প্রথম হিন্দু পাইলট হিসেবে পাকিস্তানের বিমান বাহিনীতে যোগ দিয়ে ইতিহাস তৈরি করলেন রাহুল দেব।

আমরা প্রায়ই  প্রতিনিয়ত কমবেশি খবরের শিরোনামে পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের দৈনন্দিন অবস্থার কথা জানতে পারে। বিশ্বের কমবেশি দেশে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন করে থাকে কিন্তু যদি এর তালিকা দিকে তাকানো হয় আমরা সর্ব উপরে পাকিস্তানের নামটাই দেখতে পারবে। 70 বছর ধরে পাকিস্তানের সংখ্যালঘুরা  অমানবিক জীবন যাপন করছে। এই অমানবিক জীবনযাপন এর মধ্যেও একটা আশার খবর আমাদের চোখে এসেছেন। এতদিন ধরে পাকিস্তানের সরকারি উচ্চ পর্যায়ে সংখ্যালঘুদের স্থান হত না হাতেগোনা মাত্র কিছু  ক্ষেত্র ছাড়া। বিশেষ করে সেনাবাহিনীর ক্ষেত্রে হত না বললেই চলে।

 সাম্প্রতিক সময়ে একটি নিউজ ভাইরাল হয়েছে যে প্রায় 70 বছর পরে পাকিস্তানের ইতিহাসে একজন সংখ্যালঘু সম্প্রদায় থেকে বিমান বাহিনীতে পাইলট হিসেবে যোগদান করেছেন। এর আগে পাকিস্তানের বিমানবাহিনীতে সংখ্যালঘু যোগদানের কোন খবর জানা যায়নি। পাকিস্তানে 70 বছরের ইতিহাসে এটাই প্রথম সংখ্যালঘু বিমানবাহিনীতে যোগদান । রীতিমতন এই খবরটা পাকিস্তানসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে ভাইরাল হয়েছে বিশ্ব অনেকটা এই নিউজটা দেখার পরে অবাক হয়েছে। এই ইতিহাস কারীর নাম হল রাহুল দেব। তিনি পাকিস্তানের সবচাইতে বড় প্রদেশের  হিন্দুর বাসিন্দা।  রাহুল দেব যে অঞ্চলে বসবাস করে সিন্ধু প্রদেশের এই অঞ্চলে অনেকটাই হিন্দুপ্রধান।

তবে আপাতত তিনি একজন সাধারন পাইলট হিসেবেই পাকিস্তান বিমান বাহিনীতে যোগদান করেছেন।এতদিন পর্যন্ত পাকিস্তানের ইতিহাসে হিন্দুদের যে সমস্ত ক্ষেত্রে বেশি সুযোগ দেয়া হতো সেটা হল চিকিৎসা ক্ষেত্র। পাকিস্তানে হিন্দু পঞ্চায়েত সমিতির সম্পাদক রবি  দেওয়ানী বলেছেন এতদিন পর্যন্ত পাকিস্তানের সরকারি চাকরিতে কমবেশি হিন্দুদের দেখা  গেলেও বিমানবাহিনী অথবা সেনাবাহিনীতে দেখা যেত না। তবে এই নিউজটা  সামনে আসার পর তিনি আশা প্রকাশ করেছে পাকিস্তানের সরকার যদি সংখ্যালঘুদের সুযোগ করে দেয় তাহলে দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে তারা অংশগ্রহণ করে দেশ সেবায় নিজেদের ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। 

 তিনি আরো বলেছেন- আগামীতে রাহুল দেব এর মতন সংখ্যালঘুদের থেকে আরো সংখ্যালঘু যুব সম্প্রদায় তাদের প্রচেষ্টায় দেশ সেবাতে অংশগ্রহণ করার সুযোগ তৈরি করে নেবে । সেই সাথে  তিনি আরো আশা করেন  পাকিস্তান সরকার আগামীতে সংখ্যালঘুদের জন্য সরকারি ক্ষেত্রে কাজ করার সুযোগ করে দেবে।  সব হতাশার মধ্যেও এটা পাকিস্তানের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য একটি সুসংবাদ অবশ্যই।