উইঘুর কারা, কোথা থেকে এলো এরা, কেনই বা আজ এদের এমন পরিস্থিতি। উইঘুরদের আদ্য-মধ্য-পর্ব -১)

পাঠক, এই লেখাটি একটি গবেষণা মূলক লেখা। লেখাটি ধারাবাহিক চলবে, পরবর্তী পোস্ট পাবার জন্য আমাদের ফেজবুক পেজে লাইক দিয়ে রাখুন, যাতে পোস্ট করলেই আপনারা পেয়ে যান………….।

উইঘুর জনজাতি

আপনারা জানেন চীন একটা সমাজতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা পরিচালিত দেশ। চীন বিশ্বের জনসংখ্যার দিক দিয়ে সবচেয়ে বড় দেশ। এখানে প্রায় ৯০% হান ডাইনেস্টির জাতির মানুষ বাস করে। তাই পুরো চীন জুড়ে এই হান ডাইনেস্টি জাতির প্রাধান্য বেশি। তবে এ ছাড়াও চীনে আরো ৫৫টা জন জাতি বাস বর্তমান। এদের মধ্যে ২টি মুসলিম জাতিগোষ্ঠী লোক আছে তারা হলো উইঘুর এবং হুই। জিনজিয়াং হল চিনের সবচেয়ে বড় প্রদেশ, যেটা গোটা চিনের ৫ ভাগের ১ ভাগ। মূলত এই প্রদেশের প্রধান জাতি গোষ্ঠি হল উইঘুর, যারা ইস্ট তুর্কিস্থান নামে আবার পরিচিত। এরা স্বাধীনতায় বিশ্বাসী  এবং ম্যান্ডারিন ভাষায় কথা বলে না, অপর দিকে হুইরা চিনের নানজিং প্রদেশে বাস করে তার পারসিয়ান , আরব ভাষা এবং ম্যন্ডারিন ভাষায় কথা বলে। ইতিহাসের বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায় উইঘুরা মূলত তুরস্কের এবং স্থানীয় আদিবাসী জনজাতি ছিল। বহু বছর আগে এদের পূর্বপুরুষ একটা সময় বর্তমান জিনজিয়াং এর দিকে সরে আসে। সময়ের সাথে এদের সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পায় যার ফলে উইঘুর জাতি পুরো মধ্য এশিয়া জুড়ে ছড়িয়ে যায়। এদের মাতৃভাষা হল তুর্কি, জিনজিয়াং এক পাশে বর্তমান চীনে বিভিন্ন প্রদেশ আর অন্য পাশে পাকিস্তান, আফগানিস্থান, কাজখিস্থান এবং কিরগিজস্থান।

মঙ্গোলিয়া দের আগম

মঙ্গোলিয়ারা ইতিহাসের অনেক ঘটনার সাক্ষী হয়ে আছে। সেই মঙ্গোলিয়া থেকে আগত ওঘুজ  খানের  বংশধরেরা কাশ্মির এবং তিব্বতের উত্তর পশ্চিম অংশে তারিম নদীর তীরে বসবাসের জন্য মনস্থির করে। যদিও ঐ সময় সেই স্থানে কাশ্মির এবং তিব্বতের অনেক অধিবাসী আগ থেকে কিছু অংশে বসবাস করত। তারা ছিল আদিবাসী যাদের ধর্ম বিশ্বাসের সাথে কাশ্মির এবং তিব্বতের মিল ছিল। যেটা অনেকটা বৈদিক সংস্কৃতির অংশই। মঙ্গোলিয়া, কাশ্মিরী এবং তিব্বতের মিলে তৈরি হয় এক নতুন জাতি, তারিমের স্রোতস্বিনী উর্বর ভূমিতে সৃষ্টি হয় এক নতুন জনপথ। ৩য় খ্রিস্টীয় থেকে ৭শ শতক খ্রিস্টীয় পর্যন্ত আফগানিস্তান, তিব্বতের এবং বর্তমান উইঘুর জনজাতি অংশে বৌদ্ধ ধর্মের প্রাধান্য দেখা যায়।

