কে এই শিবা ?
“শিব” যোগাযোগ ইতিহাসের এক কিংবদন্তী নাম, পুরা নাম ভি, এ, শিব আযাদুরাই (Vellayappa Ayyadurai Shiva) আমাদের কাছে হয় তো তিনি অপরিচিত । জন্ম ১৯৬৩ সালের ২ ডিসেম্বার, ভারতের মুম্বই । ঠিক মাত্র ৭ বছর বয়স যখন তার, তখন মা-বাবা হাতে ধরে পাড়ি দেন সুদূর আমেরিকা। মীনাক্ষী সন্তান হল শিবা, মীনাক্ষী ছিলেন অনেকটা গণিতপ্রেমি । মীনাক্ষী দেবীর এই গণিত ভালোবাসার কারণে তাদের বাড়িতে প্রচুর প্রাচুর্য না থাকলেও থাকত প্রচুর গণিতের বই। যার ফলে কি হলো, ছোট বেলা থেকে শিবা মধ্যে একটা গণিত প্রেম তৈরি হতে লাগল ।
শিবা, মাযের সাথে সাথে অনেক সময় গণিতের সেই কুন্ডলীর মাঝে ঢুবে যেত। ভারত থেকে আমেরিকাতে এসে শিবার পরিবারের পথ চলাটা বেশ একটা ভালো ছিলো না। যখন স্বপ্ন ভরা দু- চোখ নিয়ে এসেছে ভারত থেকে সুদূর আমেরিকার, তখন হেরে গেলে তো চলবে না। এই তামিল পরিবারটি প্রথম দিকে আমিরেকায়তে অনেক বাধার সম্মুখীন হতে হয়। তখন কে জানত,এই শিবাই এক দিন বিশ্বের যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে। আমরা আলোচনা ধাপে,ধাপে সেই বিষয় পরিষ্কার হব।
শিবার কম জীবন শুরু
মীনাক্ষীদেবীকে পরিবার চালানোর জন্য প্রথম দিকে বেশ বেগ পেতে হয়। মুম্বই থেকে আমিরেকাই আসার পর মীনাক্ষীদেবী একটা কারখানাতে কাজ করা শুরু করে। কিন্তু তা থেকে যা আয় হতো তাতে তারা সংসার চলা খুব কঠিন হয়ে যেত। মীনাক্ষীদেবী হাল ছাড়া মেয়ে ছিল না, তিনি প্রবল ভাবে চেস্টা করতে থাকে, একটা সময় তার ভাগ্যের চাকা সচল হয় । তিনি নতুন চাকরি পান নিউ জার্সির মেডিসিন অ্যান্ড ডেন্টিস্ট্রি বিশ্ববিদ্যালয়ে। যার ফলে তার পরিবারে অথনৈতিক জাগায়টা অনেকট মজুত হয় শুধু তাই নয়, তার পাশাপশি স্থানীয় লিভিংস্টোন হাই স্কুলে পড়া সেই শিবার জীবনের একটা মোড় ঘুরে যায়।
বিখ্যাত অধ্যাপক হেনরি মুলিশ ভাবলেন যারা সদ্য স্কুল থেকে পাশ করে বের হয়েছে, তাদের নিয়ে তিনি একটা কম্পিউটারের প্রোগ্রামিং ভাষা প্রশিক্ষন কেন্দ্র তৈরি করবেন। যেই ভাবা, সেই কাজ, সময়টা ১৯৭৮ সাল বসন্তা কাল। ঠিক হল কুরান্ট ইনস্টিটিউট অফ ম্যাথেমেটিকাল সায়েন্সেস- এ আট সপ্তাহের একটা ভাষা প্রোগ্রামিং পাঠ্যক্রম করার কার্যক্রম, এটা ছিল নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের আণ্ডারে। ঠিক সেই সময় অধ্যাপক মার্টিন ফিউয়েরম্যান যিনি ছিলেন মীনাক্ষীদেবীর সহকর্মী।
তিনি মীনাক্ষীকে সংবাদটা দিলেন এবং ছেলেকে ওখানে পাঠানোর জন্য বলেন। মীনাক্ষীদেবী তার এই পরামর্শ পাবার পর আর দেরি করলেনা ছেলেকে ঐ পাঠ্যক্রমে অংশ নিবার জন্য আবেদন করলেন। ভাগ্য সহায় হল শিবাকে তারা বেছে নিল, যার দুরুন শিবাকে মাস দুইকের জন্য নিউ ইয়র্কে যেতে হল। শিবাও বিষয়টা খুব উপভোগ করছিল, যার ফলে সে খুব আনন্দের সাথে পড়তে গেল।
