ইংরেজী মাসের নামকরণ সম্পর্কে আকর্ষণীয় তথ্য জানুন। প্রত্যেক ব্যক্তি, জিনিস, স্থান বা ঘটনার নামের পেছনে নিশ্চয়ই কিছু রহস্য বা ইতিহাস আছে। আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন যে ইংরেজী বছরের 12 মাসের নামের অর্থ কী বা তাদের নামকরণ করা হয়েছে কিভাবে? যদি আপনার উত্তর না হয়, তাহলে আজ আমরা আপনাকে বছরের 12 মাসের নামের পিছনে ইতিহাস এবং অর্থ বলব:
জানুয়ারি
জানুয়ারী ল্যাটিন শব্দ ‘Janriyus’ শব্দের সমন্বয়ে গঠিত | ‘জানুস’ শব্দটি এসেছে মহান রোমান দেবতা ‘জানুস‘ বা ‘জানুস‘ এর নাম থেকে ।
এটা বিশ্বাস করা হয় যে এই দেবতার দুটি মুখ ছিল, যার মাধ্যমে তিনি সামনে এবং পিছনে উভয় দিকে তাকাতে পারত এবং জানুয়ারী মাসটি বিগত বছর এবং আগামী বছর উভয়কেই দেখে, তাই এই মাসের নাম রাখা হয়েছে ‘জানুয়ারী’। জানুয়ারিতে বছরে প্রথম মাস।
ফেব্রুয়ারি
এই মাস সম্পর্কে দুই ধরনের বিশ্বাস আছে । একটি বিশ্বাস অনুসারে, ফেব্রুয়ারি শব্দটি ল্যাটিন শব্দ ‘ফ্যাবরিয়াস’ এর একটি পরিবর্তিত রূপ যা রোমান সাম্রাজ্যের সময় একটি মাসের নাম ছিল।”Fabriariyus ‘শব্দগুলি ‘ Fabru ‘এবং’ Eri ‘ ধাতু দিয়ে তৈরি, যার অর্থ বিশুদ্ধ করা |
প্রাচীন রোমান সভ্যতায়, কিছু লোক আত্মশুদ্ধি এবং প্রায়শ্চিত্তের জন্য এই মাসের ১৫ তারিখে ভোজ করত, যার কারণে এই মাসের নাম ফেব্রুয়ারি। রোমান সভ্যতার দ্বিতীয় স্বীকৃতি মতে শিশুদের প্রদান সঙ্গে দেবী ‘Februa’ নাম ফেব্রুয়ারি নামকরণ করা হয়েছে |
মার্চ
এটা বিশ্বাস করা হয় যে রোমান সভ্যতায় বছরটি এই মাস থেকে শুরু হতো। শীত মৌসুম শেষ হওয়ার পর শত্রু দেশ আক্রমণ করত রোমান সৈন্যরা অর্থাৎ মার্চ তাই এই মাসের নাম ছিল ‘মার্চ’ |
আরেকটি বিশ্বাস অনুযায়ী, মার্চ মাসের নামকরণ করা হয়েছিল রোমান দেবতা ‘মার্টিয়াস’ (মঙ্গল) এর নামে , যিনি যুদ্ধ ও সমৃদ্ধির দেবতা ছিলেন।
এপ্রিল
এপ্রিল ‘এপ্রিলিস’ শব্দের পরিমার্জিত রূপ । এপ্রিলিস ল্যাটিন শব্দ ‘এপ্রিলজ’ থেকে উদ্ভূত যার অর্থ খোলা, খোলা, ফুল ফোটানো বা ফেটে যাওয়া । এই মাসে ইউরোপে বসন্তের আগমন | তাই শুরুতে বসন্তের আগমনের প্রতীক হিসেবে এই মাসের নামকরণ করা হয় ‘এপ্রিলিস’ যা পরে ‘এপ্রিল’ হয়ে যায়। আরেকটি বিশ্বাস অনুসারে, ‘এপ্রিল’ রোমান দেবী ‘অ্যাকিরাইট’ এর নামের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে, যিনি উর্বরতার প্রতীক।
ছবির উৎস:
মে
মে শব্দটি ল্যাটিন শব্দ ‘মেজরাস’ থেকে উদ্ভূত বলে মনে করা হয় । অন্য বিশ্বাস অনুযায়ী, চলতি মাসে এছাড়াও ‘মে’ বলা হয় নামের পরে এর ‘মায়া’, মা এর রোমান দেবতা ‘Mercar’ নাম অনুসারে।
ছবির উৎস:
জুন
