকে। শুধু ৯৭ সালেই৩০ উইঘুর কে চীনা প্রশাসন ফাঁসি মাধ্যমে মৃত্যু কার্যকর করে। এই মৃত্যু কার্যকর করাপর ঐ অঞ্চলে ব্যাপক ভাবে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ শুরু হলে চীনা প্রশাসন তা সহি উপায়ে দমন করে। বিভিন্ন বেসরকারি ভাবে জানা যায় ঐ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ কারনে কয়েকশো মানুষ মারা যায়,যদিও চীনা প্রশাসন বলেছিল মাত্র ৯ জনের কথা।

হুই মুসলমানরা

চায়নাতে কিন্তু শুধু উইঘুর মুসলিম নয়, আর অনেক মুসলিমবাস করে। সেখানে প্রচুর হান জাতির মুসলিম আছে, যাদের কে হুই মুসলিম বলা হয়। তবে মজার বিষয় হলো ঐ সকল হান বা হুই মুসলিমদের সাথে চীন প্রশাসন এমন নির্মম আচরণ করে না। এমনকি কোন ধরনের চাপ দেয় না। এবার পাঠক সব গুলিয়ে গেল তো? আসলে হুই মুসলিমরা চীনের নিজসংস্কৃতির উপর কোন ধরনের আঘাত আনছে না। তার উইঘুদের মত আরব্য সংস্কৃতি চর্চা করে না।তারা শুধু নামেই ইসলাম ধম পালন করে। এই হুই মুসলিমরা মূলত মেইনল্যান্ড এর চাইনিজ। তাদের কাছে আগে নিজের দেশ, নিজের সংস্কৃতি, যেটা উইঘুরদের সাথে কোন ভাবেই মেলানো যায় না।এর জন্য হুই মুসলিম সম্প্রদায় মূল চায়না দের সাথে মিলেমিশে সমাজে তাদের গ্রহণ যোগ্যতা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। হুই দের মধ্যে তেমন কোন আলাদা জাতীয়তাবাদ নেই। তারা চীন ভেঙ্গে আলাদা কোন দেশ করার জন্য কোন ধরনের আন্দোলন করে না। সবচেয়ে আসল কথা হল হুই জাতি চীনসমাজের সকল ধরনের সামাজিক কাজে সাথে নিজেদের একত্রে করে নিয়েছে। আশার কথা হলো হুই উপরতেমন কোন ধরনের ধর্মীয় নিষিদ্ধ নেই। এই না থাকার মূল কারণ হলো হুই জাতি চায়না সমাজের সাথে নিজেদের মানিয়ে নিয়েছে। তার চীন প্রশাসনে তিন শর্ত মেনে চলে।

  • ১। সবার আগে তার চাইনিজ, তার পর মুসলিম।
  • ২। স্টেট পলিসির সাথে তাদের যেটুকু মিল আছে সেটাই ধর্ম হিসাবে পালন করবে।
  • ৩। চীনা সংস্কৃতির প্রতি গভীর ভালোবাসা বা শ্রদ্ধা।

চীনের এই সকল শর্ত পালন করে হুই জাতি অনেক ভালো আছে। যদি বলি শুধু ভালো আছে, তবে ভুল হবে। কারন তার মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলো সাথে বিভিন্ন চীনের অর্থনীতির সেতুবন্ধনের কাজ করে চলেছে। এই সেতুবন্ধন থেকেই চীনা প্রশাসন প্রতি বছর প্রচুর পরিমানের বৈদেশিক মুদ্রা ঘরে তুলছে। তাই সোজা কথাই ভালো বললে কম বলাহবে, বলতে হবে সেই রকম ভালো। বিশ্বের অন্যান্য দেশের বৈদেশিক নীতি থেকে চীনের বৈদেশিক নীতি অনেকটা ভিন্ন। আমেরিকার মতো বিশ্ব বাজার অর্থনৈতিক হস্তক্ষেপ না করে ভিন্ন পন্থায় বিশ্ব বাজার নিজেদের আয়ত্ত করে চলেছে। আমরা যদি চীনা অর্থনীতির উপর একটু পড়া শুনোকরি তবে দেখব তাদের মূল অর্থনীতি দাঁড়িয়ে আছে মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকার গ্যাস এবংতেলের উপর। এই অর্থনৈতিক ব্যবস্থা সুরক্ষার জন্য চীন নির্মাণ করেছে one belt oneroad । যাকে অনেকেই বলে থাকে new silk road। চীন মধ্যপ্রাচ্যের, আফ্রিকা,  ইউরোপ সাথে তৈরি করেছে এক বিশাল অর্থনৈতিক সংযোগ।

