ছাগলাদ্য নেতৃত্ব ও কাশ্মীর- শিবপ্রসাদ রায় (তৃতীয় পর্ব)

ছাগলাদ্য নেতৃত্ব এবং কাশ্মীর

সম্মেলন হয়।৩৭০ ধারা অক্ষুন্ন থাকবেই এই ঘােষণা করে আলােচনায় বসলেন সবাই। ভারতীয় জনতা পার্টিই শুধু ৩৭০ ধারা উচ্ছেদের কথা বলে। ছাগলাদ্য রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ভারতীয় জনতা পার্টি বিরল ব্যতিক্রম।কাশ্মীর সম্পর্কে গােড়া থেকে জনসঙ্ঘ এবং ভারতীয় জনতা পার্টির দৃষ্টিভঙ্গী সঠিক ছিল এবং আছে একথা অন্য দলের নেতারা সবটা না বুঝলেও একটু একটু যে বােঝেন, তার প্রমাণ সবদলের ঐক্যবদ্ধভাবে ভারতীয় জনতা পার্টির বিরােধিতা। পতিতাপল্লিতে কোনাে সতী সাধ্বী ঢুকে পড়লে সব পতিতা যেমন অস্বস্তিবােধ করে, ভারতীয় জনতা পার্টি ঠিক তেমন অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে ছােট বড় সব রাজনৈতিক দলকে। ছাগলের খোঁয়াড়ে একটা বাঘের বাচ্চা ঢুকলে যে ধরণের আতংক সৃষ্টি হয় ছাগলদের মধ্যে ঠিক সেইরকম আতংকিত অন্যান্য দলগুলি। অস্থিরতা, আতংক ভারতীয় জনতা পার্টির সত্যকথনে, আদর্শনিষ্ঠায়, ক্রমবর্ধমান জনসমর্থনে। জনগণ দেখতে পাচ্ছে সব দল বাবরের পক্ষে, ভারতীয় জনতা পার্টিই শুধু রামের পক্ষে। এই অন্ধ-নির্বিচার মুসলীম তােষণ জনগণকে ঠেলে ঢুকিয়ে দিচ্ছে হিন্দু সংগঠনে। সমর্থক করে তুলছে ভারতীয় জনতা পার্টির। জনগণ বুঝতে পারছে কাশ্মীরের ব্যাপারে যেখানে ঘা সেখানে মলমের পটি লাগাবে না কোনাে দল। রাশিয়া বলুক, ক্রুশ্চেভ বলুক,পরিস্থিতি আগ্নেয়গিরি হয়ে উঠুক, ৩৭০ ধারা তারা কিছুতেই তুলবে না তুলতে দেবে না। ঘায়ের তিন ইঞ্চি দূরে ধুয়ে যত্ন করে স্পিরিট দিয়ে সেখানে মলম-পট্টি লাগিয়ে লােককে বােঝাবে চিকিৎসা হচ্ছে। মলম লাগানাে হয়েছে। এই স্কুল প্রবঞ্চনা বেশীদিন চলতে পারে না। তাই সারাদেশ আজ পরিবর্তনের মুখে। দেশপ্রেমশূন্য কৌশল সর্বস্ব রাজনৈতিক দলগুলির প্রতি জনগণের জমে উঠেছে একবুক ঘৃণা। প্রতিটি ঘটনা এই ঘৃণাকে পুঞ্জীভূত করে তুলছে। অনুন্নত সমাজের মানুষেরা বুঝতে পারছে সংরক্ষণ একটি রাজনৈতিক ধাপ্পা মাত্র। আগে তাদের শিক্ষায় অগ্রসর করা দরকার। সংরক্ষিত চাকরী শূন্য পড়ে থাকবে শিক্ষা না থাকলে। ভােটের জন্য এই প্রবঞ্চনা করে সমাজের মধ্যে অন্তর্কলহ সৃষ্টির চক্রান্তটি আজ স্পষ্ট।

ছাগলাদ্য নেতৃত্ব ও কাশ্মীর- শিবপ্রসাদ রায় (প্রথম পর্ব)

ছাগলাদ্য নেতৃত্ব ও কাশ্মীর- শিবপ্রসাদ রায় (দ্বিতীয় পর্ব)