রোমান দেবতাদের প্রধান ‘জিউস’ -এর স্ত্রী’ জুনো’ -এর নামানুসারে মাসের নামকরণ করা হয় । আরেকটি বিশ্বাস অনুসারে, রোমানরা এই মাসটিকে বিয়ের জন্য উপযুক্ত বলে মনে করে এবং লাতিন ভাষায় ‘জেনস’ শব্দটি পরিবারের জন্য ব্যবহৃত হয় , তাই এই মাসের নামকরণ করা হয় জুন।
ছবির উৎস:
জুলাই
এই মাসে মহান রোমান রাজা ‘জুলিয়াস সিজারের’ জন্ম ও মৃত্যুর কারণে এই মাসের নাম ছিল ‘জুলাই’। এই মাসের শুরুতে “Kvitils ‘নামে পরিচিত ছিল |
ছবির উৎস:
আগস্ট
মহান রোমান রাজা ‘জুলিয়াস সিজারের’ ভাগ্নে , ‘সেক্সটাইলিস’ তার নাম ইতিহাসে অমর রাখতে চেয়েছিলেন। এই কারণে তিনি নিজের নাম রাখেন ‘অগাস্টাস’ এবং পরে ‘আগস্ট’ মাসের নামকরণ করা হয় তার নামে। এই মাসের শুরুর দিকে সাবিস্টলিস নামে পরিচিত ছিল
ছবির উৎস:
সেপ্টেম্বর
রোমান সভ্যতার প্রথম দিনগুলিতে, এখানে মাত্র 10 মাস ছিল এবং এটি ছিল সপ্তম মাস। ল্যাটিন ভাষায় সেভেনকে ‘সেপ্টেম’ বলা হত, এই কারণে এই মাসকে ‘ সেপ্টেম্বর’ বলা হতো যা পরবর্তীতে ‘সেপ্টেম্বর’ হয়ে যায়। এটি বর্তমান ক্যালেন্ডারে নবম স্থানে রয়েছে।
ছবির উৎস:
অক্টোবর
এই মাসটি ছিল রোমান সভ্যতার অষ্টম মাস । আটটিকে ল্যাটিন ভাষায় ‘অক্টো’ বলা হত, যে কারণে এই মাসটিকে ‘ অক্টোবর’ বলা হতো যা পরবর্তীতে ‘অক্টোবর’ হয়ে যায়। এটি বর্তমান ক্যালেন্ডারে দশম স্থানে রয়েছে।
ছবির উৎস:
নভেম্বর
এই মাসটি ছিল রোমান সভ্যতার নবম মাস । ল্যাটিন ভাষায় নয়টি “Novae” বলা হত, যে কারণে এই মাসটিকে ” নভেম্বর” বলা হয় যা পরে “নভেম্বর” হয়ে যায় | এটি বর্তমান ক্যালেন্ডারে একাদশ স্থান পেয়েছে।
ছবির উৎস:
ডিসেম্বর
এই মাসটি ছিল রোমান সভ্যতার দশম মাস । এই মাসটিকে লাতিন ভাষায় ‘ডিসেম’ বলা হত , যার কারণে এই মাসের নাম ছিল ‘ডিসেম্বর’। এটি বর্তমান ক্যালেন্ডারে দ্বাদশ স্থান পেয়েছে।
ছবির উৎস:
বাংলা ১২ মাস এবং দিনের নাম কিভাবে এলো ?
প্রাচীনকালে উপমহাদেশে পঞ্জিকা ‘পঞ্চাঙ্গ’ নামেও পরিচিত ছিল। কারণ এতে ছিল পাঁচটি অঙ্গ। যেমন- বার, তিথি, নক্ষত্র, যোগ ও করণ। এই পঞ্জিকা গণনা পদ্ধতি রচিত হয়েছিল আনুমানিক ১৫০০ পূর্বাব্দে। তখন বছরকে ভাগ করা হয়েছিল বারোমাসে। সেই মাসগুলোর নাম ছিল নিম্নরূপঃ
(১) তপঃ (২) তপস্যা (৩) মধু (৪) মাধব (৫) শুক্স (৬) শুচি (৭) নভস (৮) নভস্য (৯) ইষ (১০) উর্জ (১১) সহস ও (১২) সহস্য।
প্রাচীন গ্রন্থ “সূর্যসিদ্ধান্ত” থেকে পরে মহাশূন্যের নক্ষত্রের নামানুসারে বাংলা বারো মাসের নামকরণ করা হয়েছে, উল্লেখ্য এই নক্ষত্রের নাম করণ করেছিল হিন্দু জ্যোতিষীরা দেবতাদের নামে। নক্ষত্রমণ্ডলে চন্দ্রের আবর্তনে বিশেষ তারার অবস্থানের উপর ভিত্তি করে। এই নাম সমূহ সম্পূর্ণটাই গৃহীত হয়েছে জ্যোতির্বিজ্ঞান বিষয়ক প্রাচীন গ্রন্থ “সূর্যসিদ্ধান্ত” থেকে। বাংলা মাসের এই নামগুলি হচ্ছে –
- বৈশাখ – বিশাখা নক্ষত্রের নাম অনুসারে