আরবদের আক্রমন

খ্রীষ্টিয় ৭ম শতাব্দীতে হঠাৎ আরবের সৈন্যরা আফগানিস্থান সহ বর্তমান উইঘুর অঞ্চল আক্রমন করে দখল করে নেয়। যার ফলে ঐ অঞ্চলে ইসলামের ছায়াতলে আসতে বাধ্য হয়। ‘কুতাইবা বিন’  ছিলেন সেই ঘোড়সওয়ারের সিপাহসালার, এই কারণে ইসলামি ইতিহাসে এক কিংবন্দতি সিপাহসালার তিনি। তার পুরো নাম কুতাইবা বিন মুসলিম।  সে দীর্ঘ আক্রমন চালিয়ে বর্তমান চিনের এই অংশ দখল করতে সক্ষম হন। যার ফলে ঐ অঞ্চল একটা পর্যায়ে ইসলামের ছায়াতলে চলে আসে। ‘কুতাইবা বিন মুসলি’ মারা যাওয়ার পরে আবব সৈন্যরা ফিরে যায় আরবের মূল ভূমিতে। যার ফলে আফগানিস্থান সহ বর্তমান উইঘুর অঞ্চল পুনরায় আবার তাদের নিজ ধর্মে ফিরে যায় এবং উইঘুর চিনের রাজার আয়তে চলে আসে।

তুর্কিদের আক্রমন

তুর্কি থেকে উদ্ভূত শব্দ খানাত যাহা, খান শাসিত অঞ্চল নির্দেশনা বহন করে যাকে মোঙ্গলীয়  ভাষায় খানলিগ বলা হত। বর্তমানে তুর্কি ভাষায় শব্দটাকে কাগানলিক বা হানলিক বলা হয়। এই খানাতের পতনের পর  চিনের অধিনে থাকা ‘আন লু শান’ নামে একজন জেনারেল বিদ্রোহ করে বসে ৭৫৫ সালের দিকে। চীনের সম্রাট আন লু শানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। কিন্তু ঐ অঞ্চলের আবহাওয়া চীনের সম্রাটের সেনাদের যুদ্ধ করার জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। তখন সম্রাট স্থানীয় উইঘুরদের সাহায্য নিয়ে আইন লু শান কে পরাজিত করে। যার ফলে আবার ও অঞ্চল চীনের সম্রাটের নিয়ন্ত্রণে আসে। উইঘুর তার পর থেকে চীনের সম্রাটের অধীনেই বসবাস করতে থাকে। ১০০৬ সালের দিকে পুনরায় ইউসুফ কাদির খান ও অঞ্চল দখল করে নেয়। ইউসুফ কাদির খান ছিলেন তুর্কি যার দরুন এবার আরব নয়, তুর্কি আধিপত্য দ্বারা পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হল ইসলাম। যাকে বলা হতো “কাদের খান খান”। এই কারা খানিদ খানাত শাসন করছিল সাতুক বুঘরা খানের মত তুর্কী-উইঘুর সুলতান। এর ধারাবাহিকতা দীঘ সময় ওখানে ইসলামী শাসন চলে। কিং ডাইন্যাস্টি (Qing Dynasty  তারিম উপত্যকার পূর্বাঞ্চল এবং জুনগড় পুরোটাই ১৮দশকের শেষে ভাগে দখল করে নেয়। কিন্তু কিং ডাইন্যাস্টি দখল করলেও ঐ অঞ্চল তার পক্ষে রক্ষা করা কঠিন ছিল কারণ ওখানে প্রায় সময় উইঘুরা বিভিন্ন ভাবে বিদ্রহ করত। তার ধারাবাহিকতায় কাশগড় ও এর আশেপাশের এলাকা নিয়ে ১৯৩৩ সালে উইঘুর মুসলিমরা ‘পূর্ব তুর্কিস্তান’ নামক দেশ প্রতিষ্ঠিত করে। কিং ডাইন্যাস্টি তখন চিনের কেন্দ্র শাসকের কাছে সাহায্য চাই যার ফলে জেনারেল শেং শি সেখানে কঠোরভাবে উইঘুরদের দমন করতে সক্ষম হয়। এ ফলে উইঘুরা দমে গেলেও তারা নানা ভাবে বিদ্রোহ করতে থাকে। এই সময় আব্দুল আজিজ মখদুম ও আব্দুল হাকিম মাখদুম উইঘুর সংগঠিত হয়ে বিভিন্ন ভাবে গোপনে সংগ্রাম চালাতে থাকে এবং ১৯৪০ সালের মাঝামাঝি সময়ে কারা প্রতিষ্ঠা করে তুর্কিস্তান ইসলামী পার্টি। এরি ধারবাহিকত ১৯৪৪ সালে আবারো বিদ্রহের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা করে পূর্ব তুর্কিস্তান।