ছাগলাদ্য নেতৃত্ব এবং কাশ্মীর

চাইতে বিশ্বনাথ প্রতাপ সিং জামা মসজিদের সংস্কারের জন্য পঞ্চাশ লক্ষ টাকা দিলেন দিল্লীর ইমামকে। মুলায়েম সিং দিলেন ত্রিশলক্ষ টাকা। আর সময় চেয়ে নিয়ে এদের চারমাসে রামমন্দির নিয়ে একটি বৈঠকের সুযােগ হলাে না। আর করসেবার সময় চীকার শুরু করে দিল মসজিদ আমরা কিছুতেই ভাঙতে দেবাে না। এরা কাদের প্রতিনিধি একথা বুঝতে সমাজ নিশ্চয়ই ভুল করবে না। ভুল করলে ক্ষত আরাে গভীর হবে। এখন দুরারােগ্য মনে হচ্ছে তখন নিরারােগ্য মনে হবে। কারণ শয়তানেরা ঘুমােয় না। তারা সতত ক্রিয়াশীল থাকে। | ভি, পি,-র চেয়ে বেশী ক্রিয়াশীল ছিলেন মুফতি মহম্মদ। রুবাইয়ার নাটক মানুষ এখনও ভােলেনি। তিনি কাশ্মীরে ইতিমধ্যে কি করেছেন এবং করতে চেয়েছেন তার কিছু কিছু প্রকাশিত হয়েছে পত্রপত্রিকায়। বিপজ্জনক যেসব ব্যক্তিকে জেলখানায় বন্দী রেখে কাশ্মীর অপেক্ষাকৃত শান্ত ছিল বিশ্বনাথ-মুফতি চক্র ক্ষমতায় এসেই তাদের মুক্তি দিয়ে দিলেন। ভারত বিদ্বেষী হিন্দুবিরােধী পাক অনুচর মারাত্মক এইসব ব্যক্তিদের ছেড়ে দিয়ে কাশ্মীরের চরম সর্বনাশের কৃতিত্ব এই চক্রের। এই কৃতিত্বের তালিকা দীর্ঘ। মুফতি মহম্মদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হবার পর পাকিস্থানের চর বা দালাল বলে পরিচিতপঞ্চান্নজন মুসলমানকে স্বাধীনতা যযাদ্ধার তাম্রপত্র দিয়েছেন। শুধু তাম্রপত্র নয় এদের নিয়মিত আর্থিক অনুদানও দেওয়া হবে। এদের মধ্যে আছে বারােজন বিধবা মুসলীম মহিলা। শ্রীনগরের কাচগড় মসজিদ অঞ্চলের একটি পরিবারের সাতজন জীবিত স্বাধীনতা সংগ্রামী পাওয়া গেছে। এখানকার সেরা নিউ কলােনীর গুলাম আহমেদের এক স্ত্রী এবং তার কিশাের পুত্রকেও এই সম্মান দেওয়া হয়েছে। অথচ জম্মু-কাশ্মীর সরকারের সুপারিশ করা দুজনের নাম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রত্যাখ্যান করেছেন। কারণ এরা দুজনেই হিন্দু। মুড়িমুড়কির মত শুধু দেশদ্রোহী মুসলমানদের স্বাধীনতা যােদ্ধার সম্মান দেওয়া হল। এদের দেশদ্রোহী বলা হল না কেন? এইজন্য, অনুসন্ধানে জানা গেছে এরা সকলেই অতীতে জম্মু-কাশ্মীরের মহারাজার বিরুদ্ধে সশস্ত্র লড়াই চালিয়ে গেছে শেখ আবদুল্লার নেতৃত্বে। এদের পিছনে ছিল পাকিস্থানী মদত।

