১. যে মোবাইল নাম্বর আপনি ব্যবহার করেন সেই নাম্বার দিয়ে ফেসবুক আইডি খুববে না বা পাশাপাশি অন্য মোবাইল নাম্বার যোগ করে রাখুন।
২. মোবাইল নম্বর, নিজের নাম, সাল, জন্ম তারিখ কখনোই পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার কইরেন না। যদি মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করতেই হয় তাহলে আবশ্যই নম্বরের আগে পরে বিভিন্ন ধরনের সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করেন। যেমন ঃ %@#^&*!এগুলো।
৩. আপনার ফেসবুক আইডি অন্যের মোবাইল, কম্পিউটার বা অন্য কোন ডিভাইস থেকে লগ-ইন বা ব্যবহার করবে না। যদি একান্ত প্রয়োজন হয় তবে কাজ শেষে History delete করে দিন। কখনো ভুল করেও আইডি লগ-ইন করার সময় Remember এ ক্লিক করবেনা। Remember এ ক্লিক করলে ঐ ডিভাইসে আপনার আইডি এবং পাসওয়ার্ড History আকারে থেকে যায়।
৪. মাসে অন্ত এক থেকে দু বার পাসওয়ার্ডের ২-১ টা সংখ্যা অথবা ওয়ার্ড পরিবর্তন করে ব্যবহার করুন। তবে অবশ্যেই কোন নাম,নাম্বার, জন্ম তারিক, সাল ইত্যাদি ব্যবহার করবেনা।
৫. আপনার ফেসবুকে ফ্রেন্ড লিস্টে অচেনা বা যাকে তাকে এ্যাড করবে না। অপরিচিত মানুষের দেওয়া ফেসবুকের বাইরে লিংক অর্থাৎ যে লিংকের সাথে facebook.com নাই তেমন লিংক ভুল করেও ওপেন করবেন।
৬. ভুল করেও যেন নিজের ফেসবুক পাসওয়ার্ড অন্য কারও সাথে শেয়ার করবে না। যদি কখনো করে থাকেন তাৎক্ষণিক পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করুন।
৭. ফেজবুক আইডি নিজেই খুলুন যদি না পারেন তবে youtube.com থেকে দেখে নিন। অন্য থাই অবশ্যই আপন কাউকে দিয়ে খুলে নিন এবং সেই পাসওয়ার্ড খোলার পর অবশ্যই পরিবর্তন করে নিন।
৮. ভালোভাবে ফেসবুকের সিকিউরিটি সম্পর্কে জেনে নিন প্রয়োজনে youtube.com সাহয্য নিন। যত বেশি পারেন সিকিউরিটি ব্যবস্থা ব্যবহার করুন। প্রয়োজনে এলাট সিকিউরিটি হিসাবে 2টি মেল, দুটি মোবাইল নাম্বার যোগ করুন। পারলে ডিভাইস সিকিউরিটি দিয়ে রাখুন। মাঝে মাঝে সেটিং গিয়ে দেখুন আপনার আইডি অন্য অপরিচিত ডিভাইস থেকে ব্যবহার হচ্ছে কি না। তেমন কিছু দেখলে অবশ্যই লগ-আউট অল ডিভাইস করুন।
৯. ফেসবুকে কোথাও উল্টাপাল্টা কোন কমেন্ট করবে না। কারণ আপনার কমেন্ট আপনার বন্ধু লিস্টে বেশিরভাগ মানুষ দেখতে পাই। উত্তেজনা ছড়ায় এমন কোন ধরনের পোস্ট দেয়া থেকে বিরত থাকুন। পোস্ট কখনোই অল পাবলিশ করবেন। সব সময় অনলি ফ্রেন্ড করে পোস্ট করুন।
১০. যাদেরকে আপনি বন্ধু ভাবছেন তাদের মধ্য থেকে দু এক জন আপনার ক্ষতি করার চেস্টা করতে পারে তাই সতর্ক থাকুন। সন্দেহ হলেই বা অপরিচিত হলেই আফ্রেন্ট করুন। গয়েন্দাদের মত সকলকে সন্দেহের চোখে রাখুন। সন্দেহজনক সদস্যদের খুঁজে বের করে ফ্রেন্ড লিস্ট থেকে বের করে দিন।
ইউজারনেম, পাসওয়ার্ড এবং সেলফোন নম্বর
দ্বিস্তর ভেরিফিকেশন সক্রিয় রাখুন। দ্বিস্তর ভেরিফিকেশন যে কোনো অ্যাকাউন্ট হ্যাক করতে চাইলে কমপক্ষে হ্যাকারকে তিনটি বিষয় ভালোভাবে জানতে হয়। সেগুলো হচ্ছে usernam, password এবং যে mobile নম্বরে দিয়ে ফেজবুক রেজিস্ট্রেশন করা। ইউজারনেম-পাসওয়ার্ড যদি কেউ পেয়েও থাকে তবে একই সময়ে আপনার মোবাইল ফোনটি হ্যাকারের হাতে না যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। ফেসবুকে সাইন-ইন করার সময় সিস্টেম থেকে মোবাইলে এসএমএসে আসা পিনটি চাইবে ঐ সময় পিনটি তাদের পক্ষে দেওয়া সম্ভব হবে না। যার ফলে আপনার অ্যাকাউন্টটিও হ্যাকিংয়ের হাত হতে রক্ষা পাবে। লগইন অ্যাপ্রুভাল চালু করতে চাইলে প্রথমে আপনার ফেসবুকে সাইন-ইন করুন।
Account Settings > Security> Login Approvals-এর Require me to enter a security code each time an unrecognized computer or device tries to access my account-এ চেক মার্ক করুন। তারপর Next ক্লিক করে মোবাইলে SMS এ প্রাপ্ত কোড লিখে Next চাপুন এবং Save বাটনে ক্লিক করুন।
উপরে এই সকল বিষয় ছাড়া আরো কিছু বিষেয়ে উপর নজর রাখুন-
-
ফেসবুকের মেইল থেকে সতর্ক
-
একাধিক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার না ব্যবহার করাই ভালো যদি না বোঝেন।
-
দ্বিস্তর ভেরিফিকেশন
-
‘টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন’ সুবিধা চালু করুন।
-
মেল বা মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে মাধ্যমে প্রতিবার সাইন-ইন ব্যবস্থা রাখুন।
সর্বশেষ বলব, যারা ফেসবুক চালাতে পারে না, তাদেরকে জোর করে ফেসবুক আইডি খুলে দিতে যাবেনা আর যদি দিয়ে থাকেন তবে তাকে সতর্ক করে দিন সিকিউরিটি বিষয়ে। যার ফলে আপনি-আমি আমরা সবার জন্যই ক্ষতি এই হুজুকে অন্ধদের হাত থেকে রক্ষা পাব। আমার এই লেখাটি সকল মানুষের বিশেষ ভাবে দৃষ্টিতে দেওযা জন্য অনুরোধ করছি। কারণ আপনার একটি ভুল নিয়ে আসতে পারে পুরো সমাজের জগন্য হিংসা। যদি এর পরেও কারও কোন ধরনে সাহায্য প্রযোজন হয়, তবে অবশ্যই কমেন্ট করুন web site এর কমেন্ট সেকশনে।