- জ্যৈষ্ঠ – জ্যেষ্ঠা নক্ষত্রের নাম অনুসারে
- আষাঢ় – উত্তর ও পূর্ব আষাঢ়া নক্ষত্রের নাম অনুসারে
- শ্রাবণ – শ্রবণা নক্ষত্রের নাম অনুসারে
- ভাদ্র -উত্তর ও পূর্ব ভাদ্রপদ নক্ষত্রের নাম অনুসারে
- আশ্বিন – অশ্বিনী নক্ষত্রের নাম অনুসারে
- কার্তিক – কৃত্তিকা নক্ষত্রের নাম অনুসারে
- অগ্রহায়ণ (মার্গশীর্ষ) – মৃগশিরা নক্ষত্রের নাম অনুসারে
- পৌষ – পুষ্যা নক্ষত্রের নাম অনুসারে
- মাঘ – মঘা নক্ষত্রের নাম অনুসারে
- ফাল্গুন – উত্তর ও পূর্ব ফাল্গুনী নক্ষত্রের নাম অনুসারে
- চৈত্র – চিত্রা নক্ষত্রের নাম অনুসারে
ভারতবর্ষে সপ্তাহের নাম করণ
সপ্তাহ বা সপ্তাহে পরপর সাত দিন থাকে। সপ্তাহের প্রথম দিন রবিবার। যাইহোক, সাধারণত টানা সাত দিনের যেকোনো যে কোন সময়কে সপ্তাহও বলা হয়।
ভারতবর্ষেও প্রাচীন হিন্দু জ্যোতিষীরা দেবতাদের নামে গ্রহের নাম আর গ্রহের নাম অনুসারে সপ্তাহের প্রতিটি দিনের নাম রেখেছেন কারণ মানুষ তার প্রতিদিনের কাজের মধ্যে দেবতাদের স্মরণ করবে। ধারণা করা হয়, তৃতীয় থেকে পঞ্চম শতাব্দীতে গুপ্ত শাসনামলে এই নামকরণ করা হয়। সংস্কৃত ভাষায় বারের নামগুলো হলো,
শনি> আদিত্য (সূর্য বা রবি) > সোম (চাঁদ)> মঙ্গল> বুধ> বৃহস্পতি> শুক্র
শনিবার: জ্যোতিষীদের মতে শনির বক্রদৃষ্টির ফলে যে ভালো কাজ করে তার ভালো হয় আর সে মন্দ কাজ করে তাদের সেরূপ শাস্তি হয়। শনি গ্রহ ও সপ্তাহের শনিবার দিনটি শনিদেবের নামে নামকরণ করা হয়। শনিদেব কে শনিশ্চর বা শনৈশ্চর(যিনি আস্তে চলেন) নামেও ডাকা হয়। হিন্দু পুরাণ মোতাবেক শনি এক উগ্র দেবতা। তার কুদৃষ্টি খারাপ ফল বয়ে নিয়ে আসে পারে সে যদি রুষ্ট হন। সে মূলত সূর্য ও তার স্ত্রী ছায়ার সন্তান। মূলত হিন্দু দেবতা শনি দেবের নাম অনুসারে এই নাম করণ।
রবি: রবি মানে সূর্য, সংস্কৃত ভাষায় বলা হয় আদিত্য। রবিবারকে সংস্কৃত ভাষায় বলে আদিত্যবার। হিন্দু পুরাণ অনুযায়ী, সূর্যনারায়ণ বা সূর্যদেবতার নামের ভিত্তিতেই এই সূর্য বা রবির নামকরণ করা হয়েছে। সূর্যের মা হচ্ছেন অদিতি আর বাবা কশ্যপ। অন্যদিকে আদিত্য দেবতা মহাদেবের একটি নাম।
সোমবার: বাংলাসহ বেশিরভাগ দক্ষিণ এশীয় ভাষায় সোমবার বা চন্দ্রবার শব্দটি বারের নাম হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কোনো কোনো অঞ্চলে এটি চান্দেরবার (কাশ্মীর), কোথাও ইন্দুবার নামেও পরিচিত। মূলত শব্দগুলোর উৎপত্তি ও অর্থ একই যেখানে বার অর্থ দিবস এবং সোম, চন্দ্র, ইন্দু, ও চান্দ হলো চাঁদের বিভিন্ন প্রতিশব্দ।
সোম মানে চাঁদ। হিন্দু মিথ অনুযায়ী, দেবতা শিবের সাথে এর সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। হিন্দুধর্ম অনুসারে সোমবার হলো পরমেশ্বর ভগবান শিবের প্রিয় বার। অধিকাংশ শৈব হিন্দুরা সোমবারে হর ( অর্থাৎ শিব) প্রিয় ব্রত পালন করেন। মূলত শিবের অপর নাম সোমনাথ।