২০ ছাগলাদ্য নেতৃত্ব এবং কাশ্মীর

অর্থ ও অস্ত্রের জোগান। ভারতের বিরুদ্ধে এরা সরাসরি যুদ্ধ চালিয়ে আজ স্বাধীনতা সংগ্রামী। এ ঘােষণাটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী করেছেন ১৯৯০ সালের ২৫শে জানুয়ারী। অনেক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। কোন রাজনৈতিক নেতা,বুদ্ধিজীবি, সাংবাদিক এ নিয়ে প্রশ্ন তােলেননি।নীরব সমর্থন জানিয়েছেন। অথচ অন্নদাশংকর রায় এবং বিভিন্ন বুদ্ধিজীবি পন্ডিত কাশ্মীরের অর্থনীতি সমাজনীতি নিয়ে চুলের ছালছাড়ানাে বিশ্লেষণ করেছেন সংবাদপত্রের পাতায়।যার শেষকথা এই অবস্থা চলুক; ৩৭০ ধারা অক্ষত রেখে কাশ্মীরে পাকিস্থানী ধ্বংসসাধন অব্যাহত থাক্। লক্ষ লক্ষ হিন্দু উদ্বাস্তু কাশ্মীর থেকে অন্যত্র চলে আসুক। কোটি কোটি টাকা ব্যয়করভারতক্রমাগতসর্বনাশক্রয়করুক। এই বিচিত্র এবং অদ্ভুত মানসিকতাকে ছাগলের সঙ্গে তুলনা করলে ছাগলদেরই অপমান করা হয়।

| এই ছাগলাদ্য রাজনৈতিক নেতারা এবং বুদ্ধিজীবি সাংবাদিকেরা ১৯৭৫ সালেও একটি ঘটনায় নির্বাক থেকেছিলেন। শেখ আবদুল্লা ৭৫ সালে একটি বিশেষ আইন তৈরী করেছিলেন। ১৯৫৩ সাল থেকে ‘৭৫ সাল পর্যন্ত যারা কাশ্মীরকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য গণভোেট আন্দোলনে সামিল হয়ে গ্রেপ্তার হয়েছিল তাদের মুক্তি দেওয়া হবে এবং স্বাধীনতা সংগ্রামীর মর্যাদা দেওয়া হবে। তাইহলাে। পাকিস্থানপন্থী প্লেবিসাইট ফ্রন্টের প্রতিটি সক্রিয় কর্মীকে স্বাধীনতা সংগ্রামী শিরােপা দেওয়া হলাে। কোটি কোটি টাকা বিলি করা হলাে। এরা প্রত্যেকেছিল ভারতবিদ্বেষী। গণভােটের দাবী করে এরা ভারতের সামরিক এবং পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ করে তাদের অনেককে হত্যা করেছিল। এর কোনােটাইকিন্তু গােপনেহয়নি। সেদিনও এদেশের রাজনৈতিক নেতারা নির্বাক, বুদ্ধিজীবিরা ছিলেন নিশূপ। আটআনা কেজি চাল, একটাকা কেজি চিনি,এম-এ পৰ্য্যন্ত বিনাপয়সায় পড়ানাে, তথাকথিত স্বাধীনতার যােদ্ধাদের জন্য ভারত সরকারের পর্যন্ত ব্যয় হয়েছেসত্তর হাজার কোটি টাকা। এই বিপুলব্যয়ে নির্মিত হয়েছে এক স্থায়ী সুবিধাভােগী সম্প্রদায় যারা কাশ্মীরকে পরিণত করেছে দেশদ্রোহীদের স্বর্গরাজ্যে। অন্যায় করা এবং অন্যায়কে সমর্থন করা যদি সমান

ছাগলাদ্য নেতৃত্ব এবং কাশ্মীর

পাপ হয় তাহলে এদেশের ছাগলাদ্য রাজনৈতিক নেতা ও বুদ্ধিজীবিরা সমান পাপী। সবাই মিলে এরা তােয়াজ করেছেন শেখ সাহেবকে। যেসব সামরিক ব্যক্তি, পুলিশ কাশ্মীর রক্ষার জন্য প্রাণ দিলেন তাদের সম্মান দেবার আর্থিক সাহায্য দেবার কথাআজ পর্যন্ত কেউ উচ্চারণ করেননি। সেকুলারিজমের নামে পিকিউলিয়ার মানসিকতা আজ জনগণকেও আচ্ছন্ন করে ফেলেছে তার প্রমাণ এইসব ঘটনা তাদের রক্তে জ্বালা ধরিয়ে দেয়না, বড়জোর চায়ের টেবিলে আললাচনার বিষয় হয়।

