কিছু দিন যাবত নেপাল ভারতে কিছু এলেকা নিজেদের বলে দাবি করছিল। এবার বাংলাদেশের রাজশাহী, দিনাজপুর নেপালের বলে দাবি তুলে ম্যাপ প্রকাশ! ১৯৪৭ সালের আগের নেপাল মূলত ব্রিটিশদের অনুগত গোলাম ছিল। ভারতবর্ষে ব্রিটিশবিরোধী অনেক লোক আন্দোলন হয়েছিল। এই আন্দোলনে ভারতীয় উপমহাদেশের সকল জাতিগোষ্ঠী কমবেশি অংশগ্রহণ করেছিল।( আফগানি থেকে ধরে বাঙালি, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাওতাল থেকে ধরে ফকির আন্দোলন)।
তবে এই ধরনের আন্দোলনে নেপালিরা অংশগ্রহণ করলেও তারা ছিলো বৃটিশদের অনুচর। এখনকার প্রজন্ম হয়তো জানেনা যে কেন ব্রিটিশরা ভারত বর্ষ ছেড়ে গেল। অনেককের ধারণা যে ভারতের ভিতরে আন্দোলনের কারণে হয়তোবা ব্রিটিশরা শেষ ভারত বর্ষ ছেড়ে চলে গিয়েছে। সত্যিকার অর্থে মূল কারণ ছিল না এটা এর পেছনে আরও কারণ ছিল।
মূল কারণটা হলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় লন্ডনের আকাশে জার্মানির বোমা হামলা। অপরদিকে মায়েনমার জাপানের হাতে পতন। এই দুটো বিষয় উল্লেখ করার মতন কারণ ছিল। সত্যিকার অর্থে জাপানে হাতে যদি মায়ানমারের পতন না হতো। তাহলে ব্রিটিশরা হয়তোবা এখনো ভারত বর্ষ ছেড়ে যেত না। ভারতবর্ষের ভিতরে যে আন্দোলন হয়েছিল সেটাও কোন দিক থেকে ছোট করে দেখার সুযোগ নাই।
ব্রিটিশ সাম্রাজ্য মূলত ভারতবর্ষের টিকেছিল নিপীড়ন ও নির্যাতনের উপর। মাত্র 16 হাজার সৈনিক দিয়ে এত বড় ভারতবর্ষে ব্রিটিশ শাসন করেছিল এটা অবশ্যই ভাবার বিষয়। আসলে এর পিছনে ব্রিটিশদের কিছু কৌশল ছিল। উপমহাদেশের মানুষের উপর নির্যাতন এবং অত্যাচার করার জন্য আসলে ব্রিটিশরা বেছে নিয়েছিল নেপালি সেনাদের।
যদিও ব্রিটিশদের বিদায়ের পর নেপাল যখন রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হলো তখন পৃথিবীর মধ্যে অনেকটা শান্তিপূর্ণ একটা জাতি হিসেবে নেপাল নিজেদের পরিচয়টা প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছিল। তবে ভাবার বিষয় বর্তমানে নেপালে যে শাসন ব্যবস্থা পরিচালিত হচ্ছে সেটা আদতেও পূর্বের নেপাল শাসনব্যবস্থার মতন নয়। সম্পূর্ণ একটা ভিন্ন চিন্তা ভাবনা থেকেই এখন কে শাসন ব্যবস্থা পরিচালিত হচ্ছে।
বর্তমান নেপালের শাসনতন্ত্র ন্যস্ত হয়েছে মাওবাদী তথা সমাজতান্ত্রিক বামপন্থী সরকারের হাতে। তাদের অভ্যন্তরীণ শাসন যাই হোক, বৈদেশিক নীতি খুবই আক্রমণাত্মক। সীমান্ত নিয়ে ভারতের সাথে ঝগড়া বিবাদ সাম্প্রতিক কালে বেড়েছে। যদিও ভারত সরকার এই বিষয়ে তেমন কোনো তাদের মতামত প্রকাশ করেনি। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে বিশ্ব নেপালের এই উদ্ভট চিন্তা গুলো নিয়ে ভাবা শুরু করেছেন। এর পেছনে নিশ্চয়ই কারণ আছে।
- বড় খবর- রাম মন্দির নির্মাণের কাজ শুভ সূচনা হয়ে গেল, শুভদিনে।
- মিহির সেনের করুণ পরিণতি ও জ্যোতি বসু-রানী রয়।
- ইদের দিনে ইংল্যান্ডের গুরুদ্বারে হামলা গ্রেফতার পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত যুবক।
- কিভাবে হিন্দুধর্ম অস্ট্রেলিয়ায় দ্রুত বর্ধনশীল ধর্ম হয়ে উঠল?
- কলম্বো বিশ্ববিদ্যালয় প্রকাশ করল প্রাচীন ভারতেই প্রথম প্লাস্টিক সার্জারি।
- ঢেকে দিয়া হল ভারতমাতার মূর্তি, খ্রিস্টান মিশনারিদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত অনায়।
তবে এ পর্যন্ত হলে বলার কিছু ছিল না কিন্তু হঠাৎ করে গতকালকে United Nepal National Front নামে কে বা কারা বাংলাদেশের রাজশাহী দিনাজপুর অঞ্চল বৃহত্তর নেপালের অংশ বলে দাবী করছে। ইয়েলো মার্ক করা রাজশাহী দিনাজপুর অঞ্চল বৃহত্তর নেপালের অংশ বলে দাবী করছে।অপরদিকে পিংক কালারের এলাকা যেটা ভারতের পশ্চিম বঙ্গের বা হিমাচল প্রদেশের সেটাও তাদের বলে দাবি করেছে।
এইরকম বহু খায়েশ মানুষের থাকেই। কিন্তু তা বাস্তবতার নিরিখে বাস্তবায়ন করা আর হয়ে উঠে না।সাদ্দামের যেমন খায়েশ ছিলো কুয়েত নিয়া এইরকম আর কি। তো তারা যদি চীনের কান পড়া শুনে বাংলাদেশও ভারতের দিকে তাকিয়ে থাকে তাহলে তাদের বুঝা উচিত এইসব দিবাস্বপ্ন। বাস্তবে তাদের হিমালয় হারাতে হতে পারে। বাঙালি পাহাড়ে বাস করতে ইচ্ছুক না। তাই আমাদের পূর্বপুরুষেরা নেপালের দিকে অগ্রসর হয়নি।
আমাদের সাথে থাকতে লাইক দিয়ে রাখুন……………