কলকাতায় ইলিশ কেটে বিক্রি হয়

কলকাতায় ইলিশ কেটে বিক্রি হয়, এটা নিয়ে বাংলাদেশীদের হাসাহাসি !! ভিডিও সহ।

কলকাতায় ইলিশ কেটে বিক্রি হয়, এটা নিয়ে বাংলাদেশীদের হাসাহাসি !!  একটা সময় আমাদের দেশে ইলিশ মাছ সহ অন্যান্য মাছ কেটে বিক্রি হতো। মানুষ প্রয়োজন অনুযায়ী পিচ, পিচ কিনে খেতে পারত।

কিন্তু এখন সময় বদলেছে, এদেশে এখন আর মানুষকে কাটা মাছের পিচ বাসায় কিনে নিয়ে যেতে দেখা যায় না। বিশেষ করে শহর অঞ্চলের তো নাই বললেই চলে।

কোলকাতায় ইলিশ কেটে বিক্রি হয়। এটা নিয়ে বাংলাদেশীদের হাসাহাসি চলছে ফেজবুকে। যারা হাসছে তারা সবাই কম বেশি ইলিশ আস্ত কিনে খাওয়া লোকজন। তারা জানে না বাংলাদেশের কতজন ইলিশ কিনে খেতে পারে।

যদি কোলকাতার মত কেটে পিচ পিচ করে মাছ বিক্রি হত তাহলে আপনার আশেপাশের স্বল্প আয়ের লোকগুলি একবেলা ইলিশ চেঁখে দেখতে পারত।

কত মধ্যবিত্ত ইলিশ খেতে পারে না, সে খবর না নিয়েই কোলকাতার লোকজনকে কিপটে বলা শুধু আমাদেরই সাজে!

যদি গাদা পেটি মাথা আলাদা করে বিক্রি হত তাহলে দশ হাজার টাকা বেতনে ফ্যাক্টরিতে চাকরি করা লোকটা তার বাচ্চার পাতে একটু ইলিশ দিতে পারত।

বাংলাদেশে এক পিচ আপেল কেনা আর ভিক্ষা করা সমতুল্য। অথচ মধ্যবিত্ত এক পিচ আনার দুটো আপেল কিনতে পারলে স্বস্তি পেতো। ভিডিটি দেখুন…

বাংলাদেশের দোকানীর কাছে এরকম ক্রেতা স্রেফ মিসকিন! অপরদিকে কলকাতায় এই সমস্ত ফলের দাম কম হওয়ার শর্ত তারা ঠিকই প্রয়োজন অনুযায়ী পিচ পিচ কিনে নিয়ে যায়।

এটা আসলে কিপ্টেমি নয়, যেটুক প্রয়োজন সেটা তারা কিনে নিয়ে যায়। ভারতে কিন্তু এভাবে সবাই কিনে খায়। এমনকি ধনী দেশের লোকজনও চার পিচ আপেল কিনে চাহিদা অনুযায়ী।

আমি কলকাতায় দেখেছি, মানুষকে কাঁঠালের কোয়া কিনতে। যেটা বাংলাদেশে কল্পনার অতীত। একজন মানুষ দশ কোয়া কাঠাল খেতে পারে, তার তো একটা আস্থ কাঁঠাল কেনা প্রযোজন নাই, যদি সে দশ কোয়া কাঁঠাল কিনতে পারে।

এটা কিপটেমী বা পয়সার অভাব নয়, এটা সিস্টেম। দেশভাগের পর কোলকাতা হঠাৎ লক্ষ্য লক্ষ্য অপ্রত্যাশিত শরণার্থী পেয়ে ভয়ানক অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে যায়।

পূর্ববঙ্গের মানুষের একটি কাজরে জন্য কি রকম লড়াই করত, কতখানি লড়াই করতে হয়েছিল তা ঋত্বিক ঘটকের সিনেমায় আছে।

যাই হোক, করোনা পরবর্তী কঠিন অর্থনৈতিক সংকটে কোলকাতার ভাগে ইলিশ খাওয়া নিয়ে হাসি ঠাট্টা করার আগে, আপনার আশেপাশে খোঁজ, খবর, নিয়ে দেখুন কে কি খেয়ে বেঁচে আছে!