মজার বিষয় হল শিবার জীবনে এলো এক নতুন পরিবর্তন। সে বিষয়টা খুব উপভোগ করতে শুরু করল এবং খুব অল্প সময়ের মধ্যে সি প্লাস, ফোরট্রান এর মতো প্রোগ্রামিং- এর সাতটি ভাষা নিজের আয়ত্ত করে ফেলল। শিবার এই সাফল্য জন্য অধ্যাপক মুলিশও এবং মীনাক্ষীও বেজায় খুশি হল। অধ্যাপক মুলিশও শিবাকে নিয়ে কিছু নতুন পরিকল্পনা করল। সেই পরিকল্পনা অনুযাযী নিউ জার্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার ল্যাবের ঐ সময়ের ম্যানেজার অধ্যাপক লেসলি মাইকেলসনের কাছে মুলিশও শিবাকে নিয়ে যায়।
এর মধ্যে শিবার কথা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছিল, যার কারণে অধ্যাপক লেসলি মাইকেলসনের শিবার কথা আগেই শুনেছিল। অধ্যাপক মুলিশও শিবার সম্পর্কে সব খুলে বলল অধ্যাপক লেসলি মাইকেলসনেকে। অধ্যাপক লেসলি মাইকেলসনে শিবার সম্পর্কে সব জানার পর, তিনি আর দেরি না করে শিবাকে ল্যাবের রিসার্চ অ্যাসিস্টেন্ট হিসাবে নিয়োগ দিলেন। কিন্তু সেই সময় শিবাকে কোন বেতন দেওয়া হবে না, শুধু তার খাবর দিবে প্রতিষ্ঠান সেই চুক্তিতে শিবা কাজ শুরু করল। কিছুদিনের মধ্যেই শিবার বেতন প্রতি ঘন্টায় ১.২৫ ডলার করল প্রতিষ্ঠান। তার পর শিবাকে আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি।
- যে ইতিহাস হয়নি জানা, টিপু সুলতান কি ইতিহাসের নায়ক, না খলনায়ক?
- ঐতিহাসিক পানাম নগর কি জন্য প্রসিদ্ধ ?
- Statue of unity cost নিয়ে যারা হা হুতাস করছেন, তাদের জন্য এই পোষ্টা।
ইমেল ব্যবস্থার আইডিয়া
চাকরিতে যোগ দিয়ার পর শিবাকে অধ্যাপক লেসলি মাইকেলসনেকে নিয়ে গেলেন নিউ জার্সির মেডিসিন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার ল্যাবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার ল্যাবে প্রবেশের পর শিবা তো হতবাক, সেই এতোটাই অবাক হয়েছে যে তার চোখের কোন পলক পড়ছে না। হাজার, হাজার বিশেষজ্ঞরা এক সাথে বসে হাজার, হাজার কম্পিউটারে কাজ করছে। শিবার ১৪ বছরে জীবনে এতো কম্পিউটার এবং এতো বিশেষজ্ঞ আর কখনোই দেখে নাই। শিবার এই পলকহীন চোখ দেখে অধ্যাপক লেসলি মাইকেলসন মনে মনে একটু হাসলেন আর বলেন এখানে যারা কাজ করছে তারা সবাই চিকিৎসা বিষয়ে গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাক্তার।