এখন অবশ্য দৃশ্য পরিবর্তিত হচ্ছে। নতুন ভাবে ভাবতে অভ্যস্ত হচ্ছে জনগণের একটি বড় অংশ। গােন্ডা, মীরাট, ভাগলপুর, মুর্শিদাবাদের কাটরা মসজিদে যারা দাঙ্গা করতে এসে মারা গেল তাদের একলক্ষ টাকা করে অনুদান দেওয়া হলাে। যারা আত্মরক্ষা করতে গিয়ে দাঙ্গা প্রতিরােধ করতে গিয়ে লড়াই করল দেশের আইন তাদের অপরাধী বলে সাজা দিল।এইরকম সেকুলারিজমের পক্ষে যারা, জনগণ তাদের সত্যিই চিড়িয়াখানার নতুন জন্তু দেখার কৌতুহল নিয়ে দেখতে শুরু করেছে। গণতন্ত্রে সরকার পরিবর্তনশীল। এই সরকার হয়ত থাকবে না, দেশের জনগণ থাকবে। তাদের দৃষ্টিভঙ্গী সতর্ক ও সঠিক থাকলে কোনাে সরকার তাদের ক্ষতিসাধন করতে পারবেনা। কাশ্মীর নিয়ে অতীতের জনসঘবর্তমানের ভারতীয় জনতা পার্টি ছাড়া প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল জাতির সঙ্গে বিশ্বসঘাতকতা করছে এবং ভারতবর্ষকে নিয়ে সর্বনাশের খেলা খেলেছে। সর্বাধিক ক্ষতি করে দিয়ে গেল ভি, পি, সিং সরকার। বিশেষভাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মুফতি মহম্মদ সঈদ। এঁর শেষতম কীর্তি কাশ্মীরের মুজফফর বেগকে স্পেশাল এ্যাডভােকেট জেনারেল করার অপচেষ্টা। মুজফফর বেগ কাশ্মীরের একজন উকিল। পাকিস্থানী সমর্থক সন্ত্রাসবাদী মকবুল বাটের মােকদ্দমার ইনি উকিল ছিলেন। জম্মু-কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টের লন্ডন কাৰ্য্যালয়ে তিনি মাঝে মাঝেই থাকেন। ভারতের আদালত ঔপনিবেশিক আদালত। এখানে কোনাে মুসলমান সুবিচার পেতে পারে না এই কথা বলে তিনি মকবুল বাটকে আত্মপক্ষ সমর্থন

ছাগলাদ্য নেতৃত্ব এবং কাশ্মীর

করতে নিষেধ করেন। মকবুল মরার আগে তার সমস্ত স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি উইল করে দিয়ে যায় মুজফফর বেগকে। এইরকম একজন গুণী ব্যক্তিকে ভি. পি.সরকার এ্যাডভােকেট জেনারেলরার চেষ্টা করেছেন। কংগ্রেস এবং মাকর্সবাদী দলগুলি এই সমস্ত রাষ্ট্রঘাতী কাজের উগ্র সমর্থক। বেদনার কথা এটাই।

