ভারতবর্ষ: ভারতবর্ষে মহাভারতের একটি শ্লোক ভুল পড়ানো হয়, কিন্তু কেন ভুল পড়ানো হয়???
“অহিংসা পরম ধর্ম”।
এটি একটি অসম্পূর্ণ শ্লোক। এই শ্লোকটির অর্ধেক অংশ বাদ দিয়েছিলেন গান্ধীজী।
আসল পূর্ন শ্লোকটি হল-
“অহিংসা পরম ধর্ম”ধর্মহিংসা তদৈব চ ।
-অর্থাৎ অহিংসা মনুষ্য জীবনের পরম ধর্ম, এবং ধর্ম রক্ষার স্বার্থে হিংসা করা তার চেয়েও শ্রেষ্ঠ।
মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী শুধু এই শ্লোকটাই নয়, সনাতন ধর্মের একটি প্রসিদ্ধ ভজনকেও পাল্টে দিয়েছিলেন।
মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী শুধু এই শ্লোকটাই নয়, সনাতন ধর্মের একটি প্রসিদ্ধ ভজনকেও পাল্টে দিয়েছিলেন।
“রঘুপতি রাঘব রাজারাম” এই ভজনটির আসল নাম ছিল-“রাম ধুন”, যা খুবই প্রসিদ্ধ ভজন ছিল যেটাকে গান্ধীজী বদলে দিয়ে “আল্লাহ” যুক্ত করে দিয়েছিলেন।
গান্ধীজীর দ্বারা পরিবর্তিত ভজনটি হল-
গান্ধীজীর দ্বারা পরিবর্তিত ভজনটি হল-
রঘুপতি রাঘব রাজারামপতিত পাবন সীতারাম।সীতারাম সীতারাম,ভজ প্যারে তু সীতারামঈশ্বর আল্লাহ তেরে নামসবকো সুমতি দে ভগবান ।
কিন্তু আসল রামধুন ভজনটি হল-
রঘুপতি রাঘব রাজারামপতিত পাবন সীতারাম,সুন্দর বিগ্রহ মেঘশ্যামগঙ্গা তুলসী শালিগ্রাম,ভদ্র গিরিশ্বর সীতারামজগৎ-জনপ্রিয় সীতারাম,জানকীরমনা সীতারামজয় জয় রাঘব সীতারাম।
বড় বড় পন্ডিত বক্তা পর্যন্ত এই ভজনটি ভুল গায়, আজ অবধি কেউ উনাদের বাধা পর্যন্ত দেননি। সর্বধর্ম সমন্বয়ের মানসিকতা আপাত মানবিক হলেও সত্যকে জানা ও গ্রহণ করা প্রয়োজন।
শ্রী রামচন্দ্রের এই ভজনটির রচয়িতা হলেন লক্ষ্মনাচার্য, এই ভজনটি বিখ্যাত হিন্দু গ্রন্থ “শ্রী নমঃ রামনায়নম” থেকে নেওয়া হয়েছে।