আমি তোমাকে বলব, তুমি এই সকল ডাক্তার জন্য এমন কোন উপায় বের কর যাতে তারা তাদের কাজের বিভিন্ন চিঠি পত্র সেই সনাতনী পদ্ধতিতে হাতে লিখে খামে করে যেন না আদান-প্রদান করতে হয়। সেটা যেন এক কম্পিউটার থেকে আর এক কম্পিউটারে বৈদ্যুতিন বার্তা মাধ্যমে প্রেরণ করা সম্ভব হয়। ১৪ বছরের শিবা যেন এই বিষয়টা ভালোভাবে গবেষণা করে, একটা সমাধান তৈরি করতে পারে সেটাই প্রবীণ অধ্যাপক নির্দেশ দিলেন। শিবার বিষয়টা খুবই সানন্দে গ্রহণ করল আর সেই অনুযায়ী কাজ শুর করল। তার পর থেকে শুরু হল বৈদ্যুতিন বার্তা মাধ্যমে বিশ্ব যোগাযোগের গননা কাল।
শিবা কতাটা হিরা ছিল তা মাইকেলসনের মতন পাকা জহুরির বুঝতে ভূল করেনি। আর সেই কারনেই মাইকেলসনের সব সময় শিবা কে তার সাধ্য মতো সহযোগিতা করেছিলেন। মাইকেলসনের পূণ সহযোগিতায় ক্ষুদে গণিতজ্ঞ তার গবেষণা শুরু করল। শিবার গবেষণার জন্য তাকে দিয়া হল তিন তিনটে এইচপি ১০০০ মিনি কম্পিউটার এবং ডিএস ১০০০ ফোর নামে এক নেটওয়ার্ক সংযোগ ব্যবস্থা, পাশা পাশি ফোরট্রান ফোর কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ভাষা৷শিবা লক্ষ্য করেছিল যে প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কমচারী কাছে রহয়েছে বিভিন্ন ধরনের কাজের আলাদা আলাদা ফাইল।
ঐ সকল ফাইলের কোনটার উরপ লেখা ছিল ইনবক্স আবার কোনটার উপর আউটবক্স। প্রতিটা ফাইলে বিভিন্ন আলাদা আলাদা বিষয় সংরক্ষিত কাগজ পত্র। এই ধরনের পরিস্থিতি দেখে শিবার মেল আইডিয়া মাথায় আসে। শিবার মনে সেই একাগ্রতা আর প্রতিষ্ঠান থেকে দিয়া যান্ত্রিক পরিকাঠামো দিয়েই শিবা নিরলস ভাবে তার গবেষণা চালিয়ে যেতে লাগল। কিছু দিন যেতেই তৈরি করে ফেলল ৫০ হাজার কোড সম্মিলিত একটা প্রোগাম। যাতে ছিল মেল সিস্টেমের এর ফোল্ডারই রাখা জন্য ড্রাফটস সহয়- ইনবক্স এবং আউটবক্সর মতন ব্যবস্থা।
শিবার এই আবিষ্কাররে প্রতিষ্ঠান খুবী উল্লাশিত হয়েছিল। শিবা গবেষণাটা করত তার পড়াশোনার পাশাপাশি। অবশেষে এলো সেই মাহেন্দ্রখন, সময়টা ছিল ১৯৮১ সালে, পৃথিবীর বুকে ভূমিষ্ঠ হল বিশ্ব যোগাযোগের অন্যতম এবং গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম ইলেকট্রনিক মেইল। যাকে আমরা আজ মেল নামেই বেশি চিনি।
যুগান্তকারী আবিষ্কারের পরে
এই আবিষ্কারের ছিল এক যুগান্তকারী, যাহা যোগাযোগ দুনিয়ার এক অভূতপূর্ব পরিবর্তন এনে দিয়েছে। শিবার এই আবিষ্কার আজ থেকে প্রায় ৩৭ বছর আগে করলেও ই-মেল আজও যোগাযোগের ভুবনে প্রথম সারিতে টিকে আছে। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, এই সময় আর এক যাদুকরের হাত ধরেই যে ব্যাক্তি গত কম্পিউটার হয়েছিল পরিবারের সদস্য, তাকেই ল্যাপটপ এবং নোটবুকের রুপ দিয়ে করেছিল পথের সাথী। এর সাথে যোগ হয়েছিল পুরো দুনিয়া জুড়ে নেট এবং তার বড় ভাই ব্রডব্যান্ড, মোবাইল নেটওয়ার্কিং দ্বারায় পুরো পৃথিবীকে একটা গ্লোভাল ভিলেজের মধ্যে আনা।