 

পূর্ব তুর্কিস্তান চীনের সাথে কেন মিশল?

ইতিহাসে আমরা দেখতে পাই একটা সময়ে চীনে ব্যাপক গৃহযুদ্ধের মধ্য দিয়ে যায়। এই যুদ্ধ ১৯৪৯ তে এসে পরিসমাপ্তি হয়। এ সময় এক দিকে কমিউনিস্ট চীন অন্যদিকে কমিউনিস্ট রাশিয়া বা সোভিয়েত ইউনিয়ন। পূর্ব তুর্কিস্তান পাশে অবস্থান হওয়ার পূর্ব তুর্কিস্তান অনেকটা বাধ্য হয়ে চিনের সাথে মিসে যায়। যদিও পূর্ব তুর্কিস্তানের কিছু গুষ্ঠি এটাকে ভালোভাবে নেয় নাই। ধারণ করা হয় পূর্ব তুর্কিস্তান খাদ্য বা অন্যদিকে স্বয়ংসম্পূর্ণ না থাকাই তারা চিনে সাথে মিসে যায়। পাঠক আপনাদের মনে প্রশ্ন আসতে পারে, পূর্ব তুর্কিস্তান কেন চীনের সাথে মিশল, রাশিয়ার সাথে নয় কেন? কারণ ঐ সময় চেচেন মুসলিমদের সাথে রাশিয়ার তুমুল যুদ্ধ চলছিল। তাই তার চীনকে বেশি ভালো মনে করে।

 

কন্তিু পূর্ব তুর্কিস্তান জনসাধারণের মধ্যে যে অংশ চিনের সাথে মিশার ব্যাপারে অমত ছিল তাদের নেতা আব্দুল হাকিম মাখদুম বিচ্ছিন্নতাবাদীতার  মনোভাব প্রকাশ করতে থাকে একটা পর্যায় তাকে চিন সরকার গ্রেফতার করে। আর ঐ সময় থেকে পূর্ব তুর্কিস্তান নাম পরিবর্তন করে নতুন নাম রাখা হয় জিনজিয়াং। জিনজিয়াং চীনের সবচেয়ে বড় প্রদেশ হয়ে ভালো ভাবেই চলছিল কিন্তু মাঝে মাঝে সেখানে কিছু উইঘুর মুসলিম বিচ্ছিন্নতাবাদী আলাদা দেশের জন্য বিভিন্ন ধরনের অপতৎপরতা চালাতে থাকে। যেহেতু সেখানে উইঘুরদের সংখ্যা বেশি ছিল তাই চিন সরকারের পক্ষে সেই অপতৎপরতা মোকবেলা করা কঠিন ছিল। কারণ যার বিচ্ছিন্নতাবাদী কাজ করত তার কোন অপরাধ করেই উইঘুরদের সাতে মিসে যেত। তার ফরে চীন সরকারে কাছে বিষয়টা দমন করা খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। এই বিচ্ছিন্নতাবাদীরা সাধারণ উইঘুরদের অনেকটা বুঝাতে সক্ষম হয়, যে চিন তাদের আসল জাতি বা দেশ না। তাদের আসল জাতি হল মুসলিমা, আর দেশ হল পূর্ব তুর্কিস্তান। যার ফলে সাধারণ উইঘুর চীন সাংস্কৃতিকে ঘৃনা করতে থাকে এবং আরব্য সংস্কৃতি তাদের নিজেদের সাংস্কৃতি ভাবতে থাকে। আগেই বলা হয়েছে যেহেতু একটা মোটা সংখ্যক উইঘুরদের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা এটা বুঝাতে সক্ষম হয়েছিল, সেহেতু চিন সরকার দিন দিন ব্যাপক চাপে পাড়তে থাকে।