আরাে বেদনার কথা যারা এদেশের জ্ঞানী গুণী পন্ডিত তারাও যেন কিছু দেখতে পাচ্ছেন না। অথবা দেখেও দেখছেন না গণতান্ত্রিক দেশে যাদের ফোর্থ এষ্টেট বলা হয় সেই সংবাদপত্র গােষ্ঠী, যেন ধৃতরাষ্ট্র সুলভ অন্ধ। বুদ্ধিজীবি সাংবাদিকেরা গান্ধারীর মত চোখে ফেটি বেঁধে আছেন। সেকুলারিজমের ফেটি। সত্যকে দেখেও তারা বলবেন না। চোখ বন্ধ করে পক্ষ নেবেন দুৰ্য্যোধনদের। ভারত ভাগের সময়ও এদের একই ভূমিকা ছিল। তাই এদের নয়, জাগতে হবে গণতন্ত্রের শেষকথা জনগণকে। জনগণ দেখতে পাচ্ছে উগ্রপন্থীরা আরাে উগ্র হয়েছে। হত্যা এবং অপহরণের ব্ল্যাকমেল চলছে অবাধোকাশ্মীর যে ভারতের একটি জীবন্ত সমস্যা এটা কোন রাজনৈতিকদল মনেকরছেনা। ভারতীয় জনতা পার্টি ছাড়া। তাই রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও তারা পরিবর্তনের সূচনা করেছে। কোটি কোটি দেশবাসী আজ কাশ্মীর বিষয়ে সােচ্চার। তাদের দাবী ঃ যে কোনাে মূল্যে ৩৭০ধারার উচ্ছেদ সাধন করে বিভিন্ন রাজ্য থেকে কয়েক লক্ষ হিন্দুকে ওখানে বসিয়ে দিতে হবে। পঁচাত্তর হাজার হিন্দু যারা কাশ্মীরে ১৯৪৬ সাল থেকে বাস করেও অবাঞ্ছিত নাগরিক, তাদের নাগরিকত্ব দিতে হবে। হাজার হাজার কোটি টাকা ভর্তুকী দিয়ে দেশদ্রোহী পােষা বন্ধ করতে হবে। আজাদ কাশ্মীর যা আজ পাকিস্থানের অন্তর্ভুক্ত তাকে মুক্ত করে ভারতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।যা ইতিহাস এবংপরিস্থিতি বলছে এবং রাশিয়া ১৯৫৭ সাল থেকে যে পরামর্শ দিয়ে আসছে। এরসঙ্গে মনে রাখতে হবেবিশ্ব ইসলামের পটভূমি। প্যান-ইসলামের নিরবিচ্ছিন্ন মদত। এগুলি বাদ দিয়ে কাশ্মীর সমস্যার সমাধানের প্রচেষ্টা ঘােড়ার আগে গাড়ী বেঁধে চালানাের মতই হাস্যকর। প্রতিটি সরকার এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দল দীর্ঘদিন ধরে কাশ্মীর নিয়ে

ছাগলাদ্য নেতৃত্ব এবং কাশ্মীর

ছেলেখেলা করেছে। জনগণকে কাশ্মীর সম্পর্কে অন্ধকারে রেখে দিয়েছে। মনে রাখতে হবে জোড়াতালি দিয়ে যে সরকার কেন্দ্রে এলাে, তার প্রধানমন্ত্রী কিন্তু সেই ছাগলাদ্য পরম্পরার আউটপুট। ধরেই নেওয়া যেতে পারে তিনি ৩৭০ ধারা তুলে দিয়ে কাশ্মীর সমস্যার সমাধান করবেন না। ভারতীয় জনতা পার্টি ছাড়া কাশ্মীর নিয়ে অন্য কোন রাজনৈতিক দলের কোন মাথাব্যথা নেই। মাথাব্যথা থাকলে অত রক্তক্ষয় এবং প্রাণাহুতির পরও তারা বিষয়টি নিয়ে টালবাহানা করতেন না। রামমন্দির আন্দোলন প্রতিরােধে কিংবা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় যাদের এত আকুলতা তারা সবাই কাশ্মীর সমস্যার ব্যাপারে নিরাসক্ত যােগী কেন? আমানুল্লার মত রাষ্ট্রদ্রোহী পাকিস্থান সরকারের প্রশ্রয়ে পাকিস্থানে থেকে পাকিস্থানের মদত নিয়ে কাশ্মীরে অন্তঘাত চালাচ্ছে। এদেশের সংবাদপত্রে আমানুল্লার সাক্ষাৎকার ছাপা হচ্ছে। আমানুল্লা অকুণ্ঠ প্রশংসা করেছেন মাননীয় জ্যোতি বসুর। এই প্রশংসার উৎসভূমি কোথায় জনগণের বড় অংশ তা জানেননা।কমুনিষ্ট পার্টির সিদ্ধান্ত ছিল কাশ্মীরীরা পৃথক জাতি, অতএব তাদের ভারত থেকে বেরিয়ে যাবার অধিকার আছে। পাকিস্থানী হানাদার বাহিনীকে হটিয়ে দিতে যখন ভারতের সেনাবাহিনী কাশ্মীর পৌছাল তখন কমুনিষ্ট পার্টি দেশ জুড়ে শ্লোগান দিয়েছিল সাম্রাজ্যবাদী ভারত কাশ্মীর থেকে হাত ওঠাও কাশ্মীরের জনগণকে আহ্বান জানিয়ে কম্যুনিষ্ট পার্টি বলেছিল ভারতীয় দখলদারী ফৌজকে কাশ্মীর থেকে তাড়িয়ে দাও। ১৯৫১-৫২ সালে কমুনিষ্ট পার্টির মুখপত্র স্বাধীনতা পত্রিকায় সম্পাদকীয় প্রবন্ধগুলি যাঁরা লিখতেন তারা অম্লানবদনে এসব কথা লিখে গেছেন। তাই আমানুল্লা মার্ক্সবাদীদের কিংবা জ্যোতি বাবুর প্রশংসা করবেন এটাই তাে স্বাভাবিক। পৃথিবী জুড়ে মার্ক্সবাদের অপমৃত্যু দেখে অনেকেই আনন্দিত হতে পারেন। ভুলে যাওয়া উচিত নয় দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে হেরে গেলে সব ধ্বংস করে চলে যাওয়ার পােড়ামাটি নীতি মার্ক্সবাদী সােভিয়েটের আবিষ্কার। তাই মার্ক্সবাদীরা শেষ হয়ে যাবার আগে যতটা পারবে ভারতকে ধ্বংস করে দিয়ে যাবে। জাতীয় কংগ্রেস কিংবা তার ভগ্নাংশ দলগুলি