সেই সংযোগ কে কাজে লাগিয়ে সামাজিক মিডিয়ার মাধ্যমে আজ পুরো পৃথিবী মানুষ গুলিকে একই বৃত্তে আনা সম্ভব হয়েছে। এই ব্রডব্যান্ড. ইন্টারনেট, মোবাইল, নেটওয়ার্ক মাধ্যমে আজ যদিও এসএমএস, চ্যাট ইত্যাদি দ্বারায় যোগাযোগ অনেকটা সহজ করা সম্ভব হয়েছে তবুও ই-মেল তার গুরুত্ব হারায়নি বরং দিন দিন তার গুরুত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে। ই-মেল মানুষের চাহিদা মতন সুযোগ সুবিদা দিবার কারনে সারা পৃথিবী জুড়ে চিঠি পত্র আদান প্রদানে এখনো প্রথম স্থানে রয়েছে।
শুধু চিঠি পত্র কেন এখন বিভিন্ন লেখা, ফাইল অডিও, ভিডিও, ছবি ইত্যাদি অনে সহজ ভাবে পৃথিবীর এক স্থান থেকে অন্য স্থানে খুব দূরত এবং সহজ ভাবে পাঠান সম্ভব হচ্ছে। ই-মেলে সবচেয়ে বড় সুবিধা গুলি হল কোন মেল পাঠানোর পড় তার রেকর্ড থেকে যায় । তার ফলে যে কোন সময় তা পুনরায় প্রয়োজন অনুযায়ী খুলে কাজ করে নিয়ে যায়। এর থেকেও বড় সুবিধা হল একটাই মেল নতুন করে না লিখে একাধিক প্রাপকের বা গ্রুপে পাঠানো সম্ভব হচ্ছে। যার ফলে বার বার লিখা এবং বার বার বিভিন্ন ব্যাক্তিকে পাঠানোর ঝামেলা নাই। তাতে কি হয়েছে আমাদের সময় এবং শ্রম দু-ই বেচেয়েছে।
এক সময় পর্যন্ত মেল শুধু ইংরেজিতে লেখা বা পড়া সম্ভব ছিল। কিত্ত আজ সে নিয়মে পরিবর্তন আসছে। বাংলা ভাষা সহ বিশ্বের বহু ভাষায় আজ মেল করা সম্ভব, মেল ইংরেজির মতন বহু ভাষায় তাদের ফন্ট তৈরি করে ফেলেছি। যার ফলে ই-মেল আজ অতি সাধারণ মানুষের ব্যবহার উপযোগিতা অনেক অংশেই বৃদ্ধি পেয়েছে। আজ সারা পৃথিবীর মানুষ যখন পৃথিবীর এক কোন থেকে অন্য কোনে পৌঁছিয়ে যাচ্ছে। তার প্রধান বাহন হচ্ছে সেই ই-মেল।ইমেইল জাতি-বণ সময়, প্রাচীর, ছোট-বড় সকল ধরনের বাধা অতিক্রম করে বিশ্বকে এক সূত্রে আনতে সক্ষম হয়েছে।
তাই সময়ের প্রয়োজনে আমাদের পরিবর্তন হওয়ায় হবে, ই-মেলের বিজয়ের মাপকাঠি। মেল এখন পর্যন্ত কেবল কম্পিউটার বা মোবাইলে মত ডিভাইসে ব্যবহার করা যায়। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের ধারণা যে গতিতে বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে, ভবিষ্যতে মেল আরো অনেক ডিভাইসে ব্যবহৃত হবে। সব থেকে মজার বিষয় ই-মেল আমাদের প্রতিদিনের জীবনে এখন একটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করে নিয়েছে। যার কারণে খুব অল্প সময়ের মধ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং তার কর্মচারীদের বিভিন্ন ফাইল খুব সহজে এবং কম সময়ে একে অন্যের কম্পিউটারে আদান-প্রদান করার সুবিধা পেয়েছে।
- রোহিঙ্গা কারা ? কোথা থেকে এসেছে এরা? কেনই বা আজ এদের এমন পরিস্থিতি?