তবে এখানে একটা বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ তা হল, যেসকল দেশকে চীনের এই অর্থনৈতিক ব্যবস্থার সাথে সংযোগ করেছে, সে সকল দেশ অপেক্ষত অর্থনৈতিক দুর্বল আর না হয় দুর্নীতি পরায়ন সরকার। যার ফলে ঐ সকল দেশ গুলোকে আগে চীন বিভিন্ন ভাবে ঋনের সহযোগিতা দিয়ে নিজের জালে জড়িয়ে ফেলেছে। এখন কি দাড়িয়ে তারা অনেটা বাধ্য হয়েই চীনের বশ্যতা শিকার করে নিয়েছে। ঠিক এই ফরমূলায় ফেল মিয়ানমার এবং পাকিস্তানকে চীনের বশ্যতা শিকার করতে বাধ্য করা হয়েছে। এই বিশাল বিশাল প্রজেক্টর জন্য মধ্যপ্রাচ্যে এবং পাকিস্তানের বিভিন্ন কাজে হুইদের লাগাছে। যার কারনে হুইরা অর্থনৈতিক ভাবে এবং সমাজিক ভাবে অনেক ভালোই আছে।

শর্ত ফর্ত কেয়ার করে না

ঠিক এর বিপরীতটাই হল উইঘুরা, তারা চীনা প্রশাসনের এই সকল শর্ত মানতে নারাজ,তার আরব্য মতে মতান্তর, তার জন্য উইঘুরা তৈরি করেছে ETIM (East Turkistan IslamicMovement ) বা ( East Turkistan Independence Movement ) নামের একটি সংগঠন। separatism,terrorism, extremism কার্যকলাপ থেকে তাদের বের করার জন্যই চীনা প্রশাসন মাঝে মাঝেসহি পন্থা নিয়ে থাকে। আর যেটা আমরা বিভিন্ন নিউজ মিডিয়ার মাধ্যমে পেয়ে থাকি। আগের লেখায় আলোচনা করেছিলাম জিনজিয়াং এর মাটির তলে প্রচুর তেল ও গ্যাসের সন্ধান পেয়েছে চীনা প্রশাসন। এটাও একটা অন্যতম কারন। তাই আর না বোঝার তো কোন কারণ দেখছিনা। ইরাক, আফগানিস্তানের,চেচনিয়া, সিরিয়ার, মালি, কঙ্গোর সেই হাড্ডিসারদের জন্য ভাই আপনাদের কার মন কাঁদে না।সেখানে রোহিঙ্গা আর উইঘুরা নিয়ে চীনের এই লুকোচুরি খেলা না হয় নাই দেখলেন। হুলো বিড়াল চীন না হয় একটু মাছের স্বাধ একটু গ্রহন করল। শেষপাতে আপনাদের কাছে আমার বিনীত জিজ্ঞাসা, উইঘুরদের উপর চীনের এই আগ্রাশন এবং আরব্য সংস্কৃতির নামে বিশ্ব জুড়ে সন্ত্রাসবাদ বিরুদ্ধে কখনো কি বামপন্থী কোন দল বা সংগঠন মোমবাতি মিছিলবের করেছে? আজ এই অঞ্চলে যে অশনি সংকেত দেখা যাচ্ছে তাতে করে বড় ধরনের একটা বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। আমার প্রশ্ন সেই সব সুশীল আর ইসলামের সেবকেদের প্রতি যদি আপনার এর বিরুদ্ধে না কথা বলতে পারেন তবে, নিজেদের ভণ্ডামি ছাড়ুন।


তথ্যসূত্র :
১। https://apnews।com/0db368402a214799921a05743b7acff7
২। https://www।dawn।com/news/1408257
৩। https://www।washingtonpost।com/world/asia_pacific/former-inmates-of-chinas-muslim-re-education-camps-tell-of-brainwashing-torture/2018/05/16/32b330e8-5850-11e8-8b92-45fdd7aaef3c_story।html?noredirect=on&utm_term=।a5cf703f9545
৪। https://www।nytimes।com/aponline/2018/05/16/world/asia/ap-as-china-xis-era-mass-internment।html
৫। https://www।ndtv।com/world-news/were-brainwashed-tortured-former-inmates-of-chinas-muslim-reeducation-camps-1853220
৬। http://www।uyghurcongress।org/en/?cat=228
৭। https://www।youtube।com/watch?v=rYHWMUE-a60
৮। https://www.dawn.com/…/chinas-uighur-muslims-struggle-under…
৯। http://www.huffingtonpost.com/…/an-outsiders-inside-look_b_…
১০। https://www.dawn.com/news/1204443
১১। https://www.dawn.com/news/1190154
১২। https://www.dawn.com/news/1116546
১৩। http://www.aljazeera.com/…/china-uighurs-claim-cultural-gen…

পাঠক, এই লেখাটি একটি গবেষণা মূলক লেখা। লেখাটি ধারাবাহিক ভাবে তিন পবে প্রকাশীত হয়েছে, আজ ছিল শেষ পব। আমাদরে পরবর্তী ধারবাহিক লেখা এই সপ্তাহ থেকেই শুরু হচ্ছে, পরবর্তী পোস্ট পাবার জন্য আমাদের ফেজবুক পেজে লাইক দিয়ে রাখুন, যাতে পোস্ট করলেই আপনারা পেয়ে যান………….।

উইঘুর কারা, কোথা থেকে এলো এরা, কেনই বা আজ এদের এমন পরিস্থিতি। উইঘুরদের আদ্য-মধ্য -পর্ব-২