২৪ ছাগলাদ্য নেতৃত্ব এবং কাশ্মীর

কর্কট রােগে আক্রান্ত। রে দিয়ে এ্যাট করে মৃত্যুর অপেক্ষা করাই এদের ভবিতব্য। এরা নিজেরাই এক একটা সমস্যা। এদের পক্ষে আর দেশের কোন সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। দেশের অগণিত মানুষ এটা না বুঝলেও দেশদ্রোহীরা এটা বুঝতে পেরেছে। তাই কাশ্মীরে মুসলীম মেয়েরাও এগিয়ে আসছেকাশ্মীরের মুক্তির জন্য।১৯৮৭তে সক্রিয় হয়েছে দুখ তারন ইমিলাত, ইসলামের কন্যা। এদের সেক্রেটারী নাহিদা সারিণ। এদের সদস্য ন হাজার। সারিণের বক্তব্য ঃ কাশ্মীর এখন নরক। আমরা স্বর্গ বানাবাে।। | এই হচ্ছে প্রকৃত অবস্থা। রাজনৈতিক দলগুলি এর চেয়ে বেশী কিছু করবে

। সুতরাং সব ভাবনা ভাবতে হবে জনগণকে। এখনও সময় আছে। সমাধান দুরে নয়। ব্যক্তি হিসাবে নিজেদের যুক্তি, বুদ্ধি, বিবেক, রাজনৈতিক দলগুলির কাছে বন্ধক না দিয়ে স্বাধীনভাবে চিন্তা করতে হবে। যুক্তি বুদ্ধির কষ্টিপাথরে যাচাই করে বাস্তব সমাধানের কথাগুলি যারা বলছে সেই হিন্দু সংগঠনগুলিকে শক্তিশালী করতেই হবে। যে রাজনৈতিক দল ৩৭০ ধারার বিরুদ্ধে, তাদের বিপুল ভাবে নির্বাচনে জয়ী করতে হবে। আর ছাগলাদ্য বুদ্ধিজীবি পন্ডিত এবং রাজনৈতিক দলগুলি যারা কাশ্মীর সমস্যার স্রষ্টা পালক পােষক এবং ভারতের সবসমস্যার উৎস, তাদের একবুকঘৃণা নিয়ে সিফিলিস রােগীর মতাে পরিত্যাগ করতে হবে। তবেই অগ্নিগর্ভকাশ্মীরশান্ত স্বাভাবিকহবে। অন্যপথের পরিণতি সারা দেশের মানুষের সামনেই রয়েছে।

 

ছাগলাদ্য নেতৃত্ব ও কাশ্মীর- শিবপ্রসাদ রায় (প্রথম পর্ব)

 

ছাগলাদ্য নেতৃত্ব ও কাশ্মীর- শিবপ্রসাদ রায় (প্রথম পর্ব)

ছাগলাদ্য নেতৃত্ব ও কাশ্মীর- শিবপ্রসাদ রায় (দ্বিতীয় পর্ব)

টি একটি ধারাবাহিক তিন পর্বের পোস্ট, আজ শেষ পর্ব বাকি পেজে।-ধন্যবাদ

ছাগলাদ্য নেতৃত্ব ও কাশ্মীর

লেখক- শিবপ্রসাদ রায়