- উইঘুর কারা, কোথা থেকে এলো এরা, কেনই বা আজ এদের এমন পরিস্থিতি। উইঘুরদের আদ্য-মধ্য (পর্ব
শিরার আবিষ্কারক নস্যাৎ করতে
একটা বিদেশি ছেলে যার বয়স মাত্র ১৪ বছর, সে কি না ই-মেল আবিষ্কারক হবে, এটা ভেবে সবাই আনন্দে গদ গদ করবে, সেটা ভাবার কোন কারণ নাই। ঠিক জগদীশ চন্দ্র এর সাথে যেটা হয়েছিল, সেটাই শিবার সাথে হতে চলেছিল। কিছু সংখ্যক বহুজাতিক সংস্থা এবং কিছু সংবাদ মিডিয়া চেয়েছিল শিবার এই কৃতীতকে নস্যাত্ করতে। যদিও খারাপে মাঝে অনেক সময় কিছু ভালো থাকে, আর সেই জন্যই হয় তো শিবা এ যাত্রায় বেঁচে গিয়েছিল।
সেই মিডিয়া আর বহুজাতিক সংস্থা সব পরিকল্পনাতে জল ঢেলেছিল ওয়াশিংটনের ন্যাশনাল মিউজিয়াম অফ আমেরিকান হিস্ট্রির স্মিথসোনিয়ান ইনস্টিটিউশন৷ যার ফলাফল শিবা পেয়েছিল আবিষ্কারকারের বহু পরে ২০১২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি। ঐ বছরেই ইমেইল আবিষ্কারের সময় সকল কাগজপত্র তারা শিবার কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করে। আর ওয়াশিংটনের ন্যাশনাল মিউজিয়াম অফ আমেরিকান হিস্ট্রির স্মিথসোনিয়ান ইনস্টিটিউশন শিবাকে, ই-মেলের আবিষ্কারের স্বীকৃতিস্বরূপ ৩০ অগস্ট ১৯৮২ সালের কপিরাইট শত দেওয়া।
শিবা দেশবাসীদের কাছে আজও উপেক্ষিত নাম
সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আপনি আমি কত না কাজের জন্য ই-মেল ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু আমরা ক-জনে জানি এই ই-মেলের আবিষ্কারক আমাদের এই ভূমির কৃতি সন্তান। মেইল একাউন্ট নাই এমন মানুষ বর্তমান সময়ে খুবই কম। তবে মজার বিষয় যদি বলা হয় বলুন তো এই ই-মেল কে আবিষ্কার করেছিল? মনের মধ্যে কি আসবে সে তো আমি আপনি ভালোই জানি।
কোন না কোন বিদেশির নাম, তাই তো? জানি আমাদেরকে এমন ভাবেই ছোট বেলা থেকে বড় করে তোলা হয়েছে। যার দরুন আমরা সত্যকে জানতে পারিনি। সত্য টা তো জানলেন আজ, মনে থাকবে তো নামটা? ভি এ শিবা আয়াদুরাই ভারতীয় বংশোদ্ভূত ই-মেল আবিষ্কারক। যে আজ দেশের মানুষের কাছে একটা উপেক্ষিত নাম।
পোস্টা পড়া পর যদি ভলো লাগে তবে শিয়ার করতে ভূলবেন না । পাললে একটা লাইক। ধন্যবাদ।
তথ্যসূত্র-
https://boishakhionline.com/2366/%E0%A
https://www.theweek.in/theweek/specials/life-and-struggles-of-shiva-ayyadurai.html
https://vashiva.com/vashiva-blames-caste-system/
https://ebela.in › বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
ইমেল এর আবিষ্কারক ভি এ শিবা আয়াদুরাই । ৩৯ বছর আগে, যার জন্ম
post editorial News: editorial on email – শিবা আয়াদুরাই নামটাচেনা .