৫০০ বছরের পুরনো মন্দিরের চূড়া ভেসে উঠল নদীর বুকে! সোজাসাপ্টা

ভুবনেশ্বর: ৫০০ বছরের পুরনো মন্দিরের চূড়া ভেসে উঠল নদীর বুকে!  আমরা ভারতবর্ষের সহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিনিয়ত ভারতীয় সভ্যতার বিভিন্ন প্রতীক মাটির নিচের থেকে প্রাপ্ত সংবাদ পেয়ে থাকি। এই কিছুদিন আগেও ভিয়েতনামে মাটির নিচে থেকে প্রায় 11শো বছর আগের শিবলিঙ্গের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। প্রাচীন ভারতের আনাচে-কানাচে এ ধরনের অনেক দেবদেবীর মূর্তি জড়িয়ে রয়েছে যেগুলো সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের সামনে আসছে। ঠিক তেমনি একটি জলছবি’র ইতিহাস আমাদের সামনে আসলো আজ। উড়িষ্যার মহানদীর বুকে ভেসে উঠল 500 বছর পূর্বে মন্দিরের চূড়া। 

এই মন্দিরের চূড়াটি ভেসে উঠেছে।  উড়িষ্যার নারায়ণগড় জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীর তলদেশ থেকে। পরবর্তীতে খোঁজখবর করে দেখা গিয়েছে স্থানীয় লোকেরা বলছে এই চূড়াটি 11 বছর পর পুনরায় দেখা গেল। ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ট্রাস্ট ফর আর্ট অ্যান্ড কালচারাল হেরিটেজের রিসার্চ টিম জানাচ্ছে কটকের মহানদীতে তারাই প্রথম এই মন্দিরের চূড়া আবিষ্কার করে। 

 

15 থেকে 16 শতকের দিকে গোপীনাথ দেবীর প্রাচীন এই মন্দিরটি জলের তলায় চলে যায়। তবে প্রত্নতাত্ত্বিকরা বলছে শুধু মন্দিরটি নয় গোটা গ্রামটায় ওই সময় জলের তলায় চলে যায়। আসে মন্দির তৈরি উঠেছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী পদ্মাবত গ্রামের বৈদেশ্বরের মাঝামাঝি এলাকায় মন্দিরটি ছিল

 

জলের গভীরে প্রত্নতাত্তিকরা এর চূড়া খুঁজে পান। প্রজেক্ট অ্যাসিসট্যান্ট দীপক কুমার রাণা জানান, মন্দির ৬০ফুট উঁচু। তবে ওই সময় গ্রামটির নাম শতপাটানা ছিল। মন্দিরটির বয়স 500 বছর হলেও ধারণা করা হচ্ছে মন্দিরটি আজ থেকে প্রায় দেড়শ বছর আগে ভয়ঙ্কর বন্যার কারণে ডুবে যাই নদীর মাঝে। তবে 19 দশকের দিকে এই মন্দিরটি দেখা যায় পুনরায় ভেসে উঠতে।

তবে এই ঘটনা সামনে আসতে আরও কিছু নতুন তথ্য সামনে এসেছে। গ্রামবাসীর ভাষ্যমতে এই গ্রামের আর ২২টি মন্দির এই নদীর তলদেশে চলে যায় বন্যার কারণে। যদিও সেই সমস্ত মন্দির গুলো কখনোই নতুন করে ভেসে উঠতে দেখা যায়নি। প্রত্নতাত্ত্বিকদের ধারণা গোপীনাথ মন্দিরের চূড়া অনেক উঁচু এই কারণে সেটা জল কমে গেলে মাঝে মাঝে ভেসে ওঠে।

রবীন্দ্র রাণার সহায়তায় দীপক নায়েক এর ইতিহাস খুঁজে বের করেছেন বলে জানা গিয়েছে। ১১বছর আগে ৪-৫ দিনের জন্য মন্দিরের মস্তক ভেসে ওঠে। তবে তা শুধুমাত্র গ্রীষ্মকালেই। তখন মহানদীর জল অপেক্ষাকৃত কম থাকে। কিন্তু এবার ই প্রথম বর্ষাকালে মন্দিরের চারটি ভেসে উঠেছে। সর্বোপরি এই মন্দিরের চূড়া টা নিয়ে এলাকার মানুষের মধ্যে এক ধরনের জন্য চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।

আমাদের পাশে থাকতে একটি লাইক দিয়ে রাখুন,,,,,,,,,,,,,,।