 

জিয়াউদ্দিন ইউসুফ নেতৃত্বে আন্দোলন

উপরে বলেছিলাম আব্দুল হাকিম মাখদুম কথা, তাকে চিন সরকার ১৯৮০ সালে মুক্তি দেওয়।কিন্তু মুক্তির পর সেই শারীরিক শাক্তি ছিলনা আব্দুল হাকিম মাখদুম, তবে তিনি তার সেই স্বপ্ন না ভূলে, তলে তলে পূর্ব তুর্কিস্তান স্বাধীন করা জন্য বিভিন্ন ধরনে চিন সরকার বিরোধী কাজ করতে থাকে। তার অনুপ্রেণনাই কিছু উইঘুর নতুন করে আবার সংগঠিত হতে থাকে। যার ধারাবাহিকতায় ১৯৮৮ সালে জিয়াউদ্দিন ইউসুফ নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হয় “উইঘুরদের আজাদী আন্দোলনের দল পূর্ব তুর্কিস্তান ইসলামীক পার্টি”। এর পর উইঘুরা জিয়াউদ্দিন ইউসুফ নেতৃত্বে আবারো পূনরাই গঠিত হয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন শুরু করে। জিয়া উদ্দিন ইউসুফ ও প্রজন্ম কে বুঝাতে সক্ষম হয় যে তারা চেনা জতি না, তার মুসলিম জাতি এবং তাদের একমাত্র আনুগত্য হলো নবী মুহাম্মদ। তাই এই আওয়াজ খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে উইঘুরদের মধ্যো। আর উইঘুদের স্বাধীন করা জন্য বিছিন্ন ভাবে চিনা সরকার উপর আঘাত আনতে থাকে। ১৯৯০ দশকে এসে এই আঘাতের পরিমাণ এমন পর্যায়ে পৌছায় যে উইঘুর এবং হান জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক দাঙ্গা বেধে য়ায়। কারণ ততোদিনে হান জনগোষ্ঠী জিনজিয়াং অঞ্চলে অনেকটা জনসংখ্যা বৃদ্ধি করে ফেলেছিল। এই দাঙ্গার একটা সময় এসে জিয়াউদ্দিন ইউসুফ এর মৃত্যু হয়। যার ফলে উইঘুরদের আন্দোলন ঐ সময়ের জন্য অনেকটা শেষ হয়ে যায়। চিন সরকারের দমন-পীড়ন এবং উইঘুর আন্দোলন বিশ্ববাসী কে জানানোর জন্য একটা মোটা সংখ্যক উইঘুর জিনজিয়াং ত্যাগ করে।

 

৯০ এর দশকের পর থেকে আন্দোলন

জিয়াউদ্দিন ইউসুফ  মারা যাবার পর থেকে আন্দোলন অনেকটাই দমে গেলেও তা ৯০ এর দশকের মাঝা মাঝি এসে ‘‘তুরস্কে ইস্ট তুর্কিস্থান লিবারেশন মুভমেন্ট” জন্ম হয়। যার সহয়তাই ছিল পূর্বে জিনজিয়াং থেকে পালিয়ে যাওয়া প্রবাসীরা। এর নেতৃত্বে ছিল রাবেয়া কাদের নামে একজন মহিলা। তিনি ছিলেন একজন রাজনৈতিক এবং ব্যবসায়ী ব্যক্তিত্ব। চিন সরকার ১৯৯৭ সালে দেশদ্রোহীতার অভিযোগে এনে প্রথমে জেল পরে নির্বাসন দেওয়। ২০০৪ সালে জিনজিয়াং বাইরে অর্থাৎ জার্মানিতে গঠিত হয় “বিশ্ব উইঘুর কংগ্রেস”। সেই পথ ধরেই আবার জিনজিয়াং এর কিছু অংশে  ২০০৮ সালে পূনরাই শুরু হয় সহিংস আন্দোলন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো হোতান, উরুমকি এবং কাশগড়। যার ফলে চীন সরকার বড় ধরনের চাপে পড়ে যায়, কারন ঐ সময় চিনে চলছিল বিশ্ব অলিম্পিকের আসল। এই আন্দোলন কারণে বিশ্বের কাছে চিন বড়ই বিব্রতকর অবস্থার মুখে পড়ে। “ইস্ট তুর্কিস্তান ইসলামিক মুভমেন্ট” শট নাম এতিম, এর হামলাই  ২০০৯ সালে মারা যায় ২০০ এর অধিক হান জাতির মানুষ। ২০১৪ সালে হামেলাই মারা যায় ৬৯ জন, তাদের বেশির ভাগ ছিল চিন সরকারে কমী।