মঙ্গল: মঙ্গল(সংস্কৃত:मङ्गल, Maṅgala কন্নড়: ಮಂಗಳ; তেলুগু: మంగళ; অঙ্গরাকা – অর্থ: যার অঙ্গ লাল বর্ণের; তামিল: செவ்வாய்; cevvāi) হলেন ভূমির পুত্র৷ হিন্দু গ্রন্থ মতে তিনি মঙ্গল দোষের প্রভু। তিনি যুদ্ধ ও অকৃতদারের দেবতা এবং তিনি অবিবাহিত। কখনো কখনো মঙ্গলকে দেবতা কার্তিকের সাথে মেলানো হয়। ‘মঙ্গল’ শব্দের অর্থ হলো শুভ বা কল্যাণ। হিন্দু মিথ অনুযায়ী, মঙ্গল হলেন যুদ্ধের দেবতা। ইনি শিবের রক্তবিন্দু থেকে জন্ম নিয়েছেন। সেখান থেকেই মঙ্গল বার এসেছে।
বুধ: বুধ, হলেন একজন পৌরাণিক চরিত্র, এছাড়াও তিনি একজন দেবতাও। এছাড়াও তিনি আরও অনেক নামে পরিচিত যেমন সৌম্য (সংস্কৃত: सौम्य, অর্থ: চন্দ্রের পুত্র), রোহিনেয়(রোহিণীর পুত্র) এবং Tunga। তার নামানুসারে সপ্তাহের একটি দিনের নাম বুধবার। বুধ হলো এক ঐশ্বরিক সত্ত্বা। সে বৃহস্পতি ও তার স্ত্রী তারার সন্তান। অবশ্য কখনো কখনো বুধকে চাঁদের (সোম) এর সন্তান বলেও সূত্রগুলো বলে থাকে।
বৃহস্পতি: বৃহস্পতি (সংস্কৃত: बृहस्पति) একটি ভারতীয় নাম এবং এর দ্বারা নির্দেশ করা হয় বিভিন্ন যুগের সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন রচনায় বর্ণীত পৌরাণিক চরিত্রকে। প্রাচীন হিন্দু সাহিত্য মতে বৃহস্পতি বৈদিক যুগের একজন ঋষি যিনি দেবতাদের পরামর্শদাতা ও গুরু।
বিভিন্ন মধ্যযুগীয় গ্রন্থে এই শব্দটি বৃহস্পতি গ্রহকে ইঙ্গিত করে। প্রাচীন ভারতীয় বৈদিক গ্রন্থ মতে তিনি হলেন বাগ্মিতার দেবতা, এবং কখনও কখনও তাকে অগ্নি দেবতার সঙ্গে শনাক্ত করা হয়। বৃহস্পতি হলো সৌরজগতের সবচেয়ে বড় গ্রহ। হিন্দু ধর্মমতে, একে ‘গুরু’ বলা হয়। ইনি যার পক্ষে থাকেন, তার ভাগ্য প্রসন্ন হয়।
শুক্রবার: শুক্র হল অসুর দেবতাকূলের প্রধান, হিন্দু মিথ অনুযায়ী তার পুরো নাম শুক্রাচার্য। শুক্র (সংস্কৃত: शुक्र, উচ্চারণ: Śukra) যে শব্দের অর্থ “নির্মল, স্বচ্ছ, উজ্জ্বল, একজন প্রাচীন ঋষি ও দেবতা যিনি বৈদিক পুরাণ অনুসারে অসুর বা দৈত্যদের গুরু। মধ্যযুগীয় পুরাণ এবং হিন্দু জ্যোতিষ শাস্ত্রে, বিভিন্ন সময় তাকে শক্র গ্রহ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি নবগ্রহের অন্যতম। তার নামানুসারে সপ্তাহের একটি দিন হল শুক্রবার।
আশ্চর্য বিষয় হচ্ছে, ভারতবর্ষে যে যে বিষয় সংশ্লিষ্ট দেবতাদের নামেই গ্রহ/বারের নাম রেখেছিলেন। ঠিক সেসব বিষয় গ্রিকরা বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দেবতাদের নাম অনুযায় গ্রহ/বারের নাম রেখেছিলেন, এই আশ্চর্য মিলের একটি কারণ হতে পারে- হিন্দু জ্যোতিষীগণ গ্রিক জ্যোতিষশাস্ত্রগণ এর মধ্যে সম্পর্কে ছিল।
বাংলা পঞ্জিকা: বাংলা মাস এবং দিনের নাম কোন কোন দেবতার নাম অনুসারে, জানুন।