হান জনগোষ্ঠীর আগমন

৬০ দশকের পর থেকে চীন সরকার কিছু পরিকল্পনা করে তার মধ্যে অন্যতম ছিল। জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুরদের সংখ্যাগুরু থেকে সংখ্যালঘু করার। আর সেই অনুযায়ী চীনাদের অন্য প্রদেশ থেকে বিপুল পরিমানে হান জনগোষ্ঠীর জিনজিয়াং এনে পুনর্বাসিত করতে থাকে। যার ফলে দেখা যায় ১৯৪০ সালে জিনজিয়াং ছিল ৫% হান জাতি  সেটা বেড়ে এখন দাড়িয়েছে ৪৫%। ঠিক বাংলাদেশের সরকার পাহাড়ি অঞ্চলে যেভাবে ৭৫ এর থেকে বাঙ্গালীদের নিয়ে পুনর্বাসিত করে। যার ফলে যে পাহাড়ে একটা সময় পাহাড়ির সংখ্যা ১০০% ছিল তা আজ নেমে ৫০% নিচে চলে এসেছে। ঠিক বাংলাদেশে পাহাড়িদের যেমন গুম,খুন ইত্যাদি দ্বারা সব সময় একটা ভীতির মধ্যে রাখা হয়। চীন সরকার একই পন্থা জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুরদের ভীতির মধ্যে রাখে। যদিও বাংলাদেশের পাহাড়ি আর জিনজিয়াং উইঘুর চিন্তা ভিন্ন। বাংলাদেশের পাহাড়িরা বাংলাদেশে থেকে আলাদা হতে চাই না, কিন্তু উইঘুরা চীন থেকে আলাদা হতে চাই কারণ তারা স্রষ্টার আশীর্বাদ প্রাপ্ত জাতি। যার ফলে উইঘুরদের চীন সরকার যতদূর জানা যায় অসংখ্য নির্যাতন করে ওদের উপর। গুম-খুনের ভয়ে অসংখ্য উইঘুর নিজ স্বজনদের থেকে পালিয়ে বা দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। তবে এই দেশ ত্যাগ করাটা কিন্তু এত সহজ না। কারন বাইরের বিশ্বের কাছে চিন নিজের ইমেজ ধরে রাখার জন্য তারা যেন কোন চিন থেকে বের না হতে পারে সে বিষয় সব সময় সদা সতর্ক। এই এতো বাধা অতিক্রম করে যারা চিনের বাইরে যেতে পারে তারা অনেকটা ভাগ্যবাদ বলাই যেতে পারে।

উইঘুর কারা, কোথা থেকে এলো এরা, কেনই বা আজ এদের এমন পরিস্থিতি। উইঘুরদের আদ্য-মধ্য -পর্ব-২

 

আশা করি আপনাদের কোন নতুন তথ্য দিতে পেরেছি। আমাদের লেখা যদি আপনি নিয়মিত পেতে চান তবে আমাদের ফেজবুক পেজে লাইক দিয়ে রাখুন। যে কোন ধরণের মতমাত জানাতে পোস্টের নিচেই কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য।

[kkstarratings]

তথ্